বন্ধু অধ্যাপক অর্জুনদেব সেনশর্মার দেওয়ালে লেখাটা দেখে এখানে চিপকে দেওয়ার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। আবার রাতের দিকে আসতে পারি। মাধ্যমিকের খাতা আছে, বেজায় চাপ জীবনে!
*************************
দেখলাম রবীন্দ্রভারতীতে একটা কবোষ্ণ সাংস্কৃতিক রিভ্যাইভাল হচ্ছে৷ যারা দায়িত্বে আছেন তাদের মূল পাণ্ডা তৃণমূল যখন এল তখন অটো চালাতেন সিঁথি দমদম রুটে।
অটো একটি রজনীকান্ত টাইপের যান। যার হাতে অটোর গিয়ার সে বহুদূর যেতে পারে। উল্টোডাঙা থেকে কইখালি পর্যন্ত যেতে পারে। তৃণমূল ছাত্র যুব নেতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার হতে পারে। এই মূল পাণ্ডা বাপ্পা তা করে দেখিয়েছে। বাপ্পার ঝুলিতে অনেক রেকর্ড। যেমনঃ
~শ্লীলতাহানির অভিযোগে হাজতবাস।
~ইউনিভার্সিটি চলাকালে মদের বোতল হাতে খালি গায়ে উদোম নাচ।
~রেজিস্ট্রেশান করতে মানুষের যে সময় লাগে সেই সময়ও খরচ না করে পিএইচডি অর্জন।
~সব্যসাচী স্যারের থেকে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার খেতাব নেওয়া।
~বাগান করা, ধমক চমক, বাইকবাজি!
এই বাপ্পারাজে সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ প্রসন্নই হয়েছেন। কেননা তিনি শালীনতার পক্ষে।
এইসব কিছুই পরের মুখের ঝাল খাওয়া না। আমি বাপ্পার অটোয় চড়েছি। বাপ্পাকে ধমকাতেও দেখেছি। কারণ আমি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শিখতে যেতাম। পরবর্তী কালে কাজের সূত্রে এই ঘটনাপরম্পরার দু' একটি নিউজ হেডলাইনও করতে হয়েছে। সে কথায় পরে আসছি। রবীন্দ্রভারতীতে পড়তে গিয়ে দেখেছি, ছাত্রী কী জামাকাপড় পরবে তাই নিয়ে শিক্ষক বারবার কথা বলছেন। তখনও রবীন্দ্রনাথের কোনও ক্ষতি হয়নি কেননা তিনি শালীনতার পক্ষে।
২০১৯ সালে রবীন্দ্রভারতীতে গণ ইস্তফার একটি ঘটনা ঘটে। কাজের সুবাদে কথা চালিয়ে জানতে পারি সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক সরস্বতী কারটেকাকে তিন ঘণ্টা আটকে রেখেছে বাপ্পা ব্রিগেড। জাত তুলে অপমান করে হয়েছে। ভূগোলের অধ্যাপক বিন্দি রাইয়ের গায়ের রং নিয়েও তুমুল বাহাস চলে। তৃণমূলের বড় মাথারা আসরে নেমে ড্যামেজ কন্ট্রোল করে।
এইসবের কিছুতেই রবীন্দ্রনাথ এতটুকুও ক্ষতিগ্রস্ত হননি। কেউ এগিয়েও আসেনি রবীন্দ্রনাথের জোব্বা বাঁচাতে। হলেন রোদ্দুরের টিটকিরি লোকে গায়ে তোলায়। এতই ক্ষতি যে গেস্টাপোর আশ্রয় নিতে হয়েছে। মিলিটারি দেশ মিলিটারি বাপ্পা মিলিটারি রবীন্দ্রনাথ মিলিটারি শিক্ষা। বিদূষণ রুখতেই হবে। এবং পাল্টা খোল দ্বার খোলফোল হচ্ছে দেখলাম।
এইখানে পুরো ইতিহাসটাই লিখে রাখলাম। বহিরাগত নই। বাল ছিঁড়তেও ইউনিভার্সিটি যাইনি। নিজের বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছি৷ কাজ মিটে যাওয়ার পর কখনও ক্যাম্পাসেও যাইনি। কাজেই রাবীন্দ্রিক বাপ্পা ও অতিরাবীন্দ্রিক কালচারকাকুদের জন্যে ওই, চাররাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আমি যা করার কথা ভাবছি।
ঠাকুর বাড়ির কিছু সদস্য, সদস্যাকে দেখাতে পারলে খুশী হতাম যে তাদের সম্পর্কে এখানকার লোকজন কি ভাবেন!
ভাবছি ওয়াটসঅ্যাপ করে দিই।
কেউ কেউ এখানে আছে জনিজস্ব কিছু বলার থাকেনা। চাপচিকে, ব্যাঙাচি জানিনা। হঠাৎ হাঁচি দিয়ে চলে যায়।
কিছু শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ গারগেলের মত শোনায় ! দিনকাল খুব খারাপ।
Corona virus এই ভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ।