এ নিয়ে আরেকটু লিখি, আজ তেমন কাজও নেই :-)
"অবশ্যই আমি রাজ্যপালকে অভিযোগ শুনেই দোষী মনে করিনা। আমি মনে করিনা, কোনো অভিযোগ এলেই তা সত্য হয়ে যায়। "
এটা নিয়ে গুরুতে আগেও বহু তর্ক হয়েছে, সেসব কথা মনে পড়লো বলেও ভাবলাম আরেকটু লিখি। কয়েকটা নাম নেওয়া যাকঃ হার্ভি ওয়াইনস্টাইন, লুইস সি কে, কেভিন স্পেসি ইত্যাদি, আর ইন্ডিয়ায় তরুণ তেজপাল, রঞ্জন গগৈ, ব্রিজ ভূষন সিং, পবর রাজ্যপাল, প্রজ্জ্বল রেভান্না ইত্যাদিরা। এই সব ক্ষেত্রেই আমার মতে বিখ্যাত সব ব্যাক্তিত্বদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে প্রথমেই তাঁদের নিজের নিজের ক্ষেত্রে থেকে সাসপেন্ড করা উচিত বা গ্রেপ্তার করা উচিত। তার কারন বিখ্যাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে গিয়ে, বাই ডেফিনিশান, অভিযোগকারী বা কারিনী বিরাট বড়ো পার্সোনাল রিস্ক নিচ্ছেন, এটা জেনে যে ওই ব্যাক্তিদের সমর্থকদের থেকে, আর অনেক সময়েই প্রশাসনের থেকে, আঘাত আসবে। সেসব জেনেও যদি অভিযোগ এনে থাকেন, তাহলে সেটাকে প্রাথমিক ভাবে ঠিক ধরে নিয়েই এগনো উচিত মনে হয়। (উদাহরনঃ গগৈ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর ঐ ভদ্রমহিলার পরিবারের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পুরে দেওয়া হয়েছিল, ওনাদের ফোনে পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছিল)।
তরুণ তেজপাল এর সময়েও এসব নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। সেই সময়েও সৈকতবাবুর মত ছিল যে আগেই কেন তেজপালকে নিয়ে পাবলিক ট্রায়াল (বা উইচ হান্ট) শুরু হয়েছে। তখনও এই কথাগুলো লিখেছিলাম। কিছুদিন আগে তেজপাল ছাড়া পেয়ে গেলেন, তখনও সৈকতবাবু একটা টই খুলেছিলেন, তখন সেখানে লেখার সময় পাইনি। আমার যা মনে হয়, এসব কেসে প্রমানের অভাবে ছাড়া পেয়ে যাওয়াটা খুব আনকমন নয়। কদিন আগে ওয়াইনস্টাইনও কোন কেসে যেন প্রমানের অভাবে ছাড়া পেয়ে গেলেন, লুইস সি কে আর স্পেসির বিরুদ্ধেও বোধায় কেস চালানো যায়নি। কিন্তু তাও আমি মনে করিনা এনারা নির্দোষ। আর ইন্ডিয়ার জাস্টিস সিস্টেমের কথা আর কি বলবো, যতো কম বলা যায় ততো ভালো।
এইবার দুইটা ডিসক্লেমারঃ আমি কেভিন স্পেসির খুব বড়ো ফ্যান ছিলাম, তবে আজকাল ওনার সিনেমা একটু কম দেখি। আর আমি মিটু একেবারে প্রথম থেকে সাপোর্ট করেছি, এখনও করি।