এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • তুমি আর নেই সে তুমি...

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১২৩ বার পঠিত
  • তুমি আর নেই সে তুমি….

    শিরোনামের বক্তব্যের অনুরণনে বলি – হায় ! তুমি আর নেই সে তুমি…। পরিবর্তন বা সহজ কথায় যাকে আমরা বলি বদলে যাওয়া, তা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এই সত্যকে মেনে নিতে কারোর আপত্তি নেই। “ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল!” ব্যাপারটা অনেকটাই হয়তো এই রকম। আর হেঁয়ালি নয়। বিষয়টি না হয় একটু খুলে বলি।

    মনে করুন আপনি দাঁড়িয়ে আছেন ভারতের মানচিত্রের সামনে। আপনাকে বলা হয়েছে ভারতের কোথায় মরুভূমি আছে? মনে মনে আপনি মরুভূমির নামটা একান্তে আওড়াতে আওড়াতে হাজির হলেন পশ্চিম দিকে অনেকটা এলাকা জুড়ে থাকা রাজস্থানে। পৌঁছে গেছেন মরুভূমির হৃদয় জুড়ে থাকা জয়সলমীর–সোনার কেল্লার দেশ। কি! খটকা লাগছে? মরুভূমির বুকে এডভেঞ্চারের ইচ্ছের গুড়ে বালি? চারিদিকে সবুজ শ্যামল গাছগাছালির সমারোহ দেখে নিজের মনেই হয়তো গেয়ে উঠলেন – তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার হরিৎ মরুই চাই। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে যখন চারিদিকে হুলস্থুল পড়ে গেছে, তখন প্রায় নীরবেই ঘটতে চলেছে এমন আশ্চর্য রূপান্তর। ইঙ্গিত অবশ্য পাচ্ছিলাম বেশ কয়েকটি ঘটনার সূত্র ধরে, তবে তাকে এভাবে প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতাটা যে একদমই আলাদা তা বোধহয় বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বিগত দুই দশকের মধ্যে রাজস্থানের থর মরুভূমির প্রায় ৩৮ শতাংশ এলাকায় নতুন করে সবুজের সমারোহ বৃদ্ধি পেয়েছে। গাছের বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হতে যে তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানের উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজনীয় তা হলো আলো, বাতাস এবং জল। রাজস্থানে প্রথম দুটি উপাচারের জোগানে ঘাটতি নেই, অভাব খালি পরিমিত জলের। কিম্ আশ্চর্যম্ ! পেছনে ফেলে আসা কয়েকটি বছরে রাজস্থানে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উল্লেখনীয় ভাবে বেড়ে গেছে ফলে একদিকে যেমন বেড়েছে চাষাবাদের পরিমাণ, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাছগাছালির জটলা। বর্ষায় বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে জলবায়ুর পালাবদলের ভূমিকা থাকলেও এই পট পরিবর্তনের নেপথ্যে মানুষের ভূমিকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টির কারণে কোনো এলাকার জলের পৃষ্ঠীয় ও ভৌম জলস্তর পরিপুষ্ট হয়ে ওঠে। এরফলে কৃষির সম্ভাবনা বেড়ে যাবার সাথে সাথে ঘুমিয়ে থাকা বীজেরা ঊষর মাটির আস্তরণ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। গবেষকরা এমন‌ই অভিমত ব্যক্ত করেছেন, “Greening of the Thar Desert driven by climate change and human interventions”- শীর্ষক রিপোর্টে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে যে বার্ষিক গড়পড়তা জলের ৫৫% চাহিদা ভৌম জলভাণ্ডার থেকে এবং বাকি ৪৫% বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে পরিপূরিত হয়। ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানের ফলে জানা গেছে যে অপ্রত্যাশিত ভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণে বৃদ্ধি ঘটায় রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলের আর্থ সামাজিক পরিবেশ অনেক বদলে যাবার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। বৃষ্টি বাড়ায় বেড়েছে কৃষির সম্ভাবনা, কমেছে জলের জোগানের অনিশ্চয়তা, বাড়ছে জনসম্পদের বসতি, গাছপালা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে কৃষির পাশাপাশি অন্যান্য জীবিকার সুযোগ।

    ভারতের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু সেই অর্থে মানবিক ক্রিয়াকলাপের পক্ষে মোটেই উপযোগী নয়। এই অংশে জনবসতির ঘনত্ব দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক কম। রাজস্থানের পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট এবং প্রতিবেশী পাকিস্তানের দক্ষিণ পূর্ব ভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাতের স্বল্পতার কারণে জলবায়ু মরু দেশীয়। দীর্ঘ দুই দশক ধরে পৃথিবীর ১৪ টি প্রধান মরুভূমির ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে থর মরুভূমিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বাধিক। প্রতিকুলতার মাত্রা খানিকটা লাঘব হতেই কি এমন পরিবর্তন? এই সুযোগে রাজস্থানে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের বদলে যাবার রকমসকম নিয়ে কিছু খোঁজখবর নেওয়া যাক্।

    গত বছরের কথাই বলি। ইদানিং ভারতের মৌসুমী বৃষ্টিপাতের খামখেয়ালিপনার কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমাদের রাজ্যের উত্তর ভাগের জেলাগুলোতে যখন বন্যার প্রকোপ, ঠিক তখনই দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলো বৃষ্টিপাতের অভাবে খরা পরিস্থিতির শিকার। এই যখন দেশের আর্দ্র পূর্ব ভাগের অবস্থা তখন রাজস্থানে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪০% বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এহ বাহ্য। রাজ্যের একদম পশ্চিম প্রান্তীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় ৫৮% বেশি হয়েছে। প্রবল বন্যার কারণে জলবন্দি হয়ে যায় বহুসংখ্যক মানুষ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে উদ্ধার করেন বহু মানুষকে। এই অতিরিক্ত বৃষ্টির জল মাটির ফাঁকফোকর দিয়ে গভীরে পৌঁছে গিয়ে ভৌম জল ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে,যার প্রতিফলন ঘটেছে আজকের রাজস্থানের নব কলেবর ধারনের মধ্য দিয়ে।

    উষ্ণায়নের ফলে বৃষ্টিপাতের এমন প্রবল অনিয়মিতি একদিকে যেমন অস্বস্তিতে ফেলেছে বহুসংখ্যক মানুষের জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রগুলোকে, তেমনই শাপে বর হয়েছে রাজস্থানের মরুভূমির মানুষের কাছে।

    এমন দ্বৈততার ঘটনাটিকে নিয়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার কাজে যুক্ত মানুষেরাও যে কম বিব্রত তা নয়। তাঁরা এই বিষয়টিকে অভিহিত করেছেন - “opposing effects of climate change” বা “জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীত প্রভাব” হিসেবে। এই পরিবর্তনের প্রতিফলন কেবলমাত্র রাজস্থানের মরুভূমির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং বলা যায় যেখানে যেখানে বৃষ্টিপাতের এমন অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে সেখানেও একই ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ অবশ্যই সাহারা মরুভূমির বিস্তির্ণ অংশ, যেখানে তুষারপাতের মতো বিরল ঘটনাও ঘটেছে। লালমোহন বাবু এসব ঘটনা আগাম আঁচ করতে পেরেই বোধহয় সাহারায় শিহরণ- এর মতো গপ্পো লেখার ছক কষেছিলেন। সত্যিই শিহরিত হবার মতোই ঘটনা!

    রাজস্থানের মরুভূমির সাবেকি চরিত্রের পরিবর্তন ঘটেছে দ্রুতগতিতে বদলে যাওয়া বৃষ্টিপাতের হাত ধরে। মৌসুমী বর্ষণের অনিয়মিতি এর মূল কারণ তা বোধহয় সবাই বুঝতে পারছি। বৃষ্টির কারণে উঠে আসা ভৌমজলস্তর রাজ্যের কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে অনেকাংশে। জলের ভাণ্ডার আগের তুলনায় মজবুত হ‌ওয়ায় সরকার সেচের সুযোগ সম্প্রসারণের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাড়ছে শীতকালীন রবিখন্দের ফসলের চাষ। শুখা মরশুমে পাম্পের সাহায্যে তুলে আনা জল ব্যবহার করা হচ্ছে সেচের জন্য। জলবায়ুর বিরূপতা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দিলেও মানুষের কর্মপ্রয়াসের সূত্রে সৃষ্টি হয়েছে নতুন আশাবাদী যাপন।

    মরশুমি জলের জোগানের অনিশ্চয়তা সেচের সাহায্যে অনেকটাই মিটেছে বটে তবে এর থেকে‌ই কৃষি বিজ্ঞানীদের মনে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে অন্য এক আশঙ্কা – ভৌম জলস্তর বিপদজ্জনক ভাবে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা। তাঁদের মতে প্রাচুর্যের সময় আনন্দে আত্মহারা হয়ে বেহিসেবী হয়ে যথেচ্ছভাবে মাটির নিচের জল তুলে নিলে শুখা মরশুমে আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে জলের জন্য প্রার্থনা করতে হবে। কৃষি গবেষকেরা জানিয়েছেন যে থর মরুভূমিতে বৃষ্টির কারণে জলের সঞ্চয় মাত্রা এবং অন্যদিকে ফসলের চাহিদা মেটাতে গিয়ে জলের উত্তোলনের হারের মধ্যে ব্যাপক অসঙ্গতি দেখা গেছে। বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তনীয়। এই অসমতা কখনও কাম্য নয়। মরুস্থলীর উত্তর মধ্যভাগের বিস্তির্ণ অংশে বসবাসকারী মানুষ ইদারার জলের ওপর নির্ভরশীল। অনিয়ন্ত্রিতভাবে সেচের জন্য ভৌমজল উত্তোলনের ফলে ভবিষ্যতে এইসব আবাসিকদের জল কষ্টের সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

    জীবনে সমৃদ্ধি এলে জীবনের চেনা পটভূমিটাই বদলে যায়। রাজস্থানে এখন নতুন করে শুরু হয়েছে নগরায়ন পর্ব। ১৯৮৫ – ২০২০ সালের অন্তর্বর্তী প্রায় সাড়ে তিন দশক সময়ে থর মরুভূমিকে ঘিরে থাকা বসতি এলাকাগুলোতে নাগরিক মানুষের ভিড় বাড়ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। সাধারণ ভাবে ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার ৫০% হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে তা ৮০০% র মতো। আরবের মরুভূমি ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো মরুভূমির জনসংখ্যা এভাবে বাড়েনি।

    এমন নাগরিক জন বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে জলের সুনিশ্চিত জোগান, সেচের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক উৎপাদনশীল কৃষির প্রসার, অধিবাসীদের আর্থিক আয়ের বৃদ্ধি, সমৃদ্ধ আয়েশি জীবন যাপনের হাতছানি এবং অবশ্যই সুলভমূল্যে উপলব্ধ জমি – এইসব বিষয় নগরায়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে এই প্রবণতা নিছক সাম্প্রতিক এমন মনে করার কোনো সুযোগ নেই। কেননা হালফিলের অতি বৃষ্টির ফলে ভৌমজলের ব্যবহার বাড়লেও গত শতকের ৮০’ র দশকে সেচন কৃষির উন্নয়নে ইন্দিরা নহর প্রকল্পের রূপায়ণ এই অঞ্চলে জন বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কাজ করেছে। এই সময়ের উন্নতি সেই ব্যবস্থার‌ই পরিপূরক।

    রাজস্থান আজ এক সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে। আসলে কয়েক বছরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ফলেই এই মরু রাজ্যের প্রথাগত জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে অভাবনীয় রদবদল ঘটেছে তা বোধহয় বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আগামী দিনেও বৃষ্টিপাতের এমন ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই বদলে যাওয়াটাই যদি নব্য স্বাভাবিকতা হয়ে ওঠে তাহলে রাজস্থানের মানুষজনকে বহতা টেকস‌ই উন্নয়নের নতুন পথে হাঁটতে হবে। কৃষি ও নগরায়নের দুই ধারার মধ্যে যথাযথ সমন্বয় সাধন করে কীভাবে ভারতের এই বৃহত্তম রাজ্যটি নতুন পথের পথিক হয়ে উঠবে ভবিষ্যতে সেইদিকে নজর থাকবে সকলের।

    তথ্যসূত্র
    ডাউন টু আর্থ পত্রিকা

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1070:8f0c:8000::***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:১২734108
  • বেশ বেশ ! আগে মরুভূমি দেখতে যেতাম ,এবার পাল্টে যাওয়া মরুভূমি দেখতে যেতে হবে। 
    একবছর আগের সফরে গাছপালা ভালই চোখে পড়েছিল ভেবেছিলাম ইন্দিরা খালের দৌলতে। বৃষ্টির খবর জানা ছিল না 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৫০734219
  • সৌমেন বাবুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেকটা একা কুম্ভ হয়ে পরিবেশের দুর্গ আগলে রাখার জন্য । রাজস্থানের জলবায়ুর এই পরিবর্তন আগামী দিনে গোটা দেশের জলবায়ুর ওপর গভীর ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। লাগামছাড়া বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তর, উত্তর পশ্চিম ভারতের অনেক অনেক ভারসাম্য‌ই বদলে যাবে। দূর থেকে সেইসব ঘটনাকে নজরে রাখা ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই ।
    ভালো থাকবেন সবসময়।
     
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন