লেখার সঙ্গে যৌনতার একটা নিকট আত্মীয়তা আছে।
শোভা দে একবার বলেছিলেন (কোথায় বলেছিলেন মনে নেই; মার্ক্স বা রবীন্দ্রনাথ কোথায় কী কী বলেছেন তা কী দিব্যি গেলে বলা যায়?) লেখন আর সঙ্গম প্রায় একই ব্যাপার। লেখক উত্তেজিত হয়ে কলম দিয়ে কাগজকে আঘাত করে আর তখন কলম থেকে ক্ষরণ হয়। লেখা ফুটে ওঠে।
ওসব প্রাতস্মরণীয়দের কথা ছাড়ুন। কিন্তু কোথাও একটা ব্যাপার আছে বৈকি।
আপনার সমস্যাটিই ধরা যাক।
প্রথমে একটা ডিসক্লেমারঃ আমি লেখক পদবাচ্য নই। কিন্তু কখনও সখনও মুড এলে কিছু লিখে ফেলি।
এখন সেই লেখা কোথাও আটকে গেল।
কেন গেল?
লেখার নিজের (কবিতা বা গদ্য) মুড চলে গেছে।
ঠিক যেন আমার পার্টনার মাঝপথে বললেন-- আজ থাক, মুড চলে গেছে।
তখন আমার মত হরিদাস পাল কী করে?
পাশ ফিরে শোয়, ঘুমুতে চেষ্টা করে। অর্থাৎ খাতা বা কম্পু বন্ধ করে আলো নিবিয়ে শুয়ে পড়ে।
তারপর কোন কোন দিন গাঢ় ঘুমের মধ্যে কেউ যেন ঠেলা দিচ্ছে। বলছে --এই, ওঠো ওঠো। মুড এসে গেছে। আরে ওঠ বলছি , নইলে পরে পস্তাবে।
সে কে?
হয় পার্টনার, নয় কবিতা বা গল্প।
তখন একেবারে উত্তিষ্ঠত! জাগ্রত!
টেবিল ল্যাম্প জ্বলে। খাতা পেন রেডি।
কম্পু অন হয়। আমি অন হই।
জন্ম নেয় একটা লেখা যাতে মন বলে এটা কিছু হোল। তাই যথেষ্ট।
লেখা কেমন ---কে কী বলল--এসবে যায় আসে না।
মন বলছে এটা আমার লেখা , আমার সন্তান।
সে যেমনই দেখতে হোক।
সবার ঘরে উত্তম কুমার জন্মাবে নাকি?