তবে ২০৫০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক মানচিত্র বদলাবে।
ব্যস। কুলুপ আঁটলাম।
ক্ষমতার বিকেল্দ্রীকরণ হলে ভারতের মত একটা অসমসত্ব জনজাতিপূর্ণ দেশকে একটা একক দেশ হিসেবে ধরে রাখা মুশকিল। অনেক ক্ষোভ জমে আছে নানান অঞ্চলে। দেশটা বেশ কয়েকটা ভাগে ভেঙে যাবার সম্ভাবনা। সেটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকার চাইবে না। বিকেন্দ্রীকরণ হলে স্থানীয় ক্ষমতা বাড়বে। তাদের মধ্যে জমে থাকা অসন্তোষ থেকে আলাদা হতে চাইতেই পারে। হিন্দি ভাষা নিয়ে যে ক্ষমতার রাজনীতি হয়েছে সেটা থেকেই বহু জনজাতি অসন্তুষ্ট। চেহারা নিয়েও প্রচুর অসাম্য।
যাইহোক, এ নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই।
আগের লেখাগুলোয় লিখলাম তো।
এক একটা নিউক্লিয় শক্তি নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা কেন্দ্র ডিকমিশন করতে*
শুধু বিজেপি কেন? যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারই বিকেন্দ্রীকরণে ভয় পাবে। দেশটা স্কেল দিয়ে লাইন টেনে ভাগ করা নয়, আবারও বলছি এটা নিউক্লিয় শক্তি সম্পন্ন দেশ, আজ নর্থ ইস্ট যদি বেরিয়ে যেতে চায় তখন অরুণাচলের কী হবে? ডি ইন্সটল করা অত সহজ নয়, শুধু টেকনিক্যালি নয়, সিকিওরিটির প্রশ্ন আছে। এতে বিজেপি কি কমগ্রেস কি অন্য কোনও দল রাজি হবে না। এক একটা নিউক্লিয় শক্তি নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা করতে পাখির ছানা বেরিয়ে যাবে।
শুধু অর্থনীতি নয়, রণনীতিও আছে। সেটা অত সহজ নয়।
বামপন্থী রাজনীতি দূর্বল হয়ে পড়ার একটা বড় কারণ উচ্চাকাঙ্ক্ষী মধ্যবিত্ত ক্লাসের জন্ম, যারা ভার্চুয়ালি একটা উচ্চবিত্ত জীবনের স্বাদ পাচ্ছে এবং ইনসিকিওর হয়ে নিম্নবিত্তের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছে। এরা উপভোক্তা হিসেবে বাজার ও রাজনীতির অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে। ভারতীয় রাজনীতি চিরকালই করাপ্ট ছিল কিন্তু এটলিস্ট কৃষক-মজুরদের ইস্যুগুলো আলোচনার ফোকাসে থাকত। যেকোন দল জানত উন্নয়নের মিথ্যে প্রতিশ্রুতিটাও নিম্নবর্গকে কেন্দ্র করে দিতে হবে। এই বটম-আপ এপ্রোচটা এখন টপ-ডাউন হয়ে গেছে। আদর্শবাদী সমাধান দিয়ে লাভ নেই। এই মধ্যবিত্তকে কিভাবে বামরাজনীতি একোমোডেট করবে সেইটে হচ্ছে কঠিন সংকটের জায়গা। এই জায়গাটা নিয়ে প্রচুর ভাবনাচিন্তা করা দরকার। দল হিসেবে সিপিএম-তিনোমুল-বিজেপি নিয়ে তর্ক করে কোন লাভ নেই। বিভিন্ন সময়ে বামপন্থী দলের দক্ষিণপন্থী আচরণ করতে আটকায়নি। আর সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নটাও এর সঙ্গে যুক্ত। উচ্চাকাঙ্ক্ষী মধ্যবিত্ত ভাবছে দেশটা যে আম্রিগা হল না, এর দায় কার? আর নিম্নবিত্তের সামনে কোন অপশনই নেই। ক্লাস আইডেন্টিটিটা রাজনীতিতে যখন গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে, তখন এরকমই হয়। এর সঙ্গে আছে পার্টিশনের ট্রমা যা উপমহাদেশের তিনটে দেশকেই ভূতের মত তাড়া করে বেড়াচ্ছে। উন্ডেড সিভিলাইজেশন। এই তিনটে দেশের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই এবং একমাত্র তখনই সাম্প্রদায়িকতাকে মোকাবিলা করা যাবে। পুরো সমস্যাটা ভীষণ জটিল। হ্যাঁ, ভোটের সময় নিশ্চয় বিজেপির বিরুদ্ধে লেসার ইভিল চয়েস করার গুরুত্ব আছে। কিন্তু আইডিওলজিক্যাল স্পেসে সেটা সমস্যার সমাধান নয়। অ্যানালিসিস করার সময় জনগণ সাম্প্রদায়িক এটা স্রেফ ইন্টেলেকচুয়াল লেজিনেস। পৃথিবীর যেকোন জায়গায় সাম্প্রদায়িকতা একটা সিম্পটম, ভারতেও তাই। রোগটা অনেক গভীরে।
Dipanjan | 172.68.132.176 | ২৫ এপ্রিল ২০২০ ০০:৩১
না। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব নয় ভারতে। ভারত নিউক্লিয়ার পাওয়ার। সেই নিউক্লিয় শক্তি যা প্রতিরক্ষার জন্য ইন্সটলড তা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে। অরুণাচলে, রাজস্থানে, কর্ণাটকে, ইত্যাদি পাঁচ ছটি জায়গায়। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হলে দেশটার ভেঙে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তখন নিউক্লিয় প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলো ডিইন্সটল করা সহজ হবে না।
যেচে বাঁশ নিস না
না। চাই নেকো। "এই বেশ ভালো আছি!!" :))
" সকল ই তোমার ইচ্ছা ইছাময়ী তারা তুমি, তোমার কর্ম তুমি করো মা লোকে বলে করি আমি"
দেখতে চাস?
না । মোবাইল থেকে ।
তুই কি কম্পিউটার থেকে দেখছিস?
আরে আমি কোন আড দেখতে পাচ্ছি না ।