এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গণপতি গজানন আখ্যান

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৪২ বার পঠিত
  • গণপতি গজানন আখ্যান

    সুযোগটা হঠাৎ করেই এসে গেল। ঠিক যেন মেঘ না চাইতেই জল। আমার কন্যাকে একটা বিশেষ কাজের জন্য মুম্বাই যেতে হবে। একজন চরণদার দরকার। তাই আমি হুলো বেড়ালের মতো কোমর বেঁধে অন্যদের টা টা বাই বাই করে একেবারে উড়ানপথে মুম্বাই চললুম। জরুরি কাজ ঠিকঠাক মিটিয়ে আসার উত্তেজনার পাশাপাশি মনের ভেতরে আর‌ও একটা বাড়তি টান বেশ টনটনিয়ে উঠেছিল আর তা হলো - গণেশ চতুর্থী উদযাপনের জন্য মুম্বাইকরদের আয়োজনের প্রস্তুতি পর্বকে সরজমিনে চাক্ষুষ করে আসা। মা দুগ্গিকে নিয়ে মাতামাতির একচেটিয়া অধিকার যদি বঙ্গবাসীর প্রাপ্য হয় তাহলে গণপতি গজানন বুঝিবা মহারাষ্ট্রবাসীদের তথা মুম্বাইকরদের একান্ত আরাধ্যজন, কাছের দেবতা,কাজের দেবতা, প্রাণের দেবতা। দক্ষিণাপথের জনগোষ্ঠীর মধ্যেও গণপতি গজাননের প্রবল জনপ্রিয়তা, তবে মহারাষ্ট্রবাসীদের দাবি, তিনি একান্ত ভাবেই তাঁদের – গণেশা পুণ্যাপনে তাঞ্চে।

    ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণপতি গজানন ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণে মুষিক বাহনে স‌ওয়ারি হয়ে মর্তে আসেন। অবশ্য ভক্তজনের মনোমন্দিরে তাঁর নিত্য অধিষ্ঠান। গণপতি গজাননকে নিয়ে পুরাণকারদের কাহিনি বিন্যাস নেহাতই কম নয়। মিশরীয় বা নর্ডিক রূপকথায় দেবদেবীদের মুখাবয়বে পশু চরিত্রদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবদেবীদের মধ্যে গণপতি গজানন এক উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম। কেন এমন হলো?

    ছোটোবেলায় মা ঠাকুমাকে এমন প্রশ্ন করলে তাঁরা এই পুরাণ হাতড়েই তার জবাব দেবার চেষ্টা করেছেন ‌‌। গণেশ নাকি হলেন একান্ত ভাবেই মা পার্বতীর সন্তান। পিতৃপরিচয় তাঁর অজ্ঞাত। মা পার্বতীকে আগলে রাখতে তাই সদা তৎপর গণেশ। পার্বতীর একান্ত অন্দরমহলের দেখভাল করার দায়িত্ব মা সঁপেছেন বিশ্বস্ত পুত্র গণেশের ওপর। এমন দায়িত্ব পেয়ে পুত্র গণেশ‌ও মহাখুশি, তাঁর শ্যেন নজর এড়িয়ে কাক পক্ষির‌ও অন্দরে প্রবেশের উপায় নেই। এদিকে হয়েছে কি এ ঘাট, সে ঘাট ঘুরে শিবঠাকুর এসেছেন গিন্নি পার্বতীর সঙ্গে দেখা করতে। শশব্যস্ত হয়ে শিবঠাকুর অন্দরমহলে প্রবেশ করার উদ্যোগ নিতেই একেবারে রে রে করে তেড়ে আসেন গণেশ। শিবঠাকুর তো অবাক! এই পুঁচকে বালকটি কে? কার এমন দুঃসাহস যে স্বয়ম্ দেবাদিদেব মহেশ্বরের পথ আগলে রাখে? বিস্তর তর্কাতর্কির পর্ব শেষ পর্যন্ত গড়াল যুদ্ধে। বালক গণেশ কি আর শিবের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারে? যুদ্ধে গণেশ পরাভূত ও নিহত হলো। শিব অজ্ঞাত পরিচয় অর্বাচীন বালকের ঔদ্ধত্য সহ্য করতে না পেরে গণেশের মুণ্ডচ্ছেদ করলেন। অপরিচয়ের কি মর্মান্তিক পরিণতি!

    অন্দরমহলে এই দুঃসংবাদ পৌঁছতেই অকুস্থলে হাজির হন শোকাতুরা পার্বতী। প্রিয় পুত্রের মুণ্ডহীন ধড় দেখে পার্বতী উথালপাথাল করতে লাগলেন। এদিকে শিবঠাকুর‌ও পড়েছেন মহা আতান্তরে। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে শেষে পুত্রহন্ত্রীর কালিমা লাগলো গায়ে! দুই বিশ্বস্ত অনুচর নন্দী আর ভৃঙ্গীকে হুকুম করলেন কাটা মাথা খুঁজে আনতে। কিন্তু কোথায় মাথা! এদিক সেদিক বিস্তর ঘোরাঘুরি করে নন্দী-ভৃঙ্গী হতাশ হয়ে ফিরে এলো। কিন্তু মাথা ছাড়া প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে কী করে? শেষে তাঁরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিয়ে এলো এক প্রকাণ্ড হাতির মাথা। পাছে আরও বিলম্ব ঘটে যায় সেই আশঙ্কাতেই তড়িঘড়ি হাতির মাথা জুড়ে দেওয়া হলো গণেশের শরীরে। দৈব মন্ত্র আউড়ে গণেশকে পুনরুজ্জীবিত করা হলো। সাময়িক স্বস্তি পেলেন সকলে। সেই থেকেই আমাদের গানুবাবা মাতঙ্গমুখো।

    মা ঠাকুমার মুখ থেকে এমন পুরাণকথা শুনে আমরা তিন ভাইবোন অভিভূত হয়ে যেতাম। এই এক‌ই গল্প কতবার যে শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই! কিন্তু কথকঠাকুরানিদের অপূর্ব সুন্দর বাচনশৈলীর প্রসাদগুণে সেই বহুশ্রুত কাহিনিই প্রতিবার নতুন হয়ে উঠতো আমাদের কাছে।

    গণেশের মতো তাঁর বাহন মুষিককে নিয়েও চর্চার অন্ত নেই। ছোট বেলায় পুজোর সময় দুগ্গিঠাকুর দেখতে দেখতে বারবার এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে – অমন নাদুসনুদুস পৃথুল চেহারার অধিকারী গণেশ বাবাজি একটা ছয়ছোট্ট ইঁদুরের ওপর স‌ওয়ারি হয়ে যত্রতত্র পাক মেরে বেড়িয়ে বেড়ান কী করে? এমন বেয়াড়া প্রশ্নের‌ও উত্তর মিলবে পুরাণকারদের কল্পভাষ্যে। মৎস্য পুরাণের এক কাহিনি থেকে আমরা জুৎস‌ই এক উত্তর হয়তো পেয়ে যাব।

    দেবলোকে দেবরাজ ইন্দ্রের সভায়‌ ক্রৌঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব ছিল। তাঁর সঙ্গীতে মুগ্ধ হতেন স্বয়ম্ দেবরাজ। একদিন সেই সভায় এসে হাজির হলেন ঋষি বামদেব। ইন্দ্রকে তুষ্ট করতে তিনি তার হেড়ে গলায় বন্দনাগান ধরলেন। এই গান শুনে গন্ধর্ব ক্রৌঞ্চ হেসে উঠতেই মহা বিপদ ঘনিয়ে এলো।তাঁকে ইচ্ছাকৃত ভাবে হেয় করার জন্য‌ই এমনটা করা হয়েছে মনে করে তিনি অত্যন্ত রেগে গিয়ে ক্রৌঞ্চকে অভিশাপ দিলেন। শাপের প্রভাবে ক্রৌঞ্চ মুষিক রূপী এক রাক্ষসে পরিণত হলো। অনেক কাকুতি মিনতি করে কিছুটা ছাড় মিললো অবশেষে। ঋষিবর বামদেবের রাগ কিছুটা কমতে তিনি বললেন,‌শাপ ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কিছুদিন ক্রৌঞ্চকে এই মুষিক জীবন যাপন করতে হবে। তবে যদি কোনো দিন গণপতি গজানন এই মুষিককে বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন তবেই ঘটবে তাঁর শাপমুক্তি। এদিকে কথায় বলে, স্বভাব যায় না মলে। মুষিকরূপী ক্রৌঞ্চের‌ স্বভাবের কোনো বদল হলোনা। রাক্ষস হয়ে সে প্রবল অত্যাচার শুরু করলো মুণি ঋষিদের উপর। মুণি ঋষিদের তপোবন আশ্রমে, হামলা চালিয়ে তাঁদের অতিষ্ট করে তুলল। এই অত্যাচারের কথা কানে যেতেই গণেশ স্বয়ম্ আসরে অবতীর্ণ হলেন। গণেশ ঠাকুরকে দেখেই মুষিকরূপী ক্রৌঞ্চের‌ অতীতের কথা মনে পড়ে গেল। সে গণেশের কাছে মিনতি করতে লাগলো তাঁকে বাহন হিসেবে গণ্য করার জন্য। গজানন দয়াপরবশ হয়ে মুষিককে তাঁর অনুগত বাহন হিসেবে মেনে নিয়ে পদপ্রান্তে ঠাঁই দিলেন। এই হলো মুষিকের গণপতি বাহন হয়ে ওঠার পৌরাণিক কাহিনি।

    অবশ্য এর পাশাপাশি একটি লোকায়ত কাহিনিও প্রচলিত আছে এই বিষয়ে। সেই কাহিনির মর্মার্থ হলো এই যে, গণেশ আদিতে ছিলেন একজন কৃষির দেবতা। অন্যদিকে ইঁদুর হলো শস্যহানিকারক, কৃষকদের পরম শত্রু। তাই তাকে বশে আনতে গণেশের বাহন হিসেবে ইঁদুরকে স্বীকৃতি, মান্যতা। এ হলো গুরু ধরে চেলাচামুণ্ডাদের শায়েস্তা করার আদি পদ্ধতি।

    শ্রীক্ষেত্রর জগন্নাথ দেবের মতো গণপতি গজানন‌ও হলেন একেবারে গণ বা আম আদমির দেবতা। গণপতি - এই নামকরণের মধ্যেই আসলে নিহিত আছে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তার ইউ এস পি। গবেষকদের মতে আর্য সমাজের বাইরে থাকা অনার্য মানুষজন‌ই আদিতে গণেশকে তাঁদের আরাধ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আপন আপন কর্মে সাফল্য লাভের আশায় তাঁকে টেনে আনা হলো আর্য সমাজের দেবদেবীদের মধ্যে। এই অন্তর্ভুক্তির সুবাদে পার্বতীপুত্র যথার্থ গণ বন্দিত ঈশ বা দেবতার স্বীকৃতি লাভ করলেন। এইদিক থেকে বিচার করলে বলা যায় গণপতি গজানন সর্বার্থেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনবন্দিত দেবচরিত্র। সে রূপবান হয়তো নয় কিন্তু অশেষগুণে গুণান্বিত, বিচক্ষণ ও প্রাজ্ঞ । আর এই কারণেই তাঁর কাছে ভক্তজনের কর্মসিদ্ধির প্রার্থনা। তিনি ইউনিভার্সাল সিদ্ধিদাতা। আমাদের একান্ত প্রিয়জন গানুঠাকুর।

    প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে আবার ফিরে যাবো একেবারে শুরুর কথায় –
    মুম্বাই আখ্যানে। এ যাত্রায় যে মহল্লায় আস্তানা গেড়েছিলাম সেখানে মূলতঃ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের বসবাস, ফলে সেখানকার আবহাওয়ায় গণেশ চতুর্থী উদযাপনের প্রস্তুতির উত্তেজনার আঁচ সেভাবে টের পাইনি। কিন্তু হুসেইন ভাইয়ের অটোরিকশায় যাত্রী হয়ে ইতিউতি ঘোরার সুবাদে আম জনতার গণপতি বরণের আকুতি, আন্তরিকতা, আগ্রহ ও আনন্দের
    উদ্ভাস দেখে বারবার কলকাতার কথাই মনে  পড়ে যাচ্ছিল। ওখানে গণেশ পুজোয় এখনও থিমের ঠাসবুনট প্যাকেজের প্রসার ঘটেনি, তবে কর্পোরেট স্সনসরশিপের ঘাটতি আছে বলে মনে হলো না। তাছাড়া রাজনৈতিক দাদাদের পৃষ্ঠপোষকতাতো বিলক্ষণ আছে। সবেতেই বেশ শ্রদ্ধালু আয়োজনের প্রতিফলন।

    হোটেলের পাশেই তরতাজা মারাঠি যুবক দত্তাত্রেয়র পান, বিড়ি, পানমশলা, ঠাণ্ডা পানীয় বিক্রির ছোট্ট দোকান। দু দিনেই সম্পর্ক বেশ মজে গেছে। গণপতি উৎসবের আগেই মুম্বাই ছেড়ে চলে যাব শুনে সে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে বলে ফেলল - সাহেব, অজুন কাহী দিবস রাহা। স্যর আর কয়েকটা দিন থেকে যান। সেটা সম্ভব নয় শুনে আক্ষেপ করে বললো – মগ পুন্হা যাবে লাগেল। গণপতি উৎসব পাহিল্যাশিবায় মুম্ব‌ইচী সফল পূর্ণ হোত নাহি – গণপতি উৎসব না দেখে মুম্বাই ছেড়ে চলে গেলে সফর কখনও পরিপূর্ণ হয় না।

    সিদ্ধিদাতা তোমাকে প্রণাম। তোমার আশিসের জোরেই জরুরি কাজটা নির্বিঘ্নেই মিটেছে। উৎসব সমারোহের মাঝে তোমাকে দেখবার ইচ্ছে রইলো। সে ইচ্ছে যেন পূর্ণ হয়।

    গণপতি বাপ্পা মোরিয়া, মঙ্গল মূর্তি মোরিয়া।

    # গণেশ মূর্তিগুলি লেখকের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে।








    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপঙ্কর দাশগুপ্ত | 2409:40e0:0:1cb3:8000::***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০১523776
  • লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগল। পৌরাণিক কাহিনীর একটা আকর্ষণ তো থাকেই। তার সঙ্গে মিশেছে লোকশ্রুতিও। কলকাতার দুর্গা পুজোর সঙ্গে মুম্বইয়ের গণেশ চতুর্থীর তুলনা এখন ক্রমে আরও প্রাসঙ্গিক,  কারণ কলকাতা শহরেও এখন জাঁকিয়ে বসেছে গণেশ আরাধনা। মিষ্টির দোকানে এখন মোদকের আধিপত্য। মুম্বইয়ে গণেশ চতুর্থী না কাটিয়ে আসতে পারার আক্ষেপের কারণ নেই। সেই পূণ্যলাভ কলকাতায় সিদ্ধিদাতার দর্শনেই অর্জন হবে! 
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b1a1:7078:7991:bde5:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:১৫523779
  • আজ গণেশ চতুর্থীর বিশেষ দিনে এই লেখার সূত্রে গানুঠাকুর যেন আমাদের সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেলেন। এই কাজটি করার জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ। সংগৃহীত মূর্তিগুলোর ছবি লেখার মর্যাদা যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জয় গণপতি গজানন।
  • সঞ্চয় বন্দ্যোপাধ্যায় | 2409:4060:2d19:e958:c358:909d:8df:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:০৯523780
  • গণেশ চতুর্থীর পুণ্য লগ্নে এই অসাধারণ লেখাটি আমার মাস্টারমশাল শ্রদ্ধেয় শ্রী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের তরফ থেকে এক অনবদ্য উপহার। ছেলেবেলায় শোনা গণেশের পৌরাণিক গল্প গুলির স্মৃতি রোমন্থন হলো নতুন করে । আর তার সাথে ওনার সংগ্রহের গণেশের ছবিগুলি আমাদের বিরাট পাওনা। এই সংগ্রহটি সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ওনার কাছ থেকে এরকম আরো অনেক লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।এই পত্রিকাটির স্ত্রী বৃদ্ধি হোক। আরো বেশি করে প্রচার পাক,এই কামনা করি।
  • আশীষ সরকার | 116.206.***.*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:২১523781
  • তোর জবাব নেই॥ অতি উপাদেয়॥
    ("বেয়ারা" শব্দটি "বেয়াড়া" হবে কি?)।আমি আবার বানানে "বদনচাঁদ ব্যাগড়া"। রাগ করিস নি। সবই গনুদা র কৃপা॥
  • kk | 2607:fb91:140e:8383:4df1:1e3:f14:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৬523786
  • বাঃ, মূষিক রাক্ষসের গল্পটা জানতাম না তো। ভালো লাগলো পড়ে। লেখকের সংগ্রহের প্রথম দুটো মূর্তিও খুব ভালো লাগলো।
  • পিয়ালী মুখোপাধ্যায় | 2402:3a80:198b:69b:ca2f:4ae7:69a3:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৪523788
  • চমৎকার সরস বর্ণনা।আর সঙ্গের মূর্তির সংগ্রহ ও অপূর্ব। 
  • Subhrangsu | 103.54.***.*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৩৯523795
  • পূজাবার্ষিকী পুজোর আগে, আর এটা গণেশ বার্ষিকী!! 
    ❤️
  • Prabhas Sen | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০৮523803
  • ব্যবসায়ীর আরাধ্য ভোক্তা বা consumer। জীবজগতে হাতীর চেয়ে  বড় consumer  আর কে? তাই ব্যবসায়ীদের দেবতার  চেহারায় হস্তীর আবির্ভাব। খাদ্য শস্য  বা অন্যান্য পণ্যের  গুদামে তো মূষিকের অবশ্য উপস্থিতি। তাই  তিনিই ব্যাপার দেবতার বাহন। এই ভাবেও কল্পনা করা যেতে পারে।
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a17d:b6e1:d3fb:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:২৬523807
  • সুন্দর, লেখা আর ছবি 
  • দীপ | 42.***.*** | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:০৮523810
  • দীপ | 42.***.*** | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:০৮523811
  • অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা পার্বতী ও গণেশ।
  • চৈতালি দত্ত | 2409:4060:2e18:10d0:cc54:dfb6:e549:***:*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৭523838
  • এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। গল্প বলার ভঙ্গিতে লেখক আমাদের পুরাণের কাহিনি পড়ালেন । বিষয় ও উপস্থাপনা দুইই আকর্ষণীয়। মূর্তিগুলো  লেখার সঙ্গে যথাযথ ভাবে সঙ্গত করেছে। প্রথম মূর্তির গণেশ বাবার শুড় ডানদিকে ঘোরানো কেন? অন্য রকম লাগলো। কেন?
  • অনুরাগ বিশ্বাস | 2409:4060:2e13:e7ae:8bd1:d252:f4a:***:*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:০৮523867
  • কোনটার কথা আগে বলবো - লেখার কথা না গণপতি গজানন এর অপূর্ব সুন্দর সংগৃহীত মূর্তিগুলোর কথা? এক সার্থক যুগলবন্দি। আরও এমন লেখা চাই বিশেষ করে পুজোর সময় ।
  • পৌলমী | 2409:4060:2e01:4ed6:691d:aadf:beed:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০০524044
  • এই অনবদ্য লেখার জন্য গণপতি উৎসবের রেশ আরও বেশ কিছুদিন ধরে থেকে যাবে। 
  • sarmistha lahiri | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ১১:১৯524522
  • বেশ আকর্ষণীয় লেখনীর গুণে।পৌরানিক কাহিনীর প্রতি আকর্ষণ তো আছেই, আবার লেখা টি বেশ চিত্তাকর্ষক ও বটে।সংগ্ৰহের গণেশ গুলি দেখার ইচ্ছা র ইলো।
  • Sara Man | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩৪524616
  • পৌরাণিক গণেশের উপাখ্যান চমৎকার। ছোটবেলায় মা ছড়া শিখিয়েছিল, সেইটি বলে যাই - 
    গণেশদাদা পেটটি নাদা
    ফল খেয়েছে গাদাগাদা।
    তাইতো দাদা ঘুমিয়ে কাদা 
    দাদার আমার মনটা সাদা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন