মহাভারত ৫উত্তরমালা
========
১ হ্যাঁ।
ক) দুষ্যন্ত শকুন্তলাকে বললেন--ক্ষত্রিয়ের পক্ষে গান্ধর্ব বা রাক্ষস বিবাহ, অথবা এই দুইয়ের মিশ্র রীতিতে বিবাহ ধর্মসঙ্গত।
ব্যস্ শকুন্তলার সংকোচ কেটে গেল।
খ) কণ্বমুনি বললেন--তুমি আমার অনুমতি না নিয়ে যে পুরুষ সংসর্গ করলে তাতে ধর্মের হানি হয় নি। নির্জনে বিনা মন্ত্রপাঠে সকাম পুরুষের সঙ্গে সকামা স্ত্রীর যে মিলন তাকেই গান্ধর্ব বিবাহ বলে।
'তেরি মেরি শাদী সীধিসাদী, পন্ডিত না শেহনাই রে"!
২ টীকাকার নীলকণ্ঠ বলেন-- মহাপুরুষগণ দীর্ঘকাল গর্ভে বাস করেন। তাই শকুন্তলার মিলনের তিন বছর পরে ছেলে ভরতের জন্ম হোল।
৩
মনে হয়, একলব্য যেভাবে কুকুরের মুখ বাণ মেরে বন্ধ করলেন সেটা বোধহয় দ্রোণ অর্জুনদের শেখাতে পারতেন না। তাই একলব্যের বুড়ো আঙ্গুল কাটা পড়লেও সেই বিদ্যা কুরু বংশীয়দের শেখানো হোল না।
এখানে দ্রোণ যেন একটু ইয়ে--। এবং মনু সঙ্ঘিতা অনুসারে দলিতদের সঙ্গে ব্যবহার!
আমার ব্যক্তিগত মত।
একলব্য দিলেন কেন?
সে যুগে গুরু যা চাইতেন সেটা শিষ্যকে দিতেই হত। মহাভারত রামায়ণ জুড়ে একগাদা উদাহরণ। একলব্য গুড বয়।
কেউ গুরুর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করেহেন বলে আমার চোখে পড়ে নি। করলেও সেটা ব্যতিক্রমই হবে।
মানা করলে যদি গুরু শাপ দিতেন?
৪ রাজা দ্রুপদের। বাল্যসখা দ্রোণ অভাবে পড়ে রাজসভায় এসে তাঁকে 'সখা' বলে সম্বোধন করায় ক্রুদ্ধ হয়ে।
৫ মধুপর্ক হোল মধু, ঘি, দধি্ দুধ, চিনি মিশ্রিত মঙ্গলসূচক অনুপান। পৌরাণিক যুগে সম্মানিত অতিথিদের ওয়েলকাম ড্রিংক।
আজকাল পুজোর সময় যে দধিমঙ্গল হয় তা আসলে মধুপর্কের বর্তমান রূপ।
৬ দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরকে।
বনবাসের প্রথম তেরো মাস কেটে গেলে ধৈর্য হারিয়ে।
৭ লোপামুদ্রা বিদর্ভরাজের কন্যা, ঋষি অগস্ত্যের পত্নী।
৮ অগস্ত্য মুনি দৈত্যরাজ প্রহ্লাদের বংশজাত বাতাপিকে খেয়ে হজম করে এবং তার দাদা দৈত্য ইল্বলের থেকে বিশাল দান সামগ্রী চেয়ে। তার থেকে লোপামুদ্রা পেলেন বিশহাজার গরু, বিশহাজার স্বর্ণমুদ্রা, আর একটি হিরণ্ময় রথ ও একজোড়া অশ্ব (বনপর্ব)।
৯ বিন্ধ্যপর্বত সূর্যকে বলল--তুমি সকাল সন্ধে আমাকেও প্রদক্ষিণ কর। খালি পৃথিবীকে করলে হবে?
সূর্য রাজি হলেন না। তখন বিন্ধ্যপর্বত সূর্যের পথ আটকাতে উঁচু হতে থাকল।
তখন দেবতাদের অনুরোধে অগস্ত্য বিন্ধপর্বতকে বললেন-- আমি দক্ষিণে যাচ্ছি। আমার পথ ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষা কর। আমি ফিরে এলে পরে উঁচু হয়ে যেও'খন।
উনি সেই যে গেলেন আর ফিরলেন না। বিন্ধ্যপর্বত উঁচু হোল না। সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকল । দিনরাতের কালচক্র অব্যাহত রইল।
১০ ঋষ্যশৃঙ্গ মুনি অঙ্গদেশের রাজা লোমপাদের জামাই। তাঁর স্ত্রীর নাম শান্তা। তিনি অযোধ্যারাজ দশরথ ও মহারাণী কৌশল্যার প্রথম সন্তান। লোমপাদের স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় ওঁরা বন্ধু পরিবারের মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন।