পাঁচ বছরের আগে খালি প্লে স্কুল চলুক।পাঁচ বছরের পর থেকে শুরু হোক প্রথাগত শিক্ষা।পাঁচ বছরের আগে প্লে স্কুল বা নার্সারিতে গেলে একটা জিনিষ তৈরী হয় ,সেটা হলো ফ্রেন্ড শিপ।দেখে শুনে সামান্য কিছু শেখা,অক্ষর জ্ঞান,ইত্যাদি।
কিন্তু শিশুকে বাড়ীতে বসিয়ে রাখলে,মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়বে বা টিভি তে। আমার মনে হয়,এটেনশন ডেফিসিট হবার মোক্ষম কারণ,এই দুটি ব্যাধি। টিভি ও মোবাইল।
পনেরো মিনিটের বেশি একটানা মোবাইল দেখলেই ব্রেন হাইপার একটিভ হয়। এতে শিশুর সমুহ ক্ষতি। কি করে আটকাত হবে,কেউ জানে না।
ওরা চর্যাপদ পাকগে, আমরা রসগোল্লা পেইচি!
ক্লাশ স্কিপ সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা খুব একটা সুবিধের নয়। পরিচিত একজন( বাঙালি) ছেলেকে দুটো গ্রেড স্কিপ করিয়েছিলেন।থ্রি থেকে ফাইভে আর সেভেন থেকে নাইনে।বুদ্ধিমান ভালো ছেলে এতটা নিতে পারে নি,লেখাপড়ার বারোটা বেজে গেছে। এটা কার উপকার করে জানি না, বাবামা র ই হবে:-)
আজ্জো আমি যার কথা শুনেছি সে বাঙালি:-)
কালই একটা বাচ্চার কথা শুনলাম, যে মিডল স্কুল থেকে সরাসরি কলেজ চলে গেছে। হাইস্কুল না গিয়ে- অসম্ভব মেধাবী, প্রতিভাবান ইত্যাদি যদি ধরেও নি, তরপরও একটা চোদ্দ বছরের বাচ্চা- তার মানসিক বিকাশ কী করে একটা ১৮-১৯ এর সমান হবে বুঝতে পারছি না!!
পাঁচ বছরে ক্লাস ওয়ানে দিলে এটেনশন কমে যাবে?
তিন বছরে ইস্কুল যাওয়া ভালো না মন্দ, সে বলার মতো যথেস্ট স্যাম্পল নেই। কাজেই ওপিনিওন দিতে পারব না।
অভিজ্ঞতা বলতে পারি ঃ তিন বছরে সেই সব বাচ্চাদের " স্কুল " জরুরি যাদের কিনা বাড়িতে কগ্নিটিভ ইনপুট বেশ কম বা সেরকম পজিটিভ স্টিমুল্যান্ট কম। অথচ মজার ব্যাপার, সমাজে সেই শ্রেণির মানুষরা তিন বছরে স্কুলে যাওয়া এফরড করতে পারেন না, এক্সেপ্ট হয়ত মুম্বাই-পুনে- ব্যাংগালরের অটোচালক বা কাজের দিদি রা।
তো, সেই ইস্কুলের পরিবেশ যদি বাচ্চার পক্ষে স্টিমুলেটিং হয়, সে দুটো রং দেখে চিন্তে শেখে, তার কানে গান জানা টিচারের সুর শুনে এক্টু ঠিক আওয়াজ বসে যায় ; আলাদা করে বই পত্র কিছুই নয়, খেতি ক??
আমরা কথায় কথায় এক জমিদারবাড়ির মানুষকে টেনে বলি, উনি কিন্তু ইস্কুল না গিয়েও অত বড় মানুষ! ভেবে দেখিনা ওরকম হোম স্কুলিং জমিদার বলেই সম্ভব। আদতে, যে বাচ্চার বাড়ির পরিবেশ যত ব্লান্ট ( বাচ্চার হিসেবে অবশ্য) তার এই ধরনের স্কুলের দরকার তত বেশি। এর বাইরে, রেগুলার হেলথ চেকাপে রাখা - হেলথ প্রগ্রাম মেন্টেন করা এগুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।