এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • ২০১৪ থেকে ২০২৪, ২০২৪ থেকে ২০৩৪ঃ রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও সম্ভাব্য ভবিষ্যত 

    dc
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭১৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ২০১৪ কে ভারতীয় রাজনীতিতে, আর সাধারনভাবে পুরো ভারত দেশটার জন্যই, একটা ওয়াটারশেড ইয়ার বলা যেতে পারে। ২০১৪ তে বিজেপি নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের নেতৃত্বে প্রবলভাবে ক্ষমতা দখল করে। এর আগেও বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল, প্রধানত বাজপেয়ী আর আদবানীর নেতৃত্বে, কিন্তু সেই আগের বিজেপি সরকারের আর এখনকার বিজেপি সরকারের কিছু তফাত আছে। বাজপেয়ী আর আদবানী হিন্দুত্ব প্রোজেক্ট শুরু করলেও নানা কারনে সেটা পুরোটা ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেননি। অন্যদিকে, ২০১৪ এর পর থেকে মোদী আর শাহ সর্বশক্তি দিয়ে হিন্দুত্ব ইমপ্লিমেন্ট করতে শুরু করেছেন, অনেক দিক দিয়েই সফলও হয়েছেন ও হচ্ছেন। কয়েকটা উদাহরনঃ অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জমি দখল ও সেখানে রাম জন্মভূমি মন্দির বানানো, কাশ্মীরে আর্টিকেল ৩৭০ রদ করা, সিএএ ইমপ্লিমেন্ট করার দিকে ধাপে ধাপে এগনো, বেশ কিছু পাবলিক পলিসি বদল করা, যায় প্রায় পুরো লক্ষ্যই হলো মুসলমানদের পাবলিক স্পেস থেকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া ও সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেনে পরিণত করা, ইত্যাদি। বাজপেয়ী ও আদবানী ১৯৯২ তে যে বিষবৃক্ষ রোপন করেছিলেন, তাকে ২০১৪ পর থেকে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় মহীরুহের আকার ধারন করেছে। ২০২৪ এ বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারলে হয়তো অফিসিয়ালি সংবিধান পাল্টে দেশটাকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষনা করা হবে। যার ফলে বিজেপি সমর্থক ও বিজেপি বিরোধী, দু দলই মনে করে ২০১৪ হলো ওয়াটারশেড ইয়ার। 

    তো ২০১৪ র পর থেকে বিজেপির উত্থান আর বিরোধী দলগুলোর পতনের প্রধান কারনগুলো কি কি? এই টইতে গত দশ বছরের পলিটিকাল ল্যান্ডস্কেপ পর্যালোচনার চেষ্টা করবো, আর আগামী দশ বছর, বা অন্তত পাঁচ বছরে কি হতে পারে সে নিয়েও কিছু আন্দাজ করার চেষ্টা করবো। অবশ্যই বড়ো করে ডিসক্লেমারঃ এখানে যা কিছু লিখছি তার প্রায় সবই আমার ব্যাক্তিগত মতামত, আমি একেবারেই মিডিয়ার থেকে আমার তথ্য সংগ্রহ করি, গ্রাসরুটসে কারুর সাথেই আমার কোন যোগাযোগ নেই, ফলে আমার বোঝায় বহু অসম্পূর্ণতা আর ভুল থাকতে পারে।  

    প্রথমে দেখা যাক ২০১৪ আর তার পরে বিজেপির উত্থানের পেছনে সম্ভাব্য কিছু কারন। 

    ১। প্রথম কারন অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহ জুটি। মোদির মতো নৃশংস, ধূর্ত, ডমিনিয়ারিং, উচ্চাকাঙ্খী, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, বাগ্মী, আর ভয়ানক পরিশ্রমী পলিটিশিয়ান ভারতে খুব কমই এসেছে। গুজরাটে প্রায় চোদ্দ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালীন নিজের রাজনৈতিক বোধ ক্ষুরধার করেন, যার একটা উদাহরন "গুজরাটি অস্মিতা"। ২০০২ এর গণ্যহত্যার পর এমনকি বাজপেয়ীও যখন একটু লজ্জা পেয়ে রাজধর্ম ইত্যাদি আউড়াতে শুরু করেছেন (বাজপেয়ী সম্ভবত আসামের নেলী গণহত্যার কথা ভুলে গেছিলেন), তখন মোদী এই অস্মিতা নামক খরগোশটি নিজের টুপি থেকে বার করে জনসমক্ষে তুলে ধরেন আর পরের ভোটে জয়ী হন। মোদীর রাজনৈতিক বোধের আর রুথলেসনেসের দ্বিতীয় উদাহরন বিজেপির ভেতর ক্ষমতা ক্যাপচার করা, এবং আদবানী, মুরলি মনোহর জোশী, যশোবন্ত সিনহা, যশবন্ত সিং এর মতো প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের হটিয়ে (মার্গদর্শক বানিয়ে) দলে নিজের একচ্ছত্র প্রতিপত্তি তৈরি করা। 
    তৃতীয় উদাহরন "গুজরাট মডেল" - একটা বেলুন কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেশের সামনে হাজির করা, আর সেটা দিয়ে নিজেকে ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রোজেক্ট করা। 

    মোদীর সাথে যোগ্য সংগত করেন অমিত শাহ, যাঁর মতো স্ট্র‌্যাটেজি আর ইমপ্লিমেন্টেশানে দক্ষ পলিটিশিয়ান ভারতে খুব কমই এসেছেন। শাহের সাংগঠনিক দক্ষতার কোন তুলনা হয়না, যার একটা উদাহরন ২০১৪ তে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দুর্দান্ত সাফল্য। কিছু ফেমাস পলিটিশিয়ান আছেন যাঁরা স্ট্র‌্যাটেজি বানাতে ওস্তাদ, আবার কিছু ফেমাস পলিটিশিয়ান আছেন যাঁরা সেই স্ট্র‌্যাটেজি ইম্প্লিমেন্ট করতে ওস্তাদ। অমিত শাহ এই দুই ক্ষেত্রেই বিরল প্রতিভার অধিকারী। আর মোদী আর শাহের নিজেদের মধ্যেও বোঝাপড়া দেখার মতো। 

    এই জুটির আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো অক্লান্তভাবে কাজ করে যাওয়া আর ক্রমাগত ভুলের পর্যালোচনা করা আর ভুলের থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা। একটা ইলেকশান শেষ হওয়ামাত্র, বা তার আগেই, বিজেপি পরের ইলেকশানের জন্য গ্রাউন্ড লেভেলে কাজ শুরু করে দেয়, যার ফলে বিজেপি পলিটিকাল পার্টির থেকেও বোধায় ইলেকশান মেশিনে পরিণত হয়েছে। আর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সাম্প্রতিকতম উদাহরন কর্ণাটকে হার। যখনই মনে হলো যে কংগ্রেসের সোশ্যাল প্রমিস কর্ণাটকে বিজেপির হারের একটা কারন, তখনই এমপি আর অন্যান্য রাজ্যে "মোদি প্রমিস" এর প্রচার শুরু হলো।  

    ২। দ্বিতীয় কারন মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট - ট্র‌্যাডিশ্নাল মিডিয়া (খবরের কাগজ, রেডিও, টিভি) আর সোশ্যাল মিডিয়া, দুটোই। ইন্ডিয়াতে রাজনীতির ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রথম লার্জ স্কেল প্রয়োগের উদারহরনও ২০১৪ সালে - প্রশান্ত কিশোর, নরেন্দ্র মোদি, আর অমিত শাহের পরিচালনায়। তার পর প্রশান্ত কিশোর সরে যাওয়ার পরেও বিজেপির মিডিয়া ম্যানেমেজমেন্ট দেখার মতো। এই মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের ফলে নরেন্দ্র মোদি আজ নর্থ আর ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ার একটা বড়ো অংশের মানুষের কাছে লার্জার দ্যান লাইফ ক্যারেক্টার হয়ে উঠেছেন। লোক সভা প্রচারে তো বটেই, বিধান সভার নির্বাচনেও বিজেপির একমাত্র মুখ হলো মোদি। প্রতিটা জনসভায় গিয়ে মোদি বলেন আপনারা আমাকে ভোট দিন, ক্যান্ডিডেট দেখার দরকার নেই। আর মোদি নিজের এমন ভাবমূর্তি তৈরি করতে পেরেছেন যে অনেক সময়েই সফলও হন। 

    ৩। তৃতীয় বড়ো কারন হলো আরেসেস। অবশ্য বলা যেতে পারে যে বহু দশক ধরেই আরেসেস আর তার বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলো হিন্দুত্ব প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করে চলেছে। তাও আমার মনে হয় মোটামুটি ১৯৮০ র দশক থেকে আরেসেস ক্রমশ সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করে (যার একটা বড়ো কারন ছিল রাজীব গান্ধি আর কংগ্রেসের তথাকথিত সফট হিন্দুত্ব বা মেজরিটি অ্যাপিসমেন্ট)। আর মোতামুটি ২০০০ এর পর থেকে, এনডিএ সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকে, আরেসেস প্যান ইন্ডিয়া কাজকর্ম বিস্তার করতে শুরু করে। আরেসেস যেহেতু ক্যাডার বেসড সংগঠন, তার ফলে বহু কর্মী দেশের প্রায় সমস্ত কোনায় ছড়িয়ে পড়ে গ্রাসরুট লেভেলে নিরলস কাজ করে চলেছেন, হিন্দুত্বর একটা বাতাবরন তৈরি করে চলেছেন, যা কিনা বিজেপি ভোটে জিতবার জন্য কাজে লাগাতে পারছে। 

    মোদীশাহ-মিডিয়া-আরেসেস যদি বিজেপির ধারাবাহিকভাবে ভোটে জেতার প্রধান কারন হয়, তাহলে দেখা যাক অপোজিশান পার্টিগুলোর ব্যার্থতার কারন কি কি 

    ১। অপোজিশান পার্টিগুলোর মধ্যে প্রধান হলো কংগ্রেস, আর কংগ্রেসের ব্যর্থতার প্রধান কারন অবশ্যই গান্ধী পরিবার বা ডাইনাস্টিইজম। ন্যাশনাল লেভেলে, আর বিশেষত কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় পলিটিকাল পার্টির পরিচালকের ভূমিকায়, রাহুল গান্ধীর মতো অপরিণত, রাজনৈতিক বোধবুদ্ধিহীন, অলস, আর খারাপ বক্তা পলিটিক্সে কমই এসেছেন। রাহুল গান্ধী বোধায় ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ভালো (অনেকেই এটা বলেন), কিন্তু ওনার নিজের পলিটিক্সে আগ্রহ নেই, উনি দূরে থাকতে চান, কিন্তু সোনিয়া গান্ধী ওনাকে বাধ্য করেছেন কংগ্রেসের মালিক হিসেবে থেকে যেতে, আর কংগ্রেসের ধূর্ত বয়স্ক নেতারা (বা ওল্ড গার্ড) ওনাকে ব্যবহার করেছেন নিজেদের আড়াল করতে। নরেন্দ্র মোদী যেখানে  নিজের ১১০% সময় ব্যয় করছেন পলিটিক্সে, সেখানে রাহুল গান্ধী মাঝে মাঝেই হাওয়া হয়ে যান, এমনকি ভোটের প্রচারেও তাঁকে সেভাবে পাওয়া যায় না। ফলে, মোদীর বা বিজেপির স্ট্র‌্যাটেজিক লিডারশিপের, বড়ো উদ্দেশ্য হলো যতোটা পারা যায় মোদি বনাম রাহুল একটা বাইনারি তৈরি করার, আর রাহুল গান্ধী অবধারিতভাবে বারবার সেই ফাঁদে পা দেন। বস্তুত, নরেন্দ্র মোদির মতো ধুরন্ধর রাজনীতিক আর রাহুল গান্ধীর মতো অপদার্থ রাজনীতিক, এরকম অদ্ভুত যুগলবন্দী ভারতীয় পলিটিক্সে আগে কখনো দেখা যায়নি। 

    ২। দ্বিতীয় কারন হলো ন্যাশনাল লেভেলে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা। তার পেছনেও অবশ্য কংগ্রেসের ডাইনাস্টিক পলিটিক্স আর দরবার কালচার, যার ফলে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের গ্রাসরুট সংগঠন বহু বছর ধরে ক্ষয়ে চলেছে। এর একটা পরিণতি হলো, কংগ্রেস কোন রাজ্যে একবার ক্ষমতা হারালে সেখানে আর ফিরে আসতে পারে না। আর যেসব রাজ্যে কংগ্রেস ভোটে জিতছে, সেখানে অনেক সময়েই লোকাল লিডারশিপের দক্ষতার ফলে জিতছে, যেমন কর্ণাটক আর তেলেঙ্গানা। 

    ৩। তৃতীয় কারন, বিশেষত নর্থ, ইস্ট, আর ওয়েস্ট ইন্ডিয়াতে, অপোজিশান পার্টিগুলোর আইডিওলজির অভাব। বিজেপি এখন প্রবলভাবে আইডিওলজির দিকে ঝুঁকে পড়েছে, ওদের মেসেজিং খুব পরিষ্কার - হিন্দুত্ব আর উগ্র ন্যাশলাজিম এর ওপর ভিত্তি করে ভোট চাওয়া হয়। হিন্দুদের জুজু দেখানো হয়, বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় যে বিজেপিকে ভোট না দিলে মুসলমানরা বা "সেকুলার"রা এসে হিন্দুদের সর্বনাশ করে দেবে। উল্টোদিকে কংগ্রেসের ব্যর্থ অনুকরন, যার নাম "সফট হিন্দুত্ব", আর এসপি, তৃণমূল ইত্যাদিদের কোন আউডিওলজি নেই, আপ ঘোষিতভাবেই আইডিওলজি বিরোধী। আপ অবশ্য নিজেদের কংগ্রেসের অলটার্নেটিভ হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছে, যার ফলে বিজেপিও সর্বশক্তি নিয়ে আপকে আক্রমন করে চলেছে।        
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • dc | 2401:4900:7b7b:504:8587:6e3f:f205:***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫৮741597
  • তাহলে, ২০২৪ এ কি বিজেপি ক্ষমতায় আসছেই? 

    আমার মনে হয় সম্ভাবনা খুবই বেশী, যদিও লোকসভায় বিজেপির আসন কমতে পারে। ২০২৪ এর লোকসভা ইলেকশানের বাকি আছে মাত্র কয়েক মাস, মোদির ভাবমূর্তি এখনও তুঙ্গে, বিজেপি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে, ওদিকে অপোজিশান পার্টিগুলো এখনও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে ব্যস্ত। 

    তাছাড়া রাহুল গান্ধী বা গান্ধী পরিবার যতোদিন কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকবে, ততোদিন ন্যাশনাল লেভেলে কংগ্রেস বিজেপিকে হারাতে পারবে না। বিজেপিও সেটা জানে, তাই মোদি-শাহ জুটি বারবার "রাহুল বনাম মোদি" লড়াই তৈরি করার চেষ্টা করে। 

    তবে একটা ভালো ব্যপারও আছে, সেটা হলো বিজেপি বা আরেসেস এখনও অবধি দক্ষিণ ভারতে সফল হতে পারছে না। তার একটা বড়ো কারন দক্ষিণ ভারতে পেরিয়ার আইডিওলজি এখনও শক্তিশালী, দক্ষিণ ভারতে ওয়েলফেয়ারিজম বহু পুরনো, আর দক্ষিণ ভারতের কালচাল উত্তর ভারতের থেকে এখনও কিছুটা আলাদা। ভারতের পলিটিকাল ম্যাপ যদি দেখেন তাহলে বিজেপি এখনও সেন্ট্রাল, নর্থ, আর নর্থইস্টে সীমাবদ্ধ, আর নর্থেও আবার পাঞ্জাবে আপ ক্ষমতায়। 

    এই সেই ম্যাপ, মনে রাখবেন এই ম্যাপেও মাহারাষ্ট্রে বিজেপি আগের সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।  
     
    dc
  • ee | 2409:40f2:102c:ed66:8000::***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:০৬741598
  • এটাতো অতি চমত্কার লেখা। মানে ভীষণ ভালো।

    ক্রমসঃ জানাবো কেনো এতো ভালাগ্লো।
  • দীমু | 223.19.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৭741599
  • এই বিশ্লেষণটা একেবারে ঠিকঠাক হয়েছে। কিছু পয়েন্ট যোগ করতে চাই -
     
    ২০১৪ র ভোটের আগে দুর্নীতি একটা বড় ইস্যু বানিয়ে ফেলেছিল বিরোধীরা। দশবছর ধরে এত দুর্নীতি সামনে এসেছিল যে কংগ্রেসের মুখ লুকোনোর জায়গা ছিল না। এই দশবছরে রাফালে, আদানি ছাড়া বেশি কিছু বিরোধীরা ভালভাবে প্রোজেক্ট করতে পারছে না। 
     
    ২০০৪ এবং ২০১৪ তে প্রবল প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া ছিল। কারুর ওপর রেগে থাকলেই সবসময় ভারতীয় ভোটাররা তার বিরুদ্ধে ভোট দেয় না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে না যাওয়া পর্যন্ত জনতা ক্ষেপে ওঠে না। ২০০৪ এ শাইনিং ইন্ডিয়ার বিজ্ঞাপন করেও সুদ কমিয়ে দেবার মত জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নেবার ফলে এনডিএ জিততে পারেনি। ২০১৪ য় ভোটারদের সামনে জোরালো বিরোধীর ফানুস দেখানো হয়েছিল। ২০২৪ এ এখনো পর্যন্ত আগের দুবারের মত ম্যাক্রো লেভেলে জনতা ক্ষেপে উঠেছে দেখা যাচ্ছেনা, আর জোরালো প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া নেই। 
     
    রাহুল গান্ধী গতবার অমেঠি থেকে জিততে পারেননি। কেরালার নিরাপদ সিট থেকে সিপিয়েমের বিরুদ্ধে জিতে এসেছেন। জোরালো বিরোধী না থাকলে প্রতিষ্ঠানবিরোধীতার হাওয়া তোলা যায় না। রাহুল বিজেপিকে না হারিয়ে জিতে আসা পর্যন্ত তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই থাকবে।  
     
    আমারও মনে হয় এবারের ভোটে ভোট শতাংশ কমলেও বিজেপি সরকার ধরে রাখার সম্ভাবনা প্রবল।
  • ? | 2405:8100:8000:5ca1::ac:***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫০741600
  • বিজেপি জিতলেও কি হিন্দুরা এইটথ ক্লাস থেকে সেভেন্থ ক্লাস সিটিজেনে প্রমোশন পাবে? সনাতন ধ্বংস প্রজেক্ট কিছুদিন পিছোবে?
  • guru | 115.187.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১৪741601
  • @dc
     
    খুব সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
     
     কিন্তু আপনি দক্ষিণ ভারতে বিজেপির শক্তি কম বলে যেটি বলেছেন সেটি কি ঠিক? কর্নাটকে ভোটে হেরে গিয়েও বিজেপি এখন ওখানে প্রধান বিরোধী শক্তি অন্ততঃ ৩৬ পার্সেন্ট ভোট পায়, তেলেঙ্গানাতেও শূন্য থেকে শুরু করে এবছরেই ৮ টা সিট বাগিয়েছে বিজেপি প্রায় ৮-১০ পার্সেন্ট ভোট ম্যানেজ করেছে, তামিল নাড়ুতেও ও কেরালাতে চেষ্টা করছে প্রবল ভাবে উঠে আসতে।
     
     আর তাছাড়া দক্ষিণ ভারতে বিজেপি খুব বেশি সিট না পেলেও এটা ভুলে গেলে চলবেনা যে যেহেতু দক্ষিণ ভারতে ফার্টিলিটি রেট উত্তর ভারতের ফার্টিলিটি থেকে অনেক কম কাজেই বিজেপি ভবিষ্যতে দক্ষিণ ভারতে ওভারঅল সিট কমিয়ে এখানকার নির্বাচনকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে পারে যেখানে উত্তর ভারতে সুইপ করলেই বিজেপি দিল্লির গদী ধরে রাখতে পারবে।
  • dc | 106.208.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:২৩741602
  • দক্ষিন ভারতেও বিজেপি অবশ্যই চেষ্টা করছে শক্তি বাড়ানোর। চেন্নাই আর ব্যাঙ্গালোরে আরেসেসের নানান অ্যাক্টিভিটিও চোখে পড়ে। তবে কেরল, কর্ণাটক, তামিল নাড়ু, অন্ধ্র আর তেলেঙ্গানায় এখনও বিজেপি জমি পায়নি, কর্ণাটক বাদে অন্য রাজ্যগুলোতে সরকার বানানোর জায়গাতে পৌঁছায় নি। কর্ণাটকেও গত নির্বাচনে হেরেছে। সেইজন্য দক্ষিন ভারতে এখনও অবধি বিজেপির শক্তি কম।  
  • dc | 106.208.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৫741603
  • এবার দেখা যাক ২০২৪ এ বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে এলে পরের পাঁচ বছরে কি কি হতে পারেঃ 
     
    ১। এনআরসি আর সিএএ ইমপ্লিমেন্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। 
    ২। ইউনিফর্ম সিভিল কোড হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। 
    ৩। ওপরের পদক্ষেপগুলোর সাথে আরও নানারকম অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টেপ নেওয়া হবে (যেমন জায়গার নাম পাল্টানো, নামাজ পড়ায় বাধা দেওয়া ইত্যাদি) যেগুলোর উদ্দেশ্য হলো মুসলমানদের ক্রমাগত সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেনে পরিণত করা। 
    ৪। ওয়ান নেশান ওয়ান পোল চালু করার চেষ্টা করা হবে, ফলে সারা দেশে পাঁচ বছর পর পর একটাই ইলেকশান হবে। ফলে মানুষের মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র‌্য বা ডাইভার্জেন্স, সেটা হয়তো কমবে। 
    ৫। রাজ্যগুলোর জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোক সভায় সিটের সংখ্যা পাল্টানো হবে, ফলে দক্ষিন ভারতের রিপ্রেজেনটেশান কমে যাবে (ওপরে গুরু লিখেছেন)। 
    ৬। "পাবলিক এনিমি" বা other শনাক্তকরনের চেষ্টা আরও জোরদার হবে, কোনরকম ডিসেন্ট আরও কঠোরভাবে দমন করা হবে। 
    ৭। ব্রডকাস্ট অ্যাক্ট, ডেটা প্রোটেকশান অ্যাক্টের মতো আরও কিছু আইন পাশ করা হবে যাদের মূল উদ্দেশ্য হবে আরও বেশী এফেক্টিভলি মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রন করা আর ব্যাক্তিগত মতামত সেন্সর করা।  
  • L | 2409:40f2:102c:ed66:8000::***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০৪741604
  • আর ইকনমি ?
  • r2h | 192.139.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২২741605
  • দারুন। আলোচনার ধরন ও যুক্তিজাল খুব ভালো লাগছে।
    চলুক।
  • r2h | 192.139.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২৫741606
  • মোদী 'বাগ্মী' -এটা অবশ্য মানা গেল না, তবে সেসব ছোটখাটো মতপার্থক্য তো থাকবেই।
  • dc | 106.208.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫০741607
  • আসলে ডেমাগগ লিখতে চেয়েছিলাম, তাড়াহুড়োয় ভুল করে বাগ্মী লিখে ফেলেছি। সেই যে ​​​​​​​চার্লি ​​​​​​​চ্যাপলিনের ​​​​​​​অমর ​​​​​​​ডিক্টেটর ​​​​​​​:-)
     
    ইকোনমি নিয়ে অবশ্যই লিখবো। 
  • r2h | 165.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫৭741609
  • হ্যাঁ, ডেমাগগ।
    ডেমাগগের বাংলা শব্দ কিছু নেই বোধহয়, কিছু ভেবে বা খুঁজে পেলাম না।
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:f01e:8f30:6339:***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৫741610
  • ডিসি বেশ গুছিয়ে লিখেছেন, বোঝাই যাচ্ছে দেশের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। হওয়ারই কথা। রাজ্যভোটগুলোর রেজাল্ট বেরোনর পরে আরো বেশী করে।

    কয়েকটা কথা মনে হচ্ছিল, রেজাল্টের দিন ২৫ বছরের উল্লেখ করেছিলাম, সেই নিয়ে।

    গ্লোবালাইজেশনের কথা বা প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের প্রসারের কথা এখন আর শোনা যায় না। সেসবের সুসময় গেছে ১৯৮০-র মাঝামাঝি থেকে ২০১০-১২ অবধি, যার সাথে কংগ্রেস যুক্ত ছিল। গ্যাট চুক্তিতে প্রণববাবু, পরবর্তীতে মনমোহন সিং ইত্যাদি। মোদীর স্বপ্ন বেচা, গুজরাট, আচ্ছে দিন ইত্যাদি ঐ সময়কে ব্যবহার করেই। তো এই সাইকেলটাও মোটামুটি ২৫ বছরের আর তার আগের সাইকেলটা যা বামপন্থী অর্থনীতি নির্ভর একটা ব্যবস্থা, পাবলিক এন্টারপ্রাইজের প্রসার, সেও ১৯৬০ কি তার একটু আগে থেকে ধরলে ১৯৮০-৮৫ অবধি পৌঁছয়, সোভিয়েট তো ভাঙল ১৯৮৯, যেহেতু পুরো ভাঙতে আরো কিছুদিন লাগে। হয়ত দুয়ে দুয়ে চার করছি, hindsight, কিন্তু বিশ্বজোড়া বিশেষ অর্থনীতির মনে হয় একটা আবর্তন আছে ।

    তো এখন মোটামুটি সব দেশের অর্থনীতিটা বদলে গিয়ে, ভেতর দিকে ঢুকে যাচ্ছে, protectionism ইত্যাদি, সরকারি স্পেণ্ডিং, অল্প কিছু বড় হাউজকে সুবিধে দেওয়া, অন্যপথে খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করা। তো আবর্তন ধরলে এটাও হয়ত ঐ ২৫ বছরটছর চলবে, গ্লোবালাইজেশন পর্বে যেমন ভাবা হয়েছিল যে সরকার ক্রমশঃ তাদের উপস্থিতি কমাবে অর্থনীতি আর লোকের আর করার উপায়ের থেকে,সে ধারণা থেকে ব্যাপারট উল্টে গেছে। সরকারের উপস্থিতি বেড়ে গেছে ! এও মনে হয়, অর্থনীতি যদি ক্রমশঃ বেশী বেশী করে সরকার নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে, সরকার কাকে বিনা পয়সায় খেতে দেবে বা কার বাস ভাড়ার ব্যবস্থা করে দেবে, তাহলে সেই সরকারই সব ক্ষেত্রেই যেন কর্তৃত্ব দেখানোর চেষ্টাও করবে, কড়া আইন তৈরী ও তার ব্যবহার তারই প্রকাশ যেন। এও দেখার যে সরকার একদিকে যেমন ব্যক্তি ও পরিবারকে বিবিধভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, অন্যদিকে টেকনলজি ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় করে দিচ্ছে, অতএব সরকারকে সেই টেকনলজিকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টাও করতে হচ্ছে বিবিধ আইন এনে আর রাষ্ট্রের সুরক্ষার কথা বলে।

    তো, ঐ আর কী, এই চক্রটিও হয়ত ঐরকম একটা ২৫ বছরটছর চলবে।
  • কৌতুহলী | 115.187.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৫০741612
  • @ডিসিবাবুকে অনেক ধন্যবাদ, তবে দুটো প্রশ্ন আছে, একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও। 
    ১) ডিসিবাবু আর দিমুবাবু দেখলাম, ক্ষীণভাবে হলেও বলেছেন যে 'বিজেপির আসনসংখ্যা কমলেও', তার মানে আসনসংখ্যা কমার চান্স আছে? মানে এরকম অনুমানের পিছনে যুক্তি কী? 
    ২) বাংলায় ২০২৪ ভোটে বিজেপির আসন নিয়ে আপনাদের প্রেডিকশন কীরকম?
  • dc | 122.164.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১২741615
  • "বিজেপির আসনসংখ্যা কমলেও" - এটা অনেকটাই আন্দাজে বলেছি, যুক্তি তেমন নেই। আশা করতে ক্ষতি কি? 
    বাংলা নিয়ে আমার কোন প্রেডিকশান নেই, পব নিয়ে সেরকম কোন ইন্টারেস্টও নেই। 
     
    সিএস একদমই ঠিক বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় সরকারের হস্তক্ষেপ বেড়েই চলেছে। আপনার বা অন্যদের বোধায় মনে আছে, বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের উপস্থিতি কমানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল রেগ্যানের আমলে আর ইউরোপে সেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছিলেন মার্গারেট থ্যাচার, হেলমুট কোল ইত্যাদিরা। আর তার থিওরেটিকাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন মিল্টন ফ্রিডম্যান, অ্যালান গ্রিনস্প্যান, ফ্রিডরিখ হায়েকের মতো নিওলিবারাল ইকোনমিস্টরা। তারপর থেকে মোটামুটি দু হাজার সাল অবধি সরকারি হস্তক্ষেপ কমানোর চেষ্টা করা হয়, প্রাইভেট ক্যাপিটালকে যথেচ্ছ স্বাধীনতা আর সুযোগ সুবিধে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০০৮ এর রিসেশানের পর আবার ব্যালেন্স অফ পাওয়ার সরকারের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে, আর ২০২০ এর প্যান্ডেমিকের পর তো সরকারি হস্তক্ষেপ বহুগুন বেড়ে যায়। ফেড এমন হারে টাকা ছাপায় যে রেকর্ড ইনফ্লেশান তৈরি হয়, সেটা সামলাতে আবার এখন ফেড ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে রেখেছে। এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দক্ষিনপন্থী বা ফ্যাসিস্ট প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তার ফলেও সরকারের রোল আবার এক্সপ্যান্ড করছে। আঅমাদের দেশেও যে ফ্যাসিস্ট মোদি সরকার বিভিন্ন জায়গায় হস্তক্ষেপ করবে, তাতে আর আশ্চর্য কি! 
     
    যাই হোক, এবার ইকোনমি। 
     
    ১। ২০১৪ এর পর থেকে ইন্ডিয়াতে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম (আদানি আর আম্বানি) বহুগুন বেড়েছে, কাজেই আশা করা যায় আগামী পাঁচ বছরে এই ট্রেন্ড অব্যাহত থাকবে। তবে ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের ব্যাপারে কংগ্রেস আর বিজেপির কোন তফাত নেই, নব্বুইএর লিবারাইজেশানের কয়েক বছরের মধ্যেই এই ট্রেন্ড শুরু হয়ে গেছিল। 
    ২। গত দশ বছরে বিজেপি যেমনভাবে ল অ্যান্ড অর্ডার, এন্ফোর্সমেন্ট, সোশ্যাল রাইটস সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি এজেন্সির দখল নিয়ে ফেলেছে, সেভাবেই দুতিনজন ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট বিভিন্ন ইকোনমিক আর ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের (যেমন সেবি, চেম্বার্স অফ কমার্স, ব্যাংক) দখল নিয়েছে আর এই ট্রেন্ডও অব্যাহত থাকবে। 
     
    (ব্যাংক দখলের একটা উদাহরন এই খবরে পাবেনঃ 
    Indian banks write off ₹10.6 lakh crore in 5 years, 50% linked to large corporates

    The government on Monday informed the Lok Sabha that all Scheduled Commercial Banks have written off nearly Rs 10.6 lakh crore in the last 5 years, out of which nearly 50 per cent belong to large industrial houses. It also said that nearly 2300 borrowers, each having a loan amount of Rs 5 crore or more, wilfully defaulted around Rs 2 lakh crore.

    https://www.thehindubusinessline.com/economy/indian-banks-write-off-106-lakh-crore-in-5-years-50-linked-to-large-corporates/article67604297.ece#:~:text=2%2C300%20high%2Dvalue%20loan%20defaulters%20owe%20%E2%82%B92%20lakh%20crore.&text=The%20government%20on%20Monday%20informed,belong%20to%20large%20industrial%20houses.)
     
    আর এই রাইটঅফ এর ফলে ব্যাংক গুলো খুচরো লোন দিতে অনেক বেশী কড়াকড়ি করবে, ফলে স্মল আর মিডল এন্টারপ্রাইজ সেক্টরে লিকুইডিটির অভাব দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যেই কনজিউমার ক্রেডিটের রিস্ক ওয়েটেজ বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে সাধারন মানুষ ব্যাংক থেকে লোক নিতে গেলে বা ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করতে গেলে বেশী ইন্টারেস্ট দিচ্ছেন)। 
     
    ৩। বিজেপি সরকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেক্টরে ম্যাসিভ ইনভেস্ট করেছে, যার ফলে পুরো দেশ জুড়ে মেগা ইনফ্রা বুম চলছে। যদিও এর অনেকটাই গুজরাট, ইউপি, এমপি বা রাজস্থানে সীমাবদ্ধ, তবে সেও খারাপ না। এর ফলে আগামী পাঁচ বছরে অবশ্যই এইসব জায়গাগুলোতে ইকোনমি ভালো হবে, ইনকাম বাড়বে, মানি সার্কুলেশান বাড়বে। আশা করা যায় যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাক্টিভিটিও বাড়াবে, যদিও তার বেশীরভাগ সুফল পাবে আদানি আর আম্বানির মতো দুতিনজন ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট। 
     
    ৪। ইনইকুয়ালিটি অনেক বেশী বাড়বে, কারন যেকোন ফ্যাসিস্ট রেজিমের একটা মূল বৈশিষ্টই হলো ইনকাম ইনইকুয়ালিটি বাড়া। ইন্ডিয়ার জিনি ইনডেক্স ২০২১ এ ছিল ৮২, আগামী পাঁচ বছরে সেটা ৮৫ থেকে ৮৭ অবধি উঠে গেলেও অবাক হবো না। (https://www.statista.com/statistics/1248515/india-wealth-gini-coefficient/#:~:text=At%20the%20end%20of%202021,strong%20trend%20in%20wealth%20inequality.)
     
    ৫। আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি গ্রোথ রেট ৭-৮% হওয়ার কথা, যদি না কোভিড এর মতো আবার কোন এক্সটার্নাল শক আসে। এর মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া বা প্যালেস্টাইন-ইজরায়েলের মতো লোকাল কনফ্লিক্ট ধরছি না, কারন মার্কেট এগুলোকে অনেকটাই অ্যাবজর্ব করে ফেলেছে। 
     
    ৬। উল্টোদিকে, ইন্ডিয়ার সোশ্যাল সেক্টরে ইনভেস্টমেন্ট অত্যন্ত কম বা আরও কমছে, ফলে হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরি হওয়ার হার আরও কমবে বলে মনে হয়। শিক্ষা আর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গভীর সংকটে, আগামী পাঁচ বছরে এই সংকট আরও বাড়বে। আর ইন্ডিয়াতে কোন সোশ্যাল সেফটি নেট নেই, ফলে সাধারন মানুষ আরও বেশী করে বিপদে পড়বেন। 
     
    ৭। শেয়ার মার্কেট অনেকটা বাড়বে, পাঁচ বছরে সেনসেক্স অন্তত ডবল হওয়ার কথা। ৩ ডিসেম্বর চার রাজ্যের ফল বেরনোর পরের দিন সেনসেক্স প্রায় চোদ্দশো পয়েন্ট বেড়েছিল, অর্থাত কিনা ইনভেস্টররা বিজেপির অতো ভালো ফল আশা করেন নি। তবে এখন অনেকেই নিশ্চিত যে ২০২৪ এ বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসবে, অর্থাত বিজনেস অ্যাজ ইউজিয়াল হবে। তাই যদি হয়, তাহলে এখন সেনসেক্স ৭০,০০০ এ আছে, পরের পাঁচ বছরে অন্তত এক লাখের ওপরে উঠবার প্রবল সম্ভাবনা। তাই যদি হয় তো মিউচিয়াল ফান্ড ইনভেস্টররা ভালো প্রফিট করবেন (বিরাট বড়ো করে ডিসক্লেমারঃ ইহা কোন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইস নহে, দয়া করিয়া কেউ এই প্রেডিকশানের বেসিসে ইনভেস্ট করিবেন না :-))
  • t | 46.183.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২১741616
  • গরিব কল্যাণ যোজনা, আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, অটল পেনসন সেফটি নেট না?
  • dc | 122.164.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১০741617
  • আবস যোজনা তো এমনিতেই সেফটি নেট স্কিমে আসার কথা না, কারন ওটা বাড়ি বানানোর প্রকল্প। অন্যগুলোও আমার মনে হয় সেফটি নেট বলা যায় না, কারন ওগুলোর কভারেজ বা পেনিট্রেশান খুব কম, কারন সরকার ওগুলোর পাবলিসিটি করে না। দেশের বেশীর ভাগ লোক যদি এগুলোর সুবিধা না নিতে পায় তাহলে আর সেফটি নেট কিভাবে হলো? বেশীর ভাগ মানে গরীবদের (আয় অনুযায়ী) অন্তত ৬০-৭০% কি সারা দেশে এই প্রকল্পগুলোর থেকে সুবিধা পায়? 
  • guru | 103.135.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪০741619
  • @ডিসি 
     
    যা বোঝা যাচ্ছে আগামী দশ বছরে উত্তরের কয়েকটা মাত্র রাজ্য আর গুজরাতের কয়েকজন অর্বুদপতি আরো বেশি উন্নতি করবেন। এতে তামিল নাড়ু পশ্চিমবঙ্গ কেরল এদের কি কোনো বিশেষ উন্নতি হবে?? 
     
    আচ্ছা ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাড়ছে কিন্তু হিউমান ক্যাপিটাল বাড়ছেনা এতে ২০৩৪ থেকে ২০৪৪ এই গ্রোথ রেট কি আদৌ সাস্টেনেবল হবে? কি বলেন?
  • dc | 122.164.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৫৩741620
  • তামিল নাড়ুর ভালো উন্নতি হবে, কারন তামিল নাড়ুর স্ট্রং ইনডাস্ট্রিয়াল বেস আছে। এখানে হিউম্যান ক্যাপিটালও পর্যাপ্ত, প্রচুর ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানানো হচ্ছে, আর প্রচুর ইনভেস্টমেন্টও আসছে। কর্ণাটক, অন্ধ্র, তেলেঙ্গানাতেও তাই। কেরলের ইকোনমি বোধায় বেশ কিছুটা রিপ্যাট্রিয়েশানের ওপর নির্ভর করে, তবে কেরলে ইন্ডাস্ট্রিও আছে। তাই কেরলেও ​​​​​​​উন্নতি ​​​​​​​হওয়ার ​​​​​​​সম্ভাবনাই ​​​​​​​বেশী। ​​​​​​​
     
    পবর ব্যাপারটা জানিনা। পবতে বহুকাল ধরে ইন্ডাস্ট্রি নেই, ইনভেস্টমেন্ট নেই, কাজ কম, ফলে অনেকেই পবর বাইরে চলে যাচ্ছেন। মনে হয়না আগামী দশ বছরে কোন ডেভেলপমেন্ট হবে বলে, তবে এটা আন্দাজে বললাম।
     
    গ্রোথ রেট সাস্টেনেবল হতেই পারে, বিশেষত যদি গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং এখনকার লেভেলে থাকে। ইনফ্রা ডেভেলপ করলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাক্টিভিটি বাড়বে, প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে, ইনকাম বাড়বে, সেক্ষেত্রে জিডিপি গ্রোথ রেট সাস্টেনেবল হতেই পারে।   
  • dc | 122.164.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৪741622
  • এই হলো বিগত পঁচিশ বছরে গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং এর গ্রাফ, ইনফ্লেশানের জন্য অ্যাডজাস্টেড। অবশ্যই সিজনালিটি আছে, তবে পরিষ্কার গ্রোথ ট্রেন্ডও আছে। 
     
     
    এছাড়াও ক্রিসিল এর রিপোর্ট বলছেঃ 
     
    India will spend nearly Rs 143 lakh crore on infrastructure in seven fiscals through 2030, more than twice the ~Rs 67 lakh crore spent in the previous seven starting fiscal 2017, CRISIL said during its flagship India Infrastructure Conclave 2023 held in New Delhi today.
     
    Of the total, ~Rs 36.6 lakh crore will be green investments, marking a 5x rise compared with fiscals 2017-2023.
     
    Says Amish Mehta, Managing Director & CEO, CRISIL Ltd, “CRISIL expects India’s gross domestic product to grow at an average 6.7% through fiscal 2031 to be the fastest-expanding large economy. Per capita income is seen rising from ~$2,500 now to ~$4,500 by fiscal 2031, creating a middle-income country. This growth will be underpinned by massive all-round infrastructure development, with sharp focus on integrating sustainability.” 
     
     
    বিশেষত গ্রিনফিল্ড সেক্টরে যেভাবে সরকার স্পেন্ড করছে আর গ্রিনফিল্ড ইনফ্রা বানাচ্ছে, তাতে ইকোনমিক গ্রোথ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশী। 
  • ssn | 2405:8100:8000:5ca1::2af:***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১৪741623
  • গরিব কল্যান যোজনার ফ্রি রেশন ৮০ কোটির ওপর লোক পায়। আয়ুষ্মান ভারত ৫০ কোটি। এগুলো পাবলিসাইজ করে বলেই তো এত ভোট পায়।
  • kc | 37.39.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৯741625
  • আগামী ভোটে টু থার্ড মেজরিটি এলে বিজেপির আসল গেমপ্ল্যান, 
    ১) বিচার ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, যে কোনও কেস দুবছরের বেশি কোর্টে থাকবেনা। (সব কোর্ট মিলে)
    ২) ইউনিফর্ম সিভিল কোড।
    ৩) ভোটার আইডি তুলে দিয়ে আধার নির্ভর ভোট, যাতে যে কোনও ভোটার ভারতের যেখান থেকে খুশি সেখান থেকে আধার পাঞ্চ করে নিজের সিটে ভোট দিতে পারে।
     
    সবগুলোর জন্যই টু থার্ড মেজরিটি লাগবে পাশ করাতে।
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৯741626
  • ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫৭: "ডেমাগগের বাংলা শব্দ কিছু নেই বোধহয়" 
    ডিকশনারি তো লিখছে <a political leader who seeks support by appealing to the desires and prejudices of ordinary people rather than by using রাশনাল আরগুমেন্ট।​​​​​​​> 
     ​একেই তো এক্কথায় বলে "ধান্দাবাজ"। নাকি? 
    পাজির পাঝাড়াও বলা যেতে পারে কিন্তু সেটা আরও জেনেরাল হয়ে যাবে।  
    ধান্দাবাজটাই কাছাকাছি মনে হচ্ছে। 
  • dc | 122.164.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫০741627
  • ঠিক, আধার কার্ড-ভোটার আইডি কার্ড লিংকিং এর ব্যাপারটা ভুলে গেছিলাম। তামিল নাড়ু সরকার বোধায় ইতিমধ্যেই এরকম একটা পদক্ষেপের প্ল্যান করেছে, কিছুদিন আগে খবরে পড়েছিলাম। আধার কার্ড বেসড ভোটিং শুরু হলে বোধায় সরকারের পক্ষে আরও সহজ হবে ট্র‌্যাক করা, কে কাকে ভোট দিচ্ছে। 
  • র২হ | 96.23.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৩০741628
  • ডেমাগগের বাংলা ধান্দাবাজ হয় না।
  • kc | 37.39.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৩৭741629
  • dc, বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গুলোর বেশ কিছু ইন্টারভিউ ইউটিউবে পেয়ে যাবেন, তাদের নাম বলবনা কারণ আমার বায়্যাস প্রকাশ হয়ে যাবে। আর এনআরসি ফেনারসি শুধু দুটো রাজ্যকে গরম করার করার জন্য, অসম আর বাংলা। ওটা কোনও সর্বভারতীয় ইস্যুই না। এ চলবে, অসম অলরেডি দখলে এসে গেছে, দিদি গেলে বাংলাও .....
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:ed5b:f5f0:***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫০741630
  • আচ্ছা। তাহলে য়ুটুবে খুঁজে দেখি :-)
  • lcm | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৭741631
  • কিছুদিন আগে ভারতে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্কিমগুলো নিয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখেচিলাম, বিবিসি বা পিবিএস কোথাও একটা। সেখানে ৮০ কোটির ফ্রি রেশনের কথা বলেছে। মহিলাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, বলছে তাতে ৯০ মিলিয়ন এর ওপর রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের ফ্রি সাইকেলের কথা ছিল, দিল্লিতে অল্প আয়ের মানুষদের ফ্রি ইলেকট্রিসিটি দেওয়ার কথা ছিল। তামিলনাড়ুতে নাকি সবথেকে বেশি  সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্কিম আছে - ম্যারেজ অ্যাসিস্ট্যান্স থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের এমপ্লয়মেন্ট অ্যাসিসট্যান্স।
  • Jayanta Chatterjee | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১৫741632
  • খুবই ভালো লেখা। শুধু একটা প্রশ্ন গভ এক্সপেনডিচার বাড়লে ইনফ্রা সেক্টর এ কাজ বাড়বে সেখানে রোজগারও বাড়বে - তাই না ?
     
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন