এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিশ্ব নারী  দিবস

    Tapti Bose লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৪২ বার পঠিত
  • আজকে বিশ্ব নারী দিবস। সকাল থেকে রুমার মোবাইলে, হোয়াটস্যাপ ও ফেসবুকে বিভিন্ন মেসেজ আসছে। ‘হ্যাপি ওমেন্স ডে’, ঠিক যেন দুর্গা পুজো বা জন্মদিন। কেউ বা কোনো ছবি দিচ্ছে কেউ আবার কোনো কবিতার পংক্তি। রুমার হোয়াটস্যাপ গ্রুপ বলতে তো সেই স্কুলের বন্ধুদের একটা গ্রুপ, কলেজের বন্ধুদের গ্রুপ, আর ওর বর রাজীব আর রুমা যেই ফ্ল্যাটে থাকে সেখানের আবাসিকদের একটি গ্রুপ। আবার ফেসবুক খুলেও দেখা যাচ্ছে এই বিশ্ব নারী দিবস সম্বন্ধে বিভিন্ন বক্তব্য।

    রুমার মেয়ে থাকে বেঙ্গালুরুতে। আগের বছর ও এই সময় কলকাতাই ছিল, তাই রুমার বর রাজীব, ওদের মেয়ে ও রুমা কে নিয়ে একটি নামি রেস্তোরাঁতে গিয়েছিলো। বাবা মেয়ের সম্পর্ক বরাবরের একটু ঘনিষ্ঠ তারপর আবার মেয়ে হলো সব থেকে ছোটো। খাওয়া দাওয়া, গল্প গুজবে দিনটা কখন যে কেটে গেছে ওরা বুঝতে পারে নি। রুমার ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে ও থাকে মুম্বাইতে। আর গত বছর রুমার ছেলের ঘরে নতুন সদস্য এসেছে, তাই নাতির জন্মের পর রুমা এখন ঠাকুমাও বটে।

    বিয়ের আগে রুমা চাকরি করতো, এমনকি বিয়ের পরও; কিন্তু সন্তান সম্ভবা হওয়ার সময় সেই চাকরি রুমা ছেড়ে দেয়। হ্যাঁ, একটি বেসরকারি সংস্থায় রুমা কাজ করতো আর চাকরি ছাড়ার একটা আক্ষেপ কোথায় যেন রুমার মনে রয়ে গেছে। বিয়ের সময় তখন ওর শ্বশুর এবং শাশুড়ি এক ঘরোয়া মেয়েই চেয়েছিলেন, তবে ওর বর রাজীব পাকা দেখার সময় রুমাকে বলেছিল, ‘তুমি যদি সবটা নিজে সামলাতে পারো তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই, তবে চাকরি ও ঘর দুটো একসঙ্গে সামলানো এটা কিন্তু পুরোপুরি তোমার ব্যাপার।’

    তখন বিয়ের বাজারের চাহিদার মাপকাঠি দেখলে, রুমার বয়স অনেকটা মানে প্রায় ত্রিশের কাছে। কোথাও যেন একটা ভয় ছিল যদি আর বিয়েটা না হয়। যত কিছুই মেয়েরা করুক না কেন, বিয়ে না হলে যেন জীবন অর্থহীন হয়ে যায়। একদিন টেলিভিশনে এক প্রখ্যাত মহিলা যিনি কিনা তার বর ও পরিবারের সমর্থন ও উৎসাহের জন্য লেখিকা হতে পেরেছেন, বলছিলেন, ‘এখন আমার ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেছে, আমার বায়োলজিক্যাল ক্লক বলে আর কিছু নেই তাই এখন মনে হয় আমি স্বাধীন।’ এই জীবন দর্শন হয়ত রুমাও বিশ্বাস করতো।

    বিয়ের প্রথম দিকে যতদিন শাশুড়ি ছিলেন, বাপের বাড়ি যাওয়ার সময় রুমার মা ওর শাশুড়িকে ফোন করে অনুমতি নিতেন। সেটি আদায় করা সবসময় খুব সহজ ছিল না। ভালো ছেলের বৌমা হয়ত সে যে বাপের বাড়ি যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই প্রকাশ করে না। নিজের রোজগার করা পয়সায়ও কিছু কেনাকাটা করলে সবসময় রুমাকে শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করে নিতে হতো। আবার যদি কোনোদিন জিজ্ঞেস না করেই কিছু রুমা কিনে ফেলেছে, তবে কেনা জিনিসগুলো সবটাই শাশুড়িকে দেখিয়ে নিতে হতো। চাকরি ছাড়ার পর রুমার সবথেকে অস্বস্তির কারণ হয়েছিল নিজের মাকে কিছু নিজের থেকে কিনে দিতে চাইলে শাশুড়িকে সেটা রুমা বলে উঠতে পারতো না, আর পরেও রাজীবের টাকা থেকে কিনতে ইচ্ছে করতো না।

    আর বিয়ের পর রুমার রান্নাঘরের দায়িত্ব যেন দিন কে দিন বেড়েই গেছে। আর তা হবে নাই বা কেন? তখন ননদের বিয়ে হয় নি, দেওরও সবে চাকরি পেয়েছে। সংসার তখন লোকজনে গম গম করছে। একবার মেয়েকে মজা করে রুমা বলে ফেলছিলো, ‘তোর বাবা তো বিয়ের পরেই আমাকে রান্নাঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বেপাত্তা।’ মেয়ের কথা গুলো ভালো লাগে নি, সে বরাবরই বাবার সামান্য নিন্দে শুনতে নারাজ।

    এখন শ্বশুর শাশুড়ি নেই, ননদের বিয়ে হয়েছে, দেওরও আলাদা থাকে, আর সব থেকে বড় কথা শ্বশুরবাড়ি এখন চারতলা একটি ফ্ল্যাট-এ পরিণত। দুই ভাই দুটি ফ্ল্যাট নিয়েছে। এখন ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে, রাজীবও যেই সরকারি সংস্থায় কাজ করতো তার থেকে অবসর নিয়েছে; তাহলে এখন এতো বছর কাটিয়ে রুমা হয়ত কিছুটা স্বাধীন। এখন রুমার জীবনে এসেছে সকালের মর্নিং ওয়াক, সেখানে নতুন বন্ধু হয়েছে। তার পর রাজীব আর ওর বয়সী বিভিন্ন দম্পতি ওদের বন্ধু। তাদের নেমন্তন্ন করা, কি তাদের বাড়ি যাওয়া, একসাথে বা গ্রুপে বেড়াতে যাওয়া লেগেই থাকে। তারপর রাজীব আগে যা পারতো না এখন আবার রুমার জন্মদিনও করে বড় করে পালন করে।

    এই কয়েকদিন আগে সুজাতা ও সুমন্তদা ওদের বাড়িতে নেমন্তন্ন করেছিল। সুমন্তদা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, ওদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে থাকে। সেই দিন ওরা আবার রুমা ও রাজীবের ফ্ল্যাটে এসেছিল। আগেকার দিনে রুমা দেখতো বাড়িতে লোকজন এলে পুরুষরা আলাদা রাজনীতি অর্থনীতি এই সব গুরু গম্ভীর বিষয়ে আলোচনা করে, আর মেয়েরা আলাদা ঘর সংসার নিত্য নতুন অসুবিধে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, মেয়ের বিয়ে এই নিয়ে কথা বলে।

    এখন সবাই আবার জোড়ায় জোড়ায় বসে তা হয়ত টেলিভিশনে বাংলা সিরিয়াল গুলোর প্রভাব হবে, তবে এখানেও পুরুষরা যা বলে তাতে মেয়েরা মাথা নাড়ে, বা অনেক সময় হয়ত বা তারা নিজের বরের জ্ঞানের পরিসরে মুগ্ধ হয়। অনেকদিন আগের কথা তখন রুমা চাকরি করতো, একবার গাড়ি করে ও আর রাজীব যাচ্ছিলো সঙ্গে সুমন্তদা ও সুজাতা। কোনো একটা কথাতে রুমা একটা কি বলতে যাচ্ছিলো তখন রাজীব ওদের সামনেই রুমা কে থামিয়ে দেয়, ‘যা নিয়ে বোঝো না তা নিয়ে এতো কথা বলো না তো,’ এই কথা রাজীব প্রায়ই বলতো; তাই এতো বছর পর রুমা এই গেট টুগেদার গুলোতে মোটামুটি শ্রোতা হিসাবেই নিজেকে আড়াল করে থাকে।

    শুধু একবার সুজাতা কি একটা জিজ্ঞেস করতে রুমা বলে ফেলেছিলো, ‘চাকরিটা ছাড়ার একটা আক্ষেপ তো রয়েই গেছে, যারা একবার কাজে যায় তাদের অনেক সময় মনে হয় যে হয়ত চাকরিটা থাকলে ভালো হতো।’

    তখন রাজীব কিছু বলে নি কিন্তু ওর মুখে যেন একটা অন্ধকার নেমে এসেছিল। রাতের খাবারের সময় রাজীব থালাটা প্রায় একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলেছিলো, ‘তোমার কীসের অভাব হতে দিয়েছি বলতে পারো যে তোমাকে সবার সামনে ওই কথাটা বলতে হলো? গ্যাস, ফ্রিজ টিভি, ওয়াশিং মেশিন ফ্ল্যাট, শাড়ি, গয়না, বেড়াতে যাওয়া, এমনকি গাড়ি ও কিনেছি। কীসের অভাব?’ আর কিছু বলে নি। রাজীবের রাগটা অনেকটা রুমার বাবার মতো দপ করে ওঠে আবার নিভে যায়। রুমার মা বলতো পুরুষ মানুষের রাগ থাকবে।

    মেয়ের বিয়েটা হয়ে গেলে রুমা একটু নিশ্চিন্ত হতো, তবে মেয়ে আজকাল একটু অন্য রকম কথা বলে যেমন, ‘আমি পুরুষ বিদ্বেষী নই, তবে পুরুষ ছাড়া বাঁচা যায়।’

    ‘এগুলো সব আজগুবি কথা’, রুমার ছেলে ওকে বলেছিল, ‘কোনো ছেলের কাছে প্রেমে দাগা খেলে মেয়েরা এই ধরনের কথা বলে।’

    মেয়ের কথাগুলো রুমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, তবে মায়ের মন, মেয়েটা কিভাবে থাকবে যখন ও আর রাজীব থাকবে না? ‘জীবনে অনেক কিছু করার আছে মা’, এইরকম কথা মেয়ে বলে, তবে সত্যি কি বুঝে বলে?

    আর রাজীব আজকে বলেছে, ‘আজকে ওমেন'স ডে তোমাকে আজ রান্না করতে হবে না’। আজকে রুমা আর রাজীব আগের বছরের মতো কোনো রেস্তোরাঁ যাবে ওমেন্স ডে উদ্‌যাপন করতে। আর রাতে সেই দুজনের ছবি ফেসবুকে আপলোড করতে করতে রুমা ভাবছিলো কত দিনই বা সে নারী হিসাবে নিজের জীবনে সার্থকতা পেয়েছে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৪523910
  • খুব অনেস্ট লেখা।
  • Tapti Bose | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩৩523946
  • ধন্যবাদ ।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪১523957
  • "নারী হিসেবে ... সার্থকতা" বলতে কী বোঝায়? মানে এমন কোনও লিস্ট আছে যেটা বলে দেবে এই এই ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করলে একজন (মানুষ নয় কিন্তু) "নারী" হিসেবে সার্থক? অনেস্টলি সংজ্ঞাটা জানতে চাই। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন