আজ থেকে বেশ কিছু সময় পিছিয়ে। সত্তর দশকের গোড়ার কথা। সময়টা রাজনৈতিক পটভূমিতে অত্যন্ত সঙ্কটময়। তবুও বাংলার জেলায় জেলায় তখন গ্ৰুপ থিয়েটারের রমরমা। চতুর্দিকে একাঙ্ক নাটকের সাজ সাজ রব। এককথায় এলাহি ব্যাপার। বিভিন্ন সংস্থার একাঙ্ক নাট্য প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং তাতে স্বতস্ফূর্তভাবে বাঙলার দূরদূরান্ত থেকে অনেক নাট্য দলের সাড়া এবং যোগদান।
আর ছিল তৎকালীন প্রশাসনিক সন্ত্রাস। কারন বেশীরভাগ নাটকের বিষয় বস্তু ছিল তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতির ব্যাখ্যা এবং বিরোধিতা। সুতরাং প্রশাসন তো আর চিনির পানা নিয়ে বসে থাকে না। যথারীতি গুন্ডা লেলিয়ে দেয়া ,বাহান্ন নং পুলিশের গাড়ির আচমকা হানা, আয়োজকদের ধরপাকড়, নাটক চলাকালীনই, ছিল আতঙ্কের পরিবেশ! সেইসব উপেক্ষা করেই চলতো মহড়া এবং নাটক। বাহাত্তর থেকে সাতাত্তর বাঙলার মসনদে তখন বিরাজমান সিদ্ধার্থ রায়।
ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে, হুগলি থেকে উত্তরপাড়া এবং পূর্ব পাড়ে হালিশহর থেকে দমদম, এই বিস্তৃত মফস্বল অঞ্চলে তখন সৃষ্টি হয়েছিল অসংখ্য নাটকের দল। মূলত সবাই একাঙ্ক নাটকই মঞ্চস্থ করতো। কোনো কোনো দল যাদের নিজস্ব নাট্যকার ছিল, তারা কদাচিৎ পুর্নাঙ্গ নাটক মঞ্চস্থ করতো। না হলে মোহিত চট্টোপাধ্যায়, মনোজ মিত্র, নীলকন্ঠ সেনগুপ্ত, রাধারমণবাবু, জোছন দস্তিদার, মহাশ্বেতা দেবী এবং আরো অনেক প্রসিদ্ধ নাট্যকার তো ছিলই, আজ যাঁরা বিস্মৃতির আড়ালে।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ভাগ্যবান যে এমন এক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছিলাম যেখানে নাট্যকার ও পরিচালক একই ব্যক্তি। শুধু তাই নয় তিনি একাধারে সুদক্ষ নট, অসাধারণ আবৃত্তিকার (বাচিক শিল্পী) এবং সুকন্ঠস্বরের অধিকারী ছিলেন। এমন একজন নাট্য ব্যক্তিত্বকে ঘিরে আমাদের সন্ধ্যা থেকে রাত্রে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত প্রায় নেশার ঘোরের মত কাটতো। মুখিয়ে থাকতাম আবার কখন পরের সন্ধ্যা হবে।
নতুন নাটক লেখার পর উনি প্রত্যেক সভ্যের সামনে সেই নাটক পড়তেন এবং এমন ভাবে প্রত্যেক চরিত্রের সংলাপ আলাদা আলাদা ভঙ্গী ও অভিব্যাক্তি দিয়ে উচ্চারণ করতেন যে চরিত্রগুলো চোখের সামনে চলাফেরা শুরু করে দিতো। সংলাপ লেখাতে এমন মুন্সীয়ানা মফস্বলে ছিল প্রায় বিরল। ঘরানাটা ছিল উৎপল দত্তের। মানতেনও গুরু হিসাবে এক কথায়। আঁকাতেও পিছিয়ে ছিলেন না। পেন্সিল স্কেচ করে ছিলেন গুরুর। দেখার মত ছবি। আজো ঝোলানো আছে বৈঠকখানায়। যেখানে ছিল আমাদের আড্ডা এবং মহড়া দেবার জায়গা।
দেয়াল আলমারি ছিল নাট্যবিষয়ক বইতে ভর্তি আর সেই সমস্ত বিষয় নিজের মন-আলমারিতে অতি যত্নে গুছিয়ে রাখতেন। আমি সবথেকে কমবয়সী সদস্য হওয়ায় মহড়াতে গেলেই বলতেন - কিরে, পড়াশোনা করে এসেছিস তো? দ্যাখ লেখাপড়া না করলে নাটক হয় না। কম কথার মানুষ। বেশিক্ষণ নিজের মধ্যেই আত্মস্থ থাকতেন। কিন্তু মহড়ার সময় অন্য মানুষ।
চূড়ান্ত নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতেন। বলতেন আমাদের কাছে নাটক কারখানার মতো শিল্প, এখানে আমরা সবাই শ্রমিক। কেউ নেতা নয়। অতএব শ্রমজীবীদের মত সহ অভিনেতার প্রতি দরদী মানসিকতা নিয়ে যদি অভিনয় করতে পার তো করো নইলে রাস্তা খোলা আছে যেতে পারো। আমারা আমাদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দায়িত্ববোধ থেকে এখানে নাটক করতে আসি। সৃষ্টির সেই সমবেত আনন্দ ছাড়া এখানে কোনো মুনাফা নেই। এই দল শৌখিন অভিনেতার জন্য নয়। এটা গ্ৰুপ থিয়েটার। আমরা টিম ওয়ার্কে বিশ্বাস করি।
হীরে থেকে জিরে, সব কাজ নিজেকেই করতে হবে। সত্যি বলতে প্রথম প্রথম হাঁপ ধরে যেত। চুপচাপ বসে থাকতাম কবে একটা চরিত্র পাবো। তারপর এলো সেই সুযোগ। আমি তো আপ্লুত। যেন লটারি জিতেছি! ভগবতী চরণ পাণিগ্ৰাহি্র নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। লেখক হিসেবে বাঙলার পাঠকের কাছে বিশেষ পরিচিত না হলেও, ওনার আরো এক পরিচয় হলো উনি নন্দিনী শতপথী'র (একসময় উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন) কাকা।
আমাদের শ্রদ্ধেয় পরিচালক ওনার একটি বিখ্যাত ছোটো গল্প পড়ে মুগ্ধ হন এবং তার নাট্যরূপ দেওয়ার কাঠামো ভিতরে ভিতরে তৈরি করতে থাকেন। আমরা কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পাই নি যে এক সাড়া জাগানো একাঙ্ক জন্ম নিচ্ছে। আমরা রোজই তাগাদা দিই যে আর অন্যের লেখা নাটক করবো না। এবার আপনাকে লিখতেই হবে। এ ব্যাপার সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতো আমাদের সবার প্রিয় সিনিয়র সদস্য এবং পরিচালকের পরেই যার স্থান। যেমন দুর্দান্ত অভিনেতা তেমনি দক্ষ সংগঠক। তিনিই আমাকে হাত ধরে ক্লাবে নিয়ে গেছিলেন। এতদিন আমরা অন্য নাট্যকার এর লেখা দিয়ে চালাচ্ছিলাম। এরই মাঝে দুটো পূর্নাঙ্গ নাটক সিনেমা-হলে মঞ্চস্থ হয়েছে। একটি ম্যক্সিম গর্কীর গল্প অবলম্বনে শশাঙ্ক শেখর গাঙ্গুলির 'সামন্য অসামান্য', অপরটি উৎপল দত্তের 'ছায়ানট'।
যাই হোক পঁচাত্তরের শেষাশেষি কি ছিয়াত্তরের গোড়ার দিকে হবে, আমরা নতুন নাটক পেলাম ভগবতী চরণ পানিগ্ৰাহীর ছোট গল্প 'শিকার' অবলম্বনে। সে এক অসাধারণ নাট্যরূপ। প্রায় বছর পাঁচেক ঐ নাটক সারা বাঙলার বিভিন্ন মঞ্চ দাপিয়ে বেড়িয়েছে। আমাদের নাটকের নাম 'ইনাম'। দু একটা শো হয়েছে এবং চারিদিকে হৈ চৈ পড়ে গেছে। তারপর ছিয়াত্তরের মাঝামাঝি 'মৃগয়া' মুক্তি পেল। পেপারে দারুন রিভিউ বেরোলো। সবাই দেখার জন্য উন্মুখ। কিন্তু সবার উৎসাহে জল ঢেলে পরিচালক বললেন, - আমি না বলা পর্যন্ত কেউ মৃগয়া দেখবে না। যদিও মফস্বলের কোনো হলে তখনও মুক্তি পায় নি। তবুও দেখার জন্য উসখুস করছিল প্রান। অবশেষে অনুমতি মিলল এবং আমি পরিচালকের সঙ্গেই কলকাতা এসে মৃগয়া দেখি। যথারীতি সবার মত মিঠুনের অভিনয় দেখে চমকে উঠেছিলাম। যদিও কনটেন্ট এবং পরিণতি একই তবুও পিরিয়ড ন্যারেটিভ, সর্বোপরি কে কে মহাজনের ক্যামেরা এবং আমাদের নাটকের সীমিত উপস্থাপনায় বিস্তর ফারাক।
আমাদের পরের প্রয়াস চেকভের 'চেলকাস' নামে ছোট গল্প অবলম্বনে নাটক 'সেই লোকটা' জাহাজের শ্রমিকদের নিয়ে। সম্পূর্ণ অন্য আঙ্গিকে। দারুণ সাফল্য পেয়েছিল সেই নাটক।
মহড়ার শেষে প্রায়শই এক বুদ্ধিদীপ্ত আড্ডা বসতো। তাতে বাঙলা তথা গোটা ভারতের নাট্য ইতিহাস এবং সমকালীন নাটক নিয়ে গভীর ও মনোজ্ঞ আলোচনা হতো। সেখানে গিরিশ ঘোষ, শিশির ভাদুড়ী, অহীন্দ্র চৌধুরী যেমন থাকতেন তেমনই থাকতেন শম্ভু মিত্র, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, অরুণ মুখোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, জোছন দস্তিদার, বিজন ভট্টাচার্য, মহাশ্বেতা দেবী, হাবিব তনবীর, প্রেমচাঁদ মুন্সী, বিজয় তেন্ডুলকার এবং একমেবাম অদ্বিতীয়ম উৎপল দত্ত।
স্তানিস্লাভস্কি, ব্রাটল্ট ব্রেখট্, ইবসেন, মলিয়েরের মত রথী মহারথীদের নাট্য প্রয়োগের বৈচিত্র্য ও বিজ্ঞান মনস্কতা নিয়ে আলোচনা হতো। পরিচালক একধারে বলে যেতেন আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম। সাহিত্য, সঙ্গীত, কবিতা, পেইন্টিং, চলচ্চিত্র এমন কোনো ধ্রপদী বিষয় ছিলো না, যা নিয়ে আলোচনা হতো না।
সেখানে ভারতের আন্তর্জাতিক মানের পরিচালক সত্যজিৎ, ঋত্বিক, মৃণাল, আদুর গোপালকৃষ্ণরা তো থাকতেনই, অসংখ্য আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পরিচালক, যেমন কুরোশাওয়া, আইজেনস্টাইন, বার্গম্যান, ডি সিকা এবং গ্ৰেট চার্লি চ্যাপলিনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আমাদের মতো অজ্ঞদের চলচ্চিত্রের ভাষা ও অভিনয় বোঝাবার চেষ্টা করতেন। বলতেন 'হ্যামলেট' চরিত্রে বিশ্বের অদ্বিতীয় রাশিয়ান অভিনেতা ইন্নোকেন্তি স্মোকতুনোভস্কির কথা। তাঁর জীবন ছিল রোমাঞ্চকর। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে বন্দী হয়েও escape করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সে সময়টা একই সঙ্গে ছিল রূপকথার মতো, আবার হায়েনাদের ভয়ঙ্কর উপদ্রবের ও স্মৃতিকথা। আজো সে উপদ্রব অব্যহত।
পেটের টানেই নাটক ছেড়ে, হুগলি ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হয়েছিল ছিয়াশি সালে ভবঘুরের চাকরি করতে। সত্যি বলতে এই জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আমাদের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সততই হতাশ হই। অনেক মানুষের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা কি এগিয়েছি আদৌ!?
সেই তো কবে থেকে সুপ্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় নাট্যকলাকে একটি নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে শুরু হয়। তারা ট্র্যাজেডি, কমেডিসহ মঞ্চনাটকের অন্যান্য রূপগুলোর, যেমন স্যাটায়ার এর, সুস্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞা গঠন করে। গ্রিকদের কাছ থেকেই প্রথম নাটকের সমালোচনার ধারণা পাওয়া যায়। এমনকি পেশা হিসেবে অভিনয়কে বেছে নেওয়ার ধারণাও গ্রিকদের থেকেই পাওয়া।
পরিশেষে বলি, নাটক তার নিজস্ব আঙ্গিকে এবং গুনগত বৈশিষ্ট্যে আকর্ষণ করে দর্শক সাধারণকে। নাটকের বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ দর্শক মানস কে গভীর ভাবে আন্দোলিত করে। সৃষ্টি করে এক স্বতঃস্ফুর্ত উত্তেজনা। আর এই উত্তেজনার তরঙ্গে অবগাহন করে নাটক উত্তীর্ন হয় এক নূতন মাত্রায়। পন্ডিতের বিচার তো আছেই; কিন্তু দর্শকই হলো নাটকের প্রথম ও শেষ কথা। জার্মান নাট্যকার Bertolt Brecht বলতেন নাটকের দর্শক হয় ফুটবলের দর্শকের মতো। প্রতিটি ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে তাদের মতামত অত্যন্ত স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট। প্রতিটা দর্শক নিজেরাই এক একজন খেলোয়াড়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা এবং দুর্ঘটনাই নাটকের উৎসমুখ। লেখকের সংবেদনশীল মন তার গভীর জীবনবোধের সাহায্যে ঘটনার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াকে প্রতিষ্ঠিত করে।ফুটিয়ে তোলে ব্যাক্তি তথা সামাজিক দ্বন্দের ঘাত প্রতিঘাতকে অত্যন্ত মুন্সীয়ানায়, বের করে এনে দেখায় জীবনের ইতিবাচক দিক, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে শিল্পসম্মত ভাবে। নাটকই দিয়েছে অপরিমেয় সম্পদ। জীবনবোধ, চেতনা, এবং প্রতিবাদী শিরদাঁড়া। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সেই নাট্য শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধ এবং কৃতজ্ঞ, যে শিল্প নিপীড়িত মানুষের কথা বলে।
আমাদের স্বাধীনতার (কেউ কেউ আজো 'দেশভাগ/পার্টিশন' বলে) ছিয়াত্তর বছর পার হলো। তবু কোনো সুন্দর সকালে সংবাদপত্রে বা দূরদর্শনের পর্দায় চোখ রাখলে আতঙ্কে শিউরে উঠতে হয়। আজও ঘটনার ভয়াবহতায় স্তম্ভিত, হতবাক হই আমরা। গণহত্যা, অপহরণ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং ধর্ষণের মতো মর্মান্তিক, হৃদয় বিদারক ও কলঙ্কময় ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে সাধারণ মানুষ আজ সর্বহারা, সন্ত্রস্ত, বিপন্ন। মহামারির সময় আমরা সাক্ষী থেকেছি, পায়ে হেঁটে মানুষের, শিশুদের ঘরে ফেরার চূড়ান্ত দুর্দশা! অপদার্থ, অদূরদর্শী প্রশাসন আর তারই অনুগত মেরুদণ্ডহীন সংবাদ মাধ্যম। গনতন্ত্রের শেষ প্রহড়ী!
বাজার অগ্নিমূল্য। মানুষ ধীরে ধীরে আস্থা হারিয়েছে আইন, প্রশাসন, সংবাদ মাধ্যমের ওপর। নেতাদের মিথ্যা আশ্বাস এবং মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। অন্যদিকে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হতে চলেছে।
- সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই দ্যাশ...
দিনে কাঠফাটা রোদ, রাত্রে মশার কামড়ে গোদ!
অথচ আমরা এক প্রতিকারহীন, নির্বোধ সমঝোতার মধ্যে টিঁকে আছি, স্বল্পায়ু মূল্যবোধের কফিনে শেষ পেরেক গাঁথার অপেক্ষায়। আজকের কোনো সমস্যাই মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন নয়; বিচ্ছিন্ন নয় রাজনৈতিক ব্যাভিচারের শিকার থেকে। আমরা প্রত্যেকেই তা অবগত।
তবু লজ্জায় মাথা নত হয়! যে জাতি নারীর প্রতি শ্রদ্ধায় উদাসীন,সে জাতির ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কা জাগে।
তবুও তো মানুষই আশার কথা শোনায়। তেমনই অমোঘ বাণী শুনিয়েছেন মহাকবি ও মহান নাট্যকার শেক্সপীয়ার তাঁর অন্যতম ট্রাজেডি 'ম্যাকবেথ' নাটকের! যেখানে ক্ষমতা লোভী, স্বৈরাচারী ম্যাকবেথ স্বগতোক্তি করছে লেডি-ম্যাকবেথের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর। কারণ সে বুঝতে পারে এই তার শেষের শুরু:
"Tomorrow, and tomorrow, and tomorrow,
Creeps in this petty pace from day to day,
To the last syllable of recorded time;
And all our yesterdays have lighted fools
The way to dusty death. Out, out, brief candle!
Life's but a walking shadow, a poor player,
That struts and frets his hour upon the stage,
And then is heard no more. It is a tale
Told by an idiot, full of sound and fury,
Signifying nothing."
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।