এরাজ্যের পুলিশ ভুয়ো FIR করে। আমরা অভ্যস্ত ।
দিনে "Quota" আছে ওদের । রাজ্য থেকে দেওয়া । কখনো শিক্ষক, কখনো ডাক্তার, কখনো রাজনীতিবিদ । ধরে ধরে....
এরাজ্যের পুলিশ ভুয়ো প্রেস মিট করে, আমরা অভ্যস্ত । কখনো ইন্দিরা, কখনো অনীশ। মুখ বদলায়। বুলি বদলায় না ।
মমতা, রাজীব, অভিষেক এক শ্রেণীর অফিসারদের দিয়ে প্রতিদিন এটা করাচ্ছেন । তাঁরা করছেনও । না হলেই পানিশমেন্ট পোস্টিং, যেমন রাহুল গোস্বামীর হল ।
কিন্তু সেই পুলিশ তোলা তুলতে গিয়ে নিজেরই উকিলের কোমর ভাঙছে, এটা কিন্তু বেশ বেশ নতুন ।
অনীশ যখন আছেন একটা রিলস করতেই পারেন এটা নিয়ে । কার কি বলার আছে?
যে লোকটার কোমর ভেঙেছেন সেই নিজেদেরই এডভোকেট এখন মনিপাল হাসপাতালে শুয়ে । হয়তো কোমর জোড়ার অপারেশন টেবিলে ।
ইদানিং, পুলিশ দেখবেন নিজেদের ফেস বুক পোস্টিংয়ে বেশ নজর দিয়েছে । ইমেজ কভারআপ মিশনে। নিজেরাও বুঝছে এক্সপোজড হয়ে যাচ্ছে, তাই ।
বিধাননগরের পুলিশ দেখবেন নাকা চেকিং করছে প্রায় প্রতিদিন সেটা নিয়ে পোস্ট করেন, প্রচার করেন । এটাতে অনেকে বলেন "ন্যাকা চেকিং", এর প্রচার, আমি কিন্তু দোষের কিছু দেখি না ।
বেশ করছেন, কাজ করছেন সেটা প্রমাণ রাখছেন, দোষের কি !
ওদিকে নাকা চেকিংয়ের আড়ালে যে আসলে তোলা তোলে সেটা পুলিশের নিজের এডভোকেটের স্ত্রী অন ক্যামেরা গতকাল বলেই দিলেন । তাহলে ?
প্রসঙ্গত বলা দরকার বিধাননগর পুলিশ যে ক্রমশ ভয়ানক হয়ে উঠছে গত কয়েক বছরের কয়েকশ ঘটনা দিয়ে বলা যায় । কি দুর্নীতি, কি অসভ্যতায়, কি নোংরামিতে ।
মাত্র দু দিন আগে একটা অডিও কান্ড সবাই শুনেছেন নিশ্চিত । অনীশ সরকার যখন সেটা প্রেস করছিলেন তখনই মনে হয়েছিল জল আছে, "নালার", বুদ্ধি "রাজীবের" ।
পরের দিন বিচার কক্ষে সেটা অনেকটা পরিষ্কার হল । মহামান্য বিচারপতি সংশ্লিষ্ট থানার আইসিকে বি এন এস ধারার বই হাতে তুলে দিয়ে যে লজ্জা দিলেন তারপরও এরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলো মিথ্যে বলার জন্য ?
চাননি ।
সাম্প্রতিক কয়েকটা ঘটনায় চোখ বোলান -
১.মহামান্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপ চন্দ্র দে'র সঙ্গে এরা কি পরিমাণ অসভ্যতা করেছিলেন । মনে আছে কারুর ?
২. ডাঃ আসফাকুল্লা নাইয়ার কাকদ্বীপের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো ভুয়ো কেস দিয়ে । মনে পড়ে ?
৩. প্রোমোটারকে মারা কাউন্সিলরকে দু মাস ধরে খুঁজে না পেয়ে তাকে জামিন করানো । তাকে খোঁজার নাম করে উত্তরবঙ্গ থেকে ব্যাঙ্গালোর সফর সেরে ফেলা ।
৪. সামসেরগঞ্জের হতভাগ্য পরিবারের বিধাননগরের আবাস স্থলে দরজা ভাঙা। তরুণ সজল সূর্য নীলরা পুলিশকে হাতে নাতে ধরেছিলেন ।
৫. বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষক পিটিয়ে নিজেরাই হাসপাতালে গিয়ে নিজেদের ফেক চিকিৎসা করাচ্ছিলেন । শিক্ষকরা গিয়ে হাতেনাতে ধরেছিলেন । মনে পড়ে সেই দৃশ্য ?
৬. ২০২২ এর টেট উত্তীর্ণদের চ্যাংদোলা করে বাসে নিক্ষেপ। মাত্র দু দিন আগে । মারমুখী, কুৎসিত সেই ভূমিকা ।
শুধু ৬টা উদাহরণ ওপরে দিলাম । ৬০০ উদাহরণ আছে । দিনে দিনে বিধাননগরের পুলিশকে ক্রমশ ভয়ংকর করে তুলছেন মমতা রাজীব ডুয়েট ।
এখনো বলছি সতর্ক হোন সবাই, সাধ্যমত গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করুন । জনমত তৈরি করুন ।
আজ পুলিশের নিজের আইনজীবীর কোমর ভাঙছে, কাল কিন্তু আপনার ঘাড় মটকাবে।
নিস্তার কিন্তু পাবেন না ।
মিলিয়ে নেবেন ।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
(৯৮৩০৪২৬০৭৮)