এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রসঙ্গ : বিশ্ব জল দিবসের ভাবনা 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ মার্চ ২০২৪ | ৫৯৯ বার পঠিত

  • আজ বিশ্ব জল দিবস
     
    ২২ মার্চ দিনটি প্রতি বছর পালিত হয় বিশ্ব জল দিবস হিসেবে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে জলের গুরুত্বের কথা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলার দরকার হয়না। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই  বৈশ্বিক প্রাণধারাকে বজায় রাখতে জল সাহায্য করে। এক সময় বলা হতো পার্থিব জলের ভাণ্ডার হলো অফুরান সম্পদের উৎস। প্রকৃতির এই অকৃপণ সম্পদের কারণেই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র নীলগ্রহ ধরিত্রীর বুকেই বিকশিত হয়েছে বহু বিচিত্র প্রাণের বিস্ময়কর ভাণ্ডার। একজন স্কুল পড়ুয়াও একথা জানে যে আমাদের এই পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ জুড়ে রয়েছে জল।
    একথা শুনে মনে হতেই পারে যে তাহলে জল নিয়ে এতো ভাবনার কি আছে?

    আসলে এখান থেকেই শুরু হয়েছে বিপন্নতার ভাবনা। পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণ জল মজুদ আছে এ কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েও বলতে হয় , যে জলকে ঘিরে ধরিত্রীতে  জীবনের এমন স্বতঃস্ফূর্ত প্রাণময় বিকাশ তার জোগান পৃথিবীর বুকে অত্যন্ত সীমিত – এক গ্লাস জলের মধ্যে মাত্র এক চামচ। এই এক চামচ জলের সবটাই যে ব্যবহার্য, আমাদের নাগালের মধ্যে আছে তেমনটাও যে নয়। অথচ পৃথিবীর জনসংখ্যা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে ওই সামান্য পরিমাণ জলের ভাগীদারের সংখ্যা, বাড়ছে কাড়াকাড়ি, হানাহানি। কেননা জল ছাড়া জীবন অচল। 



    অনেক দূরের উদাহরণ ছেড়ে চলতি সময়ের ব্যাঙ্গালুরুর অভূতপূর্ব জলহীন খরা পরিস্থিতির কথাই আলোচনা করি। আই টি সেক্টরের হাত ধরে এই নগরীর আকাশচুম্বী বিকাশ ঘটেছে সাম্প্রতিক কালে দক্ষিণী জনপদটিকে ঘিরে। কেবল কর্ণাটকের মানুষেরাই নানা অছিলায় সেখানে ভিড় জমিয়েছে তেমনটাতো নয়।রুটি রুজির আশায় সেখানে হাজির হয়েছে নানা প্রদেশের, নানা প্রান্তের বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী মানুষজন। তাঁদের বর্ধিত জলের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা ঐ রাজ্যের প্রশাসনের। জল জল করে সবাই হেদিয়ে মরছে কিন্তু জল আসবে কোথা থেকে? পাথুরে চাট্টানে ঢাকা ঐ রাজ্যের ভৌম জলভাণ্ডার এ রাজ্যের পলিময় জমিনের মতো কখনোই তেমন  সমৃদ্ধ পরিপুষ্ট ও মজবুত নয়। যেটুকু জল এতোদিন ধরে ধরিত্রীর বুকে জমা ছিল তাও নিজেদের প্রয়োজনে তুলে ফেলে ভৌম জলভাণ্ডারকে নিঃশেষ করে ফেলেছে ঐ অঞ্চলের মানুষজন। পাশাপাশি নগরীর চিরায়ত জলের ভাণ্ডার প্রাচীন সরোবরের অস্তিত্ব বিপন্ন, কংক্রিটের মলাটে মোড়া শহরে জলের ভাণ্ডার পুনর্নবীকরণের সুযোগ নেই, ফলে মনুষ্যসৃষ্ট খরার প্রকোপে জর্জরিত ব্যাঙ্গালুরুবাসী মানুষজন। হা জল, যো জল করে হয়রানির একশেষ।



    এই সমস্যা কেবল ব্যাঙ্গালুরের নয়, গোটা পৃথিবী জুড়েই শুরু হয়েছে জলের জন্য সুতীব্র হাহাকার। আমরা সতর্ক হবার তাগিদ অনুভব করিনি , আর তাই জল সংকট তিলতিল করে বাড়তে বাড়তে আজ বিস্ফোরক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বিগত ২০২৩ সাল ছিল সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। একদিকে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গড় পার্থিব উষ্ণতা বেড়েই চলেছে, তার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর বর্ষণ শৃঙ্খলায়। সমুদ্র জলের উষ্ণতা বেড়েই চলেছে ফলে জল ও স্থলের তাপীয় বৈপরীত্য, যা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি করে,তা ক্রমশ কমছে। বাড়ছে খরার প্রকোপ। এই সবের প্রভাবে পার্থিব জলচক্রের সুষম শৃঙ্খলাও আজ বিপন্ন। 



    অথচ জলের চাহিদা তো থেমে নেই, সে তো চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। আর একটা কথাও মনে রাখতে হবে যে জলের চাহিদা কেবলমাত্র গৃহস্থালি প্রয়োজনেই সীমিত এমনটা নয় । আমাদের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা অর্থাৎ কৃষি উৎপাদন, শিল্পোৎপাদন, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা , বহুবিধ জীবন যাপন জীবিকা সবকিছুই জলের ওপর নির্ভরশীল, জলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এহেন উপাদানের ঘাটতি মানেই হলো জীবনের ঘাটতি। আজ তাই সমগ্র বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে বিপন্ন জীবনের কোলাহল। 



    রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে এক প্রতিবেদনে তাই সতর্ক করা হয়েছে আমাদের। বলা হয়েছে – এক ‘ পরম জলের অভাবী অবস্থার’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী। গবেষণায় দেখা গেছে যে নীলগ্রহের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ ৪ বিলিয়ন মানুষ, বছরের বারো মাসের মধ্যে কমবেশি এক   মাস তীব্র জলকষ্টের মধ্যে থাকে। এই সংখ্যাটা ক্রমবর্ধমান ‌। যে হারে সংকট বাড়ছে তাতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে পৃথিবীতে পরম জলাভাবী মানুষের সংখ্যাটা হয়তো গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১.৮ বিলিয়নের মতো। অর্থাৎ এই বিপুল সংখ্যক মানুষ স্থায়ীভাবে জল শূন্য অবস্থায় থাকবে। রীতিমত ভয়ঙ্কর ঘটনা।
     
    গতবছরের ভয়ঙ্কর খরার   প্রেক্ষিতে স্পেন সরকার এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, ব্যাঙ্গালুরুর মতো অভাবনীয় জলসঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে মেক্সিকো সিটি সহ দক্ষিণ আমেরিকার অনেক জনবহুল শহর। মারাত্মকভাবে খরাগ্রস্থ হয়ে জাতীয় বিপর্যয়ের আগাম ঘোষণা করেছে জাম্বিয়া সরকার। আমাজন নদী জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে!! ভাবা যায়!!!!!!

    এহেন সংকটের মোকাবেলায় আমরা সবাই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি? রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতে অতিশীঘ্রই আমাদের জলজ বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণে তৎপর হতে হবে। জলের চিরায়ত বাস্তুতন্ত্রের বিনষ্টি কীভাবে প্রচল জনজীবনে তুফান তোলে, ব্যাঙ্গালুরু তার জাজ্বল্যমান উদাহরণ। আমরা কি সেই পথেই আমাদের নিজেদের ও পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে পরিচালনা করবো? আজ বিশ্ব জলদিবসে এই বিষয়ে আমাদের স্থির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই বিষয়ে যত‌ই কঠিন ও কঠোর হতে হোক না কেন তার গ্রহণে পিছপা হলে চলবে না।

    স্যসটেনেবল ডেভলপমেন্ট বা বহতা টেকস‌ই উন্নয়নের যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিশ্বময় বিকাশের কথা ভাবা হয়েছে তাকে সফল করতে হলে জলকে ঘিরেই পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে সকলকে ‌। মনে রাখতে হবে – জল হলো জীবনের প্রতিরূপ। তাই জল নেই তো জীবন নেই, জীবনের বর্ণময় বিকাশ নেই,সপ্রাণ আনন্দ নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবেশ কর্মসূচির অন্যতম আধিকারিক লেটিসিয়া কারভালহোর কয়েকটি আশাভরা কথা দিয়ে শেষ করবো আজকের এই প্রতিবেদনটি। কারভালহো বলেছেন – “সমাধানগুলো আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন উদ্ভাবনী চিন্তা, বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা এবং বর্ধিত অর্থায়ন যাতে জলের কথা থাকে, কেউই যেন পিছনে না থাকে। আর চাই আপামর জনসাধারণের তিতিক্ষা , মিতব্যয়ী মানসিকতা একটু একটু কষ্ট স্বীকারের ঔদার্য।”

    আজকের বিশ্ব জল দিবসের এই হোক আমাদের প্রত্যয়ী অঙ্গীকার।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam Basu | ২২ মার্চ ২০২৪ ১১:৫০529672
  • "গবেষণায় দেখা গেছে যে নীলগ্রহের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ ৪ বিলিয়ন মানুষ, বছরের মধ্যে এক মাস তীব্র জলকষ্টের মধ্যে থাকে।বলা বাহুল্য যে এই সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়ছে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৮ বিলিয়নের মতো"
     
     
    ২০২৫ সাল তো সামনের বছর, মানে আর মাস নয়েক পরে!! ৯ মাসে ১৮ বিলিয়নে পৌঁছে যাবে কি করে মশাই? (এ কথা লিখলাম বলে আবার আমাকে ক্লাইমেট ডিনায়ার বলে দাগিয়ে দেবেন না যেন! )
  • Somnath mukhopadhyay | ২২ মার্চ ২০২৪ ১২:২৪529675
  • একদম নয়। সমস্যার তীব্র অভিঘাতে এমন‌ই যদি ঘটে তাহলে আশঙ্কা বাড়ে বৈকি! সংখ্যাটা যদি কমে গিয়ে দশ বিলিয়নে থিতু হয় তাহলেও‌ উদ্বেগ বিন্দুমাত্র কমেনা । দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশগুলোতে তীব্র খরা পরিস্থিতি চলছে গত বছর থেকেই, গোটা আফ্রিকা জ্বলছে জলাভাবের কারণে, ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থাও স্বস্তিদায়ক নয়। তাহলে? 
    আমি এই তথ্য পেয়েছি UNEP র সাম্প্রতিক প্রকাশনা থেকে। আমিও আৎকে উঠেছিলাম প্রথমে, পরে ভাবলাম ভালো মন্দ যাহাই ঘটুক সত্যটাকে আড়াল না করে তাকে মোকাবেলা করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে।
    ভালো থাকবেন সবসময়। মন্তব্য করেছেন বলে মন্থনের সুযোগ পেলাম। ব্যাঙ্গালুরু ক্রাইসিস নিয়ে একটা লেখা লিখেছি অন্য প্ল্যাটফর্মে। দেখতে পারেন।
  • Somnath mukhopadhyay | ২২ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৩529678
  • ১৮বিলিয়ন ??!! ১.৮ বিলিয়ন মানুষ। দশমিক প্রমাদ মার্জনীয়। অরিন্দম বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।কথালাপ চলুক। সমবেত সদিচ্ছা থাকলেই যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:24:45d:8000::***:*** | ২২ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৬529689
  • রাষ্ট্রনায়করা এইসব ' ছোটখাট ' ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামালে তরজা করবে কখন! ওসব কতগুলো ' পাগল ' পরিবেশ প্রেমী ভাবুক!  যদি বলেন তো সরকার একটা জল সংরক্ষণ মেলা করে দিতে পারে বা উৎসব করে দিতে পারে। কিন্তু সংরক্ষণ বহুত ঝামেলা কি বাত। 
    একটি অনুষ্ঠানে শুনলাম গত ৩০ বছর কলকাতা এবং তার সংলগ্ন জলাভূমি কমেছে ৫০০০ মতো।
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 49.37.***.*** | ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:০৬529733
  • এরকম লেখা মানুষকে সচেতন করে। খুব ভালো লাগলো। পরিবেশকে বাঁচাতে হবে, তার দ্বায়িত্ব আমাদেরই হাতে। 
  • Somnath mukhopadhyay | ২৪ মার্চ ২০২৪ ০৬:০৯529743
  • অরিন , আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। ব্যাঙ্গালুরু আমাদের ঝুঁটি ধরে নাড়িয়ে দিয়ে গেল। এখনও আমরা সবাই যদি নিজেদের শুধরে নেয়ার কথা না ভাবি তাহলে অচিরেই অনেক অনেক ব্যাঙ্গালুরুর আবির্ভাব হবে। উন্নয়নের যে মডেল সাম্প্রতিক কালে মান্যতা পাচ্ছে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে বাধ্য। মন্থন চলুক জোর কদমে।
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২৪ ১২:০২529748
  • "উন্নয়নের  যে মডেল সাম্প্রতিক কালে মান্যতা পাচ্ছে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে বাধ্য। মন্থন চলুক জোর কদমে।"
    সে একটা দিক।
     
    ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের গাঙ্গেয় সমতলভূমিতে জলে দ্রবীভূত আর্সেনিক আরো একটি সমস্যা। 
     
    জলস্তর যত কমতে থাকবে, ততই জলে দ্রবীভূত আর্সেনিক আর ক্রোমিয়ামের সমস্যা বাড়তে থাকবে। 
    তার ওপর সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে অন্য রকমের সমস্যা। মানুষ যাবে কোথায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন