হরিচরণ মুখো উপ র অর্থ বলেছেন অল্প বা শূণ্য। এবার অল্প আর নাই এর মানে যে করেন করেন গা।
উপ মানে অল্প বা কম অর্থে ব্যবহৃত। যেমন উপগ্রহ, উপনদী। অন্ন অর্থাৎ ভাত। উপান্ন হতে পারে ভাতের চেয়ে কম। ভাতের মত, মানে মুড়ি, চিঁড়ে, খই হতে পারে বলে কল্পনা করে নিলাম:-)
ঘনটা খানেক আগে আমি একটা কিমলাম। ব্র্যান্ড নেমঃ- AccuSure। ২২০০ টাকা দাম নিল।
@sm:
নিউ জিল্যাণ্ড এলিমিনেশনের পথ ধরেছে। এটা দেখুন, বুঝতে পারবেন।
আমাদের টেস্ট rt-pcr ভিত্তিক, ২৪ ঘন্টায় রেজাল্ট আসে, এখন দেশ জুড়ে syndromic আর sentinel surveillance চলছে। প্রায়সব কনট্র্যাক্ট ট্রেসিং ৮০% কনট্যাকট বার করতে সক্ষম।গত ৯০ দিন ধরে আমরা করোনা মুক্ত, এবং যা কেস রিপোরটেড সবই দেশে নবাগত, যারা managed isolation facility গুলোতে রয়েছে।
এর সঙ্গে দেশের লোকসংখ্যা কত তার সঙ্গে কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না ।
পিতৃবিয়োগ বিষয়ক...
... হোয়াটসঅ্যাপ এল "বাবা মারা গেছেন সকালে। বডি পাইনি।..."
এক বন্ধুর নম্বর থেকে।
চব্বিশ বছর আগের কথা, একই তারিখে।
সকাল বেলা বাবা বেরিয়েছিল,আর না ফেরার যাত্রা করতে...!
বয়সজনিত কারণে তখন বলতে পারিনি , কেন এই না ফেরার দেশে বাবাকে পারি দিতে হয়েছিল।
আজ দুই যুগ পরও অবস্থান টা টালমাটাল খেয়ে একইরকম!
যাকগে পুরোনো কাসুন্দি না ঘেঁটে
একবার চোখ বুলিয়ে নিন লিংকটিতে
তবে জনস্বাস্থ্যগত ভ্যাক্সিন তো আছে।
তার নাম "টেস্ট ট্রেস isolate। " এই নিদানে তো বহু লোক উপকৃত হয়েছে।
আমার এক ছাত্রের বাবা মারা গেলেন এপ্রিল এন্ডে । কভিডে নয় । ভদ্রলোকের টাইফয়েড হয়েছিল । নর্থে ওদের একটা পারিবারিক অসুধের দোকান। ভাল মত সেরে না উঠেই লকডাউনে সল্টলেক থেকে হেঁটে যাওয়া, আসা করতেন। বাড়িতে কারো বারণ শুনবেন না। অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং মারা গেলেন। গৃহ িকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দিতে অস্বীকার করল। ছাত্রের পিসতুতো দাদা সাউথে একটি প্রাইভেট নার্সিংহোমে ডাক্তার । সল্টলেক থেকে বডি সেখানে নিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট লেখাতে হল। তারপর স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগিতায় দাহ । এদিকে ওর বৌদির মা ক্যান্সার সার্ভাইভর । গৌহাটীতে থাকেন।
তাঁকে প্রতি বছর চেন্নাইয়ে অ্যাপলোয় চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় । লকডাউনের কদিন আগে ওরা পৌঁছয় । ভর্তি করার পরেরদিন বৌদির মা মারা গেলেন। এটা এই ২৩ না ২৪ মার্চ ! সেই সেদিন থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ছাত্রের বৌদি তার শিশু পুত্র ও দুই আত্মীয়াকে নিয়ে চেন্নাইয়ে একটি গেস্ট হাউজে আটকে পড়ে ছিল। প্রাইভেট কারে কলকাতায় আসবে ঠিক করেছিল। চালক দেড় লাখ টাকা দর হাঁকে । ছাত্রের দাদা গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছিল কিন্তু স্টেট বর্ডারে চেকপোস্টে গাড়ি আটকে দিচ্ছিল।
যাইহোক ১৫ মে মহিলা শিশু পুত্র ও আত্মীয়াদের নিয়ে একটি বাসে চেন্নাই থেকে গৌহাটী পৌঁছন । তিন জন অ্যাডাল্টের জন প্রতি ২৫,০০০ বাসফেয়ার । বাচ্চাটার হাফ ।
প্লেন পরিষেবা চালু হলে কলকাতা ফিরলেন। দিন দশেক আগে দাদা, বৌদি দুজনের কভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে । হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে । নিউ টাউনে ।
স্বামী এক ঘরে, স্ত্রী আরেক ঘরে। বাচ্চাটাকে সারাদিন লিভিং রুমে ফেলে রাখা হয় ট্যাব হাতে। ভিডিও গেম টেম খেলে । সল্টলেকে পৈতৃক বাড়ি থেকে রান্না পাঠানো হয় ।
এরকম ভুক্তভোগী অনেক পরিবার ।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনটার ওপর বহু মানুষের আশা ভরসা, কিন্তু মানুষের ওপর পরীক্ষা সফল না হলে বলা সম্ভব ন। সে কাজে দেবে কি না।
কভিড নেগেটিভ হয়ে নার্সিংহোম থেকে ছাড়িয়ে আনাও খুব সহজ কাজ নয়। আমার কাকার প্রথম দিন ফর্মালিটিই শেষ হল না। চলে আসতে হল। পরেরদিন গিয়েও প্রায় আড়াইঘণ্টা বসে থাকতে হল। এগারো দিনে বিল এল ১ লাখ ৯০ র মতন কিছু।
ম,
ঠিক এভাবেই আমার বন্ধুর ৪৫ বছর বয়সের ভগ্নীপতি আজ কোলকাতায় চলে গ্যালেন। জ্বর হয়েছিল। সীজন চেঞ্জের এফেক্ট বলে পাত্তা দেননি। পরে বন্ধুরা সাতটা হাসপাতালে ঘুরল, ডাক্তারের হাতে পায়ে ধরল, কোথাও ঠাঁই হল না।
আকা,
এই ভাটেই কয়েকপাতা পেছনে টিংকার দেওয়া লিং থেকে জগদীশ ঘোষের গীতা ডাউনলোড করে নিন। অসম্ভব ভালো টীকা। আমি স্বামী জগদীশ্বরানন্দের ( বোধহয় উদবোধন প্রকাশন) অনুবাদও পড়েছি। কিন্তু জগদীশ চন্দ্র ঘোষের বইটির ভূমিকায় প্রায় তিরিশ পাতা জুড়ে গীতার দর্শন, ষড়দর্শন ও বৌদ্ধমত নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা মূল্যবান। এছাড়া কার্য-কারণ সম্বন্ধ, ফ্রি উইল , স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ, পরধর্মো ভয়াবহঃ এইসব ম্যাক্সিম নিয়েও ভাল আলোচনা আছে।
@ম
এরকম বেশ কিছু খবর পেলাম । ভীষণ অসহায় ও ডিপ্রেসিং অবস্থা ।
ড্যালরিম্পেল হিস্টোরিয়ান । এখন history is the new literature ।
এতদিন পাশের পাড়ায়, অমুকের চেনা এরকম ছিলো বিষয়টা। এখন ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। আমার বন্ধুর বর, বাবার বন্ধু এই দুজন মারা গেছেন। এরা নেই হয়ে গেছেন,বাড়ির লোকের শেষ দেখাটুকুও হয়নি।খুব কাছের বন্ধুর বাবা হার্ট অ্যাটাকের পর মোটর সাইকেলে চড়ে হাওড়ার হাসপাতালে/ নার্সিংহোমে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কেউ ভর্তি নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দেয় নি। সবাই করোনা নেগেটিভ শংসাপত্র দেখতে চেয়েছে। সাড়ে তিন-চারঘন্টা পরে গাড়ি জোগাড় পিজিতে আনা পথেই উনি মারা গেছেন...
অসম্ভব উদ্বিগ্ন বোধ করছি