এলেবেলে বাবু,আপনি হলেন গবেষক মানুষ।আমরা সাধারণ জনতা।ম্যান্ডেলা,লুথার কিং,ওবামা -- এঁরা বার বার গান্ধীজির প্রশংসা করে গেছেন।ওনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েচেন বলেছেন।এনাদের সারা জীবন তা(ওবামা কে ধরছি না) উৎসর্গীকৃত হলো,বর্ন বৈষম্য বাদের বিরুদ্ধে।
তাহলে, কি এঁদের পড়াশোনা কম ছিলো?গান্ধীজি কে নিয়ে এনারা কিছু না জেনে বুঝেই গুরু মানতেন?! এটা নিয়ে প্রশ্ন করাও অযৌক্তিক!!মানে আপনার মুখ খুলে যাবে,তাই!! তো,মুখের অর্গল খুলে কিছু বলুন ই না কেন।জ্ঞান বিতরণ করলে বারে।সব কিছুই স্পোরটিংলী নেবো খন।
একজন গুরুতে লিখেছিলেন,গান্ধীজি দুহাতে দলিত লোকের পুরিষ সাফ করেছেন।যদি সত্যি হয়,কজন এইরূপ উত্তরণের সামিল হতে পারেন? দয়া করে মোদীর উপমা টানবেন না।সেটি আলাদা ব্যাপার।
ও এবারে দক্ষিণ আফ্রিকায় কালোদের হয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি এ দেশে দলিতদের হয়ে আন্দোলন! হে হে হে হে। বললাম আর মুখ খুইলেন না তবুও। আর ম্যান্ডেলা-লুথার কিং-এর গান্ধীবন্দনা ইন্ডিয়ান ওপিনিয়নের লেখাগুলো প্রকাশিত হওয়ার আগে না পরে?
ওগুলো যদি তাঁরা পড়ার সুযোগ পেতেন তাহলে আম্বেদকরের চেয়েও বেশি বিরোধিতা করতেন গান্ধীর। গান্ধী রেসিস্ট এবং কাস্টিস্ট। হিটলারের তবু একটা ছিল, গান্ধীর দুটোই।
সে হতে পারে।আমার মনে হয়েছে,রামকৃষ্ণ,বিবেকানন্দ,রবীন্দ্রনাথ,গান্ধী এঁদের জীবনে কোন দিকটা বেশী আবেদন রাখে।অন্তত আমার মতন কমন মানুষের কাছে।এঁরা সবাই দোষে গুনে মানুষ।কিন্তু,পার্থক্য হলো,একটা স্টেজে গিয়ে,এঁরা গতানুগতিক বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছেন।রবীন্দ্র নাথ এতো পার্সোনাল জীবনে কষ্ট পেয়েও সেটা কে তাঁর সৃষ্টি মূলক কাজে ছড়িয়ে দিয়েছেন।বিবেকানন্দ চরম আর্থিক দুরবস্থা অস্বীকার করে,জীবনের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন। হয়তো কারোর চোখে সিদ্ধার্থ এর মতোন অবিবেচক বা স্বার্থপর মনে হতে পারে।
গান্ধী একজন উচ্চ শিক্ষিত গুজরাটি যুবক।ল পাস করে,বিলেতে প্র্যাকটিস করে কাটাতে পারতেন।নিজের মধ্যে হীনমন্যতা ছিলো।সাদা চামড়ার ওপর দুর্বলতা ছিলো। সাদা দের উন্নত সভ্য জাতি বলে মানতেন।নিজে রেসিজম এর শিকার হয়েছেন। অন্যদের ,বিশেষত নেটিভ কালো দের তীব্র ঘৃণার শিকার হতে দেখেছেন। জুলু দের জীবনেওপর চরম অত্যাচার এর স্বাক্ষী থেকেছেন। মনে পরিবর্তন এসেছে।নন ভায়োলেন্ট মুভমেন্ট করেছেন।
দেশে ফিরেছেন।দলিত দের ওপর ঘৃণা দেখেছেন।দলিত দের হয়ে আন্দোলন করেছেন।ব্রিটিশ দের বিরুদ্ধে করেছেন।
যাই হোক ক্রোধ কে অন্য দিকে চ্যানেলাইজ করেছেন। গতানুগতিক জীবনের ছক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এই দিকটাই আমাকে বিস্মিত করে।
এটাই তো প্রতিপাদ্য। সিদ্ধার্থ বউ আর শিশু পুত্রকে ত্যাগ করে চরম অমানবিক কাজ করেছিলেন।কিন্তু সিদ্ধার্থ তো বুদ্ধ হতে পারতো না। এটুকু বুঝতে পারলেই সমস্যার সমাধান।
রানী লক্ষ্মী বাই শিশু পুত্র কে পিঠে ঝুলিয়ে যুদ্ধ করতে গেছিলো। শিশুটি তো আর যুদ্ধ করছিলো না।যুদ্ধে শিশুটির মৃত্যুর সম্ভাবনা ছিল নিরানব্বই শতাংশ।প্রাসাদে রেখে যুদ্ধ করতে গেলেই পার তো।
তাহলে গান্ধী সম্পর্কে লুথার কিং,ম্যান্ডেলা যেগুলো বলে গেছে;সেগুলো রাবিশ!নাকি এঁরা বিশেষ কিছুই না জেনে,এমন সব মন্তব্য করে গেছেন!!
এসেম আপনি গান্ধী সম্পোক্কে যা যা বলছেন বিশেষত 'সাউথ আফ্রিকায় কালোদের ও এশিয়ান দের অধিকারের জন্য লড়ে গেছেন।শান্তি পূর্ন উপায়ে' তা বিশুদ্ধ উটের পাকস্থলী। মজা কোথায় জানেন? আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে কিছু বললেই আপনারা হাঁ হাঁ করে ওঠেন কারণ ওই ব্যাপারে আপনারা এক্ষপার্ট। কিন্তু ডাক্তাররা পৃথিবীর হেন জিনিস নেই যা নিয়ে দু'পহা দিতে পারেন না। বাদ্দিন, আর মুখ খুইলেন না।
গান্ধীকে ছোট করার জন্য,একদল লোক উঠে পড়ে লেগেছে।গান্ধী,সাউথ আফ্রিকায় কালোদের ও এশিয়ান দের অধিকারের জন্য লড়ে গেছেন।শান্তি পূর্ন উপায়ে।ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন।প্রায় দেড়শো বছর আগের কথা।তখনকার প্রেক্ষিত আলাদা। যারা গান্ধী চরিত্র বিশ্লেষণ করছেন, তাঁরা বিশ্লেষণের নামে নর্দমার পাঁক ঘাঁটছেন খালি।
আর আকা যে লিঙ্ক এখানে সাঁটিয়েছেন, সেই খবরটা মূলত যে বইটাকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে তা-ও আমার গান্ধীর প্রথম পর্বে উল্লিখিত হয়েছে। ওই নিয়ে আরও অনেক লেখাপত্তর ও সাম্প্রতিক গবেষণারও উল্লেখ আছে সেখানে। হায়, আপনারা সেসব পড়েন-টড়েন নি/না? ও তো এক বছর হতে চলল লেখা হয়ে গেছে। আপনাদের কাছে এসব নতুন ঠেকছে নাকি/
অরণ্য, খবরটা দেখেছি এবং একচোট হেসেছি আপনমনে। নাম বদলালেই যদি বর্ণবিদ্বেষ কমে যেত তাহলে হরিজন নাম দিলেই দলিতরা উদ্ধার হয়ে যেতেন! মুশকিল হচ্ছে কেউ কেউ এখনও এই আজব দাবি করেন এবং আপনার মতো প্রাজ্ঞজন আবার সেটাকে লিঙ্ক দিয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কাজটা সেরে ফেলেন।
বুঝলাম আপনি আমার গান্ধী নিয়ে প্রথম পর্বটা হয় পড়েননি কিংবা পচুন্দো হয়নিকো।