আমি নাক সিঁটকানোতে নেই। প্রাচ্য 'বনাম' পাশ্চাত্যে নেই। যার যেটা ভালো সেটা দু-হাত বাড়িয়ে নিতে রাজি আছি। যেমন বাংলা আধুনিক কবিতা বোদলেয়র-এলিয়ট না থাকলে মৃতপ্রায় বা লুপ্ত নদী হত বলে আমার দৃঢ় ধারণা।
বলছেন বটে ঔপনিবেশিকতা খারাপ লাগে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবার একটা থান ইট নামাব এখানে ধারাবাহিকভাবে। তখন দেখব আপনার অবস্থান অনড় থাকছে কি না ঔপনিবেশিকতার বিষয়ে!
মন্ত্রীমশাই মুখে মুখোশ এঁটে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, Dear Migrant Worker and Daily Wage Earners, the country stands with you.
চোওও চুইট
তো, খাঁটি বাংলা দেশজ সাহিত্য বলতে আপনি কী মনে করেন? ছিল নাকি ছিল না? গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ সবই ইংরেজিয়ানার দান। সেটা যে খারাপ, তা বলছি না কিন্তু একবারও। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা দেশজ সাহিত্যকে নীচু চোখে দেখেন। এইটা খুবই খারাপ লাগে। আসলে ঔপনিবেশিকতার আঁশটে গন্ধ আমাদের অনেকের কাছেই চন্দনসম তো, তাই।
মান্যতা না লিখে মান্য (যেমন আকা বলেছেন) অথবা বৈধতা।
অসংখ্য চিহ্ন ওরফে হুতো। ধুত্তোর বলে হরিচরণও খুললাম। তাতে 'মান্যতা' পেলাম বটে কিন্তু তার অর্থ খানিকটা এই রকম। এখন একে আপনি 'মান্যতা' দেবেন কি না সেটা আপনার ব্যাপার।
@চিহ্ন
অরে আপনি তো জায়গাটা ওভার লুক করে যাচ্ছেন , নিজেই চ্যালেঞ্জ করে তারপর উচ্চবোধের দোহাই দেখিয়ে সম্মান বাঁচিয়ে কেটে পড়া গুঁড়া কৃমি নয় বলছেন ?
আতোজ, আসলে আমি কারেন্ট-লোভী এলেবেলে। কী কুক্ষণে গুরুর অ্যাপ নামিয়েছিলাম। তারপর থেকেই আমার পরিচিতি গুরু কেড়ে নিয়েছে। মানবাধিকার হরণ যাকে বলে। ফলে এখন সদাসর্বদা লগিন করা বাধ্যতামূলক। ছবি বিশ্বাসের মতো বলতেও পারছি না ফিরিয়ে দাও আমার বারো বছরের আগের নিক। কারেন্ট শুধু খাই তা-ই নয়, আপনার কাছে বহু কারেন্ট পাওনা আছে।
বাংলা গদ্যের বহু নজির পুরনো দলিল-দস্তাবেজ ও চিঠিতে আছে। সেটাকে ইউরোপীয় ছাঁদে ঢালাই করা হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের কারখানায়। রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার পেরিয়ে রামমোহন-বিদ্যাসাগরে তা থিতু হয়। বাংলা ভাষা থেকে আরবি-ফারসি ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়। তার জন্য সবচেয়ে ভুগেছেন রবীন্দ্রনাথ নিজে, যিনি চিঠিতে চলিত লিখলেও সাহিত্যে তা ব্যবহার করার সাহস অর্জন করেছেন অনেক পরে। এ ব্যাপারে বাপের ব্যাটা হচ্ছেন বিবেকানন্দ। তাঁর 'প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য' কেবলমাত্র বাংলা গদ্যের কী জোর হতে পারত সেটা জানার জন্য দশবারও পড়া যায়।
৮০ বছরের বৃদ্ধ খেঁজুর গাছ থেকে পড়ে মাথা ফাটিয়ে নিউরোসার্জনের কাছে গেলেন।
ডা: রোগীকে দেখে ক্রিমির ঔষধ লিখে বিদায় করলেন।
কিছুক্ষন পর তুমুল আক্রমণাত্মক রোগীর লোকজন ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকেই বললেন, অই ডাক্তার, খেঁজুর গাছ থেকে পইড়া মাথা ফাটাইলে কেউ ক্রিমির ঔষধ দেয়, ফাইজলামি?
ডাঃ বললেন, দেখেন প্রতিটা রোগের মূল হতে চিকিৎসা করতে হয়। গুড়াক্রিমিতে না কুটকুটাইলে ৮০ বছর বয়সে কেউ খেঁজুর গাছে উঠে!!!!
কথা হচ্ছে এই যে তর্কবাগীশ স্বনামধন্য গুরুলেখক , যিনি দাবি করেন যে উচ্চ রাজনৈতিক বোধ সম্পন্ন বিরোধী ছাড়া তর্ক করেন না , তাঁর ও কি গুঁড়াকৃমি র ওষুধ লাগবে ?
এতো তক্কো করেন বাড়িতে জানে ?