এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অপু | 2409:4060:2113:e914::2b04:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:৪০450605
  • ধূমকেতু? বলো কী হে? ক্যামনে? 

  • অপু | 2409:4060:2113:e914::2b04:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:৩৮450604
  • অরিন দা, টুক করে প ড়ে নিলুম তোমার লেখাটা । মনটা ভালো হ য়ে গেল। :)))

  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:৩৮450603
  • অরিন,
    হ্যাঁ, কৃত্তিকা। মনে হয় সাতভাই তারাও বলে বাংলায়। ইংরেজীতে Pleiades।
    মাতারিকি র গল্পটা মানে কিংবদন্তীটা পড়েছিলাম সুকুমার রায়ের রচনায়। খুব মায়াময় কাহিনি। সুকুমারের হাতে আরো খুলেছিল। গাছেদের দেবতা তানে সব গাছের শিকড় জলের মধ্যে নামিয়ে পাম্পের মতন জল তুলে ফেলছেন, গল্পের এই জায়্গায় এসে আমরা হেসে লুটোপুটি। ঃ-)
  • aka | 2600:1005:b11a:e6ac:1913:e091:edcb:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:৩২450601
  • পৃথিবীকে উনুন হিসেবে ব্যবহার করা পৃথিবীর প্রাচীনতম রন্ধন প্রণালীর অন্যতম। বোধহয় ঝলসে খাবার ঠিক পরেই।
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:৩১450600
  • সুপ্রভাত। সুপ্রভাত।
    এখানে অবশ্য অনেক রাত এখন। এইমাত্র ধূমকেতু দেখে ফিরলাম। ইয়াব্বড়ো লেজ। খালি চোখেই দেখা গেল। তবে বাইনোকুলারে আরো ভালো দেখা যায়। কমেট NEOWISE, এখন দেখা যাচ্ছে সূর্যাস্তের পরবর্তীকালে, আকাশের উত্তর পশ্চিমে, দিগন্ত থেকে খানিক উপরে।
    শহরের আলো থেকে দূরে যেতে হল অবশ্য, সঙ্গে বোনাস মিলল মিল্কি ওয়ের অসাধারণ রূপ। ঃ-)
  • অরিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:২৬450599
  • @dc: "প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের নাবিকরা, মানে সেই এন্সেন্ট মেরিনাররা, সমুদ্রে ন্যাভিগেট করতেন। কম্পাস টম্পাস ছাড়া, শুধু তারার আলো,"

    বছরের এই সময়টা মাওরীদের নববর্ষ উদযাপন হয় আকাশে তারার অবস্থান দেখে। সাতটি তারার সমষ্টির মাওরি নাম "মাতারিকি", সূর্যোদয়ের আগে আকাশের উত্তর পূর্ব কোণে দেখতে পাওয়া যায় বছরের এই সময়টায়। পলিনেশীয় নাবিকরা এই তারামণ্ডলি দেখে ন্যাভিগেট করতেন বল মনে করা হয়।  বাংলায় বোধহয় কৃত্তিকা নক্ষত্র বলে (জাপানীতে "সুবারু", সুবারু গাড়ির লোগো মনে করুন, :-)) ।

    @dc যে বইয়ের কথা বলছেন, সেটি কি ডেভিড লুইসের "We the navigators" ? ক্রিস্টিনা থমসনের ক্যাপটেন কুকের অভিযান নিয়ে "সি পিপল" নামেও একটা দারুণ বই আছে। 

  • অপু | 2409:4060:2113:e914::2b04:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:২৫450598
  • সুপ্রভাত গুরু

  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:১৭450597
  • বড়েস, দুঃখিত কাল আপনার প্রশ্নটা দেখার আগেই আমি ঘুমের দেশে। কাল এসেম সাহেবের Clickbait-এ -দির নিষেধ সত্ত্বেও পা দিয়ে সামান্য তাড়াহুড়োতে উইলকিন্সের বইটার প্রথম পাতার ছবি দিতে গিয়ে প্রকাশসালটা আসেনি। বইটি লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয় ১৭৮৫ সালে। আজ আবার তার ছবিটা দিচ্ছি।

    বাংলা হরফের প্রথম বই হ্যালহেডের A Grammar of the Bengal Language ১৭৭৮ সালে। বাঙালির  লেখা প্রথম বাংলা বই রামরাম বসু-র রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত। প্রকাশিত হয় ১৮০১ সালে। তিনি কেরি সাহেবের মুন্সি ছিলেন।

    দারাশুকো গীতার অনুবাদ করেননি, উপনিষদের করেছিলেন।

    এসেম সাহেবের ১৭ জুলাই ২০২০ ১৫:২৪ গপ্পোটা খাসা ছিল। আমার ধারণা উনি গল্পটা আয়নার দিকে মুখ করে বলেছিলেন!

  • aka | 2600:1005:b11a:e6ac:1913:e091:edcb:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৯:০৭450596
  • হে হে ম ল্যান্স কেয়ার্নসের কথা জানে না।

    তখনকার কথা আমারই আবছা হয়ে এসেছে, সবে শন্কর সবে গীতা আবিষ্কার করছে।
  • dc | 103.195.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৮:৪০450595
  • বেশ কিছুদিন আগে একটা ইন্টারেস্টিং বই পড়েছিলাম, বিষয় ছিল কিভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের নাবিকরা, মানে সেই এন্সেন্ট মেরিনাররা, সমুদ্রে ন্যাভিগেট করতেন। কম্পাস টম্পাস ছাড়া, শুধু তারার আলো, ঢেউয়ের উচ্চতা, সামুদ্রিক স্রোত, জলের উষ্ণতা ইত্যাদির সাহায্যে কিভাবে এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে পৌঁছে যেতেন। অনেক দ্বীপেই কিছু ওরাল ট্র্যাডিশান ছিল, যা বংশানুক্রমিকভাবে নাবিকদের ফ্যামিলিতে থাকতো। লেখক সেসব অ্যানালাইজ করে দেখিয়েছিলেন কিভাবে এই ট্র্যাডিশানগুলো গড়ে উঠেছিল, আকাশে কনস্টেলেশানগুলোর চলা, প্রিসিশান অফ দ্য ইকুইনক্সেস ইত্যাদি অনেক কিছুর অবসার্ভেশানের মাধ্যমে। মুশকিল হলো, বইটার নাম ভুলে গেছি।
  • | 2601:247:4280:d10:c4e:6d61:4250:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৭:০৫450593
  • অরিন, সময় নিয়ে লিখুন না আপনার দেশের কথা। কত কম জানি দেশটাকে নিয়ে।ভাটের সমুদ্রে এগুলো চট করে হারিয়ে যাবে যে!

     ড্যানিয়েল ভেত্তোরি আর ক্রিস কেয়ার্নস অবশ্য জানি:) 

  • অরিন | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৬:৪৪450592
  • Atoz: "প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি। ঃ-)"

    "আতা মারিয়ে" বন্ধুগণ! (মাওরী ভাষায় আতা মারিয়ে কথার অর্থ "সুপ্রভাত"!)

    প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি হয়ত নিশ্চয়ই  একসূত্রে বেঁধেছে, তবে এখানে থাকতে থাকতে দেখেছি, মাওরিদের সঙ্গে আমাদের বাঙালীদের নানারকমের মিল আছে। আমি তো কোন ছার, স্বয়ং মার্ক টোয়েন মশাই "Following the Equator" বইয়ের ১৯৯ পাতায় কি লিখছেন দেখুন,

    "The Maoris had the tabu; and had it on a Polynesian scale of comprehensiveness and elaboration. Some of its features could have been importations from India and Judea. Neither the Maori nor the Hindoo of common degree could cook by a fire that a person of higher caste had
    used, nor could the high Maori or high Hindoo employ fire that had served
    a man of low grade; if a low-grade Maori or Hindoo drank from a vessel belonging to a high-grade man, the vessel was defiled, and had to be destroyed. There were other resemblances between Maori tabu and Hindoo caste-custom."

    এ নিয়ে কিছু কথা লেখা যেতে পারে। তবে দু-তিনটি মিলের মধ্যে একটা হচ্ছে দলাদলি,, ;-) দুই রান্না বাড়ি খাওয়া দাওয়া যে ব্যাপারটা মারক টোয়েনের দৃষ্টি এড়ায়নি। মাওরিদের মধ্যে যে কি প্রচণ্ড রকমের দলাদলি কি বলব, তবে থেকে মিশে বুঝতে হবে ওপর ওপর দেখে বোঝা যাবে না। একটা উদাহরণ নিউ জিল্যাণ্ডের উত্তর দ্বীপের মাওরিদের অসংখ্য জাতি ("Tribe", "iwi", ইউয়ি), সে তুলনায় দক্ষিণ দ্বীপে দু- একটা "নেয়াই টাহু" (Ngai Tahu), কিন্তু উত্তর দ্বীপের মাওরিরা দক্ষিণ দ্বীপের মাওরিদের দেখলে কেমন যেন নাক সিঁটকিয়ে "নেয়াই টাহু মনুষ্য নয়ে, উড়ে নয় প্রাণী, লম্ফ দিয়ে গাছে ওঠে " টাইপের ভাব দেখায়, ;-) । এখানে রোতোরুয়া নামে একটি শহরে মাওরিদের ভারি সুন্দর একটি মিউজিয়াম আছে। সেখানে আপনি সব জাতির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র দেখতে পাবেন, কারা কেমন করে কাঠ খোদাই করেন, কোন জাতির কি  ইতিহাস, শুধু দক্ষিণ দ্বীপের নেয়াই টাহুর কোন উল্লেখ নেই। টুর গাইডকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এমন মুখ করে তাকিয়ে থাকবেন যেন ও প্রশ্নের কোন উত্তর হয় না। আবার দক্ষিণ দ্বীপের মাওরিও তাই। 

    মাওরিদের অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া ভীষণ রকমের দরকারী। এমনি নয়, রীতিমত কোব্জি ডুবিয়ে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া , না হলে সে সব অনুষ্ঠান পদবাচ্যই নয়। লোকে ছি ছি করবে ! খাওয়া দাওয়ার মাওরী নাম "কাই" (মনে করুন "খাইখাই " এর "খাই") । তারপর ধরুন, হেঁসেলে/রান্নাঘরে জুতো পরে যাওয়া একেবারেই চলবে না! এমনকি বাইরে থেকে এলে বাড়ির ভেতরেও জুতো পরে যাওয়া চলবে না। মাওরি বাড়িতে ঢুকতে গেলে জুতো বাইরে খুলে খালি পায়ে যেতে হবে। খাবার টেবিলে আপনি যে টেবিলে পিঠ/পেছন ঠেকিয়ে দাঁড়াবেন, পারবেন না, চূড়ান্ত অসভ্যতা! কোন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া শুরুর আগে রীতিমতন একজন সিনিয়র/পুরোহিত মতন কেউ এসে খাবার পূর্বপুরুষদের উৎসর্গ করবেন, তারপর আপনি শুরু করতে পারবেন (সাহেবের 'গ্রেস' নয়, অনেকটা আমাদের দেশের খাবার উৎসর্গ করার প্রথার মতন। 

    আরেকটা ব্যাপার আমার খুব অবাক লেগেছিল। আমরা ওয়েলিংটনের বিখ্যাত "টে পাপা" মিউজিয়ামে প্রথম বিশ্বযু্দ্ধ নিয়ে একটি ভারি সুন্দর ডিসপ্লে হচ্ছিল, একদিক দিয়ে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বেরোতে হবে, পুরোটা দেখতে প্রায় ঘন্টাখানেক লাগে। মৃত সেৈনিক মূর্তি, পোষাক, আষাক, ইত্যাদি রাখা। ডিসপ্লে  থেকে বেরিয়ে দেখি একটা জলের বাটি রাখা, সবাই জল দিয়ে নিজেদের শরীরে ছিটিয়ে নিচ্ছে। জিজ্ঞাসা করতে জানা গেল, যে যেহেতু আমরা "মৃতের ঘর" (কাঁচা বাংলায় "মড়ার বাড়ি") থেকে বেরিয়েছি, গায়ে মাথায় জল ছিটিয়ে নিতে হবে, এইটা মাওরি প্রথা (মৃতদেহ সৎকার করে ঘরে ফেরার পর মাওরিদের মধ্যে প্রথা) । 

    এইরকম সব আরো ব্যাপার স্যাপার আছে। 

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::28f:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৫:৩৮450591
  • রাজস্থানেও আছে। এই দেখুন গর্ডন র‌্যামসে।
  • | 2601:247:4280:d10:c4e:6d61:4250:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৫:২৫450590
  • এই গর্ত খুঁড়ে চাপাচুপি দিয়ে রান্নার প্রচলন বাংলাদেশেও আছে। বিশেষ করে মাছ রান্না।পরিষ্কার করে আঁশ ছাড়িয়ে গোটা মাছের গায়ে ভালো করে চিরে তেল মশলা মাখিয়ে নিতে হয়। তারপর কলাপাতায় বা পদ্মপাতায় মুড়ে ভালো করে সুতো দিয়ে বেঁধে তার উপরে  মোটা করে কাদার প্রলেপ দেওয়া হয়। মাটি খুঁড়ে ঢিমে আঁচে কাঠকয়লার উপরে সেই মাছ রেখে আরো কাঠ- মাটি দিয়ে তাকে চাপা দিয়ে ফেলে রাখা হয়। ছ সাত ঘন্টা পরে বের করে এনে শক্ত মাটির খোলস খুলে পাতা সরিয়ে সেই  নরম তুলতুল মাছ পরিবেশন করা হয়। 

    দেবভোগ্য স্বাদ বলাই বাহুল্য:)

  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৪450589
  • প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি। ঃ-)
  • লোভো | 98.114.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৪:৩৫450588
  • হাওয়াইয়ের লুআও টাও তো একই রকম ব্যাপার- সকালে গিয়ে গত্তো খুড়ে খাবার দাবার চাপা দিয়ে দুকুরে ঘোরাঘুরি করে বিকেলে নাচ গান (হাওয়াইয়ান নৃত্য বুঝলেন কি না - বৃষস্ক্ন্ধ ফুলপুরুষ ও ক্ষীনকটি ফুলপরিরা নাচেন সমুদ্রসঙ্গীতের সুর আর সুরা সহযোগে)। তারপর পেটপুজো।

    পলিনেশিয়ান আইল্যান্ড্গুলোর মধ্যে দূরত্ব কোন ব্যপার নয় মনে হচ্ছে - কালচার যেন সব জায়হাতেই একই রকম! এ সব নিয়ে রিসার্চ হয়েছে নিশ্চয়ই!
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৪:১৩450587
  • অপু, আরে টোল চতুষ্পাঠীগুলো চালাতে হলে ক্লায়েন্ট তো লাগবে! এত টোল, এত চতুষ্পাঠী, এদিকে বসে বসে গুরুমশায় মাছি তাড়াচ্ছেন আর গুটিকয় ছেলে বসে বসে "কশ্চিৎ কান্তা বিরহগুরুনা" আওড়াচ্ছে, এরকম হলে অবস্থা ঘোরালো হত। একটা মিনিমাম ছাত্রসংখ্যা থাকতেই হত নির্ঘাৎ চতুষ্পাঠীতে। এরা লাউকুমড়ো আলুবেগুণ বরবটি পালং হংসডিম্ব ইত্যাদি গুরুদক্ষিণা দিত আর বাকীটা জমিদার হয়তো ভর্তুকী দিতেন সম্বৎসরের চাল আর ছখানা ধুতি, তিনখানা উত্তরীয়। কোনো কোনোক্ষেত্রে জমিদার হয়তো ভর্তুকীও দিতেন না, সবটাই ছাত্রদের দক্ষিণা থেকে আর কিছু হয়তো গুরুর নিজের জমির ফসল।
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৪:০৫450586
  • সেই হ্যালহেড সাহেবের বাংলা ব্যকরণ, সেই পঞ্চানন কর্মকারের তৈরী অক্ষরের ব্লক---খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল লেখাটা।
  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৪:০৪450585
  • ঈশ, বই ছাপানোর ইতিহাস নিয়ে কী অসাধারণ একটা লেখা ছিল গুর্চতে। বুলবুলভাজায় অথবা হরিদাস পালে অথবা অন্য কোনোকিছুতে । কোথায় যে গেল লেখাটা!
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2b5:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:২৫450584
  • উইকি বলছে ১৯০১ সালে বাংলা প্রভিন্সে লিটারেসি রেট ছিল পুরুষদের মধ্যে ১০.৪% আর মহিলাদের মধ্যে ০.৫%। তাহলে তারও অনেক আগে ১৭৮৫ সালে যখন উইলকিন্সের বই বেড়চ্ছে তখন নিশ্চই আরো অনেক কম ছিল।

    আরেকটা ব্যাপার আছে। বাংলা থেকে প্রথম বাংলায় বই ছেপে বেড়োয় কবে? তার আগে তো সবই ইয়োরোপে ছাপা হত নইলে ইংরেজিতে ছাপা হত। এমনকি ভারতীয় ভাষার বই ইংরেজী বর্ণমালায়ও ছাপানো হয়েছে। কারণ ভারতীয় ভাষায় ব্লক তৈরী হতেই তো অনেক সময় লেগে গেছিলো। তাও সেসব প্রথমদিকে সাউথ ইন্ডিয়াতে হয়েছে।
  • অপু | 2409:4060:2113:e914::2b04:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:১৮450583
  • হুতোর প য়েন্ট টা খুবখু ভ্যালিড। ব্রাহ্মণ রা চিরকাল  সমাজের মাথা হয়ে বসে থাকবেন।কাছেই সংস্কৃত চর্চা অন্যরা করলে চাপ।

    "অগ্রদানী" মনে করো। 

  • অপু | 2409:4060:2113:e914::2b04:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:১৫450582
  • কিন্তু যতদুর  মনে আসছে দারা কিন্তু গীতার অনুবাদ করান নি। করিয়েছিলেন  কিছু হিন্দু শাস্ত্রের। কাল যদুনাথ সরকার দেখে বলে দেবো

  • অপু | 2409:4060:2113:e914::2b04:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:১২450581
  • আমরা তো ছোটবেলায় নিয়মিত রবীন্দ্র

    জয়ন্তী করতাম। একবার বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেড়ে। অর্থাৎ  "ডাকঘর"  এ আমি অমল হই। কিন্তু ক্যাচাল সুধা কে নিয়ে । পাড়ায় যার সাথে আমার একটু "ইয়ে" ছিল তাকে নাট্যকার অর্থাৎ  অনিতা কাকীমা কিছুতেই নিতে রাজি হলেন না। অন্য একটা মেয়ে সুধা হল।

    রেগে তিনি এক মাস আমার সাথে কথা বলেন নি। 

    তখন ক্লাশ সেভেন।

    ছোটবেলার  দিন গুলো কি মজার ছিল । :)))

  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:০৯450580
  • অপু, লোকেরাই তো খাওয়াদাওয়া করেন। যারা প্রচলন করেছিলেন, তাঁদের হয়তো এই ভাবনাটা ছিল যে সন্তান সন্ততিদের, আত্মীয়বন্ধুদের, পাড়া প্রতিবেশিদের ভালো করে খেতে দেখে পরলোকগতের আত্মার শান্তি হবে। তিনি চলে গেছেন, কিন্তু যারা রয়ে গেছে, তাদের খাওয়াদাওয়ার কষ্ট হচ্ছে না।
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:8db4:7fab:1248:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:০৮450579
  • এইখানে একটা গোলমাল আছে।

    অত লোকজন সংস্কৃত জানাটা একটু আনলাইকলি, কারন খুব বেশি লোক ওসব জানলে ব্রাহ্মণদের পক্ষে শ্রেষ্ঠত্বের ধারনা ধরে রাখা চাপ। তাছাড়া কে কোনটা পড়বে তাতে নানান রকম ভাগাভাগি ছিল। কার কীরকম ক্যারিয়ার অ্যাস্পিরেশন, পূজারী হবে না ভবিষ্যতে টোল খুলবে না পদ্য লিখবে, সেই হিসেবে লেখাপড়া, এছাড়া আর্যা টার্যা ঐসব। আর চাকরীবাকরী যারা করবে তারা ফার্সী শিখবে, আরবী, উর্দু, পুস্তু শিখবে।
    পাঠশালায় সবাই যাবে কিন্তু টোলে যাবে ব্রাহ্মণরা, এরকম ব্যাপার।

    আমার কাছে অবশ্য তেমন কিছু রেফারেন্স নেই এই ধারনার সপক্ষে।
  • সম্বিৎ | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:০৫450578
  • বুদ্ধুবাবু নটউইথস্ট্যান্ডিং, এই যে ইতিহাস বলছে দারা গীতার অনুবাদ করেছিলেন ফার্সিতে, সেটার গল্প কী? 

  • অপু | 2409:4060:2113:e914::2b04:***:*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:০৪450577
  • বাকি গুলো আনন্দোৎসব। ধূমধাম করা হোক। সামাজিক মেলামেশা হোক। সানাই, আলো, ভিয়েন। বেশ দারুণ  ব্যাপার স্যাপার।

    কিন্তু শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের এই ভূরিভোজ অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এর পরিবর্তনে হ য়তো স্মরণ সভার আয়োজন। আমার খুব মত আছে।

  • Atoz | 151.14.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:০২450576
  • দইওয়ালাদের প্রতি দাড়িদাদুর কিছুটা পক্ষপাত ছিলই। লক্ষ্য করে দেখবে, চন্ডালিকাতেও একজন দইওয়ালা আছে, "দই চাই দই চাই" করে গান করছে। ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত