কস্তুরী... বিদুষী, রূপসী, মেঘের বুকে বিদ্যুতের মতই তীক্ষ্ণ। কিন্তু, কী রহস্য তার কুহকিনী সৌন্দর্যের আড়ালে? স্বামী মহেন্দ্র নিরুপায় হয়ে এসে দাঁড়াল বাল্যবন্ধু ও প্রাক্তন পুলিশ গোয়েন্দা দুর্লভের সাহায্য চাইতে। দুর্লভ কি পারবে এই আশ্চর্য মায়াবিনীর মনের গহনে ডুব দিতে?
শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রহস্য সিনেমা ভার্টিগোর গল্প অবলম্বনে অদ্রীশ বর্ধন বুনেছিলেন চল্লিশের কলকাতায় এক আশ্চর্য রহস্যজাল। আসুন দুর্লভের হাত ধরে পাড়ি দিই সেই মায়া জগতে, যেখানে জীবন আর মৃত্যুর সীমানা অস্পষ্ট হয়ে যায় কোনো সুদূরের ভালবাসা আর ষড়যন্ত্রের মাঝে।
পাঠক সাবধান, প্রেত প্রেয়সীর প্রেমে পড়ে যাবেন না যেন আবার।
Google Playbooks: https://bit.ly/2Nw0zkm
Kindle Ebooks: http://bit.ly/2Gru2rQ
কালকের ভাটে পড়ুয়া সৈকত আর হুতোর আলোচনা পড়ে ভাল লাগছিল।
পৃথিবীর কোন সংস্কৃতিই কী আর পিওর থাকতে পারে? ভাষা, সংস্কৃতি এসবের ব্যাপারে পিওরিটি আর স্ট্যাগনেশন একই ব্যাপার। আমাদের কলকাতার শহুরে সংস্কৃতির আদি যুগে ঠাকুরবাড়ির অনেক অবদান। টিঁকে গেছে। কলকাতার সংস্কৃতি তো মূলতঃ কলোনিয়ালে দেশজ মিশ্রণ।
যৌবনের অনেক কুকীর্তির মধ্যে ইন্টারনেটের আদি যুগে ইংরিজিতে বাংলা নাগরিক গানের বিবর্তন নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। অনেক পাপকীর্তির মতও এটি দীর্ঘজীবী হয়েছিল - মানে বছর দশেক। আমি দেখাবার চেষ্টা করেছিলাম যে বিংশ শতাব্দীতে কলকাতার পপুলার কালচারে যা খাঁটি বাংলা গান বলে চলে সে আদতে নিধুর কাব্যগীতিতে পশ্চিমী ফোড়ন দিয়ে রান্না। যদিও নিধুর গান আদতে পাঞ্জাবী টপ্পা, তাতে নিধু বাঙালিয়ানা আরোপ করেছিলেন। রবিবাবু নিধুর কাব্যগীতির আইডিয়া নিলেন। কিন্তু নিধুবাবু কি শুধু শোরি মিঞার কাছেই ঋণী? তখন কলকাতা ও বর্ধমানে যে আখড়াই, হাপ-আখড়াই (যার থেকে রাস্তায় বসে 'হাপু' গাওয়া কথা এসেছে), কবিগান, খেউড় (একধরণের গানের জঁরা) চলত - সেগুলো কি নিধুকে প্রভাবিত করেনি?
তো রবিবাবুর একদিকে নিধুবাবু, অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট। নিধুবাবু বলছি বটে, তবে ওইসময়ের গোপাল উড়ে, মোহন বসু প্রমুখরাও রবিবাবুতে আছেন। যথা, গোপাল উড়ের মালিনীর গান "ওই দেখা যায় বাড়ি আমার" সুরের কাঠামোয় রবিবাবু "ঘরেতে ভ্রমর এল" ফেঁদেছিলেন। তো একদিকে এই দেশজ গান, আর অন্য দিকে যদুভট্টর ধ্রুপদ। রবিবাবু সেখান থেকে নিলেন গানের চারতুকের ফর্ম্যাট। আর নিলেন কম্পোজড মিউজিকের ধারণা। অনেকে বলেন পশ্চিমি মিউজিকের সংস্পর্শে এসে রবিবাবু কম্পোজড মিউজিকে নাম লেখান। আমার মনে হয় ধ্রুপদ আর ওয়েস্টার্ন মিউজিক - দুয়েরই হাত ছিল। যদিও আশ্চর্যের ব্যাপার দ্বিজুবাবুও এই দুইয়ে একইরকমভাবে এক্সপোজড হয়ে কম্পোজড মিউজিকে অতখানি খুঁতখুতুনি রাখলেন না। তো এইবার রবিবাবুর গানে দেশজ, ধ্রুপদের সঙ্গে জুটল পশ্চিমি গান।
যাকগে, এ নিয়ে বড় প্রবন্ধ ফাঁদা যায়। কিন্তু যেটা বলার সেটা হল কলকাতার সংস্কৃতি বহু-আঁশলা। এই একই জিনিস দেখান যায় নাটকে। দেশজ যাত্রা, পালাগানের সঙ্গে মিশল কলোনিয়াল থিয়েটার। আমার থিওরি (নেহাত পেপার ল্যাখা হয়নি), হিন্দি ছবি যা বাংলা থিয়েটার থেকে নিউ থিয়াটার্স হয়ে আজকের বলিউড, তার যা সেন্সিবিলিটি সেটা অনেকটা দেশজ পালাগান থেকে নেওয়া। এই যে হিন্দি ছবির হঠাৎ কথা নেই, বার্তা নেই গান গেয়ে ফেলা, ভাল করে ভেবে দেখলে এ একেবারে দেশজ যাত্রার ডিভাইস। সেদিক দিয়ে মানিকবাবু একেবারেই ইউরোপিয়ান, ঋত্বিক কিন্তু থিয়েটারের লোক বলে এই ডিভাইস ব্যবহার করেছেন।
এনিওয়ে, আলোচনাটা ভাল লাগছিল। আজকাল আর এখানে ওরকম আলোচনা দেখিনা বলে দুকথা শুনিয়ে দিলাম।
হুতো, সক্কাল সক্কাল একটা অনুরোধ আপনাকে। বিপ্পালের পলাশির তেরপল জনিত লেখাপত্তরের টইটা একটু খুঁজেপেতে তুলে দিতে পারেন? তাহলে দেখতাম এই গবেষণা উনি কদ্দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন।
আতোজ, মোক্ষম ধরেছেন! বিপ্পালের সে কী তড়পানি!! ওর্ম আর ম্যালিসন ওঁর পুঁজি আর কিছু লিঙ্ক। এবং ম্যালিসন পড়েছেন কি না তাতে জব্বর সন্দো। আমি রজতকান্ত রায় বলতে উনি বললেন ওটা বাঙালির লেখা মনোরম উপন্যাস। এদিকে বইটাই পড়েন্নিকো। জানি না সুশীল চৌধুরীর কথা বললে অজ্ঞান হয়ে যেতেন কি না। এখনও চলছে ধুন্ধুমার লড়াই। আমি আগেই কেটে উঠেছি অবশ্য।
achcha amar lekhatar 2nd part niye swati di kichu bollen nato ! Aninidita di yo toh chup kore roilen....
Ek lohomaa!! aar keu kichu bolllen nato
এসব এখন নিও নর্মাল