আর সেই কাল থেকে গান্ধীর রেসিজম নিয়ে ফটর ফটর করেই চলেছেন। অবাক লাগছে পিটিস্যারও তাতে যোগ দিয়েছেন বলে।
এই নিন। দেখে চক্ষু সাত্থোক করুন দিকি। আসল মাল তো আর পড়বেন না, খানিক চোলাই মালই পড়ুন।
:|: ওরফে ২৭ সেপ্টেম্বর আপনিও একটু পড়ে দেখবেন, কেমন?
এসেম, রবীন্দ্রনাথের বিদ্যাসাগর-চরিতের কথা বলছেন তো? মানে ওই বাংলা ভাষার যথার্থ শিল্পী? তো রবি ঠাকুরের এর বিপরীতধর্মী লেখা এবং বিদ্যাসাগরের যতিচিহ্নের আধিক্য নিয়ে তাঁর বিরক্তির কথাও আছে। সেগুলো পড়েছেন-টড়েছেন?
তারপর গিয়ে ধরুন রামেন্দ্রসুন্দ্র ত্রিবেদী মানে সেই যন্ত্র যাতে দূরের জিনিস...। খুব চলে মার্কেটে কোটটা। পুরো প্রবন্ধটা পড়েছেন? লজ্জায় মাথা নত হয়ে যেতে পারে কিন্তু।
আর ব্রিটিশদের দয়ায় থাকতে হয়নি সাউথ আফ্রিকানদের। তাঁরা গান্ধীর অপকর্ম নিয়ে আর আগেই জানতে শুরু করে ও আন্দোলন করতে শুরু করে।
গুরুর পাঠক ফেসবুকের আমপাঠকের থেকে খুব আলাদা নন। তাঁরাও ওই বিদ্যাসাগর মানে নকশাল মনে করেন, গুরুর ফুটকাটা পাবলিকরাও (পিটিকে বাদ রাখছি)। কিন্তু সুমিত সরকার, শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রায়ান হ্যাচার, মৃণালিনী সিনহা, তনিকা সরকার, অশোক সেন, ডেভিড কফ, বার্নার্ড কোহনরা নকশাল কি না জানি না!!!
ও সতীদাহ আর বিধবাবিবাহ। হ্যাঁ, আজি হতে তিন মাস পরে...
ঠিক,ঠিক আমার ই ভুল।ওটা রাজাগোপাল ই হবে।দা,গ্রেট গোপাল।
এই বদমায়েশি শুরু হয়েছে,নকশাল আমল থেকে।মূর্তি ভাঙ্গা,মূর্তি কে কাদা লেপা,আলকাতরা দেওয়া। তারপর শুরু হয়েছে গবেষণা মূলক প্রবন্ধ রচনা।
নিজেদের ফোকাসে আনতে ,মনীষী দের ঠ্যাং ধরে টানা টানি। বাংলায় রেনেসাঁ হয় নি।বিদ্যাসাগর,রামমোহন হলেন ব্রিটিশ দের পা ধরে রাখা দালাল বিশেষ। বিবেকানন্দ মিথ্যাচারী।স্মরণ করুন রাজা চক্রবর্তী নামক ব্যক্তির লিখিত বই এর কথা।রামকৃষ্ণ একটি ভন্ড ও উন্মাদ।রবীন্দ্রনাথ কলোনিয়াল প্রভুভক্ত ব্যক্তি।ইত্যাদি।
নিজেরাই বলছেন এসব লোকজন ব্রিটিশ দের পোষা ছিলেন।আবার এঁদের কাউন্টার করতে,বিভিন্ন সময় মেকলে, জোনস এঁদের টেনে আনেন।
এমন ভাব,বিদ্যাসাগর এর আগে দেশে নারী শিক্ষার ব্যাপক চল ছিল।বিধবা দের খুব যত্ন আত্তি করা হতো। ব্রিটিশরা নিজেরাই এসব বাল্য বিবাহ রোধ,বিধবা বিবাহ চালু করে দেয়।রামমোহন,বিদ্যাসাগর এইসব প্রকল্পে কিঞ্চিৎ বাঁধা দান করা ছাড়া কিছু করেন নি।
চমকাবেন না।এসব যুক্তিধেয়ে এলো বলে।
আমি অবাক হচ্ছি,আপনার বক্তব্য দেখে!! বিদ্যাসাগরের ভূয়সী প্রশংসা কারক দের একজন হলেন,রবীন্দ্র নাথ! সেটাও বিদ্যাসাগর কে বাংলা ভাষা গঠনের পথিকৃৎ হিসাবে।
এবার আসি, বাংলা ও সংস্কৃত নিয়ে আপনার ধন্দের দিকটি ও বিদ্যাসাগর কি করেছিলেন সেই নিয়ে। আপনার মন্তব্যের জন্যই ফুট কাটছি।
আগেই উদ্বৃতি দিয়েছি,বিদ্যাসাগর ছেয়েছিলেন,বাংলা ভাষা গড়ে উঠুক সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষার ভালো টা নিয়ে। তখন কার দিনে অনেক বিধগ্ধ মানুষ সংস্কৃত, ফারসি ইত্যাদি ভাষা জানতেন।যেমন রামমোহন রায়, এই দুই ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।
বিদ্যাসাগর সচেতন ভাবে বাংলা ভাষা কে ফারসি প্রভাব মুক্ত করতে চেয়ে ছিলেন।উনি চেয়েছিলেন বাংলা ভাষা যেন সংস্কৃত ভাষার হাত ধরে চলে।কিন্তু সহজ সরল,সর্বজনগ্রাহ্য হয়।অকারণ মেদ বর্জিত হয়।এই জন্য সংস্কৃত ব্যাকরণে থাকা সত্বেও দ্বিবচন বাংলা থেকে তুলে দিয়ে ছিলেন। নর,নরৌ, নরা র দরকার নেই।দুটি লোক বা লোক দ্বয় বললেই চলবে। শব্ধ রূপ ,ধাতুরুপ ইত্যাদি শক্ত জিনিষ এর ব্যাবহারিক দিক বাংলায় অপ্রয়োজনীয় করে দিয়েছিলেন।
এর ফসল তুললেন,বঙ্কিম,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গুরুর পাঠক গণ ও চোখ কপালে তুলবেন, আপনার মতে, বাংলা ভাষায় বিদ্যাসাগর এর "নৌকা ডুবি" পরিকল্পনা দেখে --))
আপনি বলতেই পারেন,উইলিয়াম জোনস এই ভ্রান্ত পরিকল্পনার জনক !!কিন্তু আপনার মতে সঠিক পরিকল্পনা টি কি হওয়া উচিত ছিলো?
দুই,গান্ধী কে নিয়ে ১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল,এই চার দশক টাইম পেয়েও, স্মিয়ার ক্যাম্পেইন এ পারদর্শী ব্রিটিশরা কেন চুপ করে থাকলো?? হাতে রেসিস্ট কথাবার্তায় ভর্তি চিঠি পত্র থাকা সত্বেও?? আর কি পাওয়ার ছিলো গান্ধীর কাছ থেকে?
সংস্কৃত ভাষাকে বাংলার জননীরূপে কল্পনা করার ভ্রান্ত পরিকল্পনাটির জনক উইলিয়াম জোনস। বিদ্যাসাগর তার সার্থক রূপায়ণ করেন শিক্ষাক্ষেত্রে। এই সংস্কৃতায়নের ফলে বাংলা ভাষা কী কী হারিয়েছিল ও তাকে উদ্ধার করতে রবীন্দ্রনাথকে কী পরিমাণে বেগ পেতে হয়েছিল তা যদি জানতেন; জানতেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লাগাতার বদমাইশির ইতিহাস, তাহলে অন্য কথা বলতেন। যাই হোক, এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে অন্তত ভাটিয়ালিতে আর ভাটানোর ইচ্ছে নেই।
ওই লিঙ্ক এবং লিঙ্কে উল্লিখিত সবকটি বই আমার পড়া। ওতে আমার উল্লিখিত বইটা দেখতে পেলেন কি? সন্তোষ অধিকারী বিদ্যাসাগরের বংশধর। ওখানে শম্ভুচন্দ্র সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা ভুলে ভর্তি। হ্যাঁ, স্কুল করেছিলেন। বাড়িও করেছিলেন। কিন্তু ওই যাকে বলে বাগানবাড়ি তাই। আপনি আরও লিঙ্ক দেখতে থাকুন। আমি পড়তে বসি। কেমন?
সংস্কৃতকে বাংলা শেখার মেরুদণ্ড ভেবেছিলেন বলে বাংলাতে মুগ্ধবোধের মানেবই লিখেছিলেন? অ! মানে তার আগে কেউ সংস্কৃতও শেখেনি এবং পরেও না? আর কেউ তাই বাংলা লিখতে-পড়তে জানতেন না? দারুণ ব্যাপার মোয়ায়! আপনার হবে। বলেছিলাম না কবেই কলম্বিয়ায় কাঁঠাল চাষের সম্ভাবনা থেকে কাঁচড়াপাড়ায় কালোদার দোকানে কফির ঊর্ধ্বমূল্য - সব কিছুতেই আপনি ডক্টরেট!!
*বিদ্যাসাগর
**বাড়ি
***সেখানে
না তার আগে কৌমুদি কী উপকার করল সেটা আপনাকে বলতে হবে।
গান্ধীর কথা ইংরেজরা বলেনি কেন তার উত্তর দিয়ে দিয়েছি।
বিদায়াসাগর কর্মাটাঁড়ে (আসল বানান এইটি) পাকাপাকিভাবে জীবনেও ছিলেন না। বাদুড়বাগানের বারি থেকে সেখী মাঝে মাঝে যেতেন মাত্র।
এলেবেলে,আপনার সঙ্গে কৌমুদি নিয়ে আলোচনা অবান্তর হয়ে যাবে।অন্তত এই আলোচনার প্রেক্ষিতে।b এর মতোন একজন জিগলেন, কৌ মুদি বাংলা ভাষার কি কাজে লাগে?
আপনি বরঞ্চ বলুন,সাহেবরা গত চার দশকে গান্ধীর রেসিস্ট ভাবমূর্তি জনসমক্ষে অানলোনা কেন,উপযুক্ত লিখিত প্রমাণ থাকা সত্বেও?
বিদ্যাসাগর শেষ জীবন কেন কর্মাটরে কাটালেন?আমার উত্তর ছিল নাগরিক ও পারিবারিক জীবনে বিতশ্রদ্ধ হলে।আপনি দ্বিমত পোষণ করে থাকলে ,কেন?
@বুঝভুম্বুল
Oneq Dhonyobaad. Ei boiti hiobe. :-)
@arjun
এটার কথা বলছেন কি?
রবীন্দ্রনাথ ও মোগল সংস্কৃত: কামাল উদ্দিন হোসেন
The University Press Limited (ঢাকা)
তো এসেম সাহাব, ওই কৌমুদি পাঠ্য করে কী লাভ হয়েছিল? এই দেখুন আপনার উত্তরটা আমার জানা। সেটা হচ্ছে - তার ফলে সংস্কৃত শিক্ষার সময় অনেএ এ এ এক কমে গেল। এটাই বলবেন না আপনি?
Rabindra Sangeet niye ekhane jodi keu gobeshona koren tahole ekta tothyo chai.
SHARDA name e ek marathi mohila sombhoboto 30r doshoke 2-3 te Rabindra Sangeet record korechhilen. Shantiniketoner Chhatri chhilen. Tar podobi soho puro nam, kon 3 te gaan record korechhilen? ar tar somporke samanyo holeo kichhu tothyo dorkar.
Laptop kharap tai online asa hocchena ebong ingrejite type korte hocche. Ek Bangladeshi Odhyapok O gobeshok Rabindranath O Mughal Sanskriti ba Rabindra Sahitye Mughal Probhab eirokom name e ekti boi likhechhilen. Rabindra Smriti Puraskar peyechhilo boiti.
Boiti gunijon mohole prosongshito hoechhilo. Kintu boitir sothik O lekhoker nam sondhan koreo khuje pelam na. Mulyobaan boi.
Bongo sanskritite Mughal probhab praii alochito hotei shunini.
ওফ ওদিকে ফেবুতে বিপ্পালকে সামলাচ্ছি তো এদিকে এসেমকে। গুগল আপনাদের রক্ষা করুন। বাকি ইন্দ্রিয়গুলোকে ফেলে দিন। ও ছাতা রেখেই বা কী লাভ?
আরে বাংলা ভাষার সঙ্গে গুলোয় নি।ব্যাকরণ কৌমুদি হলো সংস্কৃত ব্যাকরণ শিক্ষার বই।যেটি বাংলায় লেখা হয়েছিল।কারণ বিদ্যাসাগর ও মনে করতেন সংস্কৃত ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান দৃঢ় হলে, বাংলা ভাষায় ব্যুৎপত্তি বাড়বে।
এটুকু বুঝলেই যথেষ্ট,অন্তত আজকের দিনের জন্য।
দে, আমার মন্তব্যটা আপনাকে উদ্দেশ্য করে ঠিক নয় যদিও তাতে আপনার কিছু শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছি। আমার মন্তব্য তাঁদের জন্য যাঁরা বেসিক (ভালো এবং মন্দ) সম্পর্কে প্রায় কিছু না জেনে পুজোর আসনে বসান 'বড়' মানুষ হিসেবে।
আপনার লাইব্রেরিতে বই হিসেবে থাকলে সম্ভবত ৯০টা খণ্ড থাকার কথা।
এলেবেলে,গান্ধী মারা গেছেন,১৯৪৮ সালে।ভারত স্বাধীনতা পিয়েছে ১৯৪৭ সালে। গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক চোকার পর ও প্রায় চার দশক এপার্থেইড সরকার রাজত্ব করেছে,সাউথ আফ্রিকায়।
কেচ্ছা পেলে ব্রিটিশরা নিজের বাবাকেও ছাড়েনা।অন্যান্য উন্নত ইওরোপীয় দেশ গুলোর ও একই চরিত্র।
গান্ধী সম্পর্কে এমন স্মিয়ার ক্যাম্পেইন এর সুযোগ থাকা সত্বেও তাঁরা ছেড়ে দিয়েছে,বললে পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
দুই, বিদ্যাসাগর কতোটা বাঙালি সমাজ ও নিজ পরিবারের নিকট জন দের কাছে দুঃখ পেয়েছিলে ন পড়ুন।