এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • "স্বপ্ন"-হত্যা , ৱ্যাগিং, সিসিটিভি এবং যদুভূমি আক্রমণ (পর্ব - ১)  

    দেবাদিত্য রায়চৌধুরী রানা লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ আগস্ট ২০২৩ | ৮৮৭ বার পঠিত
  • এটি প্রচন্ড দুর্ভাগ্যের যে - একটি মর্মান্তিক ঘটনার প্রয়োজন হয়, একটি তরতাজা প্রাণের বিসর্জনের দরকার হয় গোটা একটি সমাজ, শিক্ষা-সম্প্রদায়কে জাগিয়ে তুলতে। আবার চিল, শকুন, হায়নাদের মুখোশ এবংখোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেয় এই ধরণের হৃদয়বিদারক ঘটনা।

    এই শহর তথা গোটা রাজ্য এবং দেশ জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুরমৃত্যু। স্পষ্টত এই মৃত্যুর কারণ হলো এক পুরোনো বর্বর সংগঠিত অপরাধমূলক ব্যাধি যার নাম ৱ্যাগিং। এর আগেও এই দেশের (এবং অবশ্যই তার মধ্যে আমাদের রাজ্য ও পরছে) বহু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে বহু তরতাজা প্রাণ, বহু সদ্য দেখা স্বপ্ন, বহু পরিবারের সম্বলকে কেড়ে নিয়েছে এই নারকীয় সংগঠিত অপরাধমূলক ব্যাধি - ৱ্যাগিং। স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যু ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের উপর থেকে পড়ে গিয়ে, যা নিয়ে এখন তদন্ত চলছে, তাই এটি আত্ম্যহত্যা নাকি হত্যা সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হলো, খুন হোক কিংবা আত্ম্যহত্যা, তার প্রতক্ষ্য কারণ হলো ৱ্যাগিং, হোস্টেলের কিছু সিনিয়রদের দ্বারা পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত হয় এই দুষ্কর্মটি, যার ফলে প্রাণ চলে যায় এই ১৭ বৎসরের তরুণের, হারিয়ে যায় বহু স্বপ্ন যেগুলো কোনোদিন বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগই পেলোনা। এই সংগঠিত অপরাধের কোনো ক্ষমা হয়না, সকল দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বার করে তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি রাখাই সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের আশু কর্তব্য। পুলিশের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র আছে যাহা দিয়ে তারা সহজেই এই অপরাধের পুনর্নির্মাণ ও তদন্ত করে ফেলতে পারবে - বহু প্রতক্ষ্য এবং পরোক্ষ দর্শী অর্থাৎ সাক্ষী আছেন, তার সহপাঠীরা আছেন, হোস্টেলের বোর্ডারদের বয়ান আছে, সুপার ও হোস্টেলের রাঁধুনি সহ বাকিদের বয়ান ও আছে, তার বাবা মায়ের বয়ান ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে। তাছাড়া বহু বহু অবস্থাগত প্রমাণ (circumstantial evidence) ও আছে যা দিয়ে পুলিশের পক্ষে দোষীদের গ্রেফতার করে চার্জশীট বানানো খুব কঠিন কাজ হওয়ার কথা নয়।

    কিন্তু এইখানেই কি থেমে গেলে চলবে আমাদের? এখানেই থেমে গেলে তো আমরা সকলে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে রয়ে যাবো। এই সংগঠিত অপরাধমূলক ব্যাধি - ৱ্যাগিং নিয়ে আরো গভীরে আলোচনা এবং এর থেকে মুক্তির পথ ভাবা জরুরি, যার দ্বারা একটি সুস্থ, সুরক্ষিত ও অপরাধহীন ক্যাম্পাস এবং সমাজ গড়া সম্ভবকর হয়। ৱ্যাগিং হলো এক বিষাক্ত, পুরুষতান্ত্রিক ও পৈশাচিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। এই বিষাক্ত মানসিকতা বেরিয়ে আসে ক্ষমতার দম্ভ এবং তার প্রদর্শনীর আস্ফালনের মধ্য দিয়ে। এই অপরাধে মূলত দেখা যায়, যারা অপেক্ষাকৃতভাবে সিনিয়র তারা জুনিয়রদের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালায় সংগঠিতভাবে। এই ৱ্যাগিং এর ক্ষেত্রে, সিনিয়র এবং জুনিয়র এর এই সমীকরণেই লুকিয়ে থাকে ক্ষমতার দম্ভে নিজের থেকে দৃশ্যত দুর্বলের উপর ক্ষমতার অপপ্রয়োগ (যেটি একরকমের পাওয়ার পলিটিক্স ও বটে)। ৱ্যাগিং এর বৈশিষ্টই হলো শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করার অপরাধমূলক প্রবৃত্তি এবং সেটা থেকে পাওয়া স্যাডিস্টিক আনন্দ। এই অপরাধ, যার মূল জায়গাটাই হলো অত্যাচারের মধ্য দিয়ে আধিপত্য কায়েম করা, তার শিকড় অনেক গভীরে পোতা আছে এই সমাজের বুকে, এই অপরাধ কেবলমাত্র ক্যাম্পাসে আটকে থাকেনা, এই অপরাধ অফিস, বাড়ি, বেডরুম সর্বত্র বিরাজমান।

    স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যু ঘটেছে কিছু পৈশাচিক অপরাধীর হাতে, তাদের শাস্তি তো হতেই হবে। কিন্তু এই অপরাধের নৈতিক দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের, বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়ের, গোটা শিক্ষিত সমাজের কারণ যতক্ষণ না একটামৃত্যু এসে আমাদের চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলো সিস্টেমের গলদগুলো আমরা চোখ বুঝে শুয়ে ছিলাম, ৱ্যাগিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংবেদনশীলতো গড়ে তোলার কাজটাও সৎভাবে করিনি। এই সচেতনতা বৃদ্ধি কিন্তু শুধু ক্যাম্পাসে হয়না, বাড়িতেও পরিবারের মধ্যেও ছোটবেলা থেকে করতে হয়।

    এর বিরুদ্ধে লড়াই ও প্রতিরোধের পথ কি হতে পারে ? সাধারণত ৱ্যাগিং যারা সংগঠিত করে তারা খুবই দুর্বলচিত্তের ও দুর্বল চরিত্রের। তারাই নিজেদের দুর্বলতাকে ঢাকবার জন্যে ৱ্যাগিংকে সংগঠিত করে। প্রতিটি কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশু কর্তব্য হলো - ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৱ্যাগিং সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংবেদনশীলতো গড়ে তোলা। সেই লক্ষে ব্যাপক সংখ্যায় সেমিনার, পোস্টার, আলোচনা-চক্র ও প্রচার প্রয়োজন ক্যাম্পাসগুলিতে - ৱ্যাগিং সম্বন্ধিত আইনগুলি সম্পর্কে, ৱ্যাগিং এর বৈশিষ্টগুলি সম্পর্কে এবং অবশ্যই প্রতিবন্ধক হিসেবে শাস্তির আইনি ধারাগুলোর বিষয়ে। কলেজগুলির অধক্ষ্যদের, শিক্ষকশিক্ষিকাদের উচিত ৱ্যাগিং সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সাথে পুরোনো বিদ্যার্থীদের একসাথে বসিয়ে যৌথ sensitization এন্ড কাউন্সেলিং সেশন্স করা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে ফ্লেক্স কিংবা বোর্ড এর মাধ্যমে ৱ্যাগিং বিরোধী আইনগুলির, ৱ্যাগিং বিরোধী কমিটি এবং স্কোয়াডের মানুষজনের ফোন নম্বরগুলির স্পষ্ট প্রদর্শনী প্রয়োজন। এই গুলির ফ্লেক্স কিংবা বোর্ড জরুরি ক্যাম্পাসজুড়ে, শুধু ওয়েবসাইট এ দিয়ে দেওয়া একদমই যেথষ্ট নয়, কারণ ৱ্যাগিংটা সংগঠিত হয় সরজমিনে, ওয়েবসাইটে নয়। কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশনের সময়তেই ৱ্যাগিং সম্পর্কিত লিখিত বিবৃতি (কোর্ট পেপার অর্থাৎ এফিডেভিট এ) নিতে হবে বিদ্যার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের থেকে, রেজিস্ট্রেশন অব্দি অপেক্ষা করা যাবেনা । আর এইসব ছাড়া যেটার প্রয়োজন সর্বাধিক তা হলো সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান ৱ্যাগিং এর বিরুদ্ধে। ৱ্যাগিং বিরোধী কমিটি এবং স্কোয়াডের মানুষজনের মধ্যে নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি রাখতেই হবে নাহলে সেই কমিটির কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন থেকে যাবে সাধারণ বিদ্যার্থীদের মনে। কোনো এক অনির্বাচিত প্রতিনিধিকে ছাত্রপ্রতিনিধি বানিয়ে নিলে সেই কমিটির কোনো ধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবেনা সাধারণ বিদ্যার্থীদের কাছে। তাই অবাধ ও সুস্থ ছাত্র নির্বাচন খুবই প্রয়োজীনয় ৱ্যাগিং বিরোধী প্রতিরোধ ও সংগ্রামের স্বার্থে। ৱ্যাগিং বিরোধী প্রতিরোধ ও সংগ্রাম তখনই সফল হবে যখন একসাথে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায় লড়বে এর বিরুদ্ধে।

    আগের অংশটি পড়তে পড়তে অনেকেই বোধহয় সেই ব্রহ্মাস্ত্রটির কথা খুঁজছিলেন, যেটিকে মিডিয়া এবং সমাজের এক অংশ ৱ্যাগিং এর প্রধান প্রতিষেধক হিসেবে ঠাওরেছেন - সিসিটিভি ক্যামেরা। অতীতের অভিজ্ঞতা এবং বর্তমানের পরিস্থিতি থেকে এটি স্পষ্ট যে ৱ্যাগিং প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বা ক্যাম্পাস সুরক্ষাকে আরো শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে আলাদা কোনো লাভ হবেনা। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এটাও স্পষ্ট যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে দোষীদের চিন্নিতকরণ বা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টাও খুবই দুর্বল প্রকৃতির আমাদের দেশে। আমাদের দেশে সিসিটিভির সামনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী বলে "গলি মারো শালো কো", এবং সেই ভিডিও গোটা দেশ দেখলেও, তার জেল হয়না। মন্ত্রীমশাইয়ের এই নির্দেশের পর যখন এক যুবক সত্যিসত্যিই বন্দুক নিয়ে ভিড়ের মাঝে ঢুকে পরে তখন মন্ত্রীমশাইয়ের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হয়না। আমাদের দেশে একটা ছেলে - উমার খালেদ, শাহীনবাগ এ দাঁড়িয়ে ক্যামেরার সামনে প্রেম আর সংবিধানের কথা বললে তাকে ৩ বছর বিনা বিচারে জেলে থাকতে হয়, কোনো সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও তাকে বাঁচাতে পারেনা। আমাদের দেশে হাজার হাজার ক্যামেরা মন্ত্রী আমলাদের ঘুষ নেওয়া আটকাতে পারেনা, খুন আটকাতে পারেনা, রেপ আটকাতে পারেনা, ডাকাতি আটকাতে পারেনা। আমাদের দেশে দাঙ্গার প্ররোচনা দেওয়া হয় একদম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বুক ঠুকে, তারপর দাঙ্গা হয় যখন সেইসব ভিডিও আজকাল তোলা থাকে ক্যামেরাবন্দি হয়ে, কিন্তু কোনো কিছুকেই আটকাতে পারেনা ওই সিসিটিভি ক্যামেরা নামক ব্রহ্মাস্ত্র। অনেকে বলতেই পারেন যে ৱ্যাগিং ছেড়ে শাহীনবাগ, দাঙ্গা এসবে গেলে চলবেনা আমরা খেলবোনা, তাই আবার ক্যাম্পাসেই ফিরছি, যদিও ক্যাম্পাসটা দেশেরই অংশ। দেশের সংসদে সদ্য একটি তথ্য পেশ হয়েছে, পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার, যেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটগুলিতে (যেমন IIT, IIM, NIT, IISER,AIIMS সহ আরো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ) শেষ পাঁচ বৎসরে আত্ম্যহত্যা এবং এই ধরণের মৃত্যু ঘটেছে ১০৩ খানা। এর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে যোগিরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটগুলির ছত্রে ছত্রে, আনাচে কানাচে সিসিটিভি ক্যামেরা মজুত রয়েছে। কিন্তু ক্যামেরা বাঁচাতে পারলো না জীবনগুলিকে, হারিয়ে গেলো এতগুলি ভবিষ্যতের স্বপ্ন। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) তে প্রতিটা মোড়ের ধারে, প্রবেশ ও প্রস্থানে ক্যামেরা আছে, তাও নাজিবকে কোনোদিন আর খুঁজে পাওয়া গেলোনা ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে। একটি জলজ্যান্ত ছেলে নাজিব ২০১৬ সালে গায়েব হয়ে গেলো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে, যেখানে এতো ক্যামেরা, কিন্তু সিবিআই পর্যন্ত তদন্ত করে কোনোদিন আর নাজিবকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেনি। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রীরা নাজিবের মায়ের সাথে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে এই তদন্তকে সঠিক পথে চালিত করতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু হয়নি এবং নাজিব ও আর ফেরেনি। ২০২২ সালে আইআইটি খড়্গপুরে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের, আসামের বাসিন্দা নাম ফাইজান । পরে কোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে উঠে আসে যে ফাইজানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আইআইটি খড়্গপুরে কোণায় কোণায় সিসিটিভি ক্যামেরা, কিন্তু সেখানেও সেই ক্যামেরা নামক ব্রহ্মাস্ত্রটি বাঁচাতে পারেনি আসামের এই তরুণ মেধাবী যুবকককে। রোহিত ভেমুলার প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকে আটকাতে পারেনি সিসিটিভি ক্যামেরা। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল এবং তার সাথে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) ও, তখন অসংখ্য ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও বহিরাগতরা মুখে কাপড় বেঁধে ঢুকে মারপিট চালিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে, লাইব্রেরি, হোস্টেল তছনছ করে দেয়, আহত হয় প্রচুর বিদ্যার্থী। কিন্তু কেউ ধরা পড়ে না, তাদের কারুর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেনি, এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজকে ব্যবহার করতে নস্যাৎ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

    এর পাশাপাশি দেখে নেওয়া যাক সিসিটিভি ক্যামেরাকে কতৃপক্ষ তালে কি কি কাজে ব্যবহার করছে বা করেছে। বিভিন্নরকমের রাষ্ট্রীয় নজরদারিব্যবস্থা কায়েম করার স্বার্থে, নীতি-পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং তার ভিডিও ফুটেজ। এই বৎসরই কিছু মাস আগের ঘটনা, যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়তে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বজ্রং দল এর মতন আচরণ করছে। সেই ভিডিও প্রেমিক প্রেমিকাদের বাড়ির অভিভাবকদের কাছে পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে নীতি-পুলিশ এর মতন আচরণ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। অবশ্য তাতে লাভ হয়নি, বিদ্যার্থীদের অভিভাবকরাও যথেষ্ট পরিপক্ক, তারা প্রাপ্তবয়স্ক দুটি ছেলেমেয়ের ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করেননি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়কেই কটাক্ষ করেছিলেন। এছাড়াও কতৃপক্ষের সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করার আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবিদাবার আন্দোলনকে পরাস্ত করা ও দমন করা। সিসিটিভি ক্যামেরা কখনোই হোস্টেলের রুমে লাগানো সম্ভব না, কিন্তু ৱ্যাগিংটা হয়েছে সেই রুমে। এছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগলেও, থেকে যায় অসংখ্য ব্লাইন্ডস্পটযেগুলি ব্যবহার করে অপরাধ কে সংগঠিত করা খুবই সহজ। এখনো যারা মনে করেন যে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ক্যাম্পাসে সুরক্ষা আসে তারা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রের সার্ভিলেন্স ষড়যন্ত্রের অংশীদার। ৱ্যাগিং প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা একটি ব্যর্থ এবং নিস্ফলা যন্ত্র কেবলমাত্র।

    আমার ব্যক্তিগত মতামত কে সরিয়ে রেখে আমার মত এই যে, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে কিনা এই সিদ্ধান্ত একেবারে সম্পূর্ণরূপে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডারদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডার বলতে ছাত্রছাত্রীগণ, গবেষকগণ, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীচারী, আবাসিকগণ প্রত্যেকে। তাদের মতামত নিয়ে, সেই মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হোক সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যাপারে, কিন্তু বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডাররা মেনে নেবেনা বলেই আমার বিশ্বাস।

    আমি আমার সাধ্যমতো ৱ্যাগিং, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, রাষ্ট্রের সিসিটিভি ক্যামেরার বিষয়ে প্রেম, এই প্রেমের উদ্দেশ্য এবং এই ক্ষেত্রে তার ব্যর্থ ও নিস্ফলা ব্যবহারের বিষয়ে লিখলাম। পরবর্তী পর্বে এই ঘটনকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ে লিখবো, কিভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে গণশত্রু বানিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩০522805
  • "অতীতের অভিজ্ঞতা এবং বর্তমানের পরিস্থিতি থেকে এটি স্পষ্ট যে ৱ্যাগিং প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বা ক্যাম্পাস সুরক্ষাকে আরো শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে আলাদা কোনো লাভ হবেনা । অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এটাও স্পষ্ট যে  সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে দোষীদের চিন্নিতকরণ বা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টাও খুবই দুর্বল প্রকৃতির আমাদের দেশে । আমাদের দেশে সিসিটিভির সামনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী বলে "গলি মারো শালো কো", এবং সেই ভিডিও গোটা দেশ দেখলেও,  তার জেল হয়না। মন্ত্রীমশাইয়ের এই নির্দেশের পর যখন এক যুবক সত্যিসত্যিই বন্দুক নিয়ে ভিড়ের মাঝে  ঢুকে পরে তখন মন্ত্রীমশাইয়ের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হয়না ।  আমাদের দেশে একটা ছেলে - উমার খালেদ , শাহীনবাগ এ দাঁড়িয়ে ক্যামেরার সামনে প্রেম আর সংবিধানের কথা  বললে তাকে ৩ বছর বিনা বিচারে জেলে থাকতে হয়, কোনো সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও তাকে বাঁচাতে পারেনা । আমাদের দেশে  হাজার হাজার ক্যামেরা মন্ত্রী আমলাদের ঘুষ নেওয়া আটকাতে পারেনা, খুন আটকাতে পারেনা, রেপ আটকাতে পারেনা, ডাকাতি আটকাতে পারেনা । আমাদের দেশে দাঙ্গার  প্ররোচনা দেওয়া হয় একদম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বুক ঠুকে, তারপর দাঙ্গা হয় যখন সেইসব ভিডিও আজকাল তোলা থাকে ক্যামেরাবন্দি হয়ে , কিন্তু কোনো কিছুকেই আটকাতে পারেনা ওই সিসিটিভি ক্যামেরা নামক ব্রহ্মাস্ত্র ।।"
    একদম একদম।  এইগুলো বললেই গাধাটে লোকজন ঘ্যাও ঘ্যাও করে তেড়ে আসছে। তলিয়ে ভাবার অভ্যেস বাঙালিদের মধ্যে দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে আজকাল। 
     
    "এর পাশাপাশি দেখে নেওয়া যাক সিসিটিভি ক্যামেরাকে কতৃপক্ষ তালে কি কি কাজে ব্যবহার করছে বা করেছে ।  বিভিন্নরকমের রাষ্ট্রীয় নজরদারিব্যবস্থা কায়েম করার স্বার্থে , নীতি-পুলিশের  ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং তার ভিডিও ফুটেজ। এই বৎসরই কিছু মাস আগের ঘটনা , যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়তে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বজ্রং দল এর মতন আচরণ করছে । সেই ভিডিও প্রেমিক প্রেমিকাদের বাড়ির অভিভাবকদের কাছে পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে  নীতি-পুলিশ এর মতন আচরণ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ । অবশ্য তাতে লাভ হয়নি , বিদ্যার্থীদের অভিভাবকরাও যথেষ্ট পরিপক্ক, তারা প্রাপ্তবয়স্ক দুটি ছেলেমেয়ের ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করেননি , বরং বিশ্ববিদ্যালয়কেই কটাক্ষ করেছিলেন  । এছাড়াও কতৃপক্ষের সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করার  আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত দাবিদাবার আন্দোলনকে পরাস্ত করা ও দমন করা । সিসিটিভি ক্যামেরা কখনোই হোস্টেলের রুমে লাগানো সম্ভব না , কিন্তু ৱ্যাগিংটা হয়েছে সেই রুমে।  এছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগলেও , থেকে যায় অসংখ্য ব্লাইন্ডস্পট  যেগুলি ব্যবহার করে অপরাধ কে সংগঠিত করা খুবই সহজ।  এখনো যারা মনে করেন যে  সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ক্যাম্পাসে সুরক্ষা আসে তারা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রের সার্ভিলেন্স ষড়যন্ত্রের অংশীদার"
     
    হ্যাঁ এরা গোলি মারো শালেকো টাইপেরই লোক। শুধু মুখে ছাত্রদরদী ভড়ং দেখিয়ে ব্যপার নর্মালাইজ করার চেষ্টা করে।
     
     
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:45b0:ac04:9482:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৪522806
  • আজ অবধি কোন স্কুল বা ইউনি কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ইউস পলিসি নিয়ে কোন হোয়াইট পেপার বা গাইডলাইন পাবলিশ করেছে বলে শুনিনি। কিন্তু করবে কিভাবে? ইন্ডিয়াতে তো ইউজার ডেটা নিয়ে আইনই নেই! 
  • | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:২৬522811
  • হ্যাহ! বায়োমেট্রিক ডেটার সুরক্ষা নিয়ে আধার কর্তৃপক্ষ বলেছিল না ৭০ ফুট না কত যেন উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা আছে তাদের সার্ভার!! ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি নিয়ে সেই ডেটা কালেক্টরদেরই যদি এই রকম ধারণা হয় তাহলে  আর কার কাছে কী আশা করবেন! 
  • inkilab | 2405:8100:8000:5ca1::1d6:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:৫৮522813
  • আরে ছোঃ। নদীয়ার কোন মাল আছাড় খেয়ে মরেছে বলে শিশিটিভি লাগাতে হবে? শিশিটিভি লাগালে রিগিং বন্ধ হয়ে যাবে? তাহলে তো রাস্তায় সিগ্ন্যাল লাগালেই অ্যাক্সিডেন্টও বন্ধ হয়ে যেত। হ্যাহ্যাহ্যা। মদ গাঁজা তো যেকোন ক্যাম্পাসে নর্মাল। বিনয় বাদল দীনেশের মত কমরেডরা এত লড়াই করে যে আজাদি আনল, আজ একটা ছুটকো কেসেই সব হাপিস হয়ে যাবে? ইল্লি আর কি।
  • Amit | 163.116.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৪৪522816
  • ""পুলিশের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র আছে যাহা দিয়ে তারা সহজেই এই অপরাধের পুনর্নির্মাণ ও তদন্ত করে ফেলতে পারবে - বহু প্রতক্ষ্য এবং পরোক্ষ দর্শী অর্থাৎ সাক্ষী আছেন, তার সহপাঠীরা আছেন, হোস্টেলের বোর্ডারদের বয়ান আছে, সুপার ও হোস্টেলের রাঁধুনি সহ বাকিদের বয়ান ও আছে, তার বাবা মায়ের বয়ান ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে। তাছাড়া বহু বহু অবস্থাগত প্রমাণ (circumstantial evidence) ও আছে যা দিয়ে পুলিশের পক্ষে দোষীদের গ্রেফতার করে চার্জশীট বানানো খুব কঠিন কাজ হওয়ার কথা নয়।""
     
    - সত্যিই তাই ? লেখক সিসিটিভি র ব্লাইন্ড স্পট নিয়ে এতো জানেন , সেগুলো ব্যবহার করে নাকি যেকেউ ইচ্ছে করলেই অপরাধ করে ফেলতে পারে - কিন্তু আদালতে বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্যের বয়ানে র সামান্য তফাতে কিভাবে অপরাধীরা বেনিফিট অফ ডাউট নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে সেটা সম্মন্ধে কিছু জানেন না ? একটু অবাক ব্যাপার নয় ? 
     
    অবশ্য হ্যা - চার্জশিট দেওয়া টাই একমাত্র উদ্দেশ্য হলে টেকনিক্যালি ঠিকই আছে। শাস্তি দেওয়াটা তো বহুদূরের রাস্তা।  সেটার কথা তো লেখা হয়নি। ইন্ডিয়াতে রেপ বা মোলেস্টেশন কেসগুলোতে কনভিকশন রেট যেন কত শতাংশ ? একটু নিজেই দেখে ন্যান কষ্ট করে। 
     
    সেফটি পিরামিড সম্মন্ধে যারা জানেন অনেক ছোট ছোট ইনসিডেন্টঃ নেগলেক্ট হয়ে হয়ে একটা বড়ো ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সিডেন্ট হয়। ঠিক সেই ভাবেই ছোট ছোট অপরাধ নেগলেক্ট করে করে একটা খুন হয় আজকের ছেলেটার মতো। সিসিটিভি ম্যাজিক সল্যুশন কেউ দাবি করেনি। তার সাথে কাউন্সেলিং , আলাদা হোস্টেল , রেগুলার মনিটরিং জিরো টলারেন্স পলিসি সবকিছুই দরকার অপরাধ কমাতে গেলে। জিরো কোনো দেশে আজ অবধি হয়নি। জাস্ট প্রোবাবিলিটি কমানো টাই মুখ্য উদ্দেশ্য। আর যাদবপুরে বাকি একটা মেজার ও আজ অবধি নেওয়া গেছে ? 
     
    অবশ্য কনক্লুশন আগে থেকেই ড্র করে রাখলে সেটার টেমপ্লেটে সেট করে লেখা নামানো নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। সম্চিন্তক কিছু উচ্চমননশীল সমর্থকও পাওয়া যায় যেনারা সুউচ্চ আইভরি টাওয়ার থেকে জ্ঞান দ্যান "তলিয়ে ভাবার অভ্যেস বাঙালিদের মধ্যে দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে আজকাল"। সত্যিই তো খোলা পাতায় কয়েকটা আপদ এসে সমানে সিসিটিভি র জন্যে সওয়াল করে যাচ্ছে - কারণ চাকা বারবার আবিষ্কার করাতে তারা বিশেষ ভরসা করেনা। সভ্য দেশগুলোতে যেটা মাস স্কেলে বহুদিন ধরে করা হচ্ছে সেগুলো কেন ইন্ডিয়াতে করা যাবেনা সেসব বারবার জিগিয়ে বেড়ায়। এসব নুইসেন্স কত সহ্য করা যায় ? তার থেকে এসব আপদগুলোকে চাড্ডি গাধাটে বলে কাটিয়ে দেওয়াটাই সমীচীন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন