লিখব তো বুঝলাম। কিন্তু কোথায়? হুজুররা আপত্তি করছেন তো! জায়গা ঠিক করে দিন, সেখানে লিখি বরং।
@এলেবেলে, আপনি উইলিয়াম জোনসকে নিয়ে বিস্তারিত লিখুন। কালকে আপনার জোনসকে নিয়ে কমেন্টের পর তাঁকে নিয়ে পড়ছিলাম। আপনার লেখার সূত্রে জোনস সম্বন্ধে দেখতে গিয়ে আমার ধারণা বদলে যাচ্ছে। অতএব আপনি এ প্রসঙ্গে লিখুন, পড়ব । ।
বিবাদার্ণবসেতু - ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক ১১ জন প্রধান পন্ডিতের সাহায্যে তৈরি একটি স্মৃতিনিবন্ধসার।
ত্রিবেণীবাসী পালধিকুলতিলক অদ্বিতীয় পণ্ডিত জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন “বিবাদভঙ্গার্ণব" এবং স্যর উইলিয়ম্ জোন্সের জন্য সর্ব্বোরুমিশ্র ত্রিবেদী ১৭৮৯ খৃষ্টাব্দে “বিবাদসারার্ণব’ সঙ্কলন করেন । 'বিবাদার্ণবভঞ্জন' এমনই আরেকটি নিবন্ধ। ‘বিবাদার্ণবসেতু' ২১টি তরঙ্গে, 'বিবাদভঙ্গার্ণব' ৪টি দ্বীপে এবং “বিবাদসারার্ণব' ৯টি ভরঙ্গে বিভক্ত ।
এরকম আরও বেশ কিছু আছে পরে পরেও। "ব্যবহারসিদ্ধান্তপীযূষ", - দেওয়ানী ও ফৌজদারী সম্বন্ধীয় আইন - কোলব্রুক সাহেব কৃত মহোপাধ্যায় চিত্রপতি শর্ম্মার দ্বারা লিখিত।
তঞ্জোরপতি শবভোজি রচিত - "ব্যবহারপ্রকাশ" এবং মহামহোপাধ্যায় চন্দ্রকান্ত তর্কয়ালঙ্কার রচিত "উদ্বাহচন্দ্রালোক" "চন্দ্রালোক" প্রভৃতি উল্লেকঝযোগ্য।
রঞ্জনবাবু ভালো করেছেন। আশা করি পরবর্তীকালেও এভাবে ভাটকে বাঁচিয়ে রাখবেন টপিকহীন আলোচনার জন্য। কোনও আলোচনা দু-পাতা এগোলেই সোওজা টইতে ট্রান্সফার। তাতে আমরাও বাঁচব।
ওরে ঘোতনা কোথায় গেলি? কে যেন আবার ধপাসকে ওপরে তুলে দিয়েছে দেখলাম। যা বাবা, ওটাকে লগা দিয়ে নামিয়ে দিয়ে আয়। আর দীপাঞ্জন দেখলাম ওই গান্ধীবাবার ইসের লেখাটায় আচ্ছাসে কড়কেছেন। ওই আমার বলা নীরদ চৌধুরীর রেফারেন্সই দিয়েছেন দেখলাম। ওখানেও একটু ইস্পেশ্যাল রক্তজবা ফেলে আয় দিকি।
আমার তো সম্বিৎ এবং অমিতের কথা বেশ জাস্টিফায়েড মনে হচ্ছে। ভাটিয়ালি হচ্ছেই ভাট বকা এবং বহমান আড্ডার চন্ডীমন্ডপ।এইরকম প্ল্যাটফর্ম আমার খুব পছন্দ । কোন নির্দিষ্ট বিষয় থাকবে না। অনায়াসে প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গানতরে যাওয়া যাবে , নিরন্তর আড্ডা । ঠিক যেন পুরনো দিনের কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাথের বইয়ের দোকান-- যেখানে পুরনো সংখ্যা 'ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট' বা ডেকামেরনের পাশে খাকবে 'পুরনো চাকরের কীর্তি' ও 'সচিত্র কোকশাস্ত্র'।
আর টই হল স্ট্রাকচার্ড দোকান। দাসগুপ্ত, অক্সফোর্ড, সীগাল, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি, র্যাডিক্যাল ইত্যাদি।
ভাটের মধ্যে লম্বা লম্বা পোস্ট এবং কোন একটা বিষয়ে আটকে থাকা কাম্য নয় তাই বঙ্গে কলোনিয়াল শিক্ষাব্যবস্থা নামে টই খুলে এস এম ও এলেবেলের শেষ দুটো পোস্ট দিয়ে শ্রীগ্ণেশ করছি।
@অরিন,
ভারতেন্দু হরিশচন্দ্রের প্রবাদপ্রতিম কোটেশনটি ভাটপাতায় দেখে খুব ভালো লাগল। ওঁর লেখা এই হিন্দি ্নাটকটি "অন্ধের নগরী, চৌপট রাজা" বহু আগে বিলাসপুর শহরে গণনাট্য সংঘের ব্যানারে করেছিলাম।
অমিত এটা একটা ট্রেন্ড। গুরুর ট্রেন্ড নয়, গুরুর কিছু পুরনো মক্কেলদের ট্রেন্ড। এখন সেটা আমার ক্ষেত্রে অনেক চেষ্টা করেও সেটা খাটানো যাচ্ছে না। সেটা যে শুধু ভাটে হয়েছে তা তো নয়, টইতেও হয়েছে। এখন হতাশাসঞ্জাত বুলি তো কিছু বেরিয়েই আসে। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হবে না, এটাই বলার। কারও দয়ায় যেমন এখানে আসিনি, কারও হুমকিতে তেমনই যাওয়ার সিন নেই।
অমিত, লেগপুলিং হবে তো। কিন্তু তার জন্য অভিমান কে করছে? পাল্টা লেগপুলিং হবে, তাতে মুখ ব্যাঁকালে হবে না। কাল অবধি যখন আলোচনাটা ভাটেই হচ্ছিল তাতে কারও অধিকারবোধে লাগেনি তো। হঠাৎ আজ এত স্পেসিফিক ডিমান্ড কেন? ভাটে কী আলোচনা করিতে হবে, কর্তৃপক্ষ বরং সে বিষয়ে একটা লুটিস দিয়ে দিক। কিন্তু বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ তা জারি করতে চাইলে তো মাধ্যমিক পাশ তাতে পাত্তা দেবে না! কী আর করা!!
রঞ্জনবাবু/এসেম বোঝেন না কেন এখানে অধিকারভেদ পুরোমাত্রায় আছে? কারা কোথায় কী নিয়ে আলোচনা করবেন সেসব ঠিক করে দেওয়ার ঠেকা নেওয়ার লোক আছে? কারো সাড়ে সাতশো বছর বয়স, তো কেউ সাড়ে পাঁচশো। সেখানে দু দিনের যোগী ভাতকে অন্ন বললে তাদের অধিকারবোধে টাটায় না? এসব কেন হবে? এখানে পাগো, ট্রাম্প-বাইডেন-কোভিড এবং হ্যানাত্যানা হবে, তাতে অনন্ত ত্যানা পাকাবে ওই সাড়ে সাতশোরা। সাফ কথা। পোষালে থাকো, নইলে অন্য বাগানে গিয়ে ফুল হয়ে ফোটো। আমরা পোঁওদ পোধানের লোক। গুরুর ভাট আমাদের পকোটে।
না না, আপাতত আর ঘাঁটাব না। যতই হোক, লার্জার দ্যান লাইপ চরিত্র। কাল সুদু ম্যাগনাম ওপাসকে ম্যাগনাম ধপাস বলিচিলুম। তাতেই ডিকলোনাইজড মামাবাবু যা খেল দেকালেন। যাকগে, সাদা পতাকা ও মশলা নিন। কলোনিয়াল ঘোঁতনের পক্ষ থেকে রক্তজবা শুভেচ্চা।
তুঘলক সম্পর্কে মাধ্যমিকের পরে আর কিছু না পড়া থাকলে এই ধরণের মন্তব্য করাই স্বাভাবিক! রঞ্জনবাবু বা এসেম আলাদা টই খুলুন বরং। এটা গুরুর এনআরআই-দের বাংলা লেখার জায়গা কি না।
রঞ্জনদাকে অনুরোধ আপনারা দয়া করে আপনাদের ইতিহাস আলোচনা এক বা একাধিক টইতে নিয়ে যান। ইন্টালেচুয়ালে মাধ্যমিক আবার "কী হইতে কী হইয়া গেল" ছাড়বেন, এখানে ধুন্ধুমার লেগে যাবে। তারচেয়ে ঐতিহাসিক বিন তুঘলক আমার মতন প্রান্তিক প্রজার হাত থেকে বাঁঁচুন, আমরা তুঘলকের হাত থেকে বাঁচি।
এসেম, কাল মটকা সামান্য গরম ছিল। দুঃখিত। আচ্ছা খুব সংক্ষেপে ১৮৩৫ নাগাদ বাংলার প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা এবং তার কিছু বৈশিষ্ট্য।
ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা পুরোমাত্রায় চালু হওয়ার আগে, এমনকি তার পরেও, এ দেশে লেখাপড়ার যে চল ছিল তা ব্রিটিশ প্রবর্তিত পাশ্চাত্য শিক্ষার মতো প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা কেন্দ্রীভূত ছিল না। বরং এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চালু ছিল দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন ধারা। একটি উচ্চবর্ণের ও উচ্চশ্রেণির মানুষের জন্য সংস্কৃত ও আরবি-ফারসি শিক্ষাধারা। অন্যটি সাধারণ মানুষের অর্থে পরিপুষ্ট ও তাঁদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সাধারণ মানুষের কথার ভাষায় লেখা, পড়া আর অঙ্ক শেখার ধারা। প্রথম ধারায় সংস্কৃত উচ্চশিক্ষার জন্য ছিল টোল এবং আরবি-ফারসি শিক্ষার জন্য ছিল মাদ্রাসা। যদিও উত্তর ভারতে বাংলার সংস্কৃত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চতুষ্পাঠী নামে পরিচিত ছিল ও সেখানে বেদবিদ্যা অধ্যয়ন আবশ্যিক ছিল, কিন্তু বাংলার টোলগুলিতে প্রধানত নব্যন্যায়ের পরাক্রমের কারণেই বেদ পাঠের তেমন প্রচলন ছিল না। এই ধারার শিক্ষাব্যবস্থার খরচ চলত প্রধানত রাজা-জমিদাররা পণ্ডিত-মৌলবিদের যে নিষ্কর লাখেরাজ ও বদদ্-ই-মাশ ভূমি দান করতেন, তার আয়ের ওপর নির্ভর করে।
সংস্কৃতর মতোই বাংলার ফারসি শিক্ষার বিদ্যালয়গুলোও ঠিক মাদ্রাসার পর্যায়ভুক্ত ছিল না। মূলত রাজভাষা ফারসি শেখার গরজেই এগুলি গড়ে উঠেছিল। মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে রাজসরকারের উচ্চপদগুলি বাংলার ফারসি জানা হিন্দুদের হাতে আসে। ফলে মুসলমানরা ছাড়াও হিন্দুদের মধ্যে ফারসি শেখার রেওয়াজ ক্রমশ বাড়তে থাকে। অবশ্য হিন্দুদের কেউ কেউ ফারসি শেখার পাশাপাশি বাড়িতে বাংলাও শিখত। রামমোহন রায় তখনকার রীতি অনুসারে আরবি-ফারসি ও সংস্কৃত শিখেছিলেন এবং বাড়িতে গুরুমশাই-এর কাছে কিছু বাংলাও শিখেছিলেন।
অন্যদিকে পাঠশালার শিক্ষা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। শুধু তাই নয়, পাঠশালার শিক্ষা যে পুরোপুরি ব্যবহারিক শিক্ষা ছিল সে বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। কৃষি, কুটিরশিল্প, কারিগরি আর ব্যবসাই ছিল তখন সাধারণ মানুষের প্রধান জীবিকা। চাকরির খুব একটা সুযোগ তাঁদের জন্য ছিল না। কিছু কৃষিজীবী একই সঙ্গে জমিদারি সেরেস্তায় বা মহাজনের খাতা লেখার কাজও করতেন, কারণ সরকারি কাজকর্মে ফারসি ভাষা চালু থাকলেও বাংলায় জমিদারি সেরেস্তায় রাজস্ব ও খাজনার হিসেব বাংলাতে রাখা হত। পাঠশালা শিক্ষা ছিল এই কৃষিজীবী, কারিগর, দোকানদার, জমিদারি সেরেস্তার কর্মচারী ইত্যাদি সাধারণ শ্রেণির মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ এক সাধারণ শিক্ষাধারা। পাঠশালার ক্ষেত্রে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই শিক্ষাব্যবস্থায় জাতি বা ধর্মের কোনও ভেদাভেদ ছিল না। তাই পাঠশালার ছাত্র এবং শিক্ষক যে কোনও জাত বা ধর্মের হতে পারতেন, সেই নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনও রক্ষণশীল মনোভাব ছিল না। পাঠশালাগুলো বসত সাধারণত কোনও চণ্ডীমণ্ডপ, বা কারও বৈঠকখানা কিংবা কখনও খোলা মাঠে। গুরুমশাইরা ছিলেন পুরোপুরি পড়ুয়াদের দেওয়া বেতন ও সিধের উপর নির্ভরশীল। উনিশ শতকের প্রথম দিকে সরকারি-বেসরকারি বিবরণ ও নথি থেকে বোঝা যায়, এ শিক্ষা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এবং বাংলা ও বিহারের অধিকাংশ গ্রামে এ ধরনের পাঠশালা ছিল।
বর্ধমানের ৬২৭ জন হিন্দু শিক্ষকের মধ্যে ১০৭ জন ব্রাহ্মণ ও ৩৬৯ জন কায়স্থ ছাড়াও অন্য বর্ণের শিক্ষক ছিলেন ১৫১ জন বা ২৪%। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ৫০ জন সদ্গোপ; ৩০ জন আগুরি; ১৩ জন বৈষ্ণব; ১০ জন তেলি; ৯ জন ভট্ট; ৬ জন গন্ধবণিক; ৫ জন কৈবর্ত; ৪ জন চণ্ডাল; ৩ জন করে কুমোর ও নাপিত; ২ জন করে সুবর্ণবণিক, গোয়ালা ও বাগদি এবং নাগা, তাঁতি, দৈবজ্ঞ, বৈদ্য, যুগি, বাড়ুই, কামার, ময়রা, ধোপা, রাজপুত, কলু ও শুঁড়ি একজন করে। এ ছাড়াও ছিলেন ৯ জন মুসলমান ও ৩ জন খ্রিস্টান শিক্ষক।
শিক্ষকদের মতো পড়ুয়ারাও বিভিন্ন ধর্ম বা বর্ণসম্প্রদায়ের ছিল। ব্রাহ্মণ-কায়স্থ ছাত্রের সংখ্যা মোট ছাত্রসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি ছিল না। বিহারের দুটি জেলায় এই সংখ্যাটা ছিল আরও কম, ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ। যেমন, বীরভূমে মোট ৬, ১২০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১,৮৫৩ জন ব্রাহ্মণ ও ৪৮৭ জন কায়স্থ ছাড়াও অন্যান্য বর্ণের ছাত্র ছিল ৩৭৮০ জন বা প্রায় ৬২%। বর্ধমানের ৬২৯টি পাঠশালার মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ১৩ হাজারের কিছু বেশি। এদের মধ্যে ৩,৪২৯ জন ব্রাহ্মণ ও ১,৮৪৬ জন কায়স্থ ছাড়া বাকি সবাই ছিল সমাজের একেবারে নীচের স্তরের বিভিন্ন বর্ণের মানুষ। এ ছাড়াও পাঠশালায় ছিল ৭৬৯ জন মুসলমান ও ১৩ জন খ্রিস্টান। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান, দক্ষিণ বিহার ও ত্রিহুতের আরবি-ফারসি বিদ্যালয়গুলির মোট ৭২৯ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৪ জন হিন্দু ছাড়া বাকিরা ছিলেন মুসলমান। কিন্তু এই সব স্কুলের মোট ৩,৬৬৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে ২,০৯৬ জন ছিল হিন্দু।
একই চিত্র লক্ষ্য করা যায় মাদ্রাজেও। সালেম, তিন্নেভেল্লি ও উত্তর আর্কটে শূদ্রসহ অন্যান্য নিম্নবর্ণের ছাত্র ছিল মোট ছাত্রসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০%; বেলারি ও গঞ্জামে ৬৩% এবং মালাবারে ৫৪%। তাছাড়া মালাবারে জ্যোতির্বিদ্যার ৮০৮ জন ছাত্রের মধ্যে মাত্র ৭৮ জন ছিল ব্রাহ্মণ, চিকিৎসাশাস্ত্রে আরও কম – ১৯৪ জন ছাত্রের মধ্যে মাত্র ৩১ জন। এই পরিস্থিতিতে উনিশ শতকে ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার দিকে চোখ ফেরালে দেখা যাবে, এমনকি ১৮৩৪ সালেও অধিকাংশ জাতীয় স্কুলেই পাঠক্রম সীমাবদ্ধ ছিল মূলত ধর্মীয় শিক্ষা এবং লেখা-পড়া-অঙ্ক (The three ‘R’s) শেখার ওপর। অনেক গ্রামীণ স্কুলে অমঙ্গলের আশঙ্কায় লেখা অবধি শেখানো হত না।
অ্যাডাম তাঁর তৃতীয় প্রতিবেদনের উপসংহারে দেশজ ভাষায় দেশজ শিক্ষার প্রচলনের জন্য জোরালো সওয়াল করে বলেন
I, however, expressed the opinion that, as far as my information then enabled me to judge existing native institutions from the highest to the lowest, of all kinds and classes, were the fittest means to be employed for raising and improving the character of the people — that to employ those institutions for such a purpose would be “the simplest, the safest, the most popular, the most economical, and the most effectual plan for giving that stimulus to the native mind which it needs on the subject of education, and for eliciting the exertions of the natives themselves for their own improvement, without which all other means must he unavailing”
বলা বাহুল্য, ইংরেজি শিক্ষা চালু করার প্রবল তাগিদে তখন অ্যাডামের কথা শোনা হয়নি। পরে ডালহোউসির আমলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ছোটলাট টোমাসনের 'হলকাবন্দি বিদ্যালয়'-এর চরম সাফল্য নজরে পড়ায় অ্যাডাম-অনুসৃত পথে বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদ্যাসাগর সেই নির্দেশ অমান্য করে (ছোটলাট হ্যালিডের মদতে) চারটে জেলায় চালু করেন ২০টা মডেল স্কুল। যদিও তাতে প্রাথমিক শিক্ষার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। অবশেষে লর্ড মেয়ো ও ছোটলাট ক্যাম্পবেল আংলার প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজান ওই অ্যাডামের দেখানো পথেই। হান্টার কমিশনের পরে বাংলা তখনও অবধি টিকে থাকা প্রায় ৫০ হাজার পাঠশালাকে কেন্দ্রীভূত ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার আওতাভুক্ত করা হয়। যে কাজ ৫০ বছর আগে করা যেত অনায়াসে, সে বিষয়ে অযথা কেঁচে গণ্ডুষ করে ৫০টা বছর নষ্ট করা হয়।
এলেবেলে বাবু কই গেলেন? ১৮০০ সালের আগে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার স্ট্রাকচার টা নিয়ে বলবেন না!?
একটা আলোচনা চলছিল তো।আপনি আপনার দেওয়া ইনফর্মেশন গুলোই একটু বিস্তারিত জানান। মাঝ পথে আলোচনা গুটিয়ে নেওয়া কি ভালো?
অনেকটা হাওড়া আর লিলুয়ার মাঝে হালুয়া তে গাড়ি থেমে যাবার মতন ব্যাপার। যেন গায়ে সাবান মাখার পর,শাওয়ার বন্ধ। যেন জোলাপ খেলেন কিন্তু কাজ হচ্ছে না। খুব চুলকুনি হয়েছে কিন্তু ডাক্তার চুলকোতে বারণ করেছে।পর্দায় অন্তরঙ্গ সিনে, ফ্যান ঘুরছে দেখালো। চাঁদি ফাটা গরমে,ঘরে ঢুকে দেখলেন ফ্রিজে জল নেই।এলেবেলে লিখছেন কিন্তু ঘোতনার পোস্ট নেই।
খুউব খারাপ লাগে।।
রঞ্জনবাবু, আপনি জানেন আমি আপনাকে প্রকৃতই শ্রদ্ধার চোখে দেখি। দু-দু'বার যখন আমাহেন এলেবেলেকে অনুরোধ করলেন, তারপরেও আমার মতো তুচ্ছ লোকের অহঙ্কার করা সাজে না। চলুন ফের ফিরে যাই জোন্স, তাঁর ভাষাজ্ঞান, ভারতপ্রেম নিয়ে। ঝামেলা শুরু হওয়ার আগে আপনাদের প্রশ্ন করেছিলাম আপনার বিবাদভঙ্গার্ণব বলে কোনও বস্তুর নাম শুনেছেন কি না? আলোচনা শুরু হোক।
রঞ্জনবাবু : "ভেবে দেখুন, এটা কিন্তু আদিম কৌম সমাজের ন্যায়ের ধারণা-- দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখ!"
এই করে সে কালক্রমে দন্তহীন অন্ধের সমাজে পর্যবসিত হবে, আর রাস্তায় রাস্তায় গেয়ে বেড়াবে
"অন্ধের নগরী
চৌপাট রাজা
টাকা সের ভাজি
টাকা সের খাজা "
(ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র)
@a : "নিউ জিল্যান্ডে কত লোক দেশে ফিরে হোটেলে কোয়ারান্টাইন হয়েছেন এরকম কোন ডেটা আছে?"
এইটা দেখুন,
কুকুরের CGI টা বাদ দিলে ;-) কোনোটাই ঠিক ছোটদের জন্যে পাণ্ডব গোয়েন্দার সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না ।