সে অযোধ্যা নেই, কিন্তু সেই চাষাড়ে ওল্ড মংক রাম তো আছে।
Ujjwal Sen, ভাবীজি পাঁপড় আমরা কেন খাব? ওসব খাবে দুপুর ঠাকুরপো যারা।
আর রাজর্ষি মাএ রাজার রশি?
এস,
ঃ)))। তবে ভদ্রলোকটি নিশ্চয়ই হিন্দি উচ্চারণে "ঐশর্য্যা " বলে থাকবেন।
এই তৎসম শব্দগুলো বড্ড গোলমেলে। শর্বরী মানে রাত। ক্রন্দসী মানে কেঁদে ভাসিয়ে দেওয়া মেয়ে নয়, আকাশ। ইন্দ্রলুপ্ত মানে টাক! কলম্ব মানে সিংহলের রাজধানী নয়, তির!!
আমি ১৯৬৮ নাকি ৬৯এ আনন্দবাজার স্পন্সর্ড ময়দানের মুক্তমেলায় হাজির হলাম সুনীল গাংগুলীর গান , তুষার রায়ের কবিতা এবং প্রকাশ কর্মকার ও শর্বরী রায়চৌধুরির পেইন্টিং দেখব বলে । ওনার ভাস্কর্য্যের খ্যাতি তখন খুব। আশা করেছিলাম কোন নারীর আঁকাজোকা দেখব। গিয়ে দেখি গাছের তলায় মুখে দাড়ি, পাজামা পাঞ্জাবি কয়েকজন বসে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। গাছের গায়ে পিন দিয়ে এবং দড়ি দিইয়ে কিছু ছবি টাঙানো। একটা ছবিরও আগাপাশতলা মালুম হল না । আমি উদবাস্তু এলাকার অদীক্ষিত বাঙাল । শর্বরীর ছবি দেখব বলায় একজন ভারি ভরকম সবুজ পাঞ্জাবী বসে বসেই বললেন-- এদিকের গুলো প্রকাশ কর্মকারের, আর ওদিকেরগুলো আমার।
--আর শর্বরীর?
--আমিই শর্বরী রায়চৌধুরি।
আমার হাঁ-মুখ বন্ধ হতে পাঁচ সেকন্ড , তারপর টেনে দৌড়।
গুরুর পাতায় ফরিদার কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে দশবছর আগের এক বইমেলায় ইন্দোডাক্তারকে বলেছিলাম ওই মহিলা এলেন না ? একটু আলাপ করার ইচ্ছে ছিল।
--কোন মহিলা?
--ঐযে কবিতা লেখেন--ফরিদা? বেশ প্রগ্রেসিভ মুসলিম কবি!
ইন্দো গোল গোল চোখে আমাকে পা থেকে মাথা অব্দি জরিপ করে কেটে কেটে বললঃ
এঃ ! অত খায় না। ফরিদাবাদে থাকে বলে নাম ফরিদা। আমার বয়েসি ইয়ং ম্যান। কোন মহিলা টহিলা নয় । ফালতু কুনজর দেবেন নাতো!
হোক হোক! অনেকদিন হয়নি। এসেম কোতায় গেলেন ?