dc :"অরিন ওটা তেমন কিছুই না, হঠাত হাস ফস্কে হয়ে গেছে ঃ-)"
হাত ফস্কে কি মশাই, অহেতুক বিনয় করছেন।
এ জিনিস জাত ট্রান্সলেশন , পড়তে গিয়ে প্রীতিশ নন্দীর "Near Deshapriya park they found him at last" (যদিও সেটা ট্রান্সলেশন ছিল না ) মনে পড়িয়ে দিল । আরো লিখেছেন?
জীবনানন্দ দাশ এর কবিতার খুব ভালো অনুবাদ করেছিলেন অনুপম ব্যানার্জি , Bengal the Beautiful নাম দিয়ে। আমি যে কোনোদিন ক্লিনটন সিলির ওপরে রাখতে রাজি আছি। এখন খুঁজতে গিয়ে বই টা খুঁজে পেলাম না, নাহলে আরেকটু লিখতাম। দুঃখের বিষয়, অনুপম দা আজ নেই ।
সেই কবে বন্ধুদের সঙ্গে Walter De La Mare-র অনুবাদ করেছিলাম ওয়াল্টার ঢেলা মারে, তারপরে আর বিশ্বসাহিত্যের অনুবাদে আর হাত দেওয়া হয়নি।
১০০ বছর আগে আজকের দিনে মিশে গিয়েছিলেন অনন্তে । আজকের এই বিশেষ দিনে আমার স্মৃতিচারণা
বড় সোহাগের মা আমার
সারদা সরকার
আমি মহাকাল। মহাপৃথিবী শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আমার জন্ম। মানবসভ্যতার অতীত ভবিষ্যৎ বর্ত্তমান এই তিনটি কালেই আমার বিস্তার তাই সসাগরা ধরণীতে নদীর মত বয়ে চলাই আমার ধর্ম। কারুর জন্য অপেক্ষা করা আমার কাজ নয়। কিন্তু আজ আমি পুরোনো কলকাতার বাগবাজারে একটি বাড়িতে স্বয়ং নারায়ণী লক্ষ্মীর সামনে থমকে দাঁড়িয়ে আছি। এই কাহিনীর পটভূমিকা উনবিংশ শতাব্দীর শেষ এবং বিংশ শতকের শুরুর দিকের পরাধীন ভারতবর্ষের বৃটিশ রাজধানী কলকাতার। আমার এবং আয়ার্ল্যান্ড থেকে আসা বিদেশিনী কন্যা মিস মার্গারেট নোবলের মধ্যে বসে রয়েছেন অবতার বরিষ্ঠ শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিনী সারদা। সঙ্ঘজননী সারদা মায়ের আশীর্বাদে বদলে গিয়েছিল মার্গারেট নোবলের মত আরো অনেক অনেক জীবন।
সেদিন ১৭ই মার্চ, ১৮৯৮। মা দুতিনদিন হল জয়রামবাটি থেকে কলকাতায় এসেছেন। তিন বিদেশিনী ভক্তকে নিয়ে স্বামীজি আসছেন মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। মার্গারেট নোবল, জোসেফিন ম্যাকলয়েড এবং সারা বুল। স্বামীজি এবং অন্য গুরুভাইরা একটু চিন্তায় আছেন- মা কেমনভাবে এই বিধর্মী মেয়েদের দেখবেন- আপন করে নেবেন নাকি দূরে সরিয়ে রাখবেন? বাগবাজারের অন্ধ সংকীর্ণ গলি তে তখনও তেমন উদারতার ছোঁয়া লাগেনি। ধর্মাধর্ম, ছোঁয়াছুঁয়ি জাতপাতের বাইরে বেরোয়নি সেই উনিশ শতকের মানুষগুলো।
ঐ,ঐ তো একটা গাড়ি এসে থামল বাড়ির সামনে। হৈহৈ করে দৌড়ে এল পাড়ার কুচোকাঁচা থেকে বড়বুড়ো সবাই। গাড়িটা ঘিরে ফেলেছে সকলে, তিনজন মেমসায়েব নামল গাড়ি থেকে। মায়ের বাড়ির দরজা আধখোলা। ভিতর থেকে যেন একটু চাপা গুনগুনানি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে।দরজা ঠেলতেই খুলে গেল, এক ঝলক চড়া রোদের তেজ অন্ধকার বাড়িটায় ছড়িয়ে পড়ল। দালানের মেঝেয় বড় বড় জলভরা জালা বসানো। মার্গারেট আর তার বান্ধবীরা একটু ঘাবড়ে গেছেন , তাদের সঙ্গে ছাতা স্কার্ফ হ্যান্ডব্যাগ এসব বাজে জিনিষের বোঝা, রাখেন কোথায়? আসবাবপত্রের চিহ্ন নেই কোথাও। স্বামী যোগানন্দ শুধু বললেন জুতো ছেড়ে রেখে যেতে , তারপর স্বামী বিবেকানন্দ কে নিয়ে কোথায় সরে পড়লেন। এঁরা চললেন দোতলায়।
বাগবাজারে স্নানের ঘাটে মেয়েরা সকালে বিকেলে নাইতে যেত, পরস্পর নানারকম সুখদুঃখের কথা হত, লাল রঙের সূর্য্য গঙ্গার গেরুয়া জলে ধীরে ধীরে মিশে যেত রোজ ওদের কথা শুনতে শুনতে। সেদিন মেয়েরা সবাই বলাবলি করছিল জানো শ্রীমা আমাদের মতই সেই খৃষ্টানী মেয়েটিকেও মা বলে ডেকেছেন। শ্রীচৈতন্যের প্রায় পাঁচশো বছর পর আবার এমন কথা শুনছি আ্মরা, শুনছেন সূর্য্যদেব। হিন্দুঘরের বিধবা ব্রাহ্মণী যাঁকে সবসময় ঘিরে থাকত বামুন কায়েত ঘরের বৌ ঝিয়েরা, এমন নিষ্ঠাপরায়ন মা অজ্ঞাতকুলশীল যবনীকে এক কথায় দান করলেন এক অপরিসীম দীঘ্নতা, সমাজের তোয়াক্কা করলেনই না। অথচ এই বিপ্লবটুকু হল নীরবে, নিঃশব্দে শুধু ভালবাসার জোরে। তিনি এমনভাবে নিবেদিতাকে সমাজে না বসালে,ঠাকুরের কাজ হত কেমন করে। পরবর্ত্তীকালে নিবেদিতা লিখেছেন এই দিনটির কথা ‘ডেজ অফ দ্য ডেজ’ ! তাঁর জীবনের সেরা দিন। নিবেদিতা সত্যিই খুকি হয়ে উঠলেন সারদা মায়ের। মায়ের অপাপবিদ্ধ ভালোবাসায় নিবেদিতা ভুলে গিয়েছিলেন তাঁর লন্ডনের বিলাসবৈভবের জীবনের কথা। মায়ের বাড়িতে বোসপাড়া লেনে এসে কিছুদিন থেকেছিলেন খুকি। একদিন দৌড়তে দৌড়তে নিয়ে এলেন বান্ধবী নেল হ্যামন্ডের চিঠি নিয়ে। অনুবাদ করে শোনালেন,নেল এর জন্যে মায়ের আশীর্বাদ চেয়ে নিলেন। আবার কোনদিন বায়না ধরলেন মায়ের ছবি তোলানোর। ভাগ্যিস এই বায়না করেছিলেন, নাহলে বিশ্বপৃথিবী তাদের মায়ের মুখ দেখত কেমন করে? পাঁচ বছরে বিয়ের পর থেকে কোনদিন মায়ের মুখ কেউ দেখেনি। স্বামীজিও না ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও না! কি অসামান্য আত্মবিলুপ্তি! মাথার ঘোমটাটি না খসিয়ে, পলকের জন্যে তাঁকে মুখখানি না দেখিয়ে নিরন্তর স্বামীর সেবা করে গেলেন। কেন এই আড়াল? স্বামীর সাধনায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে তাই এই আড়াল? ছবি তুলতে গিয়ে সেই প্রথম অপরিচিত কোন পুরুষের দৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, অথচ আত্মসচেতনতার লেশমাত্র ছিলনা চোখেমুখে।
আমি মহাকাল, উঁকিঝঁকি দিয়ে দেখতে পাই তিনকন্যার একজন সারা বুলের ই উৎসাহ ছিল ছবি তোলার ব্যাপারে, বায়না করেছিলেন মায়ের একটি ছবি আমেরিকায় নিয়ে যাবার। মায়ের প্রবল আপত্তি ছিল ছবি তোলার ব্যাপারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিবেদিতাই মা’কে রাজি করান। আদরের খুকির আবদার মা ফেলতে পারেননি। একজন সাহেব ফোটোগ্রাফার আসেন মায়ের ছবিতুলতে। প্রথম ছবিটা তোলার সময় সারদা দেবী দৃষ্টি নত করেছিলেন, দ্বিতীয় ছবিটি তোলার সময় সহজ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বসেছিলেন, আর তৃতীয় ছবিতে মা এবং নিবেদিতা মুখোমুখি বসেছিলেন। এইগুলিই মায়ের প্রথম ফোটোগ্রাফ।
কাশ্মীর থেকে ফেরার পর নিবেদিতা বায়না ধরেছিলেন মায়ের বাড়িতেই থাকার জন্যে। কিন্তু মায়ের বাড়িতে যেসব হিন্দু মেয়েরা থাকতেন এ তাদের একেবারেই পছন্দের ছিলনা। গোপালের মা ও এই নিয়ে খুব আপত্তি করেছিলেন। যাইহোক মায়ের ইচ্ছেতেই একটি ঘর খালি করা হয় নিবেদিতার জন্য। সেখানে আট দশ দিন ছিলেন নিবেদিতা। সিস্টার একজায়গায় লিখেছেন,আমি যে পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হলাম তা ভারী অদ্ভত ধরনের। একতলায় ঢোকার মুখে দুদিকে দুটি ঘর ছিল। একটি ঘরে সাধু যোগানন্দ বাস করতেন, ক্ষয় রোগে তিনি অসুস্থ ছিলেন তখনই। নিবেদিতাকে বাংলা শেখাতেন। পিছনের রান্নাঘরে তার এক শিষ্য এবং এক ব্রাহ্মন কাজকর্ম করতেন, ছাদ বারান্দা সমেত সমস্ত উপরতলা আমাদের, অদূরেই গঙ্গা , উপরতলা থেকে গঙ্গা দর্শন হত।
শ্রীশ্রীমা পড়তে জানেন, এবং অনেক টা সময় রামায়ন পাঠ করে কাটান। তিনি লিখতে পারেন না কিন্তু তাতে তাঁকে শিক্ষিতা নয় এরকম মনে করার কোন কারন নেই। ভারতবর্ষের অধিকাংশ তীর্থস্থান তিনি ঘুরেছেন, দীর্ঘদিন সংসার এবং ধর্মজগত সম্পর্কে কঠোর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। মা বড় মধুর , কঠিন বিষয় নিজের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সহজ সরল করে নেন। নিজের ঘরে যখন পূজোয় বসেন, মেয়েরা দীপ জ্বালা, গঙ্গাজল আনা, ধূপধূনো জ্বালা , ফুলের নৈবেদ্য সাজানো তে ব্যাস্ত থাকতেন। দুপুরে খাওয়ার পর বিকেলে বিশ্রাম, তারপর সন্ধে হলে ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালা হত। শ্রীশ্রীমা র সঙ্গে ছাদে তুলসীতলায় যেত সকলে। গুরুপ্রণামের পর মায়ের আর গোলাপ মায়ের পায়ে সবাই প্রণাম করত।‘
১৯১০ সালে ১১ই ডিসেম্বর কেমব্রিজ থেকে মাকে লেখা চিঠি নিবেদিতার, সেদিনের তিনকন্যার এক কন্যা সেদিন মৃত্যুশয্যায়। প্রানমন ঢেলে সেবা করছেন নিবেদিতা
আদরিণী মা,
সারার জন্য প্রার্থনা করব বলে গির্জায় গিয়েছিলাম, সবাই যেখানে যীশুজননীমেরীর কথা ভাবছে আমার মনে পড়ে গেল তোমার কথা। তোমার সেই মনোরম মুখখানি, সেই স্নেহভরা চাহনি, পরনে সাদা শাড়ি, তোমার হাতের বালা, সবই যেন বাস্তব হয়ে ফুটে উঠল। আমার মনে হল তোমার সেই ভালোবাসা মাখা মনটাই সারার রোগজর্জর দেহে নিয়ে আসবে শান্তি ও আশীর্বাদ। আমি আরো কি ভাবছিলাম জানো মা? ভাবছিলাম, শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ধ্যারতির সময় তোমার ঘরে বসে যে আমি ধ্যান করবার চেষ্টা করেছিলাম, সেটা কি বোকামিই ছিল। মা মাগো, তখন কেন বুঝিনি যে তোমার পায়ের কাছে ছোট্ট শিশুর মত বসে থাকাটাই যথেষ্ট। মাগো ভালবাসায় ভরা তুমি, আমাদের জাগতিক ভালোবাসার মত তাতে উত্তেজনা বা উগ্রতা নেই, তোমার ভালবাসায় একটা সুস্নিগ্ধ শান্তি রয়েছে। সকলকে তুমি সেই সোনারকাঠি ছুঁইয়ে দাও আর তোমার কল্যানস্পর্শ সকলের দুঃখ দূর করে। কয়েকমাস আগে মাগো সেই রবিবারের কথাটা মনে পড়ে, গঙ্গাস্নানে যাবার আগে আমি তোমার কাছে ছুট্টে গিয়েছিলাম, আবার স্নান করে এসেই তোমার ঘরে গেলাম, তুমি আমার মাথায় হাত রাখলে মা মাগো আমার সব বেদনার মুক্তি হল যেন। প্রেমময়ী মা আমার তোমার জন্য যদি একটি কবিতা বা গান লিখে পাঠাতে পারতাম, তাতেও মনে হবে সেটা উগ্রতা। এই কোলাহল তোমার ভালোবাসার জন্যে নয়। তুমি ঈশ্বরের আশ্চর্য্যতম সৃষ্টি। শ্রীরামকৃষ্ণের বিশ্বপ্রেম সুধাধারনের পাত্র। এই সঙ্গহীন দিনে তুমিই রয়েছ তাঁর সন্তানদের কাছে ঠাকুরের প্রতীক হয়ে। তোমার কাছে আমাদের শান্ত স্তব্ধ হয়ে থাকা উচিৎ, অবশ্য কিছু কিছু মজা করার সময় ছাড়া। ভগবানের যা কিছু বিস্ময়কর সৃষ্টি সবই তোমার মত, বাতাস, আলো, ফুলের সুগন্ধ গঙ্গার স্নিগ্ধতাএইসব শান্ত নীরব জিনিষই তোমার তুলনা মা।
বেচারী সারার জন্য তোমার আঁচলখানি পাঠিয়ে দিও, রাগ দ্বেষের উর্ধে যে গহন প্রশান্তি, তোমার নামটি সেখানেই সমাহিত। সেই প্রশান্তি পদ্মপাতায় জলের মত, কখনই মলিন হয়না। বড় সোহাগের মা আমার!
dc , মধুসূদনের বিজয়া দশমীর ট্রানসলেশনের লিংকটা দিন না, পড়ে দেখি।
"কোভিড কাকু অনেকটাই কুপোকাৎ হবে মনে হয়।"
ভ্যাকসিন ছাড়াও কোভিড কাকুকে কুপোকাত করা যায়, জানেন তো?
গুগল ট্র্যানসলেটর গানের জন্যে এই চ্যানেলটা বেশ
অর্জুন : "এটাই বলতে চাইলাম। বিশ্বসাহিত্য অনুবাদ নির্ভর । "
তাই একই লেখার এক ভাষায় একাধিক অনুবাদ পড়লে মূল লেখাটার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায়। তবে সেটা শ্রমসাধ্য এবং প্রচুর সময়ের ব্যাপার। সবাই যে করবে তার মানে নেই.
'জীবনানন্দের 'নাবিক' মূলে আমার কাছে আছে, এবং মূলের সঙ্গে তর্জমা যেই মিলিয়ে দেখি অমনি নানান ছোটখাট খুঁতখুঁতে ভাব আবার চাড়া দিয়ে ওঠে। 'পাম সারি' কেন 'a row of pines' হয়ে গেছে? অনায়াসে 'a row of palms'-ই হতে পারত। 'জীবাণুরা' কেন 'atoms'? বোলতারা তর্জমায় কেন মৌমাছি হয়ে গেলো ? রাঙা রোদ 'pink sun' কেন 'red sun' নয় কেন?
তারাও সৈকত । তবু তৃপ্তি নেই। আরো দূর চক্রবাল হৃদয়ে পাবার প্রয়োজন রয়ে গেছেঃ
for they are also shores. Yet they will not do. Their wonders urge you away. So must it be-
জীবনানন্দ দুটো আলাদা জিনিসের কথা বলেছেন; তর্জমায় সে দুটো এক হয়ে গেছে। 'Their wonders urge you away'- এ কথা বলছেন না কবি, বলছেনঃ Further horizons urge you away'। বিশেষ ক্ষোভ হয় যখন একটি আশ্চর্য ছবিকে অপ্রয়োজনে বদলে দেওয়া হয়।
উজ্জ্বল সময়- ঘড়ি-নাবিক-অনন্ত নীর অগ্রসর হয়।
....bright hourglass, sailor, endless water remains.
তর্জমাটির বহিরঙ্গের দিকে তাকিয়ে মনে হয় যে দু লাইন আগেকার 'planes'-এর সঙ্গে মিলের খাতিরে 'remains' ব্যবহৃত হয়েছে, অথচ মূল কবিতাটিতে মিল আদৌ তত জরুরী নয়; মিলের খাতিরে একটি বিশেষ অর্থপূর্ণ চূড়ান্ত চিত্রকে ভোঁতা করে দেওয়া ঠিক হলো কি না সে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
অনুবাদকের কাজকে এতটা সূক্ষ্ম বিচারের অধীনস্থ করা হয়তো অন্যায়। কারণ আসলে মূল আর তর্জমা মিলিয়ে দেখতে বসলেই এ জাতীয় ত্রুটি চোখে পড়তে থাকে। মূল জানা থাকলেই মন খচখচ করে, জানা না থাকলে অনুসৃষ্টিতে যা পাচ্ছি তা নিয়েই তৃপ্ত থাকা যায়। মূলের শরীরের অবিকল নকলের মরীচিকা নয়, তার আত্মার অন্বেষণেই অনুস্রষ্টাকে তাড়িত, উত্তেজিত করে। অবশ্য সেটা ঠিক কীভাবে করা হবে তা নিয়েই যত তর্ক আর সমস্যা। '
কেতকী কুশারী ডাইসনের 'অনুবাদ- কবিতা' প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত ।
@অরিন-দা,
'অনুবাদ যদি কেবল আভিধানিক হত, তাহলে এক রকম হত। কিন্তু সেরকম তো ঠিক হয় না। তাছাড়া সব অনুবাদ ঠিক আক্ষরিক করাও যায় না। '
অবশ্যই অনুবাদ অনেক ক্ষেত্রে আক্ষরিক করা সম্ভব নয়। শুধু আক্ষরিক অনুবাদ হলে বক্তব্যটাই বদলে যায় এবং সাহিত্যের ক্ষেত্রে তার সূক্ষ্মতাই অধরা থেকে যায় ।
কিন্তু আমরা যারা ইংরেজি অনুবাদে অন্য সাহিত্য পড়ি তারা তো অনুবাদ গুলোর ওপরেই ভরসা করি তাই সেসব অনুবাদও যে আসলে কতটা ভাল মানের সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে কারণ অনেকেই মূল ভাষার সঙ্গে পরিচিত নয়। বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলার ক্ষেত্রে বিষয়টা আমরা ধরতে পারি। অন্য ভাষার ক্ষেত্রে তো নয় !
বুদ্ধদেব বসুর শার্ল বোদলেয়ারের কবিতার বঙ্গানুবাদ নিয়েও সাহিত্যিক মহলে অনেককাল নানা সমালোচনা হয়েছে। এক সময়ে বু ব'র অনুবাদে মুগ্ধ ছিল সাহিত্য মহল। পরে যারা ফরাসীতে মূল বোদলেয়ার পড়েছেন তারা বু ব'র অনুবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন !
এটাই বলতে চাইলাম। বিশ্বসাহিত্য অনুবাদ নির্ভর ।
সরি সত্যেন বোস নয় - ওটা মেঘনাদ সাহা হত
তবে এসবের ঐতিহাসিক সত্যতার দায় নিতে বলব্রন না পিলিজ - নেহাৎই শোনা গপ্প
ইফ গীতা কামেথ, ক্যান বিশ্বরূপ, দর্শন আ্যন্ড বিশ্বরূপ দর্শন বি ফার বিহাইন্ড?