এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  কাব্য

  • সুকুমার রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে

    Arindam Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৩৬৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • (সুকুমার রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে)
    কেউ কি জান সদাই কেন জম্বুদীপের প্রজা
    টিভির ফ্রেমে তারিয়ে দেখে রামরাজ্যের ধ্বজা?
    তেনার মাথায় অষ্টপ্রহর কেন বালিশ বাঁধা?
    গণতন্ত্রে পেরেক ঠোকেন কেন ওনার দাদা?
    কেন সেথায় কোভিড হলে চিল্লিয়ে লোক মরে?
    জোছনা রাতে সবাই কেন থালা বাজায় জোরে ?
    ওস্তাদেরা লেপ মুড়ি দেয় কেন মগজটিরে?
    টাকের পরে পণ্ডিতেরা ভক্ত টিকিট মারে!
    রাত্রে কেন মোবাইলটা ডুবিয়ে রাখে ঘিয়ে?
    কেন ওনার বিছনা পাতে গেরুয়া কাপড় দিয়ে?
    সভায় কেন চেঁচান উনি ‘জ্যায় জ্যায় রাম’ বলে ?
    সান্ত্রী কেন কলসি বাজায় বসে ওনার কোলে ? 
    কেন সেথায় নিত্য হাঁকে রাষ্ট্রবাদের নিশি ?
    রাজ্য নিয়ে ক্রিকেট খেলে কেন মোদের পিসি?
    মিডিয়া খুড়াে নাচেন কেন হুঁকোর মালা পরে?
    এমন কেন ঘটছে তা কেউ বলতে পারাে মােরে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:bba5:8546:b315:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৩:৪৯742038
  • সাধু সাধু
  • যোষিতা | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:৪২742039
  • প্যারোডি ভালই হয়েছে।
    এখানেই লিখছি। কদিন যাবদ আমার যা অবজারভেশন।
    রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সরাসরি সমপ্রচার আমি পুরোটাই দেখেছি। মূর্তির সৌন্দর্য নিয়ে আমার মত হচ্ছে, আমার চোখে মূর্তিটি সুন্দর লেগেছে। আমি শিল্পী নই, কাজেই শিল্পের গুণাগুণ জানি না। মন্দিরের ভেতরের কাজ যতটুকু দেখিয়েছে টিভিতে, যথেষ্ট সুন্দর।
    জনগণের মধ্যে ভক্তির জোয়ার, প্রচুর মানুষের সমাগম, তীর্থে যাবার মত অনুভূতি, এগুলোর মধ্যে কোনও খাদ আছে বলে মনে হলো না।
    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই করসেবকদের প্রথম দেখি ১৯৮৭তে পুরোনো দিল্লির লালকেল্লার অপোজিটে ফলের রসের স্টলগুলোর পাশে প্রচারে ব্যস্ত থাকতে। তারা ছোট্ট মাইক নিয়ে প্রচার করত, লিফলেট বিলি করত। এরপরে ১৯৯০ ও ১৯৯২ এর ঘটনা আমরা জানি। অনেক জল বয়ে গেছে সরযু নদী দিয়ে। সুপ্রীম কোর্টের রায় আমরা জানি। এখন মন্দিরের উদ্বোধনও হয়ে গেল। নতুন করে কোনও ঝামেলা হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে ঝামেলা পাকিয়ে যাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধি হবে, তারা যে কোনও ইশুতেই পাকাবে।
    ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ভারতবর্ষে বরাবর হয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও হবে।
    ঈশ্বরে বিশ্বাস করা বা না করা ব্যক্তিবিশেষের নিজস্ব অভিরুচি। জোর করে কারওকে নাস্তিক বানানো যায় না, এর হাতে গরম উদাহরণ সোভিয়্ত ইউনিয়ন। কয়েক জেনারেশন ধরে ধর্মাচরণ বন্ধ রাখার পরেও জনগণের ঈশ্বর বিশ্বাস রাষ্ট্রশক্তি চেপে রাখতে পারে নি। শুধু বেকারাই ঈশ্বর মানে বা ধার্মিক হয় — এমন ধারণা যদি কেও করে, তবে আমার পাল্টা যুক্তি হবে, তাহলে বোকারাই দুনিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ।
    এরপরে কথা উঠতে পারে, যে উচ্চশিক্ষিত বা বিজ্ঞানমনস্কদের ঈশ্বরের অস্তিত্ব মেনে নেওয়া উচিত নয়।
    এবারেও আমার নিজস্ব মত — না। এরকম কোনও মানে নেই। বরং আমি মনে করি কোনও এক বিশেষ শক্তির ওপর বিশ্বাস বা ভরসা রাখলে জীবনের অনেক স্ট্রেস কমে যায়, মানসিকভাবে অন্কটাই নির্ভার হওয়া যায়। বিশেষ করে সকলের মনের জোর ইস্পাতের মত কঠিন দৃঢ় নয়। তারা কেমন করে বাঁচবে? তাদের নিশ্চয় বাঁচার অধিকার আছে॥ তবে যাগের মনের জোর অনেক বেশি, তাদ্র জন্য এরকম ঈশ্বর বা ধর্ম বা দেবতার প্রতি নির্ভর করবার হয়ত দরকার নেই। তারা যদি জোর করে এগুলো চাপায় অন্যের ওপর, বা যারা বিশ্বাসী তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে, সেটা তাদের নিজস্ব রুচির পরিচয়। এবং ভাইসি ভার্সা।
    এর পরের কথা। ভারতের জনসংখ্যা বিপুল। এদেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দু হলেও, মুসলমান জনসংখ্যায় ইন্দোনেশিয়ার পরেই। কাজেই একটা ব্যালেন্স রেখে চলা দরকার। খামোখা মাইনরিটিদের উত্তেজিত করা বা উসকানি না দিলে, ঝামেলা বাধার সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সংখ্যাগুরু ধর্মীয় সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুপাতটা ভারতের মত নয়।  সেই সব দেশে সংখ্যালঘুরা চুপচাপ থাকে। সব দেশ নিরপেক্ষও নয়। কাজেই ভারতের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর বা দাঙ্গায় ইন্ধন জোগানোর উপকরণ কম নেই।
    আপাতত এই মন্দির নিয়ে কোথাও দাঙ্গা হচ্ছে বলে খবর পাই নি। 
    তবে হ্যাঁ, রাজনীতির লোকেরা বরাবরই ধর্মীয় সম্প্রদায়দের ব্যবহার করে মুনাফা লুটেছে। কিন্তু আবারও ঐ ডেমোক্র্যাটিক সিস্টেমে মতদান সবচেয়ে দরকারি বস্তু। 
    যে ঝামেলাটা হয়ে গেছে, তার নিষ্পত্তিও সর্বোচ্য আদালতের রায়ে সকলেরই জানা। এখন ভবিষ্যতে কী কী হতে পারে, কোথায় কোথায় রেপ হবে, কে রাকে মারবে, এগুলো নিয়ে স্পেকুলেশন করে টাইমপাস হতে পারে।
    যারা রেপ করে, খুন করে, লুঠ করে, তারা যে ধর্মপরিচয়েরই হোক না কেন, তারা খারাপ লোক। এখন, কেন তারা খারাপ লোক, সেই নিয়ে আলোচনা অন্য ডিবেটের প্রসঙ্গ।
    এরপরে আমাকে বিজেপি বলে দাগিয়ে দিলে কি তৃণূল বলে দাগালে, আমার কীই বা করবার আছে।
  • :-)) | 2405:8100:8000:5ca1::16d:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৬742040
  • Once a chaddi always a chaddi
  • Arindam Basu | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১০742041
  • যোষিতার লেখাটি পড়তে গিয়ে মনে পড়লManufacturing consent এ চমস্কিরা লিখেছিলেন, 
    "A propaganda model focuses on ...  inequality of wealth and power and its multilevel effects on mass-media interests and choices. It traces the routes by which money and power are able to filter out the news fit to print, marginalize dissent, and allow the government and dominant private interests to get their messages across to the public. The essential ingredients of our propaganda model, or set of news "filters," fall under the following headings: (I) the size, concentrated ownership, owner wealth, and profit orientation of the dominant mass-media firms; (~) advertising as the primary income source of the mass media; (3) the reliance of the media on information provided by government, business, and "experts" funded and approved by these primary sources and agents of power; (4) "flak" as a means of disciplining the media; and (5) "anticommunism" as a national religion and control mechanism. These elements interact with and reinforce one another"
    (১৯৮৮ সালে লেখা)
    আসলে এ এমন একসময়, যে সব কিছু ভুলিয়ে দেয় ঝকঝকে মোড়কের আড়ালে। 
    আমরা রামমন্দিরের চাকচিক্য আর মানুষের ভক্তির বহিঃপ্রকাশ দেখে প্রশ্ন করতে ভুলে যাই, এর কি প্রয়োজন, এ কাদের স্বার্থসিদ্ধি করবে? এই মন্দিরের পেছনের রক্তাক্ত ইতিহাস, মানুষের মৃত্যু, ধ্বংসের কাহিনি এখানে গৌণ। 
    কারণ রামলালার পাথরে "প্রাণ" প্রতিষ্ঠা হবে।
    বিজ্ঞান আর ধর্ম পাশাপাশি চলতে পারে না, কেননা বিজ্ঞানে অন্ধ বিশ্বাসের কোন স্থান নেই, আর অন্ধ বিশ্বাস ও ভক্তি বাদ দিলে ধর্ম আর ধর্ম থাকে না যে।  অন্ধবিশ্বাস ও বিজ্ঞান অনুসন্ধিৎসার মধ্যে যেকোন একটাকে বেছে নিন, দু নৌকোয় তো আর পা রাখা যাবে না।
    আগামী ভারতডর্ষ কাকে বাছবে, সেটা তাদেরই স্থির করতে হবে, আপাতত ভারতের রাষ্ট্রশক্তি মানুষকে কোন পথে নিয়ে যেতে চায়, তার প্রমাণ তারা ২২শে জানুয়ারী রেখেছে। 
  • | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৪742042
  • কনসেপ্ট  বিল্ডিঙ্গ প্রসঙ্গে অভিজিত মজুমদার সেদিন লিখেছিলেন, এখনে কপি করে দিলাম। 
     
    "উন্মাদনা নির্মাণ
    সারুক্ষানের সিনেমাই হোক আর আইপিএলের ম্যাচ, উন্মাদনা তৈরী করা হয় রীতিমত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। একটু একটু করে প্রচার শুরু করা হয় যাকে টিজার বলে। তারপর ধাপে ধাপে সুর চড়িয়ে শেষ অব্দি টিভি-রেডিও-সোশ্যাল মিডিয়া-হোয়াটস্যাপ ফরোয়ার্ড-ইউটিউব সাজেশন মিলিয়ে পুরো ব্যাপারটাকে এমন একটা স্কেলে নিয়ে যাওয়া হয় যে অন্তত সমালোচনা করার জন্যও তোমাকে তার শরিক হতে হয়। চব্বিশ ঘন্টা ধরে একই জিনিষর কার্পেট বম্বিং চলতে চলতে মানুষের স্বাভাবিক ভাবার ক্ষমতা তাহলে যায়। এমন একটা ব্রেন ওয়াশ হয় যে তখন “আমি ক্রিকেট দেখি না” বলতেও ঢোঁক গিলতে হয়। ঝাঁকের কই হয়ে মিশে থাকার কমফর্ট আর দলছুট হওয়ার আদিম ভয়, এই দুইয়ের মাঝে পড়া মানুষ সবাই যা করছে তাই করতে চায়।
    তারপর ব্যপারটা একটা সেল্ফ প্রপেলিং এবং শেল্ফ ফিডিং লুপে পড়ে গেলে উন্মাদনা নির্মাণের কাজ শেষ। এরপর পুরোটাই চেন রিঅ্যাকশনে চলে।
    এই পুরো কাজটাই করে প্রফেশনাল লোকজন যারা রীতিমত অংক কষে, হিসেব করে এই উন্মাদনা নির্মাণে নামে। যেমন “পিকে”॥ অথচ পুরো প্রসেসটাকে এমনভাবে প্রজেক্ট করতে হয় যেন সেটা অর্গ্যানিক গ্রোথ। ইন ফ্যাক্ট, এই অর্গ্যানিক গ্রোথের মুখোশটা উন্মাদনা নির্মাণের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। তাই আমরা শুধুমাত্র পিকে ছাড়া এই ধরণের পেশার অন্য মানুষদের নাম পর্যন্ত জানি না।
     
    মানুষ নিজেকে যতই “সেল্ফ-অ্যাওয়ার” ভাবুক না কেন, মানুষের ব্রেন যে কতটা প্রিমিটিভলি প্রোগ্র্যামড সেটা এই রকম সময় বোঝা যায়।" 
  • Nipa | 2405:8100:8000:5ca1::15d:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৬742043
  • ভারতবর্ষের জনসাধারণ ৩৭০ বিলোপ, রামমন্দির প্রতিষ্ঠা, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ইত্যাদি প্রতিশ্রুতির ভরসায় এই সরকারকে দুবার ক্ষমতায় এনেছে। সরকার তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বের তথ্যের ভিত্তিতে আদালতের রায় রামমন্দিরের পক্ষে গিয়েছে। যে তথাকথিত ঐতিহাসিকেরা বিরোধিতা করেছিলেন, আদালতে তাঁদের লেজেগোবরে দশা ভারতীয় ইতিহাসচর্চার হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে বাধ্য। শেষ পর্যন্ত সেই রায়কে সব পক্ষই স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু সংখ্যালঘুরা বিরোধিতা না করলেও হিন্দুসমাজের একটি অংশ ঔপনিবেশিক হীনম্মন্যতার কারণে রামমন্দিরের বিরোধিতা জারি রেখেছেন। মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ার রক্তাক্ত ইতিহাস তাঁদের কাছে গৌণ। বিদেশের মাটিতে Dismantling Global Hindutva বা স্বদেশে Abolish Sanatana Conference নির্বিবাদে ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁরা হিন্দুদের আগ্রাসী, অসহিষ্ণু এক হীন জাতি হিসেবে তুলে ধরে প্রভুদের তুষ্ট করতে চান।
     
    আগামী ভারতবর্ষ কাকে বাছবে, সেটা তাদেরই স্থির করতে হবে।
  • Jayanta Chatterjee | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৮742044
  • দারুণ
  • | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৬742045
  • *কনসেন্ট 
     
    মজার ব্যপার হল এক এন আর আই চাড্ডি আমেরিকা প্রবাসী আমার প্রাক্তন সহকর্মী কাল খুবই গদগদ হয়ে ইতিহাস কারেকসান ইত্যাদি ইয়ালম্বা এক লিখে পাঠালেন। ত আমি লিখলাম বাহ এই ত চাই এবারে আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের যা যা কেড়ে নিয়েছিল আমেরিকানরা তোমরা এবারে সেই সেইগুলো সব ফেরত দাও। তুমি তো বাপু এখানে আসবে না, যেখানে আছ সেখানকার ইতিহাস কারেক্ট করো। তারপরে মোটামুটি ঘন্টা তিনেক সেই গ্রুপে কেউ কিচ্ছুটি লেখে নি। 
    তো কেউ কিচু লিখছে না দেখে আবার আমি এই গুজরাট থেকে প্রাণপণে লোকে আমেরিকা ইমিগ্রেট করতে গিয়ে বেঘোরে মারা পড়ছে সেইসব খবরের লিণ্গ্ক দিয়ে বললাম এদের জন্যও কিছু করো। আহা গুজরাটের মত সোনার রাজ্য, (ফল্টি) ইতিহাস কারেক্টেড সোনার ভারত ছেড়ে এরা এমন দ্রুতোবেগে পালাচ্ছে কেন? 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:০৫742047
  • এই ছোট্ট কবিতায় এতগুলো বিষয় ধরা হয়েছে, মূল কবিতার ছন্দ এবং ধরতাই ঠিক রেখে - অসাধারণ প্যারডি হয়েছে।  
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3063:317c:38d3:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:০৮742048
  • আদালতের রায় তো শুধু রামন্দিরের পক্ষে যায়নি, মসজিদের পক্ষেও গেছে। এই হলো আদালতের রায়ঃ 
     
    The Court ordered the government of India to create a trust to build the Ram Mandir temple and form a Board of Trustees within three months. The disputed land will be owned by the government of India and subsequently transferred to the Trust after its formation.
    The Court ordered the entire disputed land of area of 2.77 acres to be allocated for the construction of a temple while an alternative piece of land of area of 5 acres be allocated to the Uttar Pradesh Sunni Central Waqf Board for the construction of a mosque at a suitable place within Ayodhya.
     
    তাহলে অযোধ্যায় মস্ক কেন বানানো হচ্ছেনা আর প্রধান সেবক ধূমধাম করে তার উদ্ঘাটন কেন করছে না? 
     
    তাছাড়া "করসেবক" নামধারী বাঁদররা যে ১৯৯২ তে বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছিল আদবানী আর উমা ভারতীর নেতৃত্বে, সেটাও তো সুপ্রিম কোর্টের রায়েই প্রতিষ্ঠিত! 
     
    The Court ruled that the Demolition of the Babri Masjid and the 1949 desecration of the Babri Masjid was in violation of law.
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:১৮742050
  • @অরিন বাবু , ফাটাফাটি হয়েছে ছড়াটা। সবকটা পয়েন্ট হিট করেছেন। 
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e84d:ecf4:82b4:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২২742052
  • তো মসজিদ ভাঙার জন্য এইসব গুন্ডাদের নিশ্চয়ই শাস্তি দিয়েছে আদালত!! 
     
    দেয়নি? যা। আদালতও সেই পনেরো লক্ষ আর কাশ্মীরে জমির মত ঢপ মারছে? devil
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3063:317c:38d3:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২৪742053
  • আদালত সেই গুন্ডাদের শাস্তি দেবে কিনা তার বিচার করছে। কেস চলছে laugh
  • q | 2405:8100:8000:5ca1::262:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৪০742054
  • ন্যায্য প্রশ্ন। অযোধ্যায় মসজিদ কেন হচ্ছে না? হিন্দু সংগঠনগুলি উদ্যোগ নিয়ে মন্দির বানাল, মুসলমান সমাজ মসজিদ বানাচ্ছে না কেন? বানিয়ে তার উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকছে না কেন?
    অবশ্য অন্যরাও উদ্যোগ নিতে পারে। যারা প্রশ্ন করছে, তারাও।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e84d:ecf4:82b4:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৩742055
  • গুন্ডা দিয়ে মসজিদ উদ্বোধন করানোর ভয়েই হয়তো মসজিদ বানাচ্ছে না। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি গুন্ডা!!
  • দীমু | 182.69.***.*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৫742056
  • অযোধ্যায় বিকল্প মসজিদ ২০২১ এ বানানো শুরু হয়েছে 
     
     
    কিন্তু রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার দুদিন কেটে গেল এখনো পনের লাখ ঢুকলো না, কেউ কথা রাখে না।
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১১742062
  • ছড়াটি যথার্থ।
     
    যোষিতা "শুধু বোকারাই ঈশ্বর মানে বা ধার্মিক হয় [না]" বিষয়ে যা বলেছেন তার সঙ্গে আমি মোটামুটি একমত। এই প্রসঙ্গে আরও দু একটা কথা বলি, আমার পুরোনো একটা ফেবু পোস্ট ছিল, সেখান থেকেই – আধ্যাত্মিকতা ছাড়াও প্রকাশ্য ধর্মাচারণ, শুধু ঈশ্বর বিশ্বাস থেকে নয়, অনেক সময় করা হয় সবার সঙ্গে সবার মধ্যে গ্রহণযোগ্য থেকে জীবনযাপন করা,  ঝাঁকের কই হিসেবে, সমাজের বিরুদ্ধে না গিয়ে, তাকে না চটিয়ে বাঁচার জন্যেও। এরা চীনে গিয়ে নাস্তিক ও ব্রাজিলে গেলে ফুটবল ফ্যান হয়ে উঠতেই পারেন। এছাড়াও আছে একটা পরিচিতির তারণা, যা নিজেকে নিজের উৎসের সাথে যোগাযোগ রেখে চলার কাজে সাহায্য করবে। আরেকটা থাকবে রাজনীতি, নির্বাচনী রাজনীতি নয়, বৃহত্তর অর্থে,  আধ্যাত্মিকতা একটা জীবন যাপনের ধরণ, ন্যায় সম্পর্কে নির্দিষ্ট ধারণা, কিছু সামাজিক নিয়ম কানুন তৈরি করে। সেইসব রক্ষা করতে জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করার দরকার হয় (রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয়, ধর্মকে সৃষ্টি করা হয়ে থাকে)। মূল উদ্যেশ্য আত্মরক্ষা বা সাম্রাজ্যবাদ। এলাকার কেন্দ্রে বা পাহাড়ের চূড়ায় গোষ্ঠীবদ্ধ উপাসনার ভবন, মন্দির, মসজিদ নির্মাণ হওয়ার কারণ সমষ্টিবদ্ধ আধ্যাত্মিকতার (ধর্ম) মধ্যে দিয়ে  জনতার একত্রিতকরণ, সংগঠণ নির্মাণ এবং একটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা ব্যবস্থার স্থাপনা। এই প্রসঙ্গে আমার মনে হয়, ধর্ম আসলে আধ্যাত্মিকতার রাজনীতিকরণ।
     
    বাকিটা আমি এবি এবং দ এর মতামতের সঙ্গে।
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২০742063
  • অর্থাৎ যারা যুক্তি বিজ্ঞান বোঝে না তারাই ধর্ম মানে, শুধু এই বহুযুগ ধরে মনে বসে থাকা ধারণার বিপক্ষে বললাম। কেন লোকে ধর্ম মানে, এটা ঠিক না বিশ্লেষণ করা হলে আমরা রোগ সারাতে বা তার বিকল্প আনতে পারব না। ধর্ম মানুষকে মনে বাঁচার অর্থ দেয়, নাহলে নিহিলিস্ম, সে খুব কঠিন আর বিষাদের ব্যাপার হয়ে ওঠে।
  • r2h | 192.139.***.*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫২742064
  • অরিনদার প্যারডি দারুন; চিত্ত যেথা ভয়পূর্ণও, ওখানে লেখা হয়নি!
     
    • বকলম -এ অরিত্র | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১১
    • ... প্রকাশ্য ধর্মাচারণ, শুধু ঈশ্বর বিশ্বাস থেকে নয়, অনেক সময় করা হয় সবার সঙ্গে সবার মধ্যে গ্রহণযোগ্য থেকে জীবনযাপন করা,  ঝাঁকের কই হিসেবে, সমাজের বিরুদ্ধে না গিয়ে, তাকে না চটিয়ে বাঁচার জন্যেও। এরা চীনে গিয়ে নাস্তিক ও ব্রাজিলে গেলে ফুটবল ফ্যান হয়ে উঠতেই পারেন। ...
     
    এটাতে খুবই একমত।
    বিদ্বেষ ও ঘৃণার সংস্কৃতি মেনস্ট্রিম হয়ে যাওয়ার এটা চাপ, অনেকে শুধু জুড়ে থাকার জন্যেই অনেক কিছু করে ফেলে যা করার হয়তো তার তেমন কিছু আলাদা মোটিভেশন নেই। বা দেখে দেখে নর্মালাইজ হয়ে যাওয়া।
     
    এমনিতে ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মাচরন - প্রকাশ্যে বা যেভাবেই হোক, এগুলি একেবারে মৌলিক ব্যক্তি স্বাধীনতার মধ্যেই পড়ে বলে আমি মনে করি।
    এছাড়া ধর্মবিশ্বাসেরও কত রকম শেড আছে। ঈশ্বরেরও কত রকম প্রাকরভেদ। রিলিজিয়াস আচার আর জীবনচর্যা, সে চৌষট্টি রকম জিনিস। যে যাঁরটা করুন, তাতে অন্য কারো নাক গলানোর দরকারই নেই।

    কিন্তু ব্যাপার তো সেখানে থেমে থাকে না, বিশ্বগুরুর দেশের রাজধানীর অদূরে ফ্রিজে মাংস রাখার অপরাধে লোক খুন হয়ে যায়। সেই খুন জায়েজ ছিল কিনা তা বিচার করার জন্য আবার সেই মাংসের ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষা হয়।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3063:317c:38d3:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২২742066
  • বিজেপি শাসিত পাঁচটা রাজ্যে ২২ জানুয়ারি জোম্যাটোকে বলা হয় নন-ভেজ খাবার ডেলিভারি না করতে। অনেকগুলো রাজ্য ঐদিন ড্রাই ডে ঘোষণা করেছিল। হিন্দু রাষ্ট্রের প্রিকুয়েল। 
     
    বিটিডাব্লু, অযোধ্যার পর এবার জ্ঞানবাপী নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছে। অযোধ্যা তো স্রেফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়। তারপর আছে তেজোমহল। ২০২৯ অবধি মোটামুটি প্রোগ্রাম সেট হয়ে গেছে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3063:317c:38d3:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৯742067
  • https://timesofindia.indiatimes.com/city/noida/cloud-kitchens-or-restos-no-nonveg-on-the-menu-today-noida-news/articleshow/107039583.cms
     
    NOIDA: Restaurants in Noida and Ghaziabad have decided not to serve liquor or non-vegetarian food on Monday, responding to an order from the state government. Liquor vends and meat shops in the two cities will also stay shut for the consecration ceremony in Ayodhya. “Restaurants across the state have taken a unanimous decision to serve only vegetarian food on Monday. We must honour the government’s order.
     
    জয় শ্রীরাম! 
  • kk | 2607:fb91:1481:4b77:45d2:e6f8:e9b8:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৮742068
  • ১) প্যারোডিটা খুব ভালো লাগলো। অন্য টইয়ে "চিত্ত যেথা" প্যারোডিও অতি ভালো লেগেছিলো।
    ২) হুতোর ১৮ঃ৫২ র পোস্টের সাথে পুরোদস্তুর একমত হলাম।
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:১১742070
  • আর্দুইএইচ,

    হ্যাঁ, ধর্মাচরণ ব্যক্তিগতই হওয়া তো কাম্য। আমি সেটাকে আধ্যাত্মিকতা নাম দিচ্ছিলাম তার চৌষট্টি রকমের প্রকার নিয়েই।

    ধর্ম শব্দটাকে আমি ব্যবহার করছি সমবেত আধ্যাত্মিকতার চর্চা বোঝাতে। আমি মনে করি সমবেতভাবে বা সমষ্টিবদ্ধ হয়ে কোনো কিছু করলেই তার একটা নির্দিষ্ট বা সেমি-নির্দিষ্ট ধরণ ধারণ নিয়ম কানুন তৈরি হয় (মাংস খাওয়া না খাওয়া) এবং সমষ্টির পরিসরে সেই ধরণ ধারণ কে সুরক্ষিত করার চেষ্টা হয়, সেখান থেকে তৈরি হয় রাজনীতি। আবার অনেক সময় রাজনৈতিক প্রয়োজনেও (যেমন ভারতের নানান ধর্মীয় মতবাদকে জুড়ে টুরে এক ধর্মের ছাতার নিচে আনার শঙ্করাচার্যীয় প্রকল্প) ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতাকে সমষ্টিগত রূপ দিয়ে ধর্মের প্রতিষ্ঠা হয়। তাই বললাম religion is politicised spirituality smiley
  • Arindam Basu | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:২১742078
  • পলিটিশিয়ান, যোষিতা, জয়ন্ত, রমিত, অরিত্র, র২হ, কেকে, আপনাদের প্যারডিটা পছন্দ হয়েছে জেনে ভারী খুশী হলাম। 
    যথারীতি, রামমূরতি উদ্বোধনের পর হামলা শুরু হয়ে গেছে, এবং সে সবের খবর পাওয়া সহজ নয়, সত্যি মিথ্যা যাই হোক, 
     
    বিজেপি আরএসএস এর বিভেদকামী রাজনীতির প্রভাব আক্ষরিক অর্থে সুদূরপ্রসারী। ২০২৩ এর জুলাই মাসে আমি ফিজির নান্দী নামে একটি শহরে গিয়েছিলাম কাজ উপলক্ষে। ফিজিতে খুব ভারি সংখ্যায় ভারতীয় জনসম্প্রদায় বসবাস করেন, বহু প্রজন্ম ধরে রয়েছেন,  এমনকি বর্তমান সরকরেও তাঁরা উপস্থিত। 
     
    তো সেখানে এক ভদ্রমহিলা আমাকে দুঃখ করে বলছিলেন, আগে, পুরনো আমলে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকেদের মধ্যে হিন্দু মুসলমান নিয়ে কোন ভেদাভেদ দেখা যেত না, সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। 
    ইদানীং, গত পাঁচ দশ বছর ধরে ফিজিতে ভারত থেকে বহু মানুষ অভিবাসনের জন্য আসছেন, কিন্তু স্থানীয় ফিজিয়ানদের বক্তব্য, এদের মধ্যে, বিশেষ করে নবীন প্রজন্মের মধ্যে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক তিক্ততা সাংঘাতিক রকম দৃষ্টিকটু লাগে। 
     
    সাম্প্রদায়িকতা অতি সাংঘাতিক জিনিস। 
  • Arindam Basu | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৩৩742079
  • ধর্ম শব্দটাকে আমি ব্যবহার করছি সমবেত আধ্যাত্মিকতার চর্চা বোঝাতে।
     
    অরিত্র, ধর্ম আর আধ্যাত্মিকতার মধ্যে তফাৎ রয়েছে। 
     
    ধর্ম পালন করতে গেলে নানান রকমের আচার আচরণ প্রথার একটি ব্যাপার থাকে, তার একটা সমষ্টিগত, গোষ্ঠীসর্বস্ব দিক আছে। আধ্যাত্মিকতা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
     
    আধ্যাত্মিকতা একেবারেই উল্টো রাস্তায় চলে, যেখানে মানুষ নিজেকে জানার, অন্তরের গভীরে অব্যক্ত চেতনার সন্ধানে যান। আধ্যাত্মিক মানুষ ধার্মিক হতে পারেন, নাও হতে পারেন। তবে ধর্মীয় গোঁড়ামির মধ্যে আধ্যাত্মিকতার প্রশ্ন ওঠে না। 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:৫১742081
  • অমিতাভ, "কবিতায় এতগুলো বিষয় ধরা হয়েছে, মূল কবিতার ছন্দ এবং ধরতাই ঠিক রেখে - অসাধারণ প্যারডি হয়েছে।  "
    আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন |
    সুকুমার রায় অনন্য |
    বাংলা সাহিত্যে একসময়ে প্যারডি, ক্যারিকেচার, তির্যক সাহিত্য, কার্টুনের রমরমা ছিল, আজকাল ততটা দেখা যায় না। পরশুরাম, সুকুমার তো বটেই, একসময়ে হিমানীশ গোস্বামী (যতদূর নাম মনে পড়ে) যষ্টিমধু নাম দিয়ে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন, ছোট পত্রিকা, কিন্তু তির্যক সাহিত্য কার্টুনের আকর পত্রিকা ছিল |
  • | 42.***.*** | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৩:০০742083
  • যষ্টিমধু কুমারেশ ঘোষ
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৩:৩৩742084
  • একদম ঠিক, কুমারেশ ঘোষ, কেন হিমানীশ গোস্বামীর নাম মনে হল কে জানে?
    ধন্যবাদ জানবেন, !
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৮742089
  • এবি,
    আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ঈশ্বর (as some kind of supreme force, may well be the natural laws) ধারণা যদি আবশ্যিক না হয় তাহলে ভুল বলেছি। আমার তাহলে "ব্যক্তিগত ঈশ্বর ধারণা / আরাধনা" বোঝানোর জন্য কোনো শব্দ দরকার, ধরা যাক "কখগ"।
     
    আমি বলতে চেয়েছি কোনো একটি ধরণের 'কখগ' যখন সমষ্টিবদ্ধ ভাবে পালিত হয়, তাকেই আমরা বলি ধর্ম এবং তার মধ্যে আবশ্যিক ভাবে রাজনৈতিক (দলীয়/নির্বাচনী নয়) বোধের উন্মেষ ঘটে, প্রকট বা প্রচ্ছন্ন। অর্থাৎ ধর্ম যেহেতু সমষ্টিগত ব্যাপার, আর যেকোনো সমষ্টিই একটা রাজনৈতিক একক, তাই ধর্মের সঙ্গে আনুষঙ্গিক একটা রাজনৈতিক বোধ ও প্রবৃত্তির উপস্থিতি অবশ্যম্ভাবী (যদিও আমরা সেই প্রবৃত্তিকে সচেতনভাবে দমন করতে পারি)। আমার এই উপলব্ধি সম্পর্কে আপনার কি মনে হয়? 
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:১৫742090
  • "আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ঈশ্বর (as some kind of supreme force, may well be the natural laws) ধারণা যদি আবশ্যিক না হয় তাহলে ভুল বলেছি।" – আমি সাধারণভাবে আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মাচরণের পার্থক্যটা বুঝি, এই ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন পুরোটাই মানছি। আমি ধর্মের সৃষ্টির জায়গাটা ধরতে চেয়েছি, যেখানে ধরে নিয়েছি ব্যক্তিগত ঈশ্বর বোধের প্রসার হয়ে সেটি সমষ্টিগত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় (না হলে ধর্মের সৃষ্টি নিয়ে অন্যরকম ভাবলে সেটাও বলুন) এবং সেই প্রেক্ষিতে রাজনীতির যোগ নিয়ে বলেছি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন