এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:৫০452478
  • দ্যাখেন,ঈশ্বর আছে যখন,ধর্মের জয় হবেই।তক্কো কইরে লাভ নেই।

    নদীর ধারে বসে, খেতের দিকে চেয়ে খুব খানিকটা ভাবছিল লেন চো। গায়ে তার অসুরের শক্তি, খেটেছেও খুব চাষের জন্য।খালি ভগবান একটু বৃষ্টি দিলেই ব্যাস।

    আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলো একটুকরো মেঘ। মনে হয় বৃষ্টি হবে।বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুম।

    সকালে উঠে অবাক। একি,পুরো মাঠ সাদা শিলায় ঢেকে গেছে। সব্বনাশ!পরের ছ মাস আধ পেটা খেয়ে থাকতে হবে।

    বউ বললো, জীব দিয়েছেন যিনি,আহার দেবেন তিনি।ঈশ্বর কে ডাকো।লেন চো প্রাণপণে সারা রাত ঈশ্বর কে ডাকে।সকাল বেলায় প্রত্যয় হলো,ঈশ্বর আছেন,সব কিছু বুঝতে পারেন।

    সুতরাং ঈশ্বর কে চিঠি দিয়ে জানানো হোক।লেন চো কিনা একা শিক্ষিত এই গ্রামে,তাই ঈশ্বর কে জানালো,তার খুব কষ্ট,জলদি একশো পেসো পাঠান।

    পরদিন,খামে ডাক টিকিট সেঁটে,ওপরে ঠিকানা লিখলেন টু ঈশ্বর। পিয়ন চিঠি দেখে তো অবাক! বড় বাবুকে দেখালো।ঈশ্বরের ঠিকানা কারো জানা নেই কি না!তাই চিঠি খোলা সাব্যস্ত হলো। বড় বাবু গরীব কৃষকের সরলতায় মুগ্ধ হয়ে কিছু অর্থ মঞ্জুর করলেন;অন্য কর্মচারীরাও কিছু কিছু দিলো।তবু একশো পেসো হলো না।

    পরদিন ই লেন চো ডাকঘরে হাজির ,জবাব এসেছে কি না জানতে।পিওন হেসে তার হাতে সিল করা খাম তুলে দিলো।

    খাম খুলেই লেন চোর আক্কেল গুড়ুম।কাঁপা হাতে চিঠি লিখতে বসলো।ঈশ্বর,তুমি এর পর থেকে,অর্থ ডাক মারফত পাঠাবে না। বড় বাবু ভীষণ চোর।ত্রিশ পেসো,গায়েব করে দিয়েছে।

  • b | 14.139.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:৩৮452477
  • দ্যাখেন, মানুষ কুকুরের জাত। অপরকে চিহ্নিত করে খেয়োখেয়ি করবেই। কখনও জাতের নামে, কখনো ধর্মের নামে, কখনো ভাষার নামে,কখনো দেশের নামে। ওগুলো বাহানা মাত্র।
  • ইয়ে | 194.28.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:৩২452476
  • sm তাতে কি এল গেল? প্রভুপাদও ওরকম, তা বলে কি ভন্ড নয়? এরা সব শ্রুড ধর্মগুরু। প্যাকেজ করে ভুজুংভাজুং বেচতে পারলে সাহেবরা নিয়ে নেয়। ডলার আসে। রামকৃষ্ণ মিশনও একই জিনিস। মাদুলি কবজ দেয় না বলে কি এদের ছাড় দিতে হবে নাকি? আর বৈরাগ্য? দেবেন ঠাকুরও পাহাড়ে গিয়ে ভন্ডামি করত মশাই, তা বলে ঠিক সময় খাজনাটি গুণে নিতে ভুলত না। বুদ্ধরও দেখুন গিয়ে রাজারাজড়ার মাথায় হাত বুলিয়ে চলত হয়ত। ওদিকে প্রজাদের ট্যাক্সো বাড়ত।

  • S | 69.146.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:২৬452474
  • মামুর ভিডিও তো দেখলাম। শুধু দুটো আপত্তি আছে। এক, আমেরিকাতেও অনেকে বলে যে এখানে লোকে স্প্যানিশ বলবে কেন? ইংরেজি বলতে হবে, ইত্যাদি। দুই, স্বাধীনতার আগে কোলকাতায় হিন্দুস্থানী সিনেমাও তৈরী হত।
  • রৌহিন | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:২০452473
  • "শেষ পর্যন্ত জয় বরাবর ধর্ম আর মানুষের শুভবুদ্ধিরই হয়েছে, হয়, ও হবে" - শেষ কোনটা? যদি সবকিছুর শেষ হয় তাহলে তাতে ধর্মের জয় হল বা হল না - কী আসে যায়? আর যদি অধ্যায়ের শেষ হয়, তবে পরের অধ্যায়েই আবার অধর্ম নতুন করে ফিরে আসতে পারে। বারবার আমরা তাই দেখেছি। হিটলার মরে গেলেই আসে হিরোশিমা। বৃটিশ রাজ গিয়ে লাইসেন্সরাজ। আদবানি লাথি খেলে নরেন উঠে আসে।

    "ইসে, ধর্মের লোক জয়ী সর্বদা হচ্ছে না কেন? আপনার কি মনে হয়? ঘোর কলি?" - হচ্চ্চে তো! যে জিতছে তারটাই ধর্ম পরাজিতেের অধর্ম

  • S | 69.146.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:২০452472
  • একসময় ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তি দেওয়া হত যে সব টেররিস্ট মুসলিম হলেও সব মুসলমান টেররিস্ট নয়। এখন আর সেকথা বলা যায় না। টেররিজম করেনি এমন ধর্ম খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। দিন-ই-ইলাহী বাদ দিয়ে। মায়নমারে বুদ্ধিস্ট মঙ্কদের হাতে পিস্তল দেখে সেরকমই মনে হয়।
  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:১২452471
  • দাদা,বুদ্ধ দেব কে একটু ছাড় দিন না, প্লিজ।খুব ভালো মানুষ।কারোর ক্ষতি করেন নি(ছেলে,বউ ছাড়া)।

    ভারী ভদ্র লোক। স্বল্পাহারী,বিলাস ব্যসন বর্জিত মুক্ত পুরুষ।মানুষ কে সর্বদা ভালো উপদেশ দিয়েছেন।অহিংসা পালন করো, সত্যি কথা বলো,সৎ চিন্তা করো,সৎ ভাবে বাঁচো।ইত্যাদি। কোন অলৌকিক,ম্যাজিক ইত্যাদির কথা পাড়েন নি। এক কথায় ঠান্ডা মাথার লোক।

  • ইয়ে | 194.28.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১১:০৫452470
  • ধর্মগুরুদের মধ্যে বুদ্ধকে দেখি বরাবর ছাড় দেওয়া হয়। মনু, যীশু, হজরতের যেখানে স্বপনকুমার স্ট্যাটাস, বুদ্ধ সেখানে শেক্ষপীর। এই বিপাসনা ফিপাসনা আর রামদেববাবার যোগা তো একই পয়সার এপিঠওপিঠ। এত উলুতপুলুত হওয়ার কি আছে?

  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:৫৮452469
  • একদম খাঁটি কথা বলেছেন।গীতার শ্লোক ও সেই কথাই বলছে।কিন্তু ধৈর্য্য রাখাটাই বড় কথা।

    এই কোভিড এর সময়,কিছু বিলিয়নেয়ার আমেরিকায়, প্রাইভেট জেটে করে উড়ে; এল এ তে জড়ো হচ্ছে।র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করিয়ে;পনেরো মিনিটের মধ্যে রেজাল্ট জেনে নিচ্ছে।তারপর শুরু হচ্ছে উদ্দাম পার্টি।খাও,জিও পিও।কোথায় এম্প্যাথি,কোথায় কি?

  • অরিন | 161.65.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:৫০452468
  • অধর্মের জয় বলে যেটা মনে হচ্ছে সেটা সাময়িক। 

    শেষ পর্যন্ত জয় বরাবর ধর্ম আর মানুষের শুভবুদ্ধিরই হয়েছে, হয়, ও হবে। অধর্ম না থাকলে আর ধর্মের উপলব্ধিটা হবে কি করে বলুন?

  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:৪২452467
  • অধর্মের তো জয় হবেই।কারণ অধর্মের শক্তি বেশি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের বিপক্ষে তিন জন সমকক্ষ যোদ্ধা ছিলো। দ্রোণ, কর্ণ,ভীষ্ম।

    কিন্তু কথা হলো ওই

    যদা যদা হি ধর্মস্য,গ্লানির্ভবতি ভারত

    অভ্যুত্থানম ধর্মস্য,তদাত্মনম সৃজনমহম।

    পরিত্রানায় সাধুনাম, বিনাশায়চ, দুস্কৃতাম,

    ধমসংস্থা পুনর্থায়ও,সম্ভবামি যুগে যুগে।

  • অরিন | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:৩৬452466
  • "অরিন ,ধর্মের লোক জয়ী হলে,সর্বদা এমন হয় না,বোধ হয়।অশোক বুদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে, ধর্মা শোক হয়ে ছিলো।"

    ঠিকই, আমিই জেনেরেলাইজ করে ফেলেছি।

    তবুও একটা কথা মনে হয় বলা যেতে পারে যে, যে লোকটির প্রাথমিকভাবে ধর্মচর্চা করার কথা, সে যদি সে সব ফেলে রাজত্ব করতে আসে, ব্যবসা ফেঁদে বসে সে এক রকম। আর যিনি মনে করুন চণ্ডাশোক থেকে ধর্মাশোক হয়ে রাজত্বের একটা ট্রানসিশনে যান, এদের দুজনের মধ্যে একটা তফাৎ থাকে। মানে আপনার কাজের ক্ষেত্রটা এক রইল, ধর্মের Philosophical দিক থেকে আপনার চিন্তাভাবনার উত্তরণ হল, সে একরকম ব্যাপার, আর আপনি আদতে ধর্ম প্রচার করতেন, এখন দুম করে "রাজা" হয়ে গেলেন, তখন ব্যাপারটা অন্য রকম হলেও হতে পারে | মনে হয়। জানি না। 

  • নিজের আত্মিক উত্তরন | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:২৩452465
  • এই ব্যাপারটির কারণ বুদ্ধের টেকনিক। এবং ব্যক্তিগত ধারনা এই টেকনিকে মনের জোর (তাকে আপনি আত্মিক উত্তরন বলতে পারেন) যে লেভেলে জেতে পারে দুনিয়ার আর কোন পদ্ধতিতেই তা সম্ভব নয়! মানে, সেটা টেকনিকালি প্রমান করা সম্ভব বলে মনে করি।
  • ধর্মের লোক জয়ী হলে | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:১৮452464
  • ইসে, ধর্মের লোক জয়ী সর্বদা হচ্ছে না কেন? আপনার কি মনে হয়? ঘোর কলি?
  • sm | 2402:3a80:a8a:e2a7:0:66:b1db:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:০৬452463
  • অরিন ,ধর্মের লোক জয়ী হলে,সর্বদা এমন হয় না,বোধ হয়।অশোক বুদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে, ধর্মা শোক হয়ে ছিলো।

    ইতিহাসে এমন উদাহরণ আরো আছে। বুদ্ধ ধর্মের যে দিকটা আকর্ষণ করে,তাহলো এম্প্যাথি ও নিজের আত্মিক উত্তরন।এটা আপনি ই পয়েন্ট আউট করেছেন।

    গান্ধী, আম্বেদকর দুজনেই অহিংসার কথা বলেছেন বা ফলো করার চেষ্টা করেছেন।কিন্তু দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকলেও মনান্তর তো ছিলো। আফটার অল হিউম্যান বিইং ।কিছু ভ্রান্তি তো থাকবেই।

  • ফোকাস | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ১০:০৩452462
  • হ্যাঁ রেফারেন্স ফ্রেমটা ঠিকঠাক রাখার ডিসিপ্লিনটা বুদ্ধের টেকনিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ, দরকারী ও কাজের ও বটে।
    অঙ্গুরিমালের সাথে ইন্টার‌্যাকশানটা ইন্টারেষ্টিং, তবে খুব শক্ত আমার মনে হয় নি। আমি নিশ্চিত বুদ্ধ আগে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন ও তা য়্যানালিসিস করেই কাজে নেমেছিলেন। হ্যাঁ, একা একা ব্যাপার্টা এক্সিকিসান ও বেশ ক্ষমতার ব্যাপার। তবে আমার ধারনা আশে পাশে সাঙ্গো পাঙ্গো ছিল, ঘটনা খারাপ দিকে গরালে হয়ত আরো সাপোর্ট আসত।
    ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারেস্টিং লাগে বুদ্ধ ও দেবদত্তর সংঘাত - পুরো মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনা আছে ঐ সম্পর্কে। বুদ্ধি, শক্তি, কৌশল, ক্ষমতার লড়াই, নিজেকে আড়াল করার আর গুটিয়ে নেবার ক্ষমতা (নিজের কোর কোয়ালিটি ব স্কিলের কথা তো ছেড়েই দিলাম) - সব কিছু দিয়ে সিদ্ধার্থকে লড়তে হয়েছে। শুধু নিজের জন্য নয়, সঙ্ঘের জন্যেও বটে। হারও এসেছে। তাও লড়তে হয়েছে। রেফারেন্স ফ্রেমের ফোকাস ঠিক রেখে।
  • অরিন | 161.65.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৯:৩৫452461
  • "অরিনদা, মায়নামার কি শ্রীলংকার বৌদ্ধ শাসকদের নিয়ে কী মত? ক্ষমতার বোধহয় আর অন্য কোন ধর্ম হয়না!"

    সাংঘাতিক বদমাইশ  ! 

    ধর্মের লোকজন রাজনীতির ক্ষমতায় এলে যা হয়!

    বৌদ্ধ নয় বটে, আমাদের উত্তর প্রদেশেও এক পিস "যোগী" আছে না?

  • অরিন | 161.65.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৯:২৯452460
  • "সর্বশ্রেষ্ঠ পথ হলেও সব সময় এফেক্টিভ কি না নিশ্চিত নই।"

    আমি যতটুকু বুঝি, বৌদ্ধ ধর্মের সংস্কৃতিতে নজরটা শুধুই নিজের প্রতি রাখতে বলে, একলা মানুষ, সকলে সমষ্টিগত ভাবে যেভাবে ভাববেন। এবার আপনি যদি confrontation এর জায়গায় অন্যের ওপর জোর দেন ("মানে 'ওদের' জব্দ করতে হবে", ব্রিটিশকে জব্দ করা গেছে, জার্মান হলে, চেঙ্গিস খাঁ হলে হত কি? এতে করে ফোকাসটা অন্যের ওপর রাখা হচ্ছে), অহিংসক বৌদ্ধ সাধকের যুদ্ধ সেপথে যাবেই না, বা সেভাবে সে ভাববে না, কারণ তার ভাবনা চিন্তার জগৎটা নিজেকে নিয়ে। যার জন্য মনে করে দেখুন বুদ্ধদেবের আর অঙ্গুলিমালের সংঘাতের কাহিনি। সংঘাতের শেষে অঙ্গুলিমাল যখন ক্লান্ত হয়ে বুদ্ধদেবকে বলছেন, "আরে মশাই থামুন, অত দ্রুত চললে আপনার সঙ্গে যে তাল মেলানো যাচ্ছে না", বুদ্ধদেব তখন অঙ্গুলিমাল কে বলছেন, "আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই রয়েছি, ঘুরে মরছেন আপনি!" বৌদ্ধ ধর্মের আলোচনায় conflict resolution এর জায়গাটা ধরতে গেলে এই ব্যপারটিকে খেয়ালে রাখতে হবে|

      ব্রুস লি'র উক্তি মনে করে দেখুন:

    “If nothing within you stays rigid, 
    outward things will disclose themselves. Moving, be like water; 
    still, be like a mirror; 
    respond like an echo.”

    (“শ্যানন লি: Bruce Lee: Wisdom for the Way.”) 

  • সুগারকোটিং অহিংসা | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৯:২৩452459
  • হয়ত ঐ ব্যক্তিগত ডিসিপ্লিনের আর কোয়ালিটির জন্যই এমনকি অনেক বামপন্থী নেতাও গান্ধীকে শ্রদ্ধা করতেন। হয়্ত ঐ ডিসিপ্লিন চেঙ্গিস খাঁর বিরুদ্ধেও উপায় বের করতে পারত।

    কি জানি কেন, হটাত কংফু প্যান্ডা তিনটে মুভির কথা মনে হল!
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৯:২২452458
  • কৌশলটাও কম দুরূহ ব্যাপার নয় নয় এবং সবচেয়ে বড় কথা ওটা কাজে লেগেছিল। একেবারেই চালাকি বা ধূর্ততা নয়, অত্যন্ত জটিল অংক কষে পা ফেলা। হাতে গোণা কিছু নেতার এই গুণ থাকে এবং তাঁদের কাজকারবারই ইতিহাসে থেকে যায়। লোকে পরে ভালো বা মন্দ যাই বলুক না কেন।
  • সুগারকোটিং অহিংসা | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৯:১৬452457
  • সব রকম ধূর্ততা বা চালাকি - এসবের পরেও অপারেশানালি গান্ধি যেটা য়্যাচিভ করেছিলেন, তার জন্য ব্যক্তিমানুষের যে কোয়ালিটি দরকার - সে অতি দূরূহ ব্যাপার মনে হয়!
  • π | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৯:০৩452455
  • অরিনদা, মায়নামার কি শ্রীলংকার বৌদ্ধ শাসকদের নিয়ে কী মত? ক্ষমতার বোধহয় আর অন্য কোন ধর্ম হয়না!
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৮:৫৭452454
  • গান্ধীর অহিংসা নীতি প্রচারে দেখানো হয়েছিল, ওটা সুগারকোটিং। আসলে সম্ভবতঃ আসল জায়্গায় মানে বিদেশি বেনিয়াদের ব্যবসার জায়গাটায় ঘা মারার কৌশলটা কাজে লেগেছিল। দিশি বেনিয়ারা তার ফলে বেশ একটা ইয়ে মানে সুবিধে পেল। এবং সম্ভবতঃ এরই ফলে আজকের ভারত দিশি বেনিয়াদের উপনিবেশ।
    এই ব্যাপারে এখানের অর্থনীতির লোকেরা আরও অনেক অনেক অনেক ভালো বলতে পারবেন।
  • সর্বশ্রেষ্ঠ পথ | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৮:৩০452453
  • তবে অরিন বড় লেখা লিখলে অনেক কিছু জানা যাবে, অনেক বেশি ডেটা পয়েন্টও পাওয়া যাবে।
  • সর্বশ্রেষ্ঠ পথ | 165.225.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৮:২৫452452
  • সর্বশ্রেষ্ঠ পথ হলেও সব সময় এফেক্টিভ কি না নিশ্চিত নই। গান্ধীর অহিংসা কাজে দিয়েছিল তার একটা বড় কারন বোধয় ব্রিটিশরা শিক্ষিত জাতি (এ নিয়ে ট্রোল করা যেতে পারে, তবে কি বলতে চাইছি সেটা হয়ত বুঝবেন)।
    খুব ইচ্ছা হয় জানতে তৈমুর লঙ্গ বা চেঙ্গীস খাঁ র বিরুদ্ধে অহিংসার লড়াই কতদূর যেতে পারত - এমন কি হিটলারের বিরুদ্ধে ও!
    অরিন তো শুধু পজিটিভ ডেটা পয়েন্ট দিচ্ছেন, অন্য দিকটা না দেখলে নৈর্ব্যক্তিক আন্যালিসিস কি করা যাবে!
  • অরিন | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৮:০২452451
  • "প্রশ্নটা হল, একটা দেশের মধ্যে ধরুন শখানেক বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠী (সেই ভাষাভিত্তিক সংস্কৃতির মনুষ্যগোষ্ঠী) আছে, তাদের মধ্যে দশখানা বড় বড় গোষ্ঠী। এদের মধ্যে একটি গোষ্ঠী সবাইকে দমিয়ে নিজেরা আধিপত্য নিতে চাইছে। এই অবস্থায় গৃহযুদ্ধের মতন পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে। দিন দিন অবস্থা ঘোরালো হয়ে পড়ছে।
    এই অবস্থাটাকে অহিংসা নীতি দিয়ে কি কোনোভাবে সমাধান করা সম্ভব? যুযুধান গোষ্ঠীরা কিন্তু "বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনি" অবস্থায় আছে।"

    দারুন ইন্টারেষ্টিং প্রশ্ন । সংক্ষেপে উত্তর: "অন্যায় ও উন্মত্ততার প্রতিরোধ   অতি অবশ্যই বৌদ্ধ মতে  সমাধান করা সম্ভব; শুধু সম্ভব নয়, আমার মতে  ঐটেই সর্বশ্রেষ্ঠ পথ । ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ভাবে, যেভাবেই দেখুন ।  "

    বুদ্ধদেবের   প্রদর্শিত পথ বললাম  এই জন্য যে বুদ্ধদেবের অঙ্গুলিমাল কাহিনী তো জানেন । হিংসায় হিংসার ক্ষয় হয় না, একমাত্র পথ, মৈত্রী।  আবার দেখুন,  অঙ্গুত্তর নিকায় ৮৭ নম্বর  "পত্তনী কুজ্জন"  সূত্রে  বুদ্ধদেব আজকের দিনে যাকে বয়কট বলা যেতে পারে, তার কথা বলছেন ,  

    " ভিক্ষুগণ, যখন  গৃহীদের মধ্যে আটটি লক্ষণ দেখবেন, তখন ভিক্ষাপাত্র উল্টিয়ে রাখবেন, তাদের কাছ থেকে  ভিক্ষা গ্রহণ করবেন না। কোন আটটি লক্ষণ? (১) যখন কেউ ভিক্ষুকে পারমার্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত করতে চায়; (২) যখন কেউ ভিক্ষুদের ক্ষতি করতে চায় ; (৩)  যখন কেউ ভিক্ষুদের কোনো জায়গায় অবস্থান করতে দিতে না চায়  (৪) ভিক্ষুদের অপমান করে, কটু কথা বলে  ; (৫)  ভিক্ষুগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় ; (৬, ৭, ৮) বুদ্ধ, ধম্মা সংঘ নিয়ে  অপমানজনক বাক্য ব্যবহার করে 

    "

    (URL : https://tipitaka.fandom.com/wiki/AN8.The_Book_of_Eights-ver2)

    বৌদ্ধমতে যেহেতু ভিক্ষুরা সাধারণ  মানুষের প্রতিভূ কারণ তাঁদের সাধারণ মানুষের ওপরেই পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় এর নানা রকম ইন্টারপ্রিটেশন হতে পারে, তবে এই একটি সূত্রে সাধারণ মানুষকে সংঘবদ্ধ করে অত্যাচারের ও সামাজিক অন্যায়ের  প্রতিরোধ করার নির্দেশিকা রয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। 

    আধুনিক পৃথিবীতে গৃহী বৌদ্ধ  সন্ন্যাসী মিলে    এর বেশ কয়েকটি  উদাহরণ আছে যেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা সাধারণ মানুষকে আগ্রাসীদের প্রতিরোধ রুখে দিতে পথ  দেখিয়েছেন ।  অনেকটা লেখার মত সময়ের  অবকাশ নেই, হাতের কাছে দুটো উদাহরণ দিই :

    ১) কম্বোডিয়ার গান্ধী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী প্রিয় মহা ঘোষানন্দ  গৃহ যুদ্ধ চলাকালীন মানুষকে সংঘবদ্ধ করে ল্যান্ড মাইন পরিবৃত মাঠের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন তাদের হারানো জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে।  সে এক অসামান্য প্রতিবাদ। 

    (https://tricycle.org/magazine/likably-unlikely-monk/)

    ২) ১৯৯০ এবং ২০০৭ সালে ব্রহ্মদেশের বৌদ্ধ সন্ন্যাসী রা সেদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মূলক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন ভিক্ষাপাত্র বয়কট এর মাধ্যমে।  

    কাজেই সম্ভব।  

  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৭:৫৭452450
  • মামুর বক্তব্য ভিডিওটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুবই জরুরী বক্তব্য।
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২০ ০৭:৫৫452449
  • কই বাসনামুক্ত? টাকা বানাবার বাসনা করছেন তো! ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত