এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভোট-ময়দানে মীনাক্ষী, দীপ্সিতা, রাহুলদের নতুন শব্দ, নয়া ভাষ্য, মানুষ শুনবে কি

    Amal Sarkar লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ভোট-ময়দানে মীনাক্ষী, দীপ্সিতা, রাহুলদের নতুন শব্দ, নয়া ভাষ্য, মানুষ শুনবে কি

    অমল সরকার

    ‘একশো টাকার নীচে কি সায়া পাওয়া যায়? যায় না। একটা সায়ায় ক’দিন চলে। ভাল করে টেনে টুনে পড়লে একমাস-দেড়মাস-দু’মাস। আচ্ছা ছ’মাস। যদি সারা বছর একদিনে দু’টো করে সায়া লাগে তাহলে বারো মাসে আপনার ছ’খানা সায়া লাগবে। শুধুমাত্র ছ’খানা সায়ার দাম বারশো টাকা; যেগুলো সারা বছর চলবে। আমরা চাইছি এমন একটা ব্যবস্থা করতে যে ব্যবস্থায় আপনাদের কারও কাছে হাত পাততে না হয়। আপনার নিজের প্রয়োজনের শাড়ি সায়া, ব্রাউজ, ওষুধপত্র, খাবার, বাচ্চার খাবার, বই-খাতা-কলম, একটু ভালমন্দ মাছ-মাংস-ডিম-ফলমূল—যদি খেতে ইচ্ছে করে, সেটার জন্য যাতে আপনাকে কারও কাছে হাত পাততে না হয়।’ 

    ইউটিইউবে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের এই কথাগুলি শুনছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর বঙ্গ-রাজনীতিতে তিনিই এখন একডাকে চেনা নারী রাজনীতিক, যাঁকে নিয়ে মানুষের মধ্যে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ট্রেনে-বাসে অনেক সহযাত্রীকে দেখছি মোবাইলে তাঁর বক্তৃতার ভিডিও শুনছেন। চায়ের দোকান, ট্রেনের কামরা থেকে ঘরোয়া আড্ডাতেও আলোচনা—অমুক সভায়, পদযাত্রায়, সাক্ষাৎকারে কী বলেছেন সিপিএমের যুবনেত্রী। 

    শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী আর এক তরুণ মুখ ইপ্সিতা ধরের ভাষণের বিষয়ও একই। সংসারের অর্থনীতির সহজপাঠ বোাঝাচ্ছেন তিনি। বন্ধ কারখানার শ্রমিক-শিক্ষক-অশিক্ষক-প্যারা টিচার-টোটো-অটো চালক-হোম ডেলিভারি পার্সন-কন্ট্রাকচ্যুলায় কর্মী-আইসিডিএস কর্মী-আশা কর্মী-সিকিউরিটি পার্সন-হকার-বেকারের জীবনযন্ত্রণার নিখুঁত চিত্রনাট্য তাঁর ভাষণ। বলছেন, কী ছিল, কী হয়েছে, আরও ভয়ঙ্কর কী হতে পারে। মীনাক্ষী, দীপ্সিতারা এরপর ভিড়ের উদ্দেশে বলছেন, ‘এমনটাই চলবে, নাকি বদল চান? সিদ্ধান্ত আপনারা নিন।’

    মুখোমুখি কথায় হাততালি পড়ে কদাচিৎ। তবে বেশিরভাগ মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শোনে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনের এক চর এলাকার বাসিন্দাদের সামনে দাঁড়িয়ে সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষীর কথাগুলিও গ্রামবাসীরা ঠায় দাঁড়িয়ে শুনছিলেন। শুনে মনে হচ্ছিল গ্রামবাসীরাই নিজেদের সুখ-দুঃখ নিয়ে কথা বলছেন। মানুষের কথা বলার আগে তাদের মুখ থেকে তা শোনার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি রাজনীতিতে ফিরছে নবীনদের হাত ধরে। 

    মীনাক্ষী, দীপ্সিতাদের ভাষণ শুনে আমার ২০০৪-এর লোকসভা ভোটে বামপন্থীদের প্রচারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশেষভাবে মনে পড়ছে বাম যুবদের আন্দোলনে মীনাক্ষীদের পূর্বসূরি রবীন দেবের প্রচারের কথা। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অর্থ সংগ্রহ, রক্তদান এবং সাক্ষরতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসা রবীন দেব সেবার দক্ষিণ কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী। তিনি কোনও দিনই সুবক্তা নন। কিন্তু মাঠে-ময়দানের ভাষণে পরিসংখ্যান সহযোগে নিজের কথা তুলে ধরাতে তিনি অগ্রগন্য। 

    দক্ষিণ কলকাতায় তখন মমতা বন্দ্যোপাধায়ের নামে কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিলেও জিতে যেত। ফলে পরাজয় নিয়ে রবীন দেবের কোনও সংশয় ছিল না। তারপরও রোদ মাথায় বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। কাগজ-কলম হাতে নিয়ে অঙ্ক কষে দেখিয়েছেন—কেন্দ্রে বাজপেয়ীর বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে সুদ থেকে প্রাপ্তি কত ছিল, আর কমে কত হয়েছে। হিসাব তুলে ধরে বুঝিয়েছেন, অবসরের মুখে থাকা মানুষটির জীবনে কত বড় আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে। তাঁর কথাও মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতেন মানুষ। 

    রবীন দেব হারলেও সিপিএম-সহ বামদলগুলি সেবার ৪২-টির মধ্যে ৩৫টি আসন জিতেছিল। তৃণমূলের জিতেছিলেন শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার পর সেবারই গোটা দেশে ৬৫টি আসন জিতে বামপন্থীরা সেরা ফল করে। জনসভা, মিছিল, পদযাত্রার থেকেও বামেদের সাফল্যে বেশি কাজে দিয়েছিল বাড়ি, বাড়ি এবং পাড়া-মহল্লার নিবিড় প্রচার। সেই ঘরোয়া সভাতেও সমকাজে সম বেতনের মতো ভারী ভারী কথাতেই নারীর অধিকারের প্রসঙ্গ সীমাবদ্ধ থেকেছে, আমি কখনও কোনও নেতা-নেত্রীকে শাড়ি-সায়া-ব্লাউজ নিয়ে কথা বলতে শুনিনি, যা একজন নারীর না হলেই নয়। 

    বিগত বহু বছর কোনও নেতা-নেত্রীকে মাঠ-ঘাটে, ইটভাটায়, লোকের বাড়িতে কাজ করে খেটে খাওয়া মহিলা, ছাপোষা গৃহবধূর সখ-আহ্লাদ নিয়ে দু-কথা বলতে, কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনতে দেখা যায়নি। মীনাক্ষী, দীপ্সিতারা প্রচারে নতুন এজেন্ডা, নতুন ভাষ্য উপস্থাপন করছেন। চুরি, দুর্নীতি করা, সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা অন্যের কাছে হাত পাতার গ্লানি থেকে বাঁচতে গতর খাটিয়ে খাওয়ার কথাও রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে অনেকদিন শুনিনি। গত রবিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বঙ্গ সিপিএমের সদর দফতরের সেই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেও উঠে এল ভোটের নয়া এজেন্ডার কথা। সিপিএমের মহিলা প্রার্থীরা মাসিক-সহ নারীদের শারীরবৃত্তিয় নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলেন। বললেন, স্বল্পমূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা, গাইনোলজিক্যাল সমস্যায় মহিলাদের পাশে থাকার কথা। যোনি মুখ ক্যান্সারের ভয়াবহতার কথা মাথায় রাখলে বলতে হয় খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের পর যে বস্তুটি নিখরচায় সরবরাহ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য, তা হল স্যানিটারি ন্যাপকিন।

    বড় দলগুলির মেগা র‍্যালি, পদযাত্রা, প্রচারের ধামাকায় অধুনা ক্ষুদ্র শক্তি বামপন্থীদের এই কথাগুলি ক’জনের কানে পৌঁছাচ্ছে বলা মুশকিল। শুধু কী ছোট দল, কংগ্রেসের মতো শতাব্দী প্রাচীন সর্ব ভারতীয় দলও কিন্তু এই নির্বাচনে নতুন কথা বলেছে। বিজেপির মোদীর গ্যারান্টির জবাবে কংগ্রেস ন্যায়ের নিশ্চয়তা প্রদানের কথা বলছে। কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএমের নির্বাচনী ইস্তাহার খুঁটিয়ে পড়ে ‘ন্যায়’ শব্দটিই নজর কেড়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল তাদের সরকারের কাজগুলিকেই ইস্তাহারে পেশ করেছে। 

    অন্যদিকে, বামপন্থীরা স্লোগানের সংকটে ভুগছে বহুকাল। এই নির্বাচনে তারা নতুন কোনও রাজনৈতিক শব্দ হাজির করতে পারল না। সিপিএমের ইস্তাহার বলতে গেলে একটি দাবিপত্র। তারা বলেছে, কেন্দ্রে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে দাবিগুলি আদায়ের চেষ্টা করবে। কিন্তু সরকারে যোগদানের বিষয়টি এবারও অস্পষ্ট। 

    অন্যদিকে, কংগ্রেসের ইস্তাহারে উল্লেখিত ন্যায় শব্দটি আজকের ভারতে সবচেয়ে বেশি তাৎপর্য বহন করে। সংবিধান সভার আলোচনায় বিআর আম্বেদকর সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠাকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সংবিধান চালুর ৭৫ বছরের মাথায় সেই শব্দটি রাজনীতির মূল অঙ্গনে ফিরে আসার কারণ, বিগত দশ বছরে রাজনীতি-রাষ্ট্রনীতিতে সবচেয়ে বিপন্ন হয়েছে ন্যায়। ধর্মীয় ভেদাভেদ, জাতিগত সংঘাত, ধনীর আরও ধনী, গরিবের আরও গরিব হওয়ার মধ্য দিয়ে পদে পদে চরম সংকটের মুখে পড়েছে ন্যায়ের শাসন। কিন্তু কংগ্রেসের ন্যায় প্রতিষ্ঠার ডাকে মানুষ সাড়া দেবে কি? রাহুল গান্ধী কিন্তু আজকের ভারতে শব্দটির গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন ভারত যাত্রায় নেমে, সাধারণ মানুষের কথা শুনে। কিংবা সিপিএমের নবীন প্রজন্মে, যাদের কথায় খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম-রক্তের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরও ভাষা জুগিয়েছেন সাধারণ নাগরিকেরাই।

    তবু সংশয়ের কারণ, রাজনীতি নিয়ে মানুষের রুচি বদল। মন্দির-মসজিদ বিবাদ, হাতে কাজ দিয়ে রোজগারের ব্যবস্থা করার পরিবর্তে বিনামূল্যে সুবিধা প্রদানের যে ভোট-সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তাতে মানুষ আর ইস্তাহারের পাতা উল্টে নীতিকথা পড়তে আগ্রহী নয়। তারা বিচার করছে টাকার অঙ্কে কে কত দিচ্ছে। ‘ভোটদান’ মানে এখন আর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজের মত প্রকাশের কর্তব্যসাধন নয়, চৈত্রসেলের কেনাকাটার মতো মানুষ এখন ভোটটি বিক্রি করে। 

    বৃহত্তর জনমানসে রাজনীতির এই রুচিবদল অনেকটা ফিচার ফিল্ম আর আর্ট ফিল্মের চাহিদার ফারাক থেকে বোঝা যায়। বহুকাল হল সিনেমার দুটি ভাগ, গুড এবং ব্যাড ফিল্ম। বছর তিরিশ-পঁয়ত্রিশ আগে ছিল আর্ট ফিল্ম ও  বাণিজ্যিক ফিচার ফিল্ম। আর্ট ফিল্মে থাকত রাষ্ট্র-রাজনীতি-সমাজের নিষ্ঠুর বাস্তবতা। অন্যদিকে, ফিচার ফিল্ম ছিল বাস্তব থেকে বহুদূর কল্পিত কাহিনি। আর্ট ফিল্মগুলি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করলেও সেগুলির দর্শক ছিল না। অন্যদিকে, হিরো-হিরোইনদের নাচ-গানে ভরপুর বাণিজ্যিক ফিচার ফিল্ম দেখতে মানুষ পাঁচ টাকার টিকিট পঞ্চাশ টাকায় কিনত। 

    একথা কে না এক বাক্যে মানবেন, করোনা মহামারীর সময় বামপন্থীদের মতো করে আর কোনও দল মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। দিনের পর দিন শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালিয়েছেন তারা। অথচ, এক বছর পরের ভোটে বাংলার বিধানসভায় তারাই শূন্য হয়ে গেল। 

    মনমোহন সিংহের সরকারের বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগ ছিল ঠিকই (যদিও অধিকাংশই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে)। কিন্তু একশো দিনের কাজের প্রকল্প, তথ্যের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, ন্যায্য দাম ও পুনর্বাসনের গ্যারান্টি-সহ জমি অধিগ্রহণ, খাদ্য সুরক্ষা এবং আদিবাসীদের জমির সুরক্ষা প্রদানের মতো আইন চালু করা একটা সরকারের প্রধান দল কংগ্রেসের লোকসভায় পঞ্চাশ না পেরনোর কী ব্যাখ্যা থাকতে পারে? আসলে মানুষ ভালো কিছুর প্রত্যাশা করতে গিয়ে ওই শব্দটির মধ্যে আটকে গেছে। ভাল-মন্দ বিচারে ঢুকছে না। 

    প্রয়াত সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর একটি কথা মনে পড়ছে। কথাটি নিশ্চয়ই বহু মনীষী, সাধুসন্তও বলেছেন। কিন্তু সুভাষবাবু তাঁর সদা হাসিমুখ, উৎফুল্ল থাকার কারণ হিসাবে বলতেন, ‘আমার বাবা বলে গেছেন, যত খারাপই থাকো না কেন, সব সময় মনে রাখবে, চারপাশে অনেকে, কম করে একশোজন তোমার থেকেও খারাপ অবস্থায় আছে। ভাল থাকাটা অনেকটাই মনের ব্যাপার।’ কথাটা মিথ্যে নয়। আজ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে কথাটি স্মরণ করার কারণ মানুষের রাজনীতির রুচি। চরম বেকারি, চাকরি না পাওয়া শিক্ষিত যুবক, ঋণগ্রস্থ কৃষকের আত্মহত্যা, আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, জাত-ধর্মের নামে ভেদাভেদ, নারীর সম্ভ্রম নিয়ে টানাটানি সত্ত্বেও কিছু মানুষ মনে করে, এই বেশ ভাল আছি। কারণ, তাদের মৌলিক চাহিদাটি পূরণ হয়েছে। ভাল না থাকার কারণ হিসাবে যাদের তাদেরকে যাদের সামাজিক শত্রু হিসাবে চেনানো হয়েছে তারা আরও খারাপ আছে। ভাল থাকার যাবতীয় উপায়, উপকরণ কেড়ে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে তাগের। এটাই ভাল আছি মনে করা মানুষের পরম তৃপ্তির কারণ।
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৃষ্টিছাড়া | 59.9.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩২530875
  • স্বাদু, সাধুবাদ প্রাপ্য 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৮530879
  • লোক দেখানো প্রচারের ঢক্কা নিনাদ ছেড়ে এরকম ভাবে মানুষের পাশে এসে তার প্রব্লেমটায় ফোকাস করাই দরকার। 
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:247c:f48b:***:*** | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫১530880
  • সিপিএম পাট্টি আবার জোর প্রচারে নেমেছে, এটা জেনে ভালো লাগলো। আশা করি এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করবে। 
     
    আরেকটা কথা হলো, "একশো দিনের কাজের প্রকল্প, তথ্যের অধিকার, শিক্ষার অধিকার" এগুলোর পেছনে সিপিএম এর অনেকটা অবদান ছিল। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৪৬530907
  • সেই গত ভোটের সময় এঁদের খুব বক্তৃতার কথা শুনতাম। তারপর এতদিন আর কিছু শুনিনি। এখন আবার শুনছি। কিজানি মাঝের সময়টা এঁরা কী করেন, হয়তো মানুষের জন্য কাজকর্ম করেন।
  • অমল সরকার | 115.187.***.*** | ০৫ মে ২০২৪ ১৫:৫৬531417
  • বরং মুসলিমদেরই সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া হতে পারে

    অমল সরকার

    ফুটবল, ক্রিকেট, হকি কিংবা ডাংগুলি, হাডুডু, খেলা যাই হোক না কেন, মাঠে নেমে নরেন্দ্র মোদী রাগবি খেলতে শুরু করবেন, যে খেলায় তাঁর বিরোধীরা তেমন পারদর্শী নয়। মোদীর বিজেপির এই কৌশল এখন আর কারও বুঝতে বাকি নেই। স্বয়ং মোদীর মুখে ‘মোদীর গ্যারান্টি’র কথা শুনে মনে হচ্ছিল উন্নয়নের বুলি দিয়েই ভোট বৈতরণী পেরিয়ে যাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এখন বোধহয় বুঝতে পেরেছেন পাবলিক ‘মোদীর গ্যারান্টি’ গব গব করে গিলছে না। ফলে রাজনীতির রাগবি খেলা, অর্থাৎ সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিমদের ‘জুজু’ সাজিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভয় দেখানো শুরু করেছেন। 

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। মুসলিমদের সন্তান সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির দায় একপ্রকার এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছেন। হিন্দু নারীর মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়ার কথা বলে একেবারে পাড়ার গলিতে বিভাজন উসকে দিয়েছেন। এর সূদূর প্রসারী প্রতিক্রিয়া আধা সেনার ঘেরাটোপে হওয়া ভোটের সময় অনুধাবন করা কঠিন। ভোট মিটতে জওয়ানেরা ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার পর অমঙ্গলের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। 

    ভোটের ময়দানে নরেন্দ্র মোদীকে জনবিচ্ছিন্ন পাকিস্তানি রাজনীতিকদের থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না, নির্বাচন এলেই যারা কাশ্মীর নিয়ে সুর চড়ান। মোদী বা বিজেপির পাকিস্তানকে হাতিয়ার করা নতুন কিছু নয়। ‘বিজেপি হেরে গেলে পাকিস্তানে হোলি খেলা হবে’—এমন কথা অনেকবার অমিত শাহের মুখে শোনা গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ক’দিন আগে অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান কংগ্রেসের শাহজাদাকে (পড়ুন রাহুল গান্ধী) প্রধানমন্ত্রী করতে চায়। 

    কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ যে কষ্টকল্পিত তাতে চোখ বোলালেই তা বোঝা যায়। তারপরও ‘হিন্দু খতরে মে হ্যায়’ এবং মুসলিমরাই বিপদ, এই ধারণা বদ্ধমূল করা হিন্দুত্ববাদী শিবিরের চেনা কৌশল। প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি তাঁর ‘দ্য পপুলেশন মিথ’ বইয়ে সরকারি তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখিয়েছেন, মুসলিমদের সন্তান সংখ্যা, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বনে মোটেও পিছিয়ে নেই এবং জনসংখ্যায় হিন্দুদের ছাপিয়ে যাওয়া নিছকই কষ্ট কল্পনা, অপপ্রচার। 

    তাতে বিজেপির কিছু এসে যায় না। সব ভোটেই মোদী-সম্প্রদায় এই অস্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের দেশপ্রেমী এবং বিরোধীদের দেশ বিরোধী দেগে দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী এবার সেই তালিকায় দেশের গোটা মুসলিম সমাজকে জুড়ে নিয়েছেন, তাদের অনুপ্রবেশকারী বলে ইঙ্গিত করে। 

    এ সব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী তাঁর দশ বছরের কাজের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে বারে বারে বলছেন, ‘এ তো সিরফ ট্রেলার হ্যায়, ট্রেলার।’ দিল্লির কুর্সি দখলে রাখতে পারলে মোদীর ছবির চিত্রনাট্য স্পষ্ট হবে। যদিও তাঁর দশ বছরের কার্যকলাপ থেকে এটা অনুমান করা কঠিন নয় প্রধানমন্ত্রীর ঝুলিতে কী থাকতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে গোটা মুসলিম সমাজকে নিশানা করেছেন, তাতে স্পষ্ট ‘সবকা সাথ’ স্লোগান দেওয়া নরেন্দ্র মোদী ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর ভোট চান না। দু-বছর আগে বিধানসভা ভোটে যা আরও খোলাখুলি বলেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। ধর্মীয় মেরুকরণের এমন মরিয়া চেষ্টার নজির নেই, বিশেষ করে কথাগুলি যখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন। 

    ভোটের ময়দানে মুসলিমদের অবজ্ঞা, উপেক্ষা এবং সংখ্যালঘু প্রশ্নে পদ্ম শিবিরের বিগত কয়েক বছরের পদক্ষেপ থেকে অনুমান করা যায় দেশের প্রধান সংখ্যালঘু সমাজের জন্য কী দুর্দিন অপেক্ষা করছে। তার একটি হল, তাদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা কেড়ে নেওয়া অথবা, জায়গা বিশেষে হিন্দুদেরও একই মর্যাদা প্রদান। 

    মুসলিম তোষণের ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রসাদ নাড্ডা অভিযোগ করেছেন, মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে সাচার কমিটির তৈরি রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাতে মুসলিমদের দুরবস্থা, দারিদ্র ইত্যাদি অতিরঞ্জন করা হয়েছে। বাস্তবে তারা অতটা পিছিয়ে নেই। 

    সাচার কমিটি গঠন করেছিল মনমোহন সিং সরকার। ২০০৬ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায়, প্রথম তো নয়ই, এমনকী দ্বিতীয়ও নয়, ভারতে মুসলিমরা কার্যত তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে আছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশের আগেই শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে মনমোহন সরকার। ২০০৪ সালে তারা ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনোরিটি এডুকেশন ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট চালু করে। তার আগে, ১৯৯২ সালে কংগ্রেসের নরসিংহ রাও সরকার চালু করে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনোরিটিস অ্যাক্ট। ওই আইনে জাতীয় ও রাজ্য স্তরে সংখ্যালঘু কমিশন গঠিত হয়েছে। তারও আগে কংগ্রেস সরকার সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করে মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টানদের সুযোগ সুবিধা প্রদানে নিশ্চয়তা দেয়। 

    বিজেপি এই সব ক’টি সুবিধা বাতিলের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। দলের নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলায় দুটি বিষয় আছে। এক. সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়, সংখ্যালঘু কমিশন, সংখ্যালঘু শিক্ষা কমিশন তুলে দিতে হবে। দুই. প্রথম দাবিটি মানা না হলে নয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হোক। এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল, পাঞ্জাব, অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, লাক্ষাদ্বীপ, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ ও মণিপুর। তাঁর দাবি, দুশো জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু।

    উপাধ্যায়ের দাবি, সংখ্যালঘু নির্ধারণের মাপকাঠি নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে। যে সব রাজ্য ও জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে তাদেরও সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ সুবিধাগুলি দিতে হবে। এই দাবির সমর্থন করে উপাধ্যায়ের মামলায় পার্টি হয়েছে অসমের বিজেপি সরকার। ওই রাজ্যে ২৭টির মধ্যে নয়টি জেলায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওই নয় জেলায় হিন্দুদের সংখ্যালঘু গণ্য করার পক্ষপাতী অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    সংবিধান ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই পথেই সরকার এগোয়, তাহলে, এই নয় জেলায় সংখ্যাগুরু মুসলিমরা তাদের সংখ্যালঘু তকমা হারাবে। সেই সূত্রে প্রাপ্য সুবিধা থেকে ব়ঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, একাধিক ধর্মীয় গোষ্ঠী সংখ্যাগুরুর স্বীকৃতি পেতে পারে না। বর্তমানে শুধু জাতীয় ও রাজ্যভিত্তিক ধর্মীয় সংখ্যালঘু বাছাইয়ের ব্যবস্থা আছে দেশে। ওই বিচারাধীন মামলায় মোদী সরকার বলেছে, সংখ্যালঘু নির্ধারণের অধিকার কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত। ফলে আদালত সায় না দিলে সংসদে বিল এনে উপাধ্যায়ের দাবি পূরণ করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। 

    ২০১১-এর জনগণনা রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলায় মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিজেপি যে পথে এগচ্ছে তাতে আগামী দিনে ওই জেলাগুলিতে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ সুবিধা হিন্দুরা পাবে। 

    জনগণনার একই রিপোর্ট অনুযায়ী অসমের জনসংখ্যার ৩৪.২২ শতাংশ মুসলিম। সেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলি হল, নিম্ন অসমের ধুবরি, গোয়ালপাড়া, বরপেটা, মরিগাঁও এবং বঙ্গাইগাঁও। মধ্য অসমের নওগাঁ এবং দরং এবং বরাক ভ্যালির হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ। গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই নয় জেলার ৪৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১২টি। বাকি ২৯টি পেয়েছে কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ জোট। 

    বিজেপি মনে করছে, ওই এলাকায় হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া গেলে তারাও চাকরি, শিক্ষায় সংরক্ষণের বাড়তি সুবিধা পাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিজেপির সুবিধা হবে। 

    মুসলিমদের চলতি সুযোগ সুবিধা কেড়ে নেওয়ার আশঙ্কা শুধু অশ্বিনী উপাধ্যায়ের জনস্বার্থ মামলাতেই সীমাবদ্ধ নয়। গত বছর কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপি সরকার সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের চার শতাংশ সংরক্ষণ খারিজ করে দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের দিন কয়েক পর তেলেঙ্গানায় প্রচারে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে চাকরি, শিক্ষায় মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ বাতিল করে দেবে। রাহুল গান্ধীর কাস্ট সেন্সাসের ঘোষণা এবং ‘জিতনা আবাদি উতনা হক’ স্লোগানকে প্রধানমন্ত্রী হিন্দুর স্বার্থহানির চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন। কারণ তিনি জানেন, ওবিসিদের সংরক্ষণের কোটা বাড়ানো হলে বাড়তি সুবিধা পাবে মুসলিমরা। আর্থিক মানদণ্ডে তৈরি ওবিসি তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ অনেক রাজ্যেই মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমবঙ্গের তালিকাটি বাতিলের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপির ওবিসি মোর্চা। 

    ফলে মোদী সরকার ক্ষমতায় টিকে গেলে মুসলিম-সহ সব সংখ্যালঘুর সুযোগ সুবিধা কেড়ে হিন্দুদের বিলোনোর সম্ভাবনাই বরং উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মোদী মুসলিমদের নিশানা করেছেন। কেরল, উত্তর-পূর্ব এবং পাঞ্জাবের কথা বিবেচনায় রেখে খ্রিস্টান, শিখদের টার্গেট করেননি। যদিও পদ্ম শিবিরের কৃষক আন্দোলনকারীদের খলিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা, মণিপুরে খ্রিস্টানদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় স্পষ্ট কোনও সংখ্যালঘুই নিরাপদ নয়। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় গুজরাত সরকার নির্দেশ জারি করেছে, হিন্দুরা ধর্ম বদল করতে চাইলে আগাম সরকারের অনুমতি নিতে হবে। তাই মুখ বুজে থাকার উপায় নেই। জার্মান কবি মার্টিন নিম্যোলারের সেই লাইনগুলি আজ খুবই প্রাসঙ্গিক—
    যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিল, আমি কোনও কথা বলিনি,
    কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
    তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল, আমি নীরব ছিলাম,
    কারণ আমি শ্রমিক নই।
    তারপর ওরা যখন ফিরে এলো ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ভরে মারতে, আমি তখনও চুপ করে ছিলাম,
    কারণ আমি ইহুদি নই।
    আবারও আসল ওরা ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে, আমি টুঁ শব্দটি করিনি,
    কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
    শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,
    আমার পক্ষে কেউ কোনও কথা বলল না, কারণ, কথা বলার মত তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।
     
    হটপস://ওওও।ফেইসবুক.কম/স্টোরি.পঃপঃ?স্টোরি_ফবিদ=৭৮৭৪২৬৪৯৩৫৩২৬৮৫ 
     
    হটপস://ওওও।খেয়াল.ইন/ওপিনিয়ন/অপেড/ইন্ডিয়ান-মুসলিমস-লস্ট-থেইর-অপর্চুনিটি-এস-সিটিজেন/টিড/১২৮৬৭৭ 
     
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ মে ২০২৪ ০৩:৩৬531428
  • লিংকগুলো কীরকম হটপস ওওও টাইপের হয়ে গেছে, ঠিকমতন আসে নি। যদি সম্ভব হয় আবার দিন।
  • রঞ্জন | 106.212.***.*** | ০৬ মে ২০২৪ ১০:৫৭531436
  • যতদূর মনে পড়ছে মার্টিন নিয়েমোলার একজন ক্রিশ্চান ধর্মযাজক ছিলেন।
  • Prabhas Sen | ০৬ মে ২০২৪ ১৫:০২531451
  • সবকা সাথ  সবকা  বিনাশ ,! আমাদের  ভবিতব্য! 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন