এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান আর চিউয়িং গাম - ২৪ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৬৫১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •  
     
    দীপ্তি সিনহা একটু থতমত খেয়ে বললেন, ' সতীশ মিশ্রকে আপনারা কোথায় পেলেন ? রাঁচি থেকে ধরে এনেছেন ? '
    ----- ' না ... ব্যাপারটা ঠিক সেরকম নয় । আমরা ধরে আনিনি । ও-ই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে । অনেক কিছু বলেওছে । আমরা অবশ্য সেগুলো বিশ্বাস করিনি ... যাকে বলে কগনিজেন্সে নিইনি । তেমন সলিড কোন  এভিডেন্স নেই ... কগনিজেবল এভিডেন্স ছাড়া কারো কথা বিশ্বাস করা যায় না ... তাই  না ? '
    মিসেস সিনহা বলে উঠলেন, ' কিরকম ...কিরকম ?
    কি ... কি বলেছে ও ? '
    ----- ' বলছিল তো অনেক কিছু ... কিন্তু ওরকম একটা লোকের কথা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য ? বোধহয় নিজে বাঁচার জন্য উল্টোপাল্টা কনফেস করছে । যদি তাতে নিজের শাস্তি কিছুটা কমে ... আরে বাবা এইভাবে কি বাঁচা যায় এর ওর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ? '
    এই জায়গাটায় মিসেস সিনহাকে বেশ চঞ্চল দেখাল । তিনি কলতানের মুখের ওপর সার্চলাইটের মতো প্রখর অনুসন্ধানী দৃষ্টি ফেলে বললেন , ' তবু শুনি ... কি বলেছে বদমায়েশটা.... বলুন তো .... '
    ----- ' ও..ই ... বিশেষ কিছু না ... বলছিল যে এরকম মার্ডার এই গ্যাং আরও অনেক করেছে । সেই কেসগুলো কোনটাই নাকি কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছয়নি ... পিছন থেকে কেউ কলকাঠি নাড়ায় । হয় সুইসাইড, আর নয়তো ন্যাচারাল ডেথ বলে রেজিস্টার্ড হয়েছে । কি অ্যাবসার্ড কথা বলুন তো ম্যাডাম ... এও কখনও সম্ভব ? অতই সোজা ? বাজে কথা সব ... ' 
    মিসেস সিনহা কোন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ না করে কলতানের মুখের ওপর সার্চলাইটের দৃষ্টি ফেলে বসে রইলেন । 
    কলতান আবার বলল, ' আরও সব ননসেন্স মার্কা কথা বলছিল .... সে সব যাকগে ... '
    ------ ' কি ... কি বলছিল একটু বলুন তো .... '  মিসেস সেনের মুখের কথা ছিটকে বেরোল ।
    ----- ' ও কিছু না ...বাদ দিন ... বাদ দিন,   যত সব আনসাবস্ট্যানশিয়াল কথাবার্তা .... '
    ------ ' না না ... তবু বলুন না ... বলুন শুনি ... ' দীপ্তি সিনহার কৌতূহল তুঙ্গে উঠেছে ।
    ----- ' হ্যাঁ ... মানে ... বলছিল যে লোক্যাল মাথাটার হদিশ সে জানে ... তাকে ধরতে আমাদের সাহায্য করতে রাজি আছে । তাছাড়া .....'
    ----- ' কি ... তাছাড়া কি ? '
    ----- ' বলছিল যে .... মানে, আপনার নামে  আজেবাজে কথা বলছিল ... '
    ----- ' কিরকম কিরকম ? '
    ----- ' বলছিল যে আপনি নাকি মোটেই মিস্টার সিনহার ওয়াইফ নন .... যত সব ফালতু কথা ... ছ্যাঃ .... কি বলব বলুন তো ...কোন মানে হয় ? '
    মিসেস সিনহার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল ---- ' শিট... বাস্টার্ড...'
    ------ ' যা বলেছেন ... এই তো আসছে এক্ষুনি .... দিন তো ধুইয়ে ... একজন ভদ্রমহিলার মানসম্মানে
    কাদা ছেটানো .... সহ্য করা যায় না ... '
    মিসেস সিনহা সোজা হয়ে বসে খোলা জানলার দিকে তাকিয়ে কি ভাবতে লাগলেন ।
    ঠিক এই সময়ে কুলচা গাঁট্টাগোট্টা চেহারার মোটা গোঁফওয়ালা একজনকে নিয়ে ঢুকল । শ্যামবর্ণ চেহারা , মাথায় ছোট ছোট চুল । পরনে ইস্তিরিহীন, হাতার বোতাম না লাগানো ফুলশার্ট এবং আধময়লা প্যান্ট । চোখদুটো ভয়ডরহীন এবং
    স্থির । বয়স আন্দাজ পঞ্চাশ বাহান্ন হবে  ।
         কলতান বলল, ' আরে... আসুন আসুন সতীশজি... '
    তারপর মিসেস সিনহার দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলল ,
    ' এই যে ম্যাডাম ... এসে গেছেন আপনার লোক ... এখন আপনিই দেখুন ... '
    মিসেস সিনহা নকল সতীশ মিশ্র মানে হেড কনস্টেবল সুরেশ মাইতির দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    বোধহয় মনে মনে ছক সাজাতে লাগলেন ।
    সুরেশ মাইতি একগাল হেসে বলল , ' ভাল আছেন ম্যাডাম ? অনেকদিন পরে দেখা হল ... '
    দীপ্তি ম্যাডাম কোন হোঁচট খেলেন না ।
    বললেন, ' তুমি কবে এসেছ ? '
    ----- ' এই মাসখানেক.... '
    ----- ' কাউকে জিজ্ঞেস না করেই কলকাতায় চলে এলে ? জান তোমার নামে কেস ঝুলছে ... '
    ------ ' হ্যাঁ জানি । তাই ঠিক করলাম যে আমি এইভাবে থাকব না ... আমি ঠিক করেছি যে ডুবলে সবাইকে নিয়ে ডুবব... আমার বৌও সেই কথাই বলল । প্রথমে ভেবেছিলাম  দুবাই চলে যাব । কিন্তু বৌ বলল যে, তুমি যখন কোন দোষ করনি তা'লে পালাবে কেন ? যে আসল দোষী তাকে ধরিয়ে দাও ... মানে আগের সবকটা মার্ডারের কথা পুলিশকে বলে দাও । আর তাছাড়া আমি দুবাইয়ে যেতে পারতাম না । আমার পাসপোর্টটা তো আপনি জমা রাখলেন গত বছর আপনার সঙ্গে দুবাই যাবার পর ... মনে আছে ? তারপর  তো আপনারা জোর করে আমাকে ফ্যামিলি শুদ্ধু ঝাড়খণ্ডে পাঠিয়ে দিলেন ... হরিপ্রসাদকে ফাঁসাবার কাজটা হাসিল হয়ে যাবার পর ... '
    অল্প সময়ের রিহার্সালেই সুরেশ মাইতির পারফর্মেন্স দেখে কলতান চমৎকৃত হল । ভাবল, সত্যি এরা এক একটা রত্ন । স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পায় না তাই ...
    মিসেস সিনহার বিষণ্ণ চোখ এবার জ্বলন্ত হয়ে উঠল।  তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন,  ' হোয়াট রাবিশ .... ইউ ড্যাম লায়ার ... তোকে জানে মেরে দেব .... আমাকে চিনিস না ...'
    ----- ' এঃহে...ম্যাডাম ... পুলিশের লোকের সামনে কি সব বলছেন ! গাড্ডায় পড়ে যাবেন ... '
    কলতানরা এবার অবাক হয়ে দেখল এক সম্পূর্ণ রূপান্তরিত মিসেস সিনহাকে, যেটা কলতান চাইছিল কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ঘটবে আশা করেনি ।
    ----- ' চুপ কর হারামি ... দু পয়সার ফুটো কাপ্তেন ... বড় বড় বাতেলা ... কোন পুলিশের বাবাও আমার কিছু করতে পারবে না ... ' ম্যাডাম সিনহা অকস্মাৎ জ্বলে উঠলেন ।
    কলতান এই সময়ে সুরেশকে বলল, ' যাকগে যাকগে...ওসব কথা বাদ দাও ... ম্যাডামকে উত্তেজিত কর না ... তুমি বরং এখন বাইরে যাও । দরকার হলে ডেকে নেব ...'
    সুরেশ মাইতি তার করণীয় ভূমিকাটুকু সুনিপুণভাবে মঞ্চস্থ করে আপাতত মঞ্চ থেকে বিদায় নিল ।
    কলতান সংবেদনশীল ভঙ্গীতে বলল, ' ম্যাডাম কিছু মনে করবেন না .... প্লিজ ... কুল ডাউন,  কুল ডাউন... '
    ম্যাডাম নির্বিকারভাবে মোবাইলে ইউ টিউব খুলে একটা শ্রীরামচন্দ্রের ভজন শুনতে লাগলেন চোখ বুজে ।
    কলতান অপেক্ষা করতে লাগল ধৈর্য ধরে । কুলচা ভাবল, এখানে না এলে কত কি মিস করত সে। সে তার ভাগ্যকে ধন্যবাদ  দিল । আরও  কত রোমাঞ্চকর নাটক দেখা বাকি কে জানে ।
    মিসেস  সিনহা চোখ বুজে ভজন শুনেই যাচ্ছেন । সুরের বন্দীশ নানা পথে ঘোরাফেরার পর বারবার ফিরে আসছে মুখড়ায় ।
    কলতান মিনিট আড়াই অপেক্ষা করল । ম্যাডামের ধ্যান ভঙ্গের কোন লক্ষণ দেখা গেল না ।
    কলতান বলল,  ' ম্যাডাম ...ম্যাডাম ... আপনি এখন একটু মোবাইলটা বন্ধ করুন । আবার পরে গান শুনবেন । '
    মিসেস সিনহা চোখ মেলে তাকালেন এবং বাধ্য মেয়ের মতো মোবাইল বন্ধ করে দিলেন । তিনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে কলতানের দিকে তাকিয়ে রইলেন। 
    কলতান কোন ভূমিকা না করেই বলল,  ' আপনার আধার কার্ড আর পাসপোর্টটা বার করুন ... তাছাড়া আপনাদের ম্যারেজ সার্টিফিকেটটাও দেখাবেন । ' 
    মিসেস সিনহা যেন এই কথাটার সামনে পড়ার জন্য  তৈরি ছিলেন ।
    তিনি সঙ্গে সঙ্গে বললেন , ' এটাই একটা বিরাট প্রবলেম হয়ে গেছে স্যার .... বাঁশদ্রোণী থেকে এখানে শিফটিং-এর সময় অনেক জরুরী ডকুমেন্টস মিসপ্লেসড হয়ে গেছে । অনেক খোঁজার পরও সেগুলো পাওয়া যায়নি .... ভোটার কার্ডটাও পাচ্ছি না । কি প্রবলেম ফেস করছি না কি বলব ... '
    কলতান কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলল, ' দূর ... এটা আবার কোন প্রবলেম নাকি এখন ? শুধু নাম আর ডেট অফ বার্থ দিয়ে ইন্টারনেট থেকে সবকিছু ডাউনলোড করা যায় । তারপর প্রিন্ট আউট বার করে নিন ... এমনকি পাসপোর্ট পর্যন্ত ডাউনলোড করা যায় ।  ইজি প্রসেস  ... সেটা এতদিন
    করেননি ?
    ----- ' হ্যাঁ জানি ... কিন্তু ওই ডেট অফ বার্থটা নিয়েই গন্ডগোল হচ্ছে .... ' মিসেস সিনহা কাঁচুমাচুভাবে বললেন ।
    ------' কিসের গন্ডগোল ? "
    ------ ' মানে , প্রসেসিং-এর সময় ডেট অফ বার্থটা এগ্জ্যাক্ট কি দেওয়া হয়েছিল সেটাই মনে পড়ছে
    না .... '
    কলতান বুঝতে পারছে মিসেস সিনহা আপ্রাণ লড়ে যাচ্ছেন , দেয়ালে পিঠ প্রায় ঠেকে গেলেও ।
    ------ ' সে আবার কি ! বার্থ ডকুমেন্ট  তো কিছু আছে ...নাহলে ভোটারস কার্ড হল কি করে ? '
    ------ ' না না কোন ডকুমেন্ট লাগেনি .... যেটা বলেছিলাম সেটাই ইনসার্ট করে নিয়েছিল ওরা।  এরকম কত লোকের হচ্ছে .... কজনের আর কাগজপত্র আছে ? মুশ্কিল হচ্ছে যে ভোটারস কার্ডটাও পাচ্ছি না .... '
    ------ ' কিন্তু ওগুলো তো লাগতে পারে যে কোন সময়ে ...  ওগুলো ছাড়া তো সিটিজেনশিপের কোন প্রমাণ নেই ... '
    ------ ' হ্যাঁ , সে তো অবশ্যই  । '
    ----- ' তাহলে আপনারা আধার কার্ড , পাসপোর্ট এইসব ভাইটাল ক্রিডেনশিয়াল রিট্রিভ করার জন্য  কি করবেন ভাবছেন ? '
    ----- ' তাই তো ...কি করা যায় এখন ... আসলে এসব ব্যাপার তো মিস্টার সিনহাই হ্যান্ডল করে ....ও-ই বলতে পারবে .... '
    ------ ' ঠিক আছে ... ওনাকেই জিজ্ঞেস করব তা'লে । কিন্তু ম্যাডাম ... আপনাকে আমাদের সঙ্গে একটু থানায় যেতে হবে কারণ আপনি ঘণ্টাখানেক আগে বলেছিলেন যে আপনার কোন  পাসপোর্ট নেই । সেটা কেন বলেছিলেন সেটা পুলিশ আপনার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করবে । আমি তো আর পুলিশ নই... তাছাড়া ওখানে মিস্টার সিনহার সঙ্গেও দেখা হবে আপনার ... '
    মিসেস সিনহা আঁকপাঁক করে উঠলেন, ' না না .... শুনুন শুনুন ... এটা থানায় গিয়ে বলবার কিছু নেই.... আমার আসলে ভীষণ ভুলো মন .... কি বলতে কি বলে ফেলি তার ঠিক নেই.... ভুল করে বলে ফেলেছি আর কি ... '
    ----- ' হতে পারে । তবে এ কথাগুলো থানায় গিয়ে বললে ভাল হয় ... তবে আমাকে যদি পাসপোর্টটা বার করে দেখিয়ে দেন তাহলে আপনার থানায় যাওয়াটা আমি আটকাবার চেষ্টা করতে পারি .... '
    ----- 'ঠিক আছে .... আমাকে একটা দিন সময় দিন ... দেখি যদি এর মধ্যে কিছু ট্রেস পাই ... '
    সিনহা ম্যাডামের এই ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলানো দেখে কুলচা রোমাঞ্চিত হতে লাগল ।
    কলতান কেঠো জবাব দিল , ' না না ... সময় টময় দেওয়া যাবে না । আপনি দশ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে নিন ... '
    মিসেস সিনহা কি একটা বলতে যাচ্ছিলেন , ঠিক সেই সময়ে তার মোবাইল বেজে উঠল ।
    দীপ্তি সিনহা ফোন নিয়ে দূরে সরে গেলেন না । ওখানে বসেই বললেন ,
    ---- ' হ্যাঁ সাহেব বলুন .... শিওর শিওর  ... ইউ ক্যান টোটালি ব্যাঙ্ক অন মি .... ইয়েস এগ্রিড এগ্রিড ... একদম কারেক্ট ... ও ... হ্যাঁ হ্যাঁ আছে আছে ... আচ্ছা দিচ্ছি ... '
    মিসেস সিনহা মোবাইলটা কলতানের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ' ধরুন ... আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে ... '

    কলতান ফোন কানে লাগাল ।
    ----- ' হুঁ ... '
    অবাঙালী উচ্চারণে একজন বলল , ' ভাল আছেন তো ? '
    ----- ' পরিচয়টা দিন আগে ...'
    ----- ' আপনি আমাকে চিনবেন না । কিন্তু আমি আপনাকে চিনি । আমাকে আপনার একজন অ্যাডমায়ারার বলতে পারেন ... '
    ----- ' সো কাইন্ড অফ ইউ ... আপনি কোথা থেকে বলছেন ? আর নামটাও বলবেন ... '
    ------ ' হাঁ ... যব দোস্তি করনে আয়া হুঁ ... সব কুছ বাতানাই চাহিয়ে ... জরুর বাতাউঙ্গা... আমার শুধু একটা ছোটিসি রিকোয়েস্ট আছে ... '
    কলতান কোন কথা না বলে চুপচাপ  শুনতে থাকে।
    -----' হাঁ .... হ্যালো হ্যালো ... '
    ----- ' হাঁ বোলতে যাইয়ে.... শুন রহা হুঁ ... '
    ----- ' আপনি এই কেসটা থেকে সরে যান । মিসেস সিনহাকে হ্যারাস করবেন না । আমরা আপনাকে স্যাটিসফাই করে দিব .... এত দিব আপনি সোচ  ভি নেহি পায়েঙ্গে.... '
    ------ ' অর ... অগর আপকা বাত নেহি শুনে তো ? '
    ----- ' শোচ লিজিয়ে ... আপ তো কাফি ইনটেলিজেন্ট হোঙ্গে দোস্ত ... সমঝ লিজিয়ে ...
    খতরা খতরা .... আপন বহৎ খতরনাক হুঁ ... হাত মেলাতে রাজি আছেন তো এই নম্বরে একটা মিসকল দিবেন ... '
    ফোন কেটে গেল । কলতান কলারের নাম্বারটা নিজের ফোনে ফরওয়ার্ড করল ।
    মিসেস সিনহাকে বলল, ' ঠিক দশ মিনিট কিন্তু ... '
    তারপর নীচে ফোন করল ।
    ----- ' হ্যাঁ ... আপনারা দুজন ওপরে চলে আসুন । একজন ফিমেল যেন থাকে .... '
    বেলা দুপুর  হয়ে গেল।  ওদের পেট খিদেয় চুঁই চুঁই করছে ।

          ( চলবে )
    ********************************************

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৩:১৮521839
  • উহ কী বলব। দুবাই ...
    এরপরে ভানুয়াতু চলে এলেই..
  • Bratin Das | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৫:৫৮521840
  • দারুণ  দারুণ। পরতে পরতে জট খুলছে...টান টান গল্প পাঠক এক মিনিট  অন্য মনস্ক হতে পারবে না
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৯:০০521842
  • সব কটা কলতান কেস পড়লাম একটানা। এখনও পর্যন্ত চিউয়িংগামের লেখাটা তুলনামূলকভাবে পরিণত এবং পরান বাগ্দীরটা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে অপরিণত মনে হয়েছে। কথা বলার স্টাইল সকলেরই একরকমটা হওয়া উচিৎনা। লিখতে লিখতেই সব ঠিক হবে। আশা করি। 
  • Mousumi Banerjee | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:১৫521865
  • উফফফ্!!! 
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন