হা হা প্রভুপাদ। ওই এক চিজ। তার আবার অনুবাদ যেখানে আইনস্টাইন নাকি গীতা দ্বারা গভীর অনুপ্রাণিত!
রৌহিন আপনি যথার্থ ধরেছেন। ঠিক এই কথাগুলোই বলতে চেয়ে কত ত্যানা প্যাঁচানোই চলল। এবার যদি বলি মনুসংহিতাও সায়েবদের 'আবিষ্কার' তাহলে কি আমার দিকে ঢিল ছোঁড়া হবে? অথচ ঐতিহাসিকভাবে এটাও তো সত্যি।
আপনারা আগে গীতাকে কাউন্টার করুন, নইলে গুরুর পাতায় জয়প্রকাশ সারস্বতরা একের পর এক পোস্ট করেই যাবেন। হাতের কাছে এত মিত্র থাকলে ওঁর অচেনা শত্রুর কী দরকার!
গুরু দাসপুর থিক থিক করছে মাকুতে। মাকুরা লোক ভালো।নিরামিষ খায় আর সাম্রাজ্যবাদের নিন্দে করে।
এক কালে বলতো বটে,চীনের ছেয়ার ম্যান আমাদের ছেয়ার ম্যান।এখন বলে চীন খুব পাজি,দুষ্টু। আমেরিকা কি ভালো।
এলেবেলে সম্ভবতঃ বলেছেন গীতা আলাদা কোন বই বা পুঁথি ছিল না, মহাভারতের একটা অংশ হিসাবে পঠিত হত, তার ভাষ্য টিকা সবকিছুই হত। আলাদা "শ্রীমদ্ভাগবৎগীতা" বলে যে জাবদা বইটি এবং তার চটি ভার্সান আমরা দেখি সেটি ওই পঞ্চানন অ্যান্ড পার্টির অবদান।
অর্থাৎ গীতা ছিল। গীতা বলে আলাদা বই ছিল না। এ হল শ্রী রৌহিনের ভাষ্য
আমি একজন বিজেপি সমর্থক, আগে মাকু ছিলাম, পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে সঠিক পথে এনেছি। এখন আমি একজন সফল কারিয়াকারতা হতে চাই। এইজন্য আমি বহু চেষ্টা করছি। আমি ভুল বাংলা বানান লিখি কারণ এই ভাষার কোনও কার্যকারিতা নেই এই ভাষা উঠে যাওয়া উচিত, আমি আমাদের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি সমৃদ্ধ বাংলা বলি,আমি মুরাদটাকলা লিপির ব্যবহার করি। আমি নমন পুজন ভজনও করি। একজন উগ্রজাতীয়তাবাদী হয়ে উঠতে যা যা করণীয় আমি সব করি। তবু বিজেপি বিশ্বাস করে না যে আমি একজন বিজেপি। মাকুরা আমাকে নিয়ে খিল্লি করে। এই গুরুচণ্ডা৯ গ্রুপে আমি উগ্রজাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দিতে চাই,তাই প্রচার করি। আমি আসলে মাকুদের সঠিক পথে আনতে চাই। অথচ এত ভালো কাজ করার পরেও আমার নামে অ্যাডমিনদের কাছে নালিশ হচ্ছে। কেন? দেশকে ভালোবাসা কি অন্যায়? মোদীজীকে ভালোবাসা কি অন্যায়? বাঙালিদের দেশভক্ত করে তোলা কি অন্যায়? হাম বোলে তো বোলে কেয়া!? যায়ে তো কাহা যায়ে!? এমনকি আমি ভুল করে সঠিক বানান লিখলে মাকুরা বলছে আমি বিজেপি না। এগুলো কষ্টের। আবেগতাড়িত হয়ে এই পোস্ট লিখছি শুধু দেশের ভালো ভেবে। মোদীজীর কাছে বিচার দিলাম। সবাইকে নমন পুজন ও ভজন শেখাতে, কারিয়াকারতাদের অসাধারণ লেখা এবং ভাবনা ছড়িয়ে দিতে আমি সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। স্যাফ্রন সোশ্যালিজমের আদর্শ দিয়ে দেশকে সাজাবো।
ঈশান
গীতা সম্পর্কিত একটি অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং বইয়ের নাম অক্ষয় মুকুল লিখিত ‘Gita Press and the making of Hindu India ’। বইটি গীতার উৎস সন্ধান নিয়ে নয় অবশ্য। গীতার প্রসার ও প্রচার নিয়ে ।
কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলে, মহাত্মা গান্ধী রোডের ওপরে অবস্থিত ‘গোবিন্দ ভবন’ এ ৯৭ বছর আগে ‘গীতা প্রেস’ র যাত্রা শুরু । দেশে ‘গীতা’ র প্রসার ও প্রচারে এই ‘গীতা প্রেস’ র এক যুগান্তকারী ভূমিকা আছে বললে খুব ভুল হবেনা। কিছু পরে হৃষীকেশে ‘গীতা ভবন’ প্রতিষ্ঠা পায়। হৃষীকেশে যেসব তীর্থযাত্রী ঘুরতে যায়, তাদের কাছে এই ‘গীতা ভবন’ একটি আনঅ্যাভয়ডেবল স্থান । ‘গীতা প্রেস’ র প্রতিষ্ঠা করেন কলকাতাবাসী দুই মাড়োয়ারি জয়দয়াল গোয়েন্দকা ও হনুমানপ্রসাদ পোদ্দার । দুজনেই নাকি অগ্নিযুগে সশস্ত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । হনুমানপ্রসাদ বারীন ঘোষকে ‘গুরু’ মানতেন । হনুমান বিপ্লবীদের বন্দুক, পিস্তল, গোলা বারুদ লুকিয়ে রাখতেন নিজের বাড়িতে ।
‘গীতা প্রেস’ র উদ্দেশ্যই ছিল সুলভে ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’ ও ‘গীতা’ যাতে জন সাধারণের হাতে পৌঁছে দেওয়া । হরিপ্রসাদের সম্পাদনায় ‘কল্যাণ’ নামে একটি পত্রিকা বেরুত যা এখনো প্রকাশিত হয়। সেই পত্রিকায় লেখক তালিকার মধ্যে যাদের নাম আছে তারা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান, ক্ষিতিমোহন সেন, ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, চক্রবর্তী, রাজাগোপালাচারী প্রমুখরা । মুন্সী প্রেমচাঁদ, সুমিত্রানন্দন পন্থ এবং হরিবংশ রাই বচ্চনের মত হিন্দি ভাষার বিখ্যাত লেখক, কবিরাও লিখেছেন এই পত্রিকায় । পত্রিকার প্রচ্ছদ ও পত্রিকার নানা ছবি এঁকেছেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু, অর্ধেন্দ্র কুমার গঙ্গোপাধ্যায় (ওসি গাঙ্গুলি) এবং বেঙ্গল স্কুলের অন্যান্য শিল্পীরা । ইনফ্যাক্ট ‘কল্যাণ’ পত্রিকার সঙ্গে বেঙ্গল স্কুল শিল্পের গভীর যোগসূত্র ছিল প্রথম দু দশকে ।
প্রথম দিকে মোটামুটি ভালোই চলছিল কিন্তু ‘গীতা প্রেস ‘হিন্দুত্ব’ ও হিন্দু ঐতিহ্য’ প্রতিষ্ঠায় (যা কিনা ছিল মূল উদ্দেশ্য) লেগে পড়ে । হনুমানপ্রসাদ পোদ্দার পরে ‘হিন্দু মহাসভা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । জাতীয়তাবাদী শিবিরের লোকজন সরে পড়েন । দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে হিন্দু কোড বিল যখন পাশ হয় তখন ‘গীতা প্রেস’, ‘কল্যাণ’ পত্রিকা সেই কংগ্রেস সরকারকে ধলাই মাচাই করে । নেহরু ও আম্বেদকর দুজনের সঙ্গেই স্বাভাবিক নিয়মে হরিপ্রসাদ ও জয়দয়ালের আদা কাঁচকলার সম্পর্ক ছিল ।
বইটি গবেষণা করে লেখা কিন্তু ঝরঝরে ও সুখপাঠ্য । লেখক পাঠকদের কিছু চাপিয়ে দেননি।
হিন্দু ইন্ডিয়া, গীতা প্রেসের ‘গীতা’ র প্রসার ও প্রচার নিয়ে জানতে হলে একটি মূল্যবান বই।
@এলেবেলে, বইটি সম্পর্কে নিশ্চয় জানেন ।
গ্লোবাল নিও লিবেরালিজমের ** এ একটার পর একটা বিশাল, জাম্বো সাইজের সব গজাল ঢুকে যাচ্ছে।
"বাড়িতে ঢুকতে না পেরে মুম্বই পুরসভা আপাতত রেখার লালারসের জন্যই অপেক্ষা করে রয়েছে। " :-)))
শি, পুতিন, মোদী সবাই চাইছেন আমেরিকায় যেন ট্রাম্পই আবার জেতেন। এত উইন উইন পরিস্থিতি একসঙ্গে পাওয়া মুশকিল। এমবিএস তো চীনের সবচেয়ে বড় তেলের দোকানদার। কিন্তু রাশিয়া এতকিছু করছে, বিশ্বাস হয় না।
*মদ্ভাগবত গীতা
গীতা দত্ত, গীতা দে 'শ্রী মদ্ভাগবত' র চাইতে interesting proposition । তাদের নিয়ে লেখালেখি হোক ।
Amit: "আদৌ সেরকম কিছু (ভারত চীন যুদ্ধ) লাগবে বলে মনে হয়না, কিন্তু কিছু হলে worst কেস সেনারিও-তে ইন্ডিয়া হয়তো পুরো একা হয়ে যেতে পারে. আমেরিকা, ইস্রায়েল, রাশিয়া - কেও-ই আগ বাড়িয়ে পাশে এসে দাড়াবেনা যদি কারোর কোনো মেজর জেওপলিটিক্যাল সেলফ ইন্টারেস্ট থাকে"
অস্ট্রেলিয়া পাশে দাঁড়াবে না?
আপনাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দিন কয়েক আগে মোদির সঙ্গে অনলাইনে সিঙাড়া আর চাটনি খেলেন তো?
এসেম, রঞ্জনবাবু এখানে না আসা ইস্তক আর আপনার সঙ্গে কথা বাড়াব না। উইলকিন্সের বইয়ের আসল নাম বহু আগেই লিখেছি। মহাভারত থেকে খাবলা করে কেটে নিয়ে তাকে 'গীতা' নাম দেওয়া সায়েবদের কাজ। আর মহেন্দ্রনাথ দত্ত এ বিষয়ে কী বলেছিলেন সেটা দেখে নেবেন। আমি নিশ্চিত উনি আমার থেকে হাজার গুণ জ্ঞানী ছিলেন, তবে আপনার থেকে ছিলেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।
সেদিন @b
হাগু আর ঘরের সম্পর্ক প্রসঙ্গে যখন বললেন তখন থেকেই ভাবছি বলব, স্টিভেন স্পিলবার্গ'র 'মিউনিখ' এ অ্যাক্টর ওমর মেৎয়ালি, অ্যাক্টর এরিক বানা'কে একটা দৃশ্যে বলছে
'You do not know what it is not to have a home ! That's why you Europeans reds don't get it. You say, it's nothing but you've a home to come back to. You think we care about your international revolution, but we don't care. We want to be nations. Home is everything. '