আপনি যদি এখানে নানা অবতারে এসে খিল্লি অব্যাহত রাখতে পারেন তাহলে এতে আপত্তি কেন হে পুর্ণকুম্ভ? ইহা যে আপুনার পৈতৃক জমিদারি নহে তাহা তো আগেই বলিয়াছি। নিন, এবারে ঘোতনাকে ডেকে নিন বরং।
আমিও বলেছিলাম কে আমার সঙ্গে এনগেজ হল আর কে হল না তাতে আমার স্রেফ...
তবে এটাও ঠিক যে আমি বলেছিলাম যে আমি এলেবেলেবাবুর সঙ্গে আর এনগেজমেন্টে যাব না। সে কথা আমি রাখতে পারিনি। mea culpa. তবে, আমার দিকটাও একটু দেখুন ধর্মাবতার, উনি যে ভাটিয়ালিতে এসেও ওনার ঐতিহাসিক ট্রিটিসগুলো নথিভুক্ত করবেন, সেকথা আঁচ করতে পারিনি।
অমিত, কর আদায় এসেছে এই প্রসঙ্গে // "হাতি পর হাওদা, ঘোড়ে পর জিন, জলদি আও জলদি আও ওয়ারেন হেসটিন", সেরকম বজ্জাত হলে মানুষ অমন ছড়া কাটত কি?//
সেই চিঠিটা দিতে হবে?
ফালতু হেজিয়ে লাভই নেই। আগেই বলেছি তার আমলে দেওয়ানি লাভ অথচ দেওয়ানি আদালতের ভাষা সম্পর্কে কিস্যু জানা নেই। তাই সস্তার মৌলবি সাপ্লাই দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা। পরে সস্তার পণ্ডিত সাপ্লাই করার জন্য কাশীতে সংস্কৃত কলেজ। সিম্পল হিসেব, সিম্পল ব্যবসা। বাকি রইল এশিয়াটিক সোসাইটি যার মাথা হচ্ছে মূর্খ জোন্স যে ওইখানে বসে আইন বানাবে আর সেটাকে চালু করে দেওয়া হবে সগর্বে। আর বিদ্যাসাগর সাট্টিফি দেবেন তিনি মনুসংহিতার অনুবাদ করিয়াছিলেন। মনুর ম অনুবাদ করতে কি না যার পেছন দিয়ে লাল সুতো বেরিয়ে যায়! ইন্ডোফাইল না হাতি!
কেউ আমাকে প্লিজ বুঝিয়ে দিতে পারেন, কীভাবে এলেবেলেবাবুর দেওয়া এই দুই রেফারেন্স থেকে হেস্টিংস ইন্ডোফাইল ছিলেন সেকথা 'সম্পূর্ণ ভ্রান্ত' বোঝা যাচ্ছে? ওনার যেরকম বায়ুর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, ওনাকে এখন ঠিক ঘাঁটাতে সাহস করছি না।
অরিন হেস্টিংসকে টাকা নয়ছয়ের দায়ে দেশে ফিরে কোম্পানির কর্তাদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছিল। অবিশ্যি আপনি যদি গুরুঠাকুরের বাঙ্গালার ইতিহাস পড়ে তাকে মাপতে চান তো আলাদা কথা! আর হেস্টিংস ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের বছরে কেমন করে কর আদায় করেছিলেন সেটা বাংলার মানুষ জানেন।
যাকে চূড়ান্ত অহঙ্কারের সুরে 'ত্যানার' বলেন, শূন্য কলসি বলেন, সাট্টিফি বিলান - তাকে আপনার চাকর ভাবেন নাকি যে আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনার শর্ত অনুযায়ী দেবে? হেস্টিংসের বয়ান কী হবে? সে বলবে যে আসলে সংস্কৃত-ফারসি অখাদ্য ভাষা তবু তা শেখার ধান্দায় কলেজ খুলেছি?
পাল্টা আমি দুটো দিয়ে যাই, আপনি বরং গুগলাতে থাকুন হে পূর্ণকুম্ভ।
১. হেস্টিংসের এক মিলিটারি অফিসার উইলিয়াম ডেভি পইপই করে সাহেবদের সতর্ক করে দিচ্ছেন এই বলে যে, তাদের ফারসি ভাষাটা শুধু অনর্গল বলা শিখলেই চলবে না, এই ভাষায় লিখিত সমস্ত চিঠিও পড়তে হবে গড়গড়িয়ে এবং চিঠির গুরুত্ব বুঝে তার যথাযথ উত্তরও দিতে হবে নিজে হাতে লিখে। নাহলে ভয়ানক অনর্থ ঘটতে পারে কারণ তাতে ‘the secret negotiations and correspondence of government are liable to be made public through the medium of the native Munchees, or writers, whom he will be obliged to employ and trust’।
২. ১৭৯২ সালের ১ জানুয়ারি লর্ড কর্নওয়ালিসকে ডানকান-এর চিঠি - Two important advantages seemed derivable from such an establishment, the first to the British name and nation in its tendency towards endearing our Government to the native Hindoos; by our exceeding in our attention towards them and their systems, the care shewn even by theier own native princes। কাশীতে যাতে সংস্কৃত কলেজ খোলা হয় তার পরামর্শ দিয়ে।
@এলেবেলে:"হেস্টিংস যে ইন্ডোফাইল ছিলেন না,"
আপনি কেন ওযারেন হেস্টিংস কে ইনডোফিল মনে করেন না লেখেন নি, নিশ্চয়ই সঙ্গত কারণ থাকবে।
সম্বিৎ যেমন লিখেছেন, উইলিয়ম ড্যালরিমপল তাঁর বইতে অন্য এডিডেনস দিয়েছেন। অবশ্য এও ঠিক, যে, ফিলিপ ফ্রানসিস প্রমুখ হেস্টিংসকে পছন্দ করতেন না। এখন কোনটা ঠিক/ভুল কে জানে। আপনার কারণগুলো জানালে ভাল হত। যেমন ড্যালরিমপল লিখছেন (দীর্ঘ উদ্ধৃতি, মাফ করবেন),
"Hastings had been regarded as a man with a spotless reputation. Tall, thin, clean-living, quietly spoken and dryly scholarly, Hastings was one of the few Company servants who had always stood up against the wilder excesses of Company rule. He was also widely admired for his remarkable administrative ability and sheer industry. The artist William Hodges, who travelled up the Ganges with Warren Hastings, remarked on his plain attire, amid the pomp of his colleagues, and noted how firmly he stopped his attendants treating ordinary Indians roughly. He was constantly lending money to friends in distress and he looked after his household with generosity and consideration: his pension list remembered the widow of his very first servant in Kasimbazar and even a blind man who used to sing for him in the streets of Calcutta.
Ghulam Hussain Khan, who has little good to say about any British official, wrote a long and singular passage in his history praising Hastings’ struggles for justice for ordinary people under Company rule, as well as his personal generosity: ‘May the Almighty Bestower of Graces and Favor reward the Governor for having hastened to the assistance of so many afflicted families … and of listening to the groans and sobs of so many thousands of oppressed ones, who know how to suffer but cannot speak.’
Far more than any of his contemporaries, Hastings was conscious of the many flaws in the Company’s regime, and wrote about them tellingly: ‘To hold vast possessions, and yet to act on the level of mere merchants, making immediate gain our first principle; to receive an immense revenue without possessing protective power over the people who pay it … [these] are paradoxes not to be reconciled, highly injurious to our national character … and bordering on inhumanity.’ He was determined to bring about the changes that were needed to make Company rule more just, more effective and more responsible: Company servants, he wrote, were often ignorant of local languages and customs, but Indian petitioners were still powerless to resist their abuses and oppressions. This he believed to be ‘the root of all evil which is diffused through every channel of our government’.
”
William Dalrymple. “The Anarchy: The East India Company, Corporate Violence, and the Pillage of an Empire.
এনার এই অ্যাসেসমেন্ট-টা কি ভুল? যদিও হেস্টিংসের নিজের লেখাপত্র থেকেই উদ্ধৃতি দিয়েছেন দেখছি।
তাছাড়াও সমসাময়িক কালে লোকে ওযারেন হেস্টিংসের নামে ছড়া কাটত, "হাতি পর হাওদা, ঘোড়ে পর জিন, জলদি আও জলদি আও ওয়ারেন হেসটিন", সেরকম বজ্জাত হলে মানুষ অমন ছড়া কাটত কি? সেই জন্য জিজ্ঞাসা করছি উল্টো কি তথ্য রয়েছে?
ব্যক্তিগত জীবনে মানুষ হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন সেই দিক দিয়ে বিচার করলে অবিশ্যি আলাদা, সেক্ষেত্রে "ভারতপ্রেমী" কিনা সে প্রশ্ন উঠছে না।
সুশ্রুত নিয়ে বলার আছে।শব ব্যবচ্ছেদ করে হিউম্যান বডির বিভিন্ন পার্ট বর্ণনা করা আছে।যদিও অনেক ভ্রান্তি আছে কিন্তু সেই যুগের তুলনায় যথেষ্ট এডভ্যান্সড কাজ কর্ম।
@Atoz, স্যার এড এর বইয়ের লিস্ট
২. প্রাচ্য চর্চার পেছনে পয়সা ঢালতে হয়েছিল প্রয়োজনে, ভালোবেসে নয়। সেক্ষেত্রেও খরচের দিক থেকে সবাইকে টপকে গিয়েছিলেন ওয়েলেসলি। রেফারেন্স লাগলে বলবেন।
৩. বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক ১৮৫০-এর পরে। খামোখা একা হেস্টিংসে দায়ী করে লাভ নেই।
৪. সরকারি পজিশন ঠিক করে দেয় লন্ডনে বসে ইভ্যাঞ্জিলিক্যালরা আপনারা যাদের উল্লেখই করছে না। প্রথমে গ্র্যান্ট-উইলবারফোর্স। পরে বাপব্যাটা গ্র্যান্ট-মেকলে-মিল। সঙ্গে শ্রীরামপুরের তিন পাদরি কেরি-মার্শম্যান-ওয়ার্ড।
- এর মধ্যে ঠিক কোনটা হ্যাঁ বা না? আমার চারটে বাক্য - যা আপনি 'সম্পূর্ণ ভ্রান্ত' বলেছেন, তার প্রথমটি খালি 'ভ্রান্ত' বলার সাহস দেখিয়েছেন। তবে রেফারেন্সের ব্যাপারে হ্যান্ড ওয়েভিং।
বাকি তিনটে - বিটিং অ্যারাউন্ড দ্যা বুশ। 'ভ্রান্ত' বলে সেটাকে ডিফেন্ড করার কনভিকশন থাকবে, নতুবা ভুল স্বীকারের। তবে আপনার কাছে এসব বেশি চাওয়া। তারচেয়ে বরং আপনাকে আমি বিশ্বম্ভর আর কানাইয়ের গল্প শোনাব।
"গুচ্ছের রেফারেন্স বাজারে পাওয়া যায়" - একে বলে হ্যান্ড ওয়েভিং। 'গুচ্ছের' যদি পাওয়াই যায়, তাহলে একটা বা দুটো সহজেই দিতে পারবেন। ততক্ষণ আমি একটা দিলাম, হেস্টিংস সাহেবের নিজের বয়ান।
‘It is not very long since the inhabitants of India were considered by many as creatures scarce elevated above the degree of savage life, nor, I fear, is that prejudice yet wholly eradicated, though surely abated. Every instance which brings their real character home will impress us with a more generous sense of feeling for their natural rights, and teach us to estimate them by the measure of our own. But such instances can only be obtained from their writings: and will survive when the British dominion in India shall long cease to exist, and when the sources which it once yielded of wealth and power are lost to remembrance … In truth I love India a little more than my own country'.
এবং হেস্টিংস যে ইন্ডোফাইল ছিলেন না, ওয়েলেসলি ছাড়া আর কেউই ছিলেন না, তার গুচ্ছের রেফারেন্স বাজারে পাওয়া যায়। আপনারা সিএস-কে বলতে পারেন। সেই যে বললেন খান কুড়ি বই পড়ে ফেললেই বিদ্যাসাগরের পোবোন্দো নামানো যাবে, সেই ইস্তক চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় আছি উনি কবে লিস্টিটা হাজির করেন সবার সামনে।
১. হেস্টিংস ইন্ডোফাইল ছিলেন না। ছিলেন ওয়েলেসলি।
২. প্রাচ্য চর্চার পেছনে পয়সা ঢালতে হয়েছিল প্রয়োজনে, ভালোবেসে নয়। সেক্ষেত্রেও খরচের দিক থেকে সবাইকে টপকে গিয়েছিলেন ওয়েলেসলি। রেফারেন্স লাগলে বলবেন।
৩. বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক ১৮৫০-এর পরে। খামোখা একা হেস্টিংসে দায়ী করে লাভ নেই।
৪. সরকারি পজিশন ঠিক করে দেয় লন্ডনে বসে ইভ্যাঞ্জিলিক্যালরা আপনারা যাদের উল্লেখই করছে না। প্রথমে গ্র্যান্ট-উইলবারফোর্স। পরে বাপব্যাটা গ্র্যান্ট-মেকলে-মিল। সঙ্গে শ্রীরামপুরের তিন পাদরি কেরি-মার্শম্যান-ওয়ার্ড।
হেস্টিংসের আমলে কেবল কলকাতা মাদ্রাসা আর এশিয়াটিক সোসাইটির একেবারে হামাগুড়ি স্টেজ। কর্নওয়ালিসের আমলে কাশীতে সংস্কৃত কলেজ। শেষে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ। মেকলে মিনিটের আগে এই হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে সাহেবদের সর্বমোট অবদান।
যা বুঝলাম আপনারা নবশাখের কিসুই জানেন না কিন্তু ভাবটি দেখাতে ছাড়েন না! নবশাখ বলা হয় তাঁতি, মালাকার, সদ্গোপ, নাপিত, বারুই, কামার, কুমোর, তিলি ও ময়রাদের। টুকে নিন, পরে ট্রোল করতে কাজে লাগবে।
৩ নম্বরের জবাব হ্যাঁ হলে রেফারেন্স দিলে চলবে।
এলেবেলেবাবু লিখলেন -
-----------------
সম্বিৎ লিখেছেন //হেস্টিংস ইন্ডোফাইল ছিলেন। উইলিয়াম জোন্স, এশিয়াটিক সোসাইটি এসব করে হেস্টিংস পুরনো দেশীয় চর্চার পেছনে পয়সা ঢেলেছিলেন। এই ওরিয়েন্টালিস্ট শিক্ষার জোরে বিলিতি শিক্ষা, বিশেষতঃ বিজ্ঞানের দিকে কোন ঝোঁকই পড়ল না। এ হল সরকারী পজিশন।//
সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।
-----------------
আমার চারটি বাক্য সম্বন্ধে বলছেন সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। একটু খোলসা করে নীচের প্রশ্নগুলোর জবাব দিন। স্রেফ হ্যাঁ বা না।
১। হেস্টিংস ইন্ডোফাইল ছিলেন কি?
২। হেস্টিংস পুরনো দেশীয় চর্চার পেছনে পয়সা ঢেলেছিলেন কি?
৩। এই সময়ে বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক পড়েছিল কি?
৪। এই সময়ে সরকারী পজিশন কী দেশীয় চর্চার প্রতি জোর দেওয়া ছিল?
এর যেগুলোর জবাব 'না' হবে শুধু সেগুলোর রেফারেন্স দিলেই চলবে।
https://openlibrary.org/authors/OL78637A/Sir_Edmund_Hillary
http://gen.lib.rus.ec/search.php?req=edmund+hillary&open=0&res=25&view=simple&phrase=1&column=author
বরফে ঠান্ডা করা আঙুর খেতেন।
কিন্তু লাল আঙুর না কালো? নাকি সবুজ?
তুজুকে আমি সবে 10% গেছি। আঙুর আসেনি। তবে আঙুর আর ফলমূলের আসল গপ্পো বোধহয় বাবুরনামায়।