অপেক্ষা করতে কেউ বারণ করে নি তো!পুটিন ও কোন দেশ কে নেবার জন্য জোর করে নি।দেশ বাসী কেও জোর করে নি। ইচ্ছুক ব্যক্তিরাই নিতে পারবেন।
ফিলিপিন্সে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে,ওখানকার রাষ্ট্রপতি বলেছেন।ব্রেজিল আগ্রহ দেখিয়েছে। আরো কিছু দেশ লি আছে। এঁরা ও নিশ্চয় আগা পাশতলা খতিয়ে দেখে তবেই অংশগ্রহণ করবে।
দেখা যাক,কিছু বিভ্রান্তি দূর করা যায় কি না। একটি ভ্যাকসিন বাজার জাত হতে পাঁচ থেকে দশ বছর লাগে।এইটে প্রথম মাথায় রাখতে হবে। প্রিলিমিনারী স্টেজ- সময় সীমা,২-৪ বছর।এটি মূলত ভ্যাকসিন এর প্রস্তুতি তে লাগে। কোভি ড ভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রে সময় দেওয়া হয়েছে দু থেকে তিন মাস।বলা হয়েছে, সার্স ও মারস এর সময় প্রস্তুতি কিছুটা এগিয়ে থাকায় সুবিধে হয়ে ছে। কম্প্রোমাইজ নাম্বার ওয়ান।
প্রিকলিনিক্যাল স্টেজ- এনিমাল স্টাডি।সময় সীমা প্রায়,এক বছর। কমিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক থেকে দুমাস এর মধ্যে কমপ্লিট করা হয়েছে।কম্প্রোমাইজ নাম্বার টু।
ফেজ ওয়ান - সময় সীমা কয়েক মাস।প্রথম হিউম্যান ট্রায়াল।দেখা ভ্যাকসিন ইমিডিয়েট সাইড এফেক্ট কিছু হচ্ছে কি না। ইমিউন রেসপন্স কেমন।পরীক্ষা করা হয়,২০-৫০ জন লোকের ওপর।
ফেজ টু - সময় সীমা, কয়েক্ মাস।মূল লক্ষ্য থাকে ইমিউন রেসপন্স দেখা।ইমিউনোগ্লোব্যুলিন ও টি সেল রেসপন্স।পরীক্ষা করা হয়,শ খানেক লোকের ওপর।
এই দুটো ফেজেই সময় সীমা দু তিন মাসের মধ্যে করা হয়েছে।কম্প্রোমাইজ নাম্বার তিন।
এ পর্যন্ত যতোকটা আলোচিত ভ্যাকসিন কোম্পানী ইঙ্কলুডিং গ্যামেলীয়া, একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।একই ভাবে ইমিউন রেসপন্স টেস্ট করেছে।
অক্সফোর্ড এর ভ্যাকসিন আর গ্যামেলিয়ার ভ্যাকসিন মূলত একই। এডেনো ভাইরাস নিয়ে কাজকর্ম।
ফেজ থ্রি - মূল সময় সাপেক্ষ টেস্ট। বছর দুয়েক ন্যুনতম সময় সীমা।মূল পার্থক্য হলো,এই স্টেজ এ লার্জ নাম্বার ভলান্টিয়ার এর ওপর পরীক্ষা করা হয়।ধরা যাক হাজার ত্রিশেক। দুটো ভাগে ভাগ করে।একটি আর্মে ভ্যাকসিন প্রাপ্ত ও অন্যটিতে যাঁরা প্লেসিবো পেয়েছে ।ডাবল ব্লাইন্ড। মাল্টি সেন্ট্রিক।মাল্টিপল টাইম হতে পারে। মূল লক্ষ্য ভ্যাকসিন এর এফিকেসি দেখা,লং টার্ম সাইড এফেক্ট নিয়ে ধারণা করা। আগামী বছরের প্রথম দিকে অক্সফোর্ড বা মর্ডানা কোম্পানী বাজারে ছাড়লেও সেটা কম্প্রোমাইজ নাম্বার ফোর হবে।
ইনিশিয়াল ইমিউন রেসপন্স অক্সফোর্ড ও গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউট এর ভালো।দুটোই মূলত একই ক্যাটাগরির ভ্যাকসিন। বোথ ভ্যাকসিন শো ড এডিকোয়েট ইম্যুন রেসপন্স।
রাশিয়া ফেজ থ্রি এখনও করে নি। স্বাস্থ্য দপ্তর ইউজ করার পারমিশন দিয়ে দিয়েছে।ফেজ থ্রি একই সঙ্গে চালু থাকবে।
আশঙ্কা গুলি কি কি,জানতে পারলে সুবিধে হতো।রাশিয়ান ভ্যাকসিন মানেই খারাপ, এমন প্রী ফিক্সড আইডিয়া থাকলে ওপেন ডিবেট অসম্ভব।
সুবিধে কিছু কিছু আছে। যদ্দুর বেড জানি,যেমনভাড়া,সুরক্ষা কিট,ডক্টরস ফি এগুলোতে উচ্চ সীমা নেই।
কর্পরেট হাসপাতাল হলো,আধুনিক ভারতের তীর্থক্ষেত্র।অনেকটা ডাকাতে কালি বাড়ীর মতোন।পূণ্য অর্জনের জন্য যেতেও হবে।আর রঘু ডাকাত পকেট ও সাফ করে দেবে।
নিজের ইন্সুরেন্স পলিসি থাকলেও,অনেক কেই পকেট থেকে প্রচুর খসাতে হচ্ছে।সুরক্ষা কবচ কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
ফেজ থ্রি ট্রায়াল শেষ করতে ন্যুনতম সময় প্রায় দু বছর লাগবে। অতো দিন কে অপেক্ষা করবে?? কেনই বা করবে? তার থেকে হার্ড ইমিউনিটি র রাস্তায় চলে যাবে লোকজন।
এগুলো সব ই ঘোষণা করা হয়েছে।সম্পূর্ণ ভাবে মার্কেটে চলতে শুরু করলে,দাম আরো কমার কথা।
সরকারের ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজ হলো,বিশ লক্ষ কোটি টাকা !!
হোপ সো
আদার পুনেওয়ালা বলেছিল,ভ্যাকসিন এর দাম পড়বে,হাজার টাকা।মূলত অক্সফোর্ড এর ভ্যাক্সিন এর কপি।বিল গেটস আর্থিক সাহায্য করেছে পনেরো কোটি ডলার।
বর্তমানে ওই কোম্পানিটি ঘোষণা করেছে,ভ্যাকসিন এর দাম পড়বে আড়াইশো টাকা। একশো কোটি ভারত বাসী কে দিতে মোট খরচা হবে পঁচিশ হাজার কোটি টাকা।সরকার আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণীকে বিনে পয়সায় দিলে হাজার পনেরো কোটি টাকায় সমগ্র ভারত বাসীর ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।বিরাট কঠিন কাজ নয়!
গ্যামেলিয়া হোক বা অক্সিলিয়া, সমস্ত ধরণের ভ্যাক্সিন নিয়ে আমার একটাই সমস্যা, সেটা কিনতে গেলে আমার এক মাসের মাইনেতেও কুলাবে না। যতদিনে সেটা আমার পকেট সাইজে আসবে তদ্দিনে আমার শরীর নিজেই হয়তো অ্যান্টবডি তৈরী করে ফেলবে। কিন্তু তার আগেই দম দি যেমন বলল, ওই নীতার বর সম্ভবত আমাকে ঋণের দায় জর্জরিত করার সব ব্যবস্থা করে ফেলবে
PT | 203.110.242.17 | ১১ আগস্ট ২০২০ ১৮:৪২
একদম। ওরা হিংসেয় জ্বলে পুড়ে মরছে।
বার্নিকে রানিং মেট নিল না কেন?