এক একটা সংকট মানুষকে চেনায়।গুজরাট গণহত্যা চলছে।
পশ্চিমবঙ্গের সব রাজনৈতিক দল প্রায় নীরব।
কোথাও মিছিল সমাবেশ নেই।
আমরা কয়েকজন ভাষা ও চেতনা সমিতি, হেতুবাদী পত্রিকা মিলে ১৫ মার্চ রবীন্দ্রসদন রবীন্দ্র মূর্তির তলায় একটা প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকে ফেললাম।
উজ্জ্বল, সাধন বিশ্বাস আমাদের সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা নিলেন। ১৫ মার্চ গান কবিতা কথায় প্রতিবাদ।সঙ্গে ছবি আঁকা।
ছবি আঁকলেন সমীর আইচ, বিজন চৌধুরী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন মিত্ররা।
গানে গানে প্রতিবাদ করলেন অজিত পাণ্ডে সহ আরও কিছু শিল্পী।
কিন্তু এটাই তো যথেষ্ট নয়।
অর্থ পাঠানো জরুরি।
২৯ মার্চ প্রেস ক্লাবে আমার একটা বই, ইসলাম সন্ত্রাসবাদ সমআজ-- প্রকাশ অনুষ্ঠানে এলেন মহাশ্বেতা দেবী, তরুণ সান্যাল, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী প্রমুখ।
সেখানেই একটা কোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হল।
এরপর গেলাম শঙ্খ ঘোষের বাড়িতে।
সাংবাদিক বিশ্বজিৎ রায় যুক্ত হলেন।
গড়ে উঠল গুজরাট সংহতি সমিতি।
সম্পাদক ইমানুল হক, কোষাধ্যক্ষ প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
একটা নাগরিক সমাবেশ ডাকা হল এর মাঝে। তাতে প্রবল উপস্থিতি।
দেবেশ রায় জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় এটা দেখে সক্রিয় হলেন।
নতুন সম্পাদক হলেন দেবেশ রায়। কোষাধ্যক্ষ জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়।
নানা কর্মসূচি নেওয়া হল।
রাত দিন দৌড়াচ্ছি।
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে অর্থ সংগ্রহ।
প্রথম অর্থ সংগ্রহ রবীন্দ্রসদনে ।
পরে ধর্মতলায়।
দোহার-এর শিল্পীরা এলেন। কালিকাপ্রসাদ ছিলেন। অভীক মজুমদার এবং আমার কিছু ছাত্র-ছাত্রী এল।
এবং শঙ্খ ঘোষ।
পরের জমায়েত রাজাবাজার।
কৌটা নেড়ে আর কত টাকা ওঠে।
তাই সিদ্ধান্ত হল নাটক আর গানের আয়োজন চাই।
তৈরি হল সুমন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় বহু দল মিলে 'মেফিস্টো'।
কৌশিক সেন করলেন 'প্রাচ্য'।
গৌতম হালদার এলেন নতুন প্রস্তাব নিয়ে।
আমজাদ আলী খান ও তাঁর দুই পুত্রের অনুষ্ঠান।
নন্দনে।
দুদিন ধরে হল।
অর্থ এলো। আমজাদ আলী খান যাতায়াত ভাড়া ছাড়া এক পয়সাও নেননি।সেটাও নিতে চাননি। গৌতম হালদারের সঙ্গে তাঁদের দারুণ সম্পর্ক।
গৌতম হালদারকে চিনতাম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবকে কেন্দ্র করে।
এবার গড়ে উঠল নতুন করে।
এবার উনি ছবি বানালেন। ভালো থেকো।
বিদ্যা বালানের প্রথম ছবি।
তারপর দুটি নাটকের নির্দেশক।।
রক্তকরবী। যোগাযোগ।
দুটোই দেখতে গিয়েছি তাঁর আমন্ত্রণে।
চলে গেলেন।
খুব খারাপ সময়ে।
ফ্যাসিবাদের চরম বিপদের দিনে তাঁকে বড় দরকার ছিল।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।