এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  কাব্য

  • নানা সময়ে ভালো লাগা কবিতার ঝুলি 

    &/
    কাব্য | ১৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৯৮ বার পঠিত
  • এখানে তুলে তুলে রাখতে চাই কবিতাদের 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:২২745608
  • ‘কোনটা যে চন্দ্রমল্লিকার ফুল
    আর কোনটা যে সূর্যমুখী –
    বারবার দেখেও
    আমার ভুল হয়ে যায়,
    আমি আলাদা করতে পারি না৷
    ওলকপি এবং শালগম,
    মৃগেলের বাচ্চা এবং বাটামাছ,
    মানুষ এবং মানুষের মত মানুষ –
    বারবার দেখেও
    আমার ভুল হয়ে যায়,
    আমি আলাদা করতে পারি না৷
    বই এবং পড়ার মত বই,
    স্বপ্ন এবং দেখার মত স্বপ্ন,
    কবিতা এবং কবিতার মত কবিতা,
    বারবার দেখেও
    আমার ভুল হয়ে যায়,
    আমি আলাদা করতে পারি না৷’

    - তারাপদ রায় ( ভুল)
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:২৮745609
  • কুড়ি বছর পরে
    — জীবনানন্দ দাশ

    আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি!
    আবার বছর কুড়ি পরে—
    হয়তো ধানের ছড়ার পাশে
    কার্তিকের মাসে—
    তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে— তখন হলুদ নদী
    নরম-নরম হয় শর কাশ হোগলায়— মাঠের ভিতরে।

    অথবা নাইকো ধান খেতে আর;
    ব্যস্ততা নাইকো আর,
    হাঁসের নীড়ের থেকে খড়
    পাখির নীড়ের থেকে খড়
    ছড়াতেছে; মনিয়ার ঘরে রাত, শীত আর শিশিরের
    জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার—
    তখন হঠাৎ যদি মেঠে পথে পাই আমি তোমারে আবার!

    হয়তো এসেছে চাঁদ মাঝরাতে একরাশ পাতার পিছনে
    সরু-সরু কালো-কালো ডালপালা মুখে নিয়ে তার,
    শিরীষের অথবা জামের,
    ঝাউয়ের— আমের;
    কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে!
    জীবন গিয়েছে চ’লে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার—
    তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!

    তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে—
    বাবলার গলির অন্ধকারে
    অশথের জানালার ফাঁকে
    কোথায় লুকায় আপনাকে!
    চোখের পাতার মতো নেমে চুপি কোথায় চিলের ডানা থামে—

    সোনালি-সোনালি চিল— শিশির শিকার ক’রে নিয়ে গেছে তারে—
    কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে! 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:৩২745610
  • নির্জন স্বাক্ষর
    - জীবনানন্দ দাশ
    তুমি তা জানো না কিছু—না জানিলে,
    আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে;
    যখন ঝরিয়া যাবো হেমন্তের ঝড়ে’—
    পথের পাতার মতো তুমিও তখন
    আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে?
    অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
    সেদিন তোমার!
    তোমার এ জীবনের ধার
    ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল?
    আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
    তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই;
    শুধু তার স্বাদ
    তোমারে কি শান্তি দেবে;
    আমি ঝ’রে যাবো–তবু জীবন অগাধ
    তোমারে রাখিবে ধ’রে সেইদিন পৃথিবীর ’পরে,
    —আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।
    রয়েছি সবুজ মাঠে—ঘাসে—
    আকাশ ছডায়ে আছে নীল হ’য়ে আকাশে-আকাশে;
    জীবনের রং তবু ফলানো কি হয়
    এই সব ছুঁয়ে ছেনে’;—সে এক বিস্ময়
    পৃথিবীতে নাই তাহা—আকাশেও নাই তার স্থল,
    চেনে নাই তারে ওই সমুদ্রের জল;
    রাতে-রাতে হেঁটে-হেঁটে নক্ষত্রের সনে
    তারে আমি পাই নাই; কোনো এক মানুষীর মনে
    কোনো এক মানুষের তরে
    যে-জিনিস বেঁচে থাকে হৃদয়ের গভীর গহ্বরে
    নক্ষত্রের চেয়ে আরো নিঃশব্দ আসনে
    কোনো এক মানুষের তরে এক মানুষীর মনে।
    একবার কথা ক’য়ে দেশ আর দিকের দেবতা
    বোবা হয়ে পড়ে থাকে—ভুলে যায় কথা;
    যে-আগুন উঠেছিলো তাদের চোখের তলে জ্ব'লে
    নিভে যায়—ডুবে যায়—তারা যায় স্খ’লে।
    নতুন আকাঙ্ক্ষা আসে—চ’লে আসে নতুন সময়—
    পুরানো সে-নক্ষত্রের দিন শেষ হয়
    নতুনেরা আসিতেছে ব’লে;
    আমার বুকের থেকে তবুও কি পড়িয়াছে স্খ’লে
    কোনো এক মানুষীর তরে
    যেই প্রেম জ্বালায়েছি পুরোহিত হয়ে তার বুকের উপরে।
    আমি সেই পুরোহিত—সেই পুরোহিত।
    যে-নক্ষত্র ম’রে যায়, তাহার বুকের শীত
    লাগিতেছে আমার শরীরে—
    যেই তারা জেগে আছে, তার দিকে ফিরে
    তুমি আছো জেগে—
    যে-আকাশ জ্বলিতেছে, তার মতো মনের আবেগে
    জেগে আছো;
    জানিয়াছো তুমি এক নিশ্চয়তা—হয়েছো নিশ্চয়।
    হ’য়ে যায় আকাশের তলে কতো আলো—কতো আগুনের ক্ষয়;
    কতোবার বর্তমান হ’য়ে গেছে ব্যথিত অতীত—
    তবুও তোমার বুকে লাগে নাই শীত
    যে-নক্ষত্র ঝ’রে যায় তার।
    যে-পৃথিবী জেগে আছে, তার ঘাস—আকাশ তোমার।
    জীবনের স্বাদ ল’য়ে জেগে আছো, তবুও মৃত্যুর ব্যথা দিতে
    পারো তুমি;
    তোমার আকাশে তুমি উষ্ণ হ’য়ে আছো—তবু—
    বাহিরের আকাশের শীতে
    নক্ষত্রের হইতেছে ক্ষয়,
    নক্ষত্রের মতন হৃদয়
    পড়িতেছে ঝ’রে—
    ক্লান্ত হ’য়ে—শিশিরের মতো শব্দ ক’রে।
    জানোনাকো তুমি তার স্বাদ—
    তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ,
    জীবন অগাধ।
    হেমন্তের ঝড়ে আমি ঝরিব যখন
    পথের পাতার মতো তুমিও তখন
    আমার বুকের ’পরে শুয়ে রবে? অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
    সেদিন তোমার।
    তোমার আকাশ—আলো—জীবনের ধার
    ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল?
    আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল
    তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই, শুধু তার স্বাদ
    তোমারে কি শান্তি দেবে।
    আমি চ’লে যাবো—তবু জীবন অগাধ
    তোমারে রাখিবে ধ’রে সেইদিন পৃথিবীর ’পরে;
    আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।
  • শ্রীমল্লার | ১৯ আগস্ট ২০২৫ ১৫:২৪745619
  • "তখন হঠাৎ যদি মেঠে পথে পাই আমি তোমারে আবার!"
     
    এমন হবে: 
    "তখন হঠাৎ যদি মেঠো পথে পাই আমি তোমারে আবার!" 
     
    জীবনানন্দ দাশের 'নির্জ্জন স্বাক্ষর' কবিতাটা 'ধূসর পাণ্ডুলিপি' থেকে একবার ভাল ক'রে দেখে নেন। কেননা, জীবনানন্দ দাশ তাঁর এই কবিতায় যেভাবে বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করেছেন, আপনি তা হুবহু রাখেননি। এতে ক'রে কবিতার অর্থ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। 
     
    আর শেষমেশ শুভেচ্ছা রইল! গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ... 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫৯745622
  • To Helen 
    Edgar Allan    
     
    Helen, thy beauty is to me 
    Like those Nian barks of yore
    That gently, o'er a perfumed sea
    The weary, way-worn wanderer bore 
    To his own native shore.

    On desperate seas long wont to roam
    Thy hyacinth hair, thy classic face
    Thy Naiad airs have brought me home 
    To the glory that was Greece
    And the grandeur that was Rome.

    Lo! in yon brilliant window-niche 
    How statue-like I see thee stand
    The agate lamp within thy hand!
     Ah, Psyche, from the regions which
    Are Holy-Land!
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০০:০১745623
  • বনলতা সেন
    -জীবনানন্দ দাশ 

    হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
    সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
    অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
    সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
    আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
    আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।

    চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
    মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের 'পর
    হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
    সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
    তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
    পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

    সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
    সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
    পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
    তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
    সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন;
    থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০০:০৯745624
  • To a Skylark
    By Percy Bysshe Shelley

    Hail to thee, blithe Spirit!
    Bird thou never wert,
    That from Heaven, or near it,
    Pourest thy full heart
    In profuse strains of unpremeditated art.

    Higher still and higher
    From the earth thou springest
    Like a cloud of fire;
    The blue deep thou wingest,
    And singing still dost soar, and soaring ever singest.

    In the golden lightning
    Of the sunken sun,
    O'er which clouds are bright'ning,
    Thou dost float and run;
    Like an unbodied joy whose race is just begun.

    The pale purple even
    Melts around thy flight;
    Like a star of Heaven,
    In the broad day-light
    Thou art unseen, but yet I hear thy shrill delight,

    Keen as are the arrows
    Of that silver sphere,
    Whose intense lamp narrows
    In the white dawn clear
    Until we hardly see, we feel that it is there.

    All the earth and air
    With thy voice is loud,
    As, when night is bare,
    From one lonely cloud
    The moon rains out her beams, and Heaven is overflow'd.

    What thou art we know not;
    What is most like thee?
    From rainbow clouds there flow not
    Drops so bright to see
    As from thy presence showers a rain of melody.

    Like a Poet hidden
    In the light of thought,
    Singing hymns unbidden,
    Till the world is wrought
    To sympathy with hopes and fears it heeded not:

    Like a high-born maiden
    In a palace-tower,
    Soothing her love-laden
    Soul in secret hour
    With music sweet as love, which overflows her bower:

    Like a glow-worm golden
    In a dell of dew,
    Scattering unbeholden
    Its aëreal hue
    Among the flowers and grass, which screen it from the view:

    Like a rose embower'd
    In its own green leaves,
    By warm winds deflower'd,
    Till the scent it gives
    Makes faint with too much sweet those heavy-winged thieves:

    Sound of vernal showers
    On the twinkling grass,
    Rain-awaken'd flowers,
    All that ever was
    Joyous, and clear, and fresh, thy music doth surpass.

    Teach us, Sprite or Bird,
    What sweet thoughts are thine:
    I have never heard
    Praise of love or wine
    That panted forth a flood of rapture so divine.

    Chorus Hymeneal,
    Or triumphal chant,
    Match'd with thine would be all
    But an empty vaunt,
    A thing wherein we feel there is some hidden want.

    What objects are the fountains
    Of thy happy strain?
    What fields, or waves, or mountains?
    What shapes of sky or plain?
    What love of thine own kind? what ignorance of pain?

    With thy clear keen joyance
    Languor cannot be:
    Shadow of annoyance
    Never came near thee:
    Thou lovest: but ne'er knew love's sad satiety.

    Waking or asleep,
    Thou of death must deem
    Things more true and deep
    Than we mortals dream,
    Or how could thy notes flow in such a crystal stream?

    We look before and after,
    And pine for what is not:
    Our sincerest laughter
    With some pain is fraught;
    Our sweetest songs are those that tell of saddest thought.

    Yet if we could scorn
    Hate, and pride, and fear;
    If we were things born
    Not to shed a tear,
    I know not how thy joy we ever should come near.

    Better than all measures
    Of delightful sound,
    Better than all treasures
    That in books are found,
    Thy skill to poet were, thou scorner of the ground!

    Teach me half the gladness
    That thy brain must know,
    Such harmonious madness
    From my lips would flow
    The world should listen then, as I am listening now.

     
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০০:১৫745626
  • সব ঠিক হয়ে ​​​​​​​যাবে 
      -তারাপদ ​​​​​​​রায় ​​​​​​​
     
    এই সেদিন পর্যন্ত ভেবেছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।
    কবে কখন কেমন করে, কি ভাবে ঠিক হবে,
    এবং সত্যি সত্যি কি ঠিক হবে, এবং ঠিক না হলেই বা কি হবে,
    সে বিষয়ে অবশ্য কোনো চিন্তা করিনি
    কোনো ধারণাও ছিলো না।

    শুধু কোথায় কেমন একটা আলগা বিশ্বাস ছিলো,
    মনে মনে ধরে রেখেছিলাম,
    একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।

    আমলকি গাছের ভেতর থেকে কোনো কোনো রাতে
    যে রকম ঝিরিঝিরি বাতাস ও বাতাসের শব্দ আসে,
    যেভাবে লেবুপাতা ছিঁড়ে হাতে ঘষলে
    এক হারিয়ে যাওয়া অরণ্যের গন্ধ ভেসে আসে,
    যেভাবে ঘুলঘুলির এলোমেলো বাসায়
    ডিমের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে
    চড়ুইয়ের ছানারা তাদের মাকে চিঁ-চিঁ করে ডাকে,
    যেভাবে ভুল ঠিকানার চিঠিও একদিন
    কোথাও না কোথাও, কারো না কারো কাছে পৌঁছে যায় যেভাবে

    একটা ক্ষীণ ভরসা ছিলো এই সেদিন পর্যন্ত,
    যেভাবে এইসব ঘটে, এই সব ঘটে যায়
    সেইভাবে একদিন সব ঠিকঠাক হবে।
    আমার কিছু করণীয় নেই, শুধু বসে থাকার অপেক্ষা।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০০:২৫745627
  • Suzanne
    Leonard Cohen
    -------
    Suzanne takes you down to a place by the river
    You can hear the boats go by, you can spend the night forever
    And you know that she's half crazy, and that's why you want to be there
    And she feeds you tea and oranges that come all the way from China
    And just when you want to tell her that you have no love to give her
    She gets you on her wavelength, and lets the river answer
    That you've always been her lover
    And you want to travel with her
    And you want to travel blind
    And you think you'll maybe trust her
    For she's touched your perfect body with her mind
    And Jesus was a sailor when He walked upon the water
    And He spent a long time watching from a lonely wooden tower
    And when He knew for certain only drowning men could see Him
    He said all men shall be sailors then until the sea shall free them
    But He himself was broken long before the sky would open
    Forsaken almost human, He sank beneath your wisdom like a stone
    And you want to travel with Him
    And you want to travel blind
    And you think you'll maybe trust Him
    For He's touched your perfect body with His mind
    Suzanne takes you down to a place by the river
    You can hear the boats go by, you can spend the night forever
    And the sun pours down like honey on Our Lady of The Harbor
    And she shows you where to look amid the garbage and the flowers
    There are heroes in the seaweed, there are children in the morning
    They are leaning out for lov, e and they will lean that way forever
    While Suzanne holds the mirror
    And you want to travel with her
    And you want to travel blind
    And you think maybe you'll trust her
    For you've touched her perfect body with your mind
  • Ranjan Roy | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০১:৫১745628
  • আহা চলুক! চলুক!
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০২:১৪745629
  • An Atom in The Universe
    - Richard Feynman

    I stand at the seashore, alone, and start to think.
    There are the rushing waves
    mountains of molecules
    each stupidly minding its own business
    trillions apart
    yet forming white surf in unison.

    Ages on ages
    before any eyes could see
    year after year
    thunderously pounding the shore as now.
    For whom, for what?
    On a dead planet
    with no life to entertain.

    Never at rest
    tortured by energy
    wasted prodigiously by the sun
    poured into space.
    A mite makes the sea roar.

    Deep in the sea
    all molecules repeat
    the patterns of one another
    till complex new ones are formed.
    They make others like themselves
    and a new dance starts.

    Growing in size and complexity
    living things
    masses of atoms
    DNA, protein
    dancing a pattern ever more intricate.

    Out of the cradle
    onto dry land
    here it is
    standing:

    atoms with consciousness;
    matter with curiosity.

    Stands at the sea,
    wonders at wondering: I
    a universe of atoms
    an atom in the universe.
  • &/ | 151.14.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০২:২৬745630
  • মা নিষাদ
    জয় গোস্বামী

    স্তব্ধতা ফাটে , পাকিয়ে উঠছে ধুলো
    ধূলিস্তম্ভে মেঘযূথ মিশে যায়
    ভূগোল ঘুরছে , ধক ধক করে চুলো
    সূর্য লুপ্ত প্রায়

    সূর্য তো নয় , কাল রাত্রির চাঁদ
    চাঁদ মুখে নিয়ে উড়ে যায় কালোপাখি
    সেই চাঁদকেই বাণে বেঁধে উন্মাদ
    ব্যাধ নামে তাকে ডাকি

    পুরাকালে সে-ই মিথুনাবদ্ধ প্রাণ
    হনন করেছে তীরে আর বল্লমে
    সেই অভিশাপ আজও তাকে দেয় টান
    চাঁদ বাড়ে , চাঁদ কমে

    আদিম অস্ত্র যুগ থেকে টানাটানি
    মুখের খাবার মুখ থেকে কেড়ে খাওয়া
    জিরজিরে গায় বল্কল , কাঁথাকানি
    মাথার ওপরে সূর্য গরম তাওয়া

    বালিতে শুকোয় , সমুদ্রজলে ভাসে
    হতাহত দেহ , ভাঙ্গা রথ , মৃত ঘোড়া
    অস্ত্র মুঠোয় মুখ গুঁজে আছে ঘাসে
    দুজন মানুষ , প্রতিবেশী ছিল ওরা

    প্রতিবেশী , তার জমিটি , আমার চাই
    প্রতিবেশী গ্রাম আমার অধীনে থাক
    প্রতিবেশী রাজা আমাকেই কর দিক
    আমার অস্ত্রে প্রতিবেশী ভয় পাক

    প্রতিবেশীরা কি এই পৃথিবীতে থাকে ?
    তাদের বাতাসে , তাদের রৌদ্রজলে
    আজ যদি বিষ মেশাতে বলি তোমাকে
    মেশাবেই তুমি , ছলে বলে কৌশলে

    সে ষড়যন্ত্র কৌশল লোফালুফি
    উন্নতি করে প্রহরী বসানো ঘরে
    ধীশক্তি মেধা বিজ্ঞান চুপিচুপি
    বুকে হেঁটে গিয়ে মাটিতে গর্ত করে

    গর্তে উনুন , ধক ধক করা চুলো
    চুল্লি মাটিতে দাঁড়িয়েছে একবার
    ছাতার মতন আকাশে ভষ্মধুলো
    পথ নেই পালাবার

    ঢিলের মতন পাখি পড়ে দলে দলে
    তীরে লাফ দিয়ে ওঠে বিষাক্ত জল
    হাজার মাইল কণা কণা ছাই জ্বলে
    হাজার মাইল পুড়ে যাওয়া জঙ্গল

    পোড়া বাড়ি ভাঙ্গা হাড়গোড় ইঁট কাঠ
    স্তূপের পেছনে স্তূপ ওঠা জনপদে
    চুরমার মাটি , দগ্ধশস্য মাঠ
    মানুষ মরেছে , ঘরে দপ্তরে পথে

    মানুষ মরেছে , জন্মেছে আরও আরও
    বাঁকা হাত , ঘোর জড়ভরতের দেহ
    মুখে জিভ নেই , পায়ে হাড় নেই কারও
    জন্তুর মতো হামাগুড়ি দেয় কে ও

    পুরুষের বীজে বিষ এসে মিশে যায়
    নারী ও শস্য ক্ষয়ে যায় পিঠোপিঠি
    হেলিকপ্টার পাক মেরে গর্জায়:
    একতিলও নেই রেডিও অ্যাক্টিভিটি

    তুমি কত সালে জন্মেছ বিজ্ঞানী ?
    কত সালে তুমি জন্মেছ হে শাসক ?
    তোমাদের ঘরে ছেলেপুলে জন্মেছে ?
    ঠিক ঠিক আছে নাক মুখ হাত চোখ ?

    আমাদের আরও জন্মানোর কী বাকি ?
    আছে মাটি থেকে ধান তোলা , তোলা ঘাস
    আছে মাটি থেকে ডালে তুলে দেওয়া পাখি
    গান বাঁধবার নানক তুলসীদাস

    পোড়া গ্রাম দিয়ে তুলসীজী হেঁটে যান
    ঘাটে বসে গান ভাষায় কবীর জোলা
    শ্রীরাম চরিত পথে পথে খানখান
    লালচোখ সাধু , হাতে তলোয়ার খোলা

    ও কবির ভাই , কে তোমার গান শোনে
    কে পাগল বলে বুঝিয়ে দে বুঝিয়ে দে
    ফুটপাথে কারা পড়ে থাকে সারারাত
    ও কার বাচ্চা , খাবার চাইছে কেঁদে ?

    কোন বাচ্চাটা চা-দোকানে সারাদিন
    খেটে যায় , খায় মালিকের থাপ্পড়
    কোন্ মা নিজের ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে
    খদ্দের নেয় রাত্তির থেকে ভোর

    ওদের হালত , থাক ,এরকমই থাক
    ওদের জীবন ঢেলে দাও একখাতে
    দুবেলা দুমুঠো খেতে পাক নাই পাক
    তবু তো অস্ত্র এসেছে আমার হাতে

    অস্ত্র মাটিতে , অস্ত্র আকাশগামী
    দিগন্ত রাঙা অস্ত্রের মহিমায়
    রাঙা অস্ত্রের কিরণ পড়েছে জলে
    গ্রন্থসাহেব নদীজলে ভেসে যায়

    সেই জলে ভাসে বেহুলার মান্দাস
    মশারির নীচে শোয়ানো লখিন্দর
    বিকলাঙ্গ সে , তেজস্ক্রিয়ার বিষে
    থামে মান্দাস , এক ঘাট অন্তর

    একেকটি ঘাটে থমকে একেক যুগ
    নদী সমুদ্রে বিরাট সেতুর ছায়া
    পঙ্গু কামড়ে ধরেছে তোমার বুক
    স্বামী না শ্বাপদ শিশুসন্তান মায়া

    সন্তান আর শস্যের ভার বহে
    তুমি শুয়ে আছো স্তব্ধ বসুন্ধরা
    স্তব্ধতা ফেটে উত্থিত হয় কাল
    মাথায় আকাশ ----মুঠোয় দণ্ড ধরা

    দণ্ডের মুখে গেঁথে আছে ভাঙা চাঁদ
    পায়ের তলায় সমুদ্র আছড়ায়
    কাঁধ ছুঁয়ে আছে পাহাড়ের উঁচু কাঁধ
    রাত্রি লুপ্ত প্রায়

    ভোরবেলা সেই মূর্তিটি নেই আর
    সূর্যপূজারী আকাঙ্খা করে তাপ
    জেন্দ-আবেস্তা খুলে ধরে রোদ্দুরে
    তারও পৃষ্ঠায় তেজস্ক্রিয়ার ছাপ

    ভূগোল ঘুরছে , নদীপথ গিরিশিরা
    বাঁকে বাঁকে ঘোরে মর্টার মেশিনগান
    মাটির তলায় মাটি হয় ইহুদীরা
    গনহত্যার কবরে দুলছে ধান

    এই দেশ থেকে ও দেশে সূর্য যায়
    নামাজে বসেছে গরীব মুসলমান
    তার সাদাটুপি শান্তির পারাবত
    তার খাওয়া হলে , ঈশ্বর জল খান

    কে হিন্দু ? ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন ?
    এই প্রশ্নের সমুখে তারা খসে
    স্নান করে উঠে কুপিটি জ্বালিয়ে নিয়ে
    নিরন্ন সাধু অন্নসমীপে বসে

    আমরা সবাই অন্নের কাছে আসি
    ঘন্টা বাজছে গ্রামের গির্জে ঘরে
    নৌকোতে ফেরে কেরেলার মাছচাষী
    মা মেরী তোমার জীবন রক্ষা করে

    রক্ষা তো নয় প্রতিরক্ষার খাত
    সে-খাতে গড়ায় যুদ্ধ-আড়ম্বর
    অজন্তা ঘরে কালো হয়ে যাও একা
    হে পদ্মপাণি , অবলোকিতেশ্বর

    হাতের পদ্ম মাটিতে আছড়ে পড়ে
    সে মাটিতে শুধু গহ্বর , গহ্বর
    ফোয়ারার মতো মরুবালু ফুঁসে ওঠে
    ' ছোট বুদ্ধ ' ফুঁসে উঠবার পর

    ঠোঁটে চাঁদ ধরে উড়ে যায় কালো পাখি
    ও মারণাস্ত্র , চাঁদ নয় বাস্তবে
    পুরাকাল থেকে তীর তুলে আছে ব্যাধ
    বোতাম টিপলে পৃথিবী ধ্বংস হবে

    এসো কবি , এসো বাধা দাও , মা নিষাদ
    বলে ওঠো তুমি , ভেঙে যাক উইঢিবি
    দিনের দুপাশে দাঁড়াক সূর্যচাঁদ
    গুহায় জ্বলুক প্রাচীন চিত্রলিপি

    ওই দেখো রাত বইছে গঙ্গাতীরে
    ওই দেখো মাঝি দাঁড় টানে পদ্মায়
    ওই শোনো আমি , আমরা যে কথা বলি
    কীভাবে সেসবই ভাটিয়ালী হয়ে যায়

    ওই দেখো দূরে , থেমে গেছে ধুলোঝড়
    জ্যোৎস্না সাঁতরে শান্তির পায়রাটি
    চালে ফিরে আসে , উঠোনের গম খায়
    গম , ভুট্টার জমিনে আমরা খাঁটি

    ওই যে রাত্রি বইছে যমুনাতীরে
    ওই যে এসেছে আমাদের শ্যাম-রাই
    ওই শুনছো না , ভাঙা মন্দিরে বসে ,
    প্রেম গাইছেন আমাদের মীরাবাঈ l

    অতই সহজ আমাদের মেরে ফেলা ?
    আমাদের পায়ে রাত্রিচক্র ঘোরে
    আমরা এসেছি , মহাভারতের পর
    আমরা এসেছি দেশকাল পার করে

    নিষাদ, তোমার অস্ত্রের মুখে এসে
    আমাদের গ্রাম হোক ধুলো হোক ছাই
    স্তূপাকার ওই ছাইয়ের ভিতর থেকে
    ওঠে নিরস্ত্র , আমরা দেখতে পাই

    তার পশ্চাতে সমুদ্র ফুলে ওঠে
    তার সন্মুখে মেঘে বাজ চমকায়
    সে তোমার হাত মুচড়ে ফেলেছে জলে
    হাতের অস্ত্র মুচড়ে ফেলেছে জলে

    দেখো ওই জলে সূর্য অস্ত যায়
    শতাব্দী ঘোরে ---সূর্য অস্ত যায় ll
  • lcm | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০২:৪৬745631
  • জয় হোক বাংলা কবিতার
    - সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়

    আত্মহত্যা করার আগে কবির সিদ্ধান্ত 
    পৃথিবীতে আগুন জ্বেলে যেতে হবে 
    অতএব নজরুল থেকে দু-লাইন, সুকান্তর 
    এক লাইন, সুভাষ মুখুজ্যে পার করে 
    পাবলো নেরুদা, হো-চি-মিন এমনকি 
    মাও-ৎ-তুং-এর প্রেমের কবিতা থেকে 
    বিপ্লব খুঁজে নিয়ে যশোর রোডের মতো 
    চওড়া একখানি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করলেন 
    সেই কাব্যগ্রন্থ সমঝদারের সিদ্ধান্তে 
    পেয়ে গেল দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার 
    ফলত পাপড়ি চাটের মতো বিক্রি হল 
    কবিতার বই।  কবি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত 
    আপাতত মুলতুবি রেখে ভ্রমণে বেরোলেন 
    গঙ্গোত্রী-গোমুখ পার করে সোজা তপোবন 
    বরফ ঝরা শীতের রাতে এক নিঃসঙ্গ সাধুর ডেরায় 
    ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে অতএব তিনি কাব্যগ্রন্থের 
    একটি-একটি করে পাতা ছিঁড়ে আগুন জ্বালিয়ে 
                উষ্ণতা উপভোগ করলেন --
    ভোর হলে সাধুবাবা বলে উঠলেন 
                 বাংলা কবিতার জয় হোক।  
     
  • lcm | ২০ আগস্ট ২০২৫ ০২:৫০745632
  • সঙ্গী
    - বিজয়া মুখোপাধ্যায়
     
    আমরা যার সঙ্গে নিত্য বসবাস করি
    তার নাম প্রেম নয়, উদ্বেগ।
    প্রেম অতিথির মতো কখনো ঢুকে পড়ে অল্প হেসে
    সমস্ত বাড়িতে স্মৃতিচিহ্ন ফেলে রেখে
    হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়।
    তারপর সারাক্ষণ
    আমরা কেউ আর উদ্বেগ
    আমরা একজন আর উদ্বেগ
    বসবাস করি।
    রাত থেকে দিন, দিন থেকে রাত।
  • শ্রীমল্লার | ২০ আগস্ট ২০২৫ ২১:৫৬745634
  • কাব্যগ্রন্থ: প্রান্তিক
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    ওরে চিরভিক্ষু, তোর আজন্মকালের ভিক্ষাঝুলি
    চরিতার্থ হোক আজি; মরণের প্রসাদবহ্নিতে 
    কামনার আবর্জনা যত, ক্ষুধিত অহমিকার
    উঞ্ছবৃত্তি-সঞ্চিত জঞ্জালরাশি দগ্ধ হয়ে গিয়ে 
    ধন্য হোক আলোকের দানে; এ মর্তের প্রান্তপথ 
    দীপ্ত ক'রে দিক; অবশেষে নিঃশেষে মিলিয়া যাক 
    পূর্বসমুদ্রের পারে অপূর্ব উদয়াচলচূড়ে 
    অরুণকিরণতলে একদিন অমর্ত প্রভাতে। 
     
    শান্তিনিকেতন
    ২৯ । ৯ ।  ৩৭ 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৫ ০২:১৪745637
  • শূন্যের ভিতরে ঢেউ
                     – শঙ্খ ঘোষ

    বলিনি কখনো?
    আমি তো ভেবেছি বলা হয়ে গেছে কবে।
    এভাবে নিথর এসে দাঁড়ানো তোমার সামনে
    সেই এক বলা
    কেননা নীরব এই শরীরের চেয়ে আরো বড়ো
    কোনো ভাষা নেই
    কেননা শরীর তার দেহহীন উত্থানে জেগে
    যতদূর মুছে নিতে জানে
    দীর্ঘ চরাচর
    তার চেয়ে আর কোনো দীর্ঘতর যবনিকা নেই।
    কেননা পড়ন্ত ফুল, চিতার রুপালি ছাই, ধাবমান শেষ ট্রাম
    সকলেই চেয়েছে আশ্রয়
    সেকথা বলিনি? তবে কী ভাবে তাকাল এতদিন
    জলের কিনারে নিচু জবা?
    শূন্যতাই জানো শুধু? শূন্যের ভিতরে এত ঢেউ আছে
    সেকথা জানো না?
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২১ আগস্ট ২০২৫ ০৬:৩৯745638
  • ঈশ্বর হওয়ার পাপে 
    প্রতিমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়
    চড়া উজ্জ্বল আলোয়
    ধুনোর ধোঁয়ায় চোখ জ্বলে গেলেও
    পাতাটি ফেলার নিয়ম নেই — 
    কাপড়ের খুঁট দিয়ে মোছা তো দূরস্থান।

    প্রসাদের থালা থেকে প্রাপ্তি বলতে
    উড়ে এসে বসা মাছির পায়ে যতটুকু উঠে
    এসে বসেছিল ঠোঁটে — লোকে জাগ্রত বলে
    প্রায়শ্চিত্ত সম্পূর্ণ হ'লে উনি ভাসান যাবেন জলে।
     
    - ফরিদা
  • &/ | 151.14.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩১745645
  • হুঁ, এটা আর একটা নতুন সুতো হয়ে গেল। একদিকে ভালোই হল না? যেসব কবিতা আগে এই সাইটে আসে নি (বা হয়তো এসেছে, কেজানে! ), সেইসব আসতে থাকবে?
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৪৩745665
  • মৌলিক নিষাদ
    - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

    পিতামহ, আমি এক নিষ্ঠুর নদীর ঠিক পাশে
    দাঁড়িয়ে রয়েছি। পিতামহ,
    দাঁড়িয়ে রয়েছি, আর চেয়ে দেখছি রাত্রির আকাশে
    ওঠেনি একটিও তারা আজ।
    পিতামহ, আমি এক নিষ্ঠুর মৃত্যুর কাছাকাছি
    নিয়েছি আশ্রয়। আমি ভিতরে বাহিরে
    যেদিকে তাকাই, আমি স্বদেশে বিদেশে
    যেখানে তাকাই–শুধু অন্ধকার, শুধু অন্ধকার।
    পিতামহ, আমি এক নিষ্ঠুর সময়ে বেঁচে আছি।

    এই এক আশ্চর্য সময়।
    যখন আশ্চর্য বলে কোনো কিছু নেই।
    যখন নদীতে জল আছে কি না-আছে
    কেউ তা জানে না।
    যখন পাহাড়ে মেঘ আছে কি না-আছে
    কেউ তা জানে না।
    পিতামহ, আমি এক আশ্চর্য সময়ে বেঁচে আছি।
    যখন আকাশে আলো নেই,
    যখন মাটিতে আলো নেই,
    যখন সন্দেহ জাগে, যাবতীয় আলোকিত ইচ্ছার উপরে
    রেখেছে নিষ্ঠুর হাত পৃথিবীর মৌলিক নিষাদ–ভয়।

    পিতামহ, তোমার আকাশ
    নীল–কতখানি নীল ছিল?
    আমার আকাশ নীল নয়।
    পিতামহ, তোমার হৃদয়
    নীল–করখানি নীল ছিল?
    আমার হৃদয় নীল নয়।
    আকাশের, হৃদয়ের যাবতীয় বিখ্যাত নীলিমা
    আপাতত কোনো-এক স্থির অন্ধকারে শুয়ে আছে।

    পিতামহ, আমি সেই ভয়ের দরুণ অন্ধকারে
    দাঁড়িয়ে রয়েছি! পিতামহ,
    দাঁড়িয়ে রয়েছি, আর চেয়ে দেখেছি, রাত্রির আকাশে
    ওঠেনি একটাও তারা আজ।
    মনে হয়, আমি এক অমোঘ মৃত্যুর কাছাকাছি
    নিয়েছি আশ্রয়। আমি ভিতরে বাহিরে
    যেদিকে তাকাই, আমি স্বদেশে বিদেশে
    যেখানে তাকাই–শুধু অন্ধকার, শুধু অন্ধকার
    অন্ধকারে জেগে আছে মৌলিক নিষাদ–এই ভয়।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৫৩745666
  • রৌদ্রের বাগান
    - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

    কেন আর কান্নার ছায়ায়
    অস্ফুট ব্যথার কানে কানে
    কথা বলো, বেলা বয়ে যায়,
    এসো এই রৌদ্রের বাগানে।

    এসো অফুরন্ত হাওয়ায়,–
    স্তবকিত সবুজ পাতার
    কিশোর মুঠির ফাঁকে ফাঁকে
    সারাটা সকাল গায়ে গায়ে
    যেখানে টগর জুঁই আর
    সূর্যমুখীরা চেয়ে থাকে।

    এসো, এই মাঠের উপরে
    খানিক সময় বসে থাকি,
    এসো, এই রৌদ্রের আগুনে
    বিবর্ণ হলুদ হাত রাখি।
    এই ধুধু আকাশের ঘরে
    এমন নীরব ছলোছলো
    করুণাশীতল হাসি শুনে
    ঘরে কে ফিরতে চায় বলো।

    এই আলো-হাওয়ার সকাল–
    শোনো ওগো সুখবিলাসিনী,
    কতদিন এখানে আসিনি,
    কত হাসি কত গান আশা
    দূরে ঠেলে দিয়ে কতকাল
    হয়নি তোমায় ভালোবাসা।

    কেন আর কান্নার ছায়ায়
    অস্ফুট ব্যথার কানে কানে
    কথা বলো, বেলা বয়ে যায়,
    এসো এই রৌদ্রের বাগানে।
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫৮745671
  • প্রেমেন্দ্র  মিত্রের  কিছু  দারুণ  কবিতা  আছে  'সাগর থেকে  ফেরা'  বইতে ।কেউ  দিতে  পারেন  একটা  দুটো ?  
  • শ্রীমল্লার বলছি | ২৪ আগস্ট ২০২৫ ০০:০৬745672
  • &— যদি কালকে দিই, সমস্যা নেই তো? কোন কোন লেখাগুলো, একটু জানাবেন। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২৫ ০২:০৪745674
  • কোনো অসুবিধে নেই ।যেগুলো  ভালো  লাগবে  সেগুলোই  দিন .
  • শ্রীমল্লার বলছি | ২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৫:২৮745682
  • কাব্যগ্রন্থ: (সাগর থেকে ফেরা) 
    ক্লান্ত
    প্রেমেন্দ্র মিত্র

    হে পৃথিবী, কোথায় যাব?      ক্লান্ত।
    আকাশে চাই, সেখানে উদভ্রান্ত।
                  আমার মন, গহন বন, ফুরায় না।

    অতল থেকে নাম-না-জানা তৃষ্ণা,
    মিটাতে যা পান করেছি, বিষ না। 
                 তবুও শাপ, বুকের তাপ, জুড়ায় না।

    হয়তো হিয়া নিজের বাণে বিদ্ধ
    বৃথাই খোঁজে শিকারী, সন্দিগ্ধ।
                  মানে না ভুল, ওষধি-মূল, কুড়ায় না। 

    মেঘের রাত’ মরুর দিন, তপ্ত,
    আঁধার আলো জেনেছি ভাবি সব তো।
                 ঝিমানো প্রাণ, কারো নিশান, উড়ায় না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন