বিজ্ঞান শেখায় নি মানে!কলকাতা মেডিকেল কলেজ কে করলো?এই যে জে সি বোস,সত্যেন বোস,সি ভি রামন,মেঘনাদ সাহা, এঁরা তৈরি হলো কেমনে?
আর ইংরেজি সাহিত্য বিরাট ব্যাপার!মাত্র তিন জন ব্রিটিশ কবি বা সাহিত্যিক আছে;এমন কথা বলার ক্ষমতা কি সবার আছে?
আপনি ধন্য, সুধন্য!--))
দেখুন মশাইরা, নেহাতই পেটের দায়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য পড়েছিলাম। এই বস্তুটা খোদ ইংল্যান্ডে চালু হওয়ার আগে আমাদের দেশে শুরু হয় মেকলের শয়তানির কারণে। বিজ্ঞান তো শেখায়নি ব্যাটারা, ওই খানিক মিলটন-বায়রন আর লক-বেন্থাম-মিল। তো পড়ে-টড়ে সেই ছাত্র আমলেই মনে হয়েছিল ইংল্যান্ডে এক শেক্সপিয়ার বাদ দিয়ে সাহিত্যিকের সংখ্যা সাকুল্যে সাড়ে তিন কি পৌনে চার।
এসেম, ওই হুইটম্যান-ফ্রস্ট-ফকনার পড়তে হয়েছিল বটে। ইঞ্জিরি ছাড়া অন্য ভাষায় লিখলে ছেলেপিলে ওসবের গন্ধ শুঁকত কি না সন্দো!
পুলিশ কে কপ বলা মেনে নেওয়া যায়।কারণ কপ করে ধরে ফেলবে।কিন্তু লন্ডনে পুলিশ কে যে ববি বলে ডাকে,সেটা একদম মানায় না।কোথায় রাজকাপুরের ববি আর কোথায় ভাম বেড়াল এর মতো মুখোয়ালা লন্ডনের ববি!
ওহে লসাগু? ইভ্যাকুয়েশনের প্রস্তুতি নিতে বলছে নাকি তোমাদের দিকে?
কেন, এলেবেলে বাবু?আমেরিকান ইংলিশ ধুর ধুর কেন? কতো বড় কবি,সাহিত্যিক আমেরিকান।এঁরা তো গত দু শতক ধরে ইংরেজি সাহিত্য কে সমৃদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ ইংলিশ ভালো।কিন্তু অ্যাকসেন্ট সব জায়গায় শ্রুতি মধুর নয়। অন্য দিকে আইরিশ,স্কটিশ কবি সাহিত্যিক না থাকলে ,ইংরেজি সাহিত্য এতো সমৃদ্ধ হতোই না।
এই ,যাক্কলা টি কোন মুলুকের লোক রে বাবা! চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, লিখে বলতে হয়,দাদুর লেখা!? অরিন বাবুর মতন পণ্ডিত ব্যক্তিকে এসব স্মরণ করালে, ছোট করা হয়।
এ যেন,আমাদের ছোট নদী (ব্র্যাকেটে রবীন্দ্রনাথ)
আবার এসেছে ফিরিয়া(সুকুমার রায়) এরম করে লেখা উচিত।আশ্চর্য্য!!
আরে ব্রিঞ্জাল বার্তাকু প্লৌম্যান চাষা - এ তো শিবনাথ শাস্ত্রী লিখেছিলেন রামতনু লাহিড়ীতে। আর আমেরিকান ইংলিশ ব্রিটিশ ইংলিশ থেকে অনেকটাই আলাদা তো - শব্দে, বানানে, উচ্চারণে। তার জন্য খামোখা পূর্ব পশ্চিম পড়তে হবে কেন? যাহাই পেট্রোল পাম্প তাহাই গ্যাস স্টেশন; শিডিউল-স্কেজুল; মানি-বাক আর বানানের তো পুরো দফরফা। ধুর ধুর আমেরিকান ইংলিশ আবার ইংলিশ নাকি!
দু, অনেক ধন্যবাদ।
"পেট্রোল শব্দটি এখানে অপরিচিত, তার বদলে বলে গ্যাসোলিন বা গ্যাস। হঠাৎ জুন মাসে এখানে গ্যাসের দাম কমে গেল। আমার বাড়ির ঠিক সামনেই গ্যাস স্টেশনে (অর্থাৎ পেট্রোল পাম্পে) বড় বড় করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো, ‘টু স্টেন্টস অফ পার গ্যাল!’ গ্যাল মানে গ্যালন। এদেশে এরা অনেক কিছুকেই ছোট ছোট করে বলে, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়কে বলে স্কুল, যুবতীকে বলে বেবি, বাঘকে বলে ক্যাট।
আমাদের দেশে কোনও জিনিসের দাম কমলে আমরা খুশি হই, এরা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অকস্মাৎ গ্যাসের দাম কমল কেন, তা হলে কি দেশের অর্থনীতিতে সংকট দেখা দিয়েছে? তখন এক গ্যালন গ্যাসের স্বাভাবিক দাম ছিল পঁচিশ সেন্ট, অর্থাৎ এক টাকা পঁচিশ পয়সা, তার থেকেও দু’ সেন্ট অর্থাৎ দশ পয়সা কমে যাওয়া তো সাংঘাতিক ব্যাপার। সত্যিই সেই ধাক্কায় একটা জমজমাট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরস ঝাঁপ ফেলে বন্ধ হয়ে গেল। গ্যাসের দাম কমার সঙ্গে একটা জামা-কাপড়-বাসনপত্র ইত্যাদির দোকান উঠে যাওরার কী সম্পর্ক তো অবশ্য আমার বোধগম্য নয়। এ যেন কপালে এসে লাগল তির, রক্ত পড়তে লাগল হাঁটু দিয়ে।"
এই বিঞ্জালকে এগপ্লান্ট, দইকে (কার্ড) ইয়োগার্ট শিডিউলকে স্কেজুল এসব প্রথম পড়েছিলাম সুনীল গাঙ্গুলির পূব পশ্চিমে। কিছু আগে পরে শীর্ষেন্দু, বাণী বসু, শংকর এঁরাও আম্রিগাভ্রমণ নিয়ে লিখেছেন কিন্তু এই খুঁটিনাটিগুলো ওঁরা মেনশন করেননি কেন তাই ভাবি।
স্কেজুল আর ব্রিঞ্জালের ব্যপারটা নবনীতা দেবসেনও লিখেছিলেন মনে হয়
"এই এভারেস্টজয়ী ভদ্রলোকের"
শুধুই এভারেস্ট জয়ী? ভদ্রলোক সাগর থেকে গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ার পাড়ি দিলেন, গাড়ি নিয়ে প্রথম মানুষ যিনি সাউথ পোলে গেলেন, সেগুলোও হিসেবের মধ্যে রাখুন।
"তোমার খুকি চাঁদ ধরতে চায়,
গণেশকে ও বলে যে মা গানুশ।"
এটা মোক্ষম হয়েছে |
" যেখানে সাধারণ লোকজন ইংরেজিতেই কথা বলে, সেখানে ফ্রেন্চ বলাকে রীতিমত এলিটিজমের সমতুল্য মনে করা হয়"
সায়েব বেজায় চটে গিয়ে গালাগালি/খিস্তিখেউড় শুরু করার সময় গলা খাঁকরে বলে থাকে অবশ্য, "Pardon my french ...", ;-)
তিল মাখা বেগুন পোড়া, যাকে আরবের লোকেরা "বাবা গানুস" নামে আহ্লাদ করে খায়, সে কথার মানে জানেন তো?