ধূমকেতু? বলো কী হে? ক্যামনে?
অরিন দা, টুক করে প ড়ে নিলুম তোমার লেখাটা । মনটা ভালো হ য়ে গেল। :)))
@dc: "প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের নাবিকরা, মানে সেই এন্সেন্ট মেরিনাররা, সমুদ্রে ন্যাভিগেট করতেন। কম্পাস টম্পাস ছাড়া, শুধু তারার আলো,"
বছরের এই সময়টা মাওরীদের নববর্ষ উদযাপন হয় আকাশে তারার অবস্থান দেখে। সাতটি তারার সমষ্টির মাওরি নাম "মাতারিকি", সূর্যোদয়ের আগে আকাশের উত্তর পূর্ব কোণে দেখতে পাওয়া যায় বছরের এই সময়টায়। পলিনেশীয় নাবিকরা এই তারামণ্ডলি দেখে ন্যাভিগেট করতেন বল মনে করা হয়। বাংলায় বোধহয় কৃত্তিকা নক্ষত্র বলে (জাপানীতে "সুবারু", সুবারু গাড়ির লোগো মনে করুন, :-)) ।
@dc যে বইয়ের কথা বলছেন, সেটি কি ডেভিড লুইসের "We the navigators" ? ক্রিস্টিনা থমসনের ক্যাপটেন কুকের অভিযান নিয়ে "সি পিপল" নামেও একটা দারুণ বই আছে।
সুপ্রভাত গুরু
বড়েস, দুঃখিত কাল আপনার প্রশ্নটা দেখার আগেই আমি ঘুমের দেশে। কাল এসেম সাহেবের Clickbait-এ দ-দির নিষেধ সত্ত্বেও পা দিয়ে সামান্য তাড়াহুড়োতে উইলকিন্সের বইটার প্রথম পাতার ছবি দিতে গিয়ে প্রকাশসালটা আসেনি। বইটি লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয় ১৭৮৫ সালে। আজ আবার তার ছবিটা দিচ্ছি।
বাংলা হরফের প্রথম বই হ্যালহেডের A Grammar of the Bengal Language ১৭৭৮ সালে। বাঙালির লেখা প্রথম বাংলা বই রামরাম বসু-র রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত। প্রকাশিত হয় ১৮০১ সালে। তিনি কেরি সাহেবের মুন্সি ছিলেন।
দারাশুকো গীতার অনুবাদ করেননি, উপনিষদের করেছিলেন।
এসেম সাহেবের ১৭ জুলাই ২০২০ ১৫:২৪ গপ্পোটা খাসা ছিল। আমার ধারণা উনি গল্পটা আয়নার দিকে মুখ করে বলেছিলেন!
@ম: "অরিন, সময় নিয়ে লিখুন না আপনার দেশের কথা। "
বেশ, লেখা রইল https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=17891
অরিন, সময় নিয়ে লিখুন না আপনার দেশের কথা। কত কম জানি দেশটাকে নিয়ে।ভাটের সমুদ্রে এগুলো চট করে হারিয়ে যাবে যে!
ড্যানিয়েল ভেত্তোরি আর ক্রিস কেয়ার্নস অবশ্য জানি:)
Atoz: "প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি। ঃ-)"
"আতা মারিয়ে" বন্ধুগণ! (মাওরী ভাষায় আতা মারিয়ে কথার অর্থ "সুপ্রভাত"!)
প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি হয়ত নিশ্চয়ই একসূত্রে বেঁধেছে, তবে এখানে থাকতে থাকতে দেখেছি, মাওরিদের সঙ্গে আমাদের বাঙালীদের নানারকমের মিল আছে। আমি তো কোন ছার, স্বয়ং মার্ক টোয়েন মশাই "Following the Equator" বইয়ের ১৯৯ পাতায় কি লিখছেন দেখুন,
"The Maoris had the tabu; and had it on a Polynesian scale of comprehensiveness and elaboration. Some of its features could have been importations from India and Judea. Neither the Maori nor the Hindoo of common degree could cook by a fire that a person of higher caste had
used, nor could the high Maori or high Hindoo employ fire that had served
a man of low grade; if a low-grade Maori or Hindoo drank from a vessel belonging to a high-grade man, the vessel was defiled, and had to be destroyed. There were other resemblances between Maori tabu and Hindoo caste-custom."
এ নিয়ে কিছু কথা লেখা যেতে পারে। তবে দু-তিনটি মিলের মধ্যে একটা হচ্ছে দলাদলি,, ;-) দুই রান্না বাড়ি খাওয়া দাওয়া যে ব্যাপারটা মারক টোয়েনের দৃষ্টি এড়ায়নি। মাওরিদের মধ্যে যে কি প্রচণ্ড রকমের দলাদলি কি বলব, তবে থেকে মিশে বুঝতে হবে ওপর ওপর দেখে বোঝা যাবে না। একটা উদাহরণ নিউ জিল্যাণ্ডের উত্তর দ্বীপের মাওরিদের অসংখ্য জাতি ("Tribe", "iwi", ইউয়ি), সে তুলনায় দক্ষিণ দ্বীপে দু- একটা "নেয়াই টাহু" (Ngai Tahu), কিন্তু উত্তর দ্বীপের মাওরিরা দক্ষিণ দ্বীপের মাওরিদের দেখলে কেমন যেন নাক সিঁটকিয়ে "নেয়াই টাহু মনুষ্য নয়ে, উড়ে নয় প্রাণী, লম্ফ দিয়ে গাছে ওঠে " টাইপের ভাব দেখায়, ;-) । এখানে রোতোরুয়া নামে একটি শহরে মাওরিদের ভারি সুন্দর একটি মিউজিয়াম আছে। সেখানে আপনি সব জাতির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র দেখতে পাবেন, কারা কেমন করে কাঠ খোদাই করেন, কোন জাতির কি ইতিহাস, শুধু দক্ষিণ দ্বীপের নেয়াই টাহুর কোন উল্লেখ নেই। টুর গাইডকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এমন মুখ করে তাকিয়ে থাকবেন যেন ও প্রশ্নের কোন উত্তর হয় না। আবার দক্ষিণ দ্বীপের মাওরিও তাই।
মাওরিদের অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া ভীষণ রকমের দরকারী। এমনি নয়, রীতিমত কোব্জি ডুবিয়ে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া , না হলে সে সব অনুষ্ঠান পদবাচ্যই নয়। লোকে ছি ছি করবে ! খাওয়া দাওয়ার মাওরী নাম "কাই" (মনে করুন "খাইখাই " এর "খাই") । তারপর ধরুন, হেঁসেলে/রান্নাঘরে জুতো পরে যাওয়া একেবারেই চলবে না! এমনকি বাইরে থেকে এলে বাড়ির ভেতরেও জুতো পরে যাওয়া চলবে না। মাওরি বাড়িতে ঢুকতে গেলে জুতো বাইরে খুলে খালি পায়ে যেতে হবে। খাবার টেবিলে আপনি যে টেবিলে পিঠ/পেছন ঠেকিয়ে দাঁড়াবেন, পারবেন না, চূড়ান্ত অসভ্যতা! কোন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া শুরুর আগে রীতিমতন একজন সিনিয়র/পুরোহিত মতন কেউ এসে খাবার পূর্বপুরুষদের উৎসর্গ করবেন, তারপর আপনি শুরু করতে পারবেন (সাহেবের 'গ্রেস' নয়, অনেকটা আমাদের দেশের খাবার উৎসর্গ করার প্রথার মতন।
আরেকটা ব্যাপার আমার খুব অবাক লেগেছিল। আমরা ওয়েলিংটনের বিখ্যাত "টে পাপা" মিউজিয়ামে প্রথম বিশ্বযু্দ্ধ নিয়ে একটি ভারি সুন্দর ডিসপ্লে হচ্ছিল, একদিক দিয়ে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বেরোতে হবে, পুরোটা দেখতে প্রায় ঘন্টাখানেক লাগে। মৃত সেৈনিক মূর্তি, পোষাক, আষাক, ইত্যাদি রাখা। ডিসপ্লে থেকে বেরিয়ে দেখি একটা জলের বাটি রাখা, সবাই জল দিয়ে নিজেদের শরীরে ছিটিয়ে নিচ্ছে। জিজ্ঞাসা করতে জানা গেল, যে যেহেতু আমরা "মৃতের ঘর" (কাঁচা বাংলায় "মড়ার বাড়ি") থেকে বেরিয়েছি, গায়ে মাথায় জল ছিটিয়ে নিতে হবে, এইটা মাওরি প্রথা (মৃতদেহ সৎকার করে ঘরে ফেরার পর মাওরিদের মধ্যে প্রথা) ।
এইরকম সব আরো ব্যাপার স্যাপার আছে।
এই গর্ত খুঁড়ে চাপাচুপি দিয়ে রান্নার প্রচলন বাংলাদেশেও আছে। বিশেষ করে মাছ রান্না।পরিষ্কার করে আঁশ ছাড়িয়ে গোটা মাছের গায়ে ভালো করে চিরে তেল মশলা মাখিয়ে নিতে হয়। তারপর কলাপাতায় বা পদ্মপাতায় মুড়ে ভালো করে সুতো দিয়ে বেঁধে তার উপরে মোটা করে কাদার প্রলেপ দেওয়া হয়। মাটি খুঁড়ে ঢিমে আঁচে কাঠকয়লার উপরে সেই মাছ রেখে আরো কাঠ- মাটি দিয়ে তাকে চাপা দিয়ে ফেলে রাখা হয়। ছ সাত ঘন্টা পরে বের করে এনে শক্ত মাটির খোলস খুলে পাতা সরিয়ে সেই নরম তুলতুল মাছ পরিবেশন করা হয়।
দেবভোগ্য স্বাদ বলাই বাহুল্য:)
হুতোর প য়েন্ট টা খুবখু ভ্যালিড। ব্রাহ্মণ রা চিরকাল সমাজের মাথা হয়ে বসে থাকবেন।কাছেই সংস্কৃত চর্চা অন্যরা করলে চাপ।
"অগ্রদানী" মনে করো।
কিন্তু যতদুর মনে আসছে দারা কিন্তু গীতার অনুবাদ করান নি। করিয়েছিলেন কিছু হিন্দু শাস্ত্রের। কাল যদুনাথ সরকার দেখে বলে দেবো
আমরা তো ছোটবেলায় নিয়মিত রবীন্দ্র
জয়ন্তী করতাম। একবার বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেড়ে। অর্থাৎ "ডাকঘর" এ আমি অমল হই। কিন্তু ক্যাচাল সুধা কে নিয়ে । পাড়ায় যার সাথে আমার একটু "ইয়ে" ছিল তাকে নাট্যকার অর্থাৎ অনিতা কাকীমা কিছুতেই নিতে রাজি হলেন না। অন্য একটা মেয়ে সুধা হল।
রেগে তিনি এক মাস আমার সাথে কথা বলেন নি।
তখন ক্লাশ সেভেন।
ছোটবেলার দিন গুলো কি মজার ছিল । :)))
বুদ্ধুবাবু নটউইথস্ট্যান্ডিং, এই যে ইতিহাস বলছে দারা গীতার অনুবাদ করেছিলেন ফার্সিতে, সেটার গল্প কী?
বাকি গুলো আনন্দোৎসব। ধূমধাম করা হোক। সামাজিক মেলামেশা হোক। সানাই, আলো, ভিয়েন। বেশ দারুণ ব্যাপার স্যাপার।
কিন্তু শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের এই ভূরিভোজ অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এর পরিবর্তনে হ য়তো স্মরণ সভার আয়োজন। আমার খুব মত আছে।