না না, কথা শোনা বাধ্য বাচ্চা কেউ নয়। এখানকার মত করে নিয়ম ভাঙার প্রবণতা ভালমতই আছে। আর এখানে বাচ্চাদের রাইট এতটাই বেশি, যে বড়রা একটা লেভেলের বেশি ওপিনিয়ন চাপাতে পারে না। কেস খেয়ে যাবে সেরকম হলে।
এর মধ্যে শুনলাম এক খ্রীষ্টান সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনা নিয়ে প্রেয়ার কনফারেন্স করবে প্রায় ১৫০০ ভক্ত নিয়ে। সরকারের ৫০০ জনের ওপর গ্যাদারিং নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে বলে বাবুরা তিনটে স্লটে ভাগ করে করবে, এমন বদের বাসা।
প্রথম বিশ্বের সমস্যাগুলো অদ্ভুত। পরশু একটা বিতর্ক পড়ছিলাম একটা সুইডিশ অনলাইন পোর্টালে। একটা স্কি রিসর্টে অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে চেয়ার লিফট, যেগুলোতে একসাথে ঠাসাঠাসি করে ৮ জন বসতে পারে, সেখানে করোনার কারণে ৮ জনকে বসতে দেওয়া হবে না। সেফ দূরত্ব বজায় রাখতে চারজনকে বসতে দেওয়া হবে। তাতে একদল লোক বিতর্ক তুলেছে যে এতে করে যে কিউ তৈরী হবে লিফটে ওঠার, সেখানে তো অনেক বেশি ভিড় তৈরী হবে। সেটাকি করোনার জন্য খুব সেফ হবে?
আমি হাসব না কাঁদব ভেবে পাই না। এতকিছুর মধ্যেও স্কি টা করতেই হবে। ওটা যেন খাওয়া, ঘুমের মতই অপরিহার্য। ওটাকে ধ্রুব সত্য ধরে নিয়ে তারপর বাকি বিতর্ক।