এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বলিউডি ঐতিহাসিক রোমান্স সিনেমা ‘যোধা-আকবর‘ : নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে 

    Stone Age Publications লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ নভেম্বর ২০২২ | ৬৬৫ বার পঠিত
  • ২০০৮ সালে এই সিনেমাটি প্রথম দেখার পরই একটি পত্রিকায় জমা দিলে সেই পত্রিকার নারী সম্পাদক লেখাটির উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। ‘নারী‘ হিসেবে ‘নারীবাদী‘ দৃষ্টিকোণের প্রশংসা না করে তাঁর উপায়ও ছিল না। কিন্ত হতভাগ্য এই উপমহাদেশে একজন সম্পাদকের নানা কিছু বিবেচনা করতে হয়। কাজেই লেখাটি প্রকাশ না করতে পেরে আন্তরিক ভাবে দু:খ ও ক্ষমাও প্রার্থনা করেছিলেন। সেই মেইল যে প্রত্যয়নপত্র হিসেবে এখানে স্ক্রিনশটে দেব, সেটা সম্ভব নয়। কারণ আগের সেই ই-মেইল ২০০৯-এ চিরতরে হ্যাকড হয়ে গেল।
     
    তবু স্মৃতি থেকে পুনরুদ্ধার করে যা যা লিখেছিলাম সেটা এখানে আবার দিচ্ছি।
    ২০০৮ সালে পরিচালক আশুতোষ গায়কোয়াড় নির্মিত এই ছবি শুরুতে বিশেষত: রাজপুত পুরুষদের ভেতর প্রবল ক্ষোভের দেখা দেয়। গোটা ভারতবর্ষে মহামতি আকবর তাঁর ‘উদার ও অনেকাংশে ধর্মনিরপেক্ষ‘ নানা রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণের পরও এই ছবি প্রদর্শনের শুরুতে রাজপুত পুরুষেরা ক্ষুব্ধ হয়েছিল। তবে তাঁদেরই কোন গর্বিত রাজকন্যা মোগল রাজবধূ হয়েছিলেন এই সত্য অস্বীকার করতে না পারার ‘ক্ষোভ‘টি তাঁরা সুকৌশলে অন্য ভাবে প্রকাশ করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন যে যোধা বাঈয়ের বিয়ে আসলে আকবরের সাথে হয়নি, হয়েছিল আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে । এছাড়াও সিনেমায় যেমনটি দেখানো হয়েছে যে জয়পুরের নিকটবর্তী ‘আম্বর‘-এর রাজা ভারমলের কন্যা ছিলেন যোধা, সেটিও ঠিক নয়। বাস্তবে তিনি ছিলেন মারওয়াড়ের মহারাজা উদয় সিংয়ের কন্যা। এমনটাই বলেছিলেন ‘রাজপুত করনী সভা‘র লোকেন্দ্র সিং কালভি। প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছিল ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া‘-য় ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে। হয়তো রাজপুতদের দাবি খুব মিথ্যাও নয়। আকবরের যে স্ত্রী ‘মরিয়ম-উজ-জামানী‘ নামে পরিচিত ছিলেন, তাঁকে জেমস টডের ‘এ্যানালস এ্যান্ড এ্যান্টিকুইটিজ অফ রাজস্থান‘-এ প্রথম ‘যোধা বাঈ‘ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। উনিশ শতকের শুরুতে রচিত এই বইটি খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে পড়ে।  তবে রাজপুতদের ভেতরে অনেকে এখনো বিশ^াস করেন যে ‘যোধা বাঈ‘ হিসেবে যাকে মনে করা হয়, তাঁর আসল নাম ছিল ‘জগত গোঁসাই‘ এবং তিনি যোধপুরের রাজা উদয় সিংয়ের কন্যা ও জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ছিলেন। 'মরিয়ম-উজ-জামানী‘ নামের কারণে কেউ কেউ আবার তাঁকে আসলে ‘পতুর্গীজ খ্রিষ্টান নারী‘ মনে করলেও যিশু যেহেতু মুসলিমদেরও নবী, কাজেই ‘মরিয়ম‘ নামটি মুসলিম নারীদের ভেতরেও বিরল নয়।

    ‘রাজপুত করনী সভা‘-র নেতারা যাই বলুন, এই একুশ শতকের ব্যস্ত সময়ে দ্রুততম গতিতে তথ্যের জন্য হাত বাড়ালে যাকে পাওয়া যায়, সেই ‘উইকিপিডিয়া‘-য় জানা যাচ্ছে যে যোধা বাঈ বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে হয়েছিলেন ‘মরিয়ম-উজ-জামানী‘ (জন্ম: ১৫৪২- মৃত্যু: ১৬২৩ খ্রিষ্টাব্দ) এবং তিনি রাজা ভারমলেরই কন্যা ছিলেন বটে। বলিউডের ছবিতে যে ‘ইচ্ছাপূরণে‘র কাহিনী দেখানো হয় যে রাজা ভারমল লড়াইয়ে অনিচ্ছুক বা অক্ষম বলে এবং পুত্রহীন রাজা বীর ও যোদ্ধা ভ্রাতুষ্পুত্রকে রাজত্ব দেবেন না বলে নিজেই আকবরের কাছে গিয়ে ‘কন্যাকে দান‘ করতে চান করদ রাজ্যের রাজা হিসেবে টিঁকে থাকার জন্য কিন্ত ‘ব্যক্তিত্বময়ী‘ যোধা বিয়েতে নিজের ‘মজহাব (ধর্মমত)‘ বদলাতে চান না বলে রাজপুত ও মোগল উভয় মতেই তাঁদের বিয়ে হয়- এটা সংখ্যাগুরু ভারতীয় হৃদয়কে শান্ত রাখার কৌশল হলেও ইতিহাসসম্মত নয়। রাজা ভারমল নিজেই আকবরকে তার কন্যার পাণি গ্রহণের অনুরোধ করেছেন এটা ঐতিহাসিক আবুল ফজলের বইয়ে বলা হয়েছে। তবে ইতিহাসের আর একটি আখ্যান যেটা বলছে এবং যেটা বাস্তবসম্মত শুনতে যে ভ্রাতুষ্পুত্র সুজামলকে রাজত্ব দেবেন না বলে সুজামলের সাথে বিরোধ ত‘ বৃদ্ধ রাজার তৈরি হয়েইছে। এরই ভেতর আকবরের ভগ্নীপতি শরীফ-উদ-দীন মির্জার সাথে তিনি দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ছিলেন। সেই দ্বন্দ থেকে আত্মরক্ষায় আকবরের কাছে গেলে আকবর তাঁর কন্যার পাণি প্রার্থনা করেন। বৃদ্ধ রাজা ভারমল সিংহাসন রক্ষার লোভে এই শর্তে রাজি হন। বলিউডি সিনেমায় যা কিছু দেখানো হয়েছে যে বৃদ্ধ রাজা নিজেই কন্যাকে আকবরের হাতে সম্প্রদানের প্রস্তাব দেন এবং স¤্রাট তখন আজমীর থেকে আগ্রা ফেরার পথে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহয় গিয়ে প্রার্থনার পর রাজি হন...এসবই আবুল ফজলের ঐতিহাসিক বইয়ের তথ্যানুযায়ী নির্মিত।
    বলিউডি সিনেমায় সংখ্যাগুরু ভারতীয়দের শান্ত রাখতে যেমন দেখানো হয়েছে যে উভয় ধর্মমত অনুসারেই বিয়ে হয়েছে, সেটা দেখতে ‘ভাল‘ লাগলেও হয়তো ‘সত্য‘ নয়। বিজয়ী শক্তি বিজিতের নারীকে গ্রহণের সময় তাদের আচার মানবেই বা কেন? স্প্যানীশ কনকিস্তাদরেরা রেড ইন্ডিয়ান মেয়েদের বিয়ে করার সময় খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে হয়েছে- সেই রেড ইন্ডিয়ান মেয়েটি দিন আনে দিন খায় ঘরের মেয়ে হোক বা কোন রেড ইন্ডিয়ান রাজকন্যা- যা-ই হোক না কেন! তবে এটা সত্যি যে ‘ধর্মের বদলে কর্মে‘ আস্থাবাণ আকবরের অন্দর মহলে হয়তো যোধা হয়তো তাঁর জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ‘মজহাব‘ বা ধর্মমত মেনে উপাসনাও করতেন। আবার অবশ্যই তাঁর সন্তানরা পিতার ধর্মেই দীক্ষিত হয়েছে। বলিউডি সিনেমায় যেমন যোধা বিয়ের পর একবার আকবর তাঁর চরিত্রে সন্দেহকাতর হয়ে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে পরে আবার ভুল বুঝে ও অনুতপ্ত হয়ে স্ত্রীর গৃহে যান, ইতিহাসে বলছে ভিন্ন কথা। যোধা আর কখনোই পিতৃগৃহে ফিরতে পারেননি। রাজ্য টিঁকিয়ে রাখতে লোভী বাবা ‘বিধর্মী‘ শাসকের হাতে মেয়ে দিলেও স্বভাবত:ই সর্বঅর্থে ত্যাগ করা কন্যাকে আর ঘরে কখনো ফিরতে দেননি। মৃত্যুর পর তাঁর ইচ্ছানুসারে আকবরের সমাধির পাশেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। কাজেই নামের বদল থেকে এই রাজপুত রাজকন্যা ও মোগল রাজবধূর শেষকৃত্যের ধর্মীয় রীতি বলে দিচ্ছে যে ‘বলিউডি‘ সিনেমায় আকবরের অন্দরমহলে যোধা ভজন গাচ্ছেন, সেই দৃশ্যটি আদৌ বাস্তবসম্মত অথবা কল্পিত?
    না- এই নিবন্ধ একেবারেই কোন ‘বিভেদ‘ উস্কে দেবার মনোবৃত্তি থেকে লেখা নয়। এবং আমার আলোচনার মূল ফোকাস বা ‘নারীবাদী দৃষ্টিকোণ‘ পর্যন্তই এখনো পৌঁছাতে পারিনি।

    বলিউডি সিনেমায় ‘যোধা‘র নির্মাণ - কেন ‘যোধা‘ এত অসহায়? নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে...

    বলিউডি সিনেমায় যোধাকে দেখা যাচ্ছে যে একজন সুশিক্ষিতা, ঘোড়ায় চড়তে পারা ও অস্ত্রশিক্ষা জানা রাজকন্যা হিসেবে। কিন্ত এত কিছু জেনে ও শিখে তাঁর কি লাভ হলো? সে ত‘ ‘রাজপুত্র‘ বা ‘পুরুষ‘ নয় তাঁরই কাকাতো ভাই অনাথ ‘সুজামলে‘র মত- যে সুজামলের সাথে তাঁর অপার মৈত্রীর ভাই-বোনের সম্পর্ক রয়েছে! ক্ষুব্ধ ‘সুজামল‘ পুরুষ। পিতৃহারা ও পিতৃব্যের ভালবাসা বঞ্চিত সুজামল তাই পিতৃপুুরুষের ‘প্রাসাদ‘ ছেড়ে দূরে চলে যেতে পারে। নানা ঘটনার পাকে-চক্রে, যুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে সে অন্তত: ‘স্বাধীণভাবে‘ মরতে পারে বা তাঁর সেই মর্যাদাপূর্ণ মৃত্যু আলিঙ্গনের ‘স্বাধীণতা‘ কমপক্ষে আছে বা ছিল। রাজকন্যা যোধার সেটুকুও ছিল না। সে রাজপুত ও মোগলদের ভেতর রাজনৈতিক-সমরনৈতিক পাশা খেলার একটি ‘নিষ্ক্রিয় ঘুঁটি‘ মাত্র। কাজেই সিনেমায় যেমনটি দেখা যাচ্ছে যে বিয়ের আগে যোধার অন্য কোন প্রতিবেশী রাজপুত রাজ্যের এক রাজপুত্র রতন সিংয়ের জন্য ভালবাসা আছে এবং কাকাতো দাদা সুজামলকে সে চিঠিও লিখছে তাঁকে এসে লোভী বাবার হাত থেকে উদ্ধারের জন্য, শেষশেষ সে চিঠিটি পাঠায় না- খুব বেশি পিতৃ অনুগত কন্যা বলে? অথবা যোধা ভেবেছিলেন যে আকবর তাঁর কোন শর্ত মানবেন না (তিনি তাঁর ‘মজহাব‘ বা ধর্মমত বদলাবেন না ইত্যাদি ইত্যাদি) এবং তখন যোধা আর বিয়ে করবেন না। কিন্ত আকবর তাঁকে অবাক করে সব মেনে নেন। মেনে যে নেন এটা হয়তো ‘বলিউডি‘ সিনেমাতেই। নাহলে তাঁর নাম কেন ‘মরিয়ম-উজ-জামানী‘ হতে হবে অথবা শেষকৃত্য কেন ইসলামী মতেই হবে?  বলিউডি সিনেমায় পরমা রূপসী নায়িকাকে আমরা কাঁদতে দেখি। লোভী পিতার আচরণে ক্ষুব্ধ কন্যাকে রাজপুত রাণী মা লুকিয়ে তাঁকে একটি ‘জহরের‘ কৌটো বা বিষ দেন। যোধা সেটা গ্রহণ করলেও ‘আত্মহত্যা‘ করা অত সহজ ত‘ নয়!

    এরপর এই বলিউডি সিনেমায় দেখানো হতে থাকে অকল্পনীয় দৃশ্যাবলী! যোধা কিছুতেই আকবরকে কাছেও আসতে দেবেন না এবং দিল্লির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নায়ক দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ও বলতে গেলে বছরের পর বছর স্ত্রীর অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। আজকের দিনেও যখন আদালতে মেয়েদের ‘ম্যারিট্যাল রেপ‘ নিয়ে এত লড়তে হয়, তখন সেই মধ্যযুগে এমনটা হতো নাকি? আচ্ছা- ধরে নেয়া যাক হতো।
    যদিও পরমা রূপবতী, সর্ব গুণে গুণী স্ত্রীর হৃদয়জয়ে আকবর অব্যাহত চেষ্টা চালাতে থাকেন, একটি ঘটনায় যোধা আকবরকে খুব ভয় পাওয়া শুরু করেন। আকবরের দুধ মা মাহাম আঙ্গার পুত্র বা আকবরের পালিত ভাই আধাম খান নিজের নানা কুকর্ম লুকাতে আকবরের প্রধানমন্ত্রী আতগাহ খানকে খুন করেন। ক্ষেপে উন্মত্ত হয়ে আকবর আধাম খানকে প্রাসাদের ছাদ থেকে ফেলে দেন। যোধা যে এই দৃশ্য দেখছেন সেটা আকবর খেয়াল করেননি। এই দৃশ্য দেখে আকবরকে খুবই ভয় পেতে শুরু করেন যোধা। আকবরের দুধ মা ছেলের মৃত্যুর শোধ নিতে আকবরের দাম্পত্য জীবন ভাঙ্গতে উঠে-পড়ে লাগেন। যোধার সাথে তাঁর কাকাতো দাদা সুজামল দেখা করতে এলে বৃদ্ধা যোধার বাক্স-তোরঙ্গ থেকে কাকাতো দাদাকে লেখা বিয়ের আগের চিঠি (রতন সিংয়ের প্রতি যোধার ভাললাগার কথা জানিয়ে) আকবরকে দিলে ঈর্ষাকাতর আকবর স্ত্রীকে পিতৃগৃহে পাঠান। যোধা কোন কৈফিয়ত দেন না- তাঁর চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হবার পরও না। পরে আকবর অনুতপ্ত হয়ে স্ত্রীর পিতৃগৃহে যান- বলিউডি সিনেমায় গেলেও আসলে যোধা নিজেই আর কখনো পিতৃগৃহে ফিরেছিলেন বা ফিরতে পেরেছিলেন বলে জানা যায় না। সিনেমায় অবশ্য আকবর যোধাকে অনেক অনুনয় করলেও তিনি গোঁ ধরে থাকেন। এখানেই আকবর ও যোধার এক অসম্ভব সুন্দর তলোয়ার লড়াইয়ের দৃশ্য আছে। এই দৃশ্যের কিছু প্রতীকী ব্যঞ্জনাও আছে। হতে পারে সেটা বিয়ের পরও ‘পুরুষ ভয়ে ভীত‘ বা ‘কুমারী যোধা‘র ‘পুুরুষকে প্রতিরোধ‘ বা তার গোটা জীবনাচরণই যে এত বড় বদলের ভেতর দিয়ে যাবার মুখোমুখি বা হয়েই গেছে, তারও একটি ‘প্রতিরোধ‘ সে তার অসি চালনার মাধ্যমে করতে চায়। বেশ কয়েক বছর আগে লেখাটিতে সাথে লাগসই পশ্চিমা নারীবাদীদের লেখা থেকে কিছু উদ্ধৃতি এখানে ছিল। এখন ভুলেই গেছি বলা যায়।

    তারপর বলিউডের সেই ছবি আমরা অনেকেই দেখেছি: ‘সিনেমাও দেখা হলো, ইতিহাস বইও খানিকটা পড়লাম‘ মনোভাব থেকে যারা হিন্দি ছবি দ্যাখেন না তাঁরাও বোধ করি দেখেছেন। আকবর ত‘ ফিরে এলেন দিল্লিতে। সাধারণ প্রজাদের ভেতর ছদ্মবেশে ঘুরে বুঝলেন যে তাঁরা ‘জিজিয়া কর‘ নিয়ে ক্ষুব্ধ। তুলে দিলেন ‘জিজিয়া কর।“ যুদ্ধে একবার আহত হলেন আকবর। যোধা অনেক সেবা করলেন। ‘নিরক্ষর‘ আকবরকে খুশি করতে রাজপুত স্ত্রী ‘ফার্সি‘ও শিখলেন। ফার্সি হরফে যোধা আকবরের নাম লেখায় মুগ্ধ হলেন আকবর এবং সেই সাথে দু:খও পেলেন যে মাত্র বারো বছর বয়সে সিংহাসনের দায়িত্ব নিতে গিয়ে কিভাবে নিজে থেকে গেছেন ‘নিরক্ষর‘ এবং এটাই বলিউডি পরিচালকের ছবিতে (পরিচালক বুঝে করুন বা না করুন) প্যাট্রিয়ার্কি এবং ভাইস ভার্সা ফেমিনিজমেরও পাঞ্চ লাইন! ইতিহাসে কোন পুরুষ রাজসন্তান ‘নিরক্ষর‘ হলেও তাঁর হাতে থাকে সব ক্ষমতা। নারী রাজসন্তান বা রাজকন্যার অস্ত্র বিদ্যা, দেবনাগরী বা ফার্সি লিখতে পারা- কিছুতেই কিছু আসে যায় না! সে একটি ‘যৌনবস্ত‘ মাত্র যাকে রাজনৈতিক-সমরনৈতিক খেলায় রাজা বীরমল থেকে জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবরের হাতে ‘পাস‘ করা হবে। উপমহাদেশে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকেরা না এলে হয়তো উত্তর ভারতের রাজকন্যা ‘পাস‘ হতেন দাক্ষিণাত্যের রাজপুত্রের কাছে বা ‘ভাইস ভার্সা।“ এমনকি যে সূফী সাধকদের উদারতাবাদী বা সমন্বয়পন্থী বলেই আমরা জানি, বাংলাদেশের সিলেটে শাহজালাল এসে ক্ষমতা দখলের পর তাঁর চল্লিশ সাহাবীর জন্য চল্লিশজন স্থানীয় নারী চেয়েছিলেন এবং বিজিত জনপদ সম্ভবত: সমাজের সব বর্গ থেকেই এমন চল্লিশ জন তরুণীকে সরবরাহ করেছিল বা করতে বাধ্য হয়েছিল। এতে শাহজালালদেরও ‘বার্ডস আই ভিউ‘ থেকে দেখলে দোষ দেবার কিছু নই। যুদ্ধের নিয়মটাই এমন। বিজয়ীরা বিজিতের ভূমি বা নারীকে দখল করবেই- সেটা ‘ওয়্যার বুটি‘ বা যুদ্ধের লুণ্ঠিত দ্রব্যেরই সমতূল্য। এছাড়া আরবের রাজারা যেমন ভ্রাতুষ্পুত্রদের উল্টো গভর্ণর করে (সিন্ধুর বিন কাশিম যেমন পিতৃব্যের পক্ষ নিতে সিন্ধুতে এসে রাজা দাহিরকে যুদ্ধে হারিয়ে প্রথম ইসলামের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেন এবং সিন্ধুর বহু নিপীড়িত স্থানীয় জনতা তাঁর পক্ষও নিয়েছিলেন- দাহিরের তিন কন্যারই স্বামীও বোধ করি হয়েছিলেন) পাঠাতেন, ভারতের ভারমলরা উল্টো যদি সুজামলদের প্রাসাদ থেকে বিতাড়িত করেন, তবে যা হবার তাই হয়েছে। অসংখ্য বর্গে বিভক্ত এবং এমনকি রাজপ্রাসাদেই অন্তর্দ্বন্দে তিক্ত ভারতীয় রাজন্য ও উচ্চবর্গের তাই বিজিত হওয়া ছাড়া কোন নিয়তি ছিল না। রাজকন্যা সংযুক্তার বাবা যেমন আপন জামাতা পৃথ্বিরীজের বিরুদ্ধে মুহাম্মদ ঘুরীর পক্ষে ছিলেন। তবু সংযুক্তা আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন! আবার হতে পারে আরবে কন্যা ও ভ্রাতুষ্পুত্রের বিয়ে সিদ্ধ বলে কন্যার পিতারা ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতাকে যতটা ‘কোল‘ দিতেন বা দিয়েছেন, ভারতে সেটা হয়নি। কারণ ভ্রাতুষ্পুত্র এখানে ‘জামাতা‘ হতে পারেনি- ভারতের সামাজিক রীতি-নীতি অনুসারে। তাহলে ফ্রয়েডই সত্য? আপনি যখন ভাইপো+জামাই তখন আপনার যে আদর, শুধু ভাইপো হলে সেই আদর নেই? কে জানে!

    আমার লেখার মূল ফোকাস ঐটাই। যোধা বাঈ ‘রাজসন্তান‘ হয়েও শুধুমাত্র সেই সময়ে একজন নারী হিসেবে জন্ম নেবার কারণে ফার্সি বা দেবনাগরী শিখে বা ঘোড়ায় চড়ে ও তলোয়ার চালনা শিখেও তাঁর লাভ হয়নি।  রাজনৈতিক পাশাখেলায় ‘যৌনবস্ত‘ হিসেবে  তাঁকে ‘বিনিময়‘ হতে  হয়েছে - হতে হয়েছে
     ‘ওয়্যার ব্যুটি‘ বা ‘যুদ্ধের লুণ্ঠিত দ্রব্য।‘

    গত দেড়বেলায় প্রচুর লিখলাম- বহু জরুরি কাজ ফেলে রেখে। সবাইকে ধৈর্য্য ধরার জন্য ধন্যবাদ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Stone Age Publications | ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১৩513469
  •  
    আকবর একাই বিয়ে করেছেন সব মিলিয়ে মাত্র ১২ জন রাজপুত রাজকুমারীকে। তারপর অন্য মোগল বাদশাহদেরও ‘দু/চাট্টি‘ করে ‘রাজপুত রাজকন্যা‘ স্ত্রী হিসেবে ছিলই। তবে এই সূত্রটিতে সম্ভবত: ‘যোধা বাঈ‘কে ‘হীরা কুনওয়ারি‘ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
     
    (Akbar
    In 1562, married Rajkumari Hira Kunwari Sahiba, alias Harkha Bai, eldest daughter of Raja Bihari Mal, Raja of Amber, Given the title Wali Nimat, Hamida Banu Mariam uz-Zamani Begum  
    In 1562, married Maharajkumari Shri Nathi Bai Sahiba, daughter of Maharajadhiraj Shri Maharawal Hariraj Singh Dev Bahadur, Yadukul Chandrawhal, Maharaja of Jaisalmer.
    In 1570, married Baiji Lal Raj Kanwari Sahiba, daughter of Kunwar Shri Kanho [Kanhaji], of Bikaner, and niece of Rao Shri Kalyan Mal, Rao of Bikaner.
    In 1570, married Baiji Lal Bhanumati Kanwari Sahiba, daughter of Kanwar Sri Bhim Rajji, Gai Bhum ra Bahru, of Bikaner. 
    In 1573, married a daughter of Raja Shri Jai Chand, of Nagaur. 
    In 1577, married a daughter of Maharawal Shri AskaranSahib Bahadur, Maharawal of Dungarpur. 18
    In 1581, married Rajkumari Shri Rukmawati Baiji LalSahiba [Jodh Bibi] daughter of Rao Shri Mal Deoji, Rao of Marwar
    In 1581, married a daughter of Raja Shri Kesho Das Rathore, of Merta
    In 1597, married a daughter of Sri Sri Maharaja LakshmiNarayan Bhup Bahadur, Raja of Cooch Behar. 
    In total he married 12 Rajput princess.
    Shahzada Sultan Murad Mirza had two Rajput princesses as wives
    Shahzada Sultan Danial Mirza
    In 1595 married a granddaughter of Rao Mal Deoji Sahib, Rao of Marwar, and daughter of Kanwar Rai Mal Sahib. 
    Jahangir
    In 1585  he married Rajkumari Shri Manbhavati Baiji Kunwari Sahiba [Man Bai], daughter of Amir ul-Umara, Raja Bhagwan Das, Raja of Amber.  Titled Shah Begum buried at Khusro Bagh Allahabad.
    In 1584 married Rajkumari Rattan Bai Sahiba, daughter of Raja Basu, Raja of Nurpur, in Kangra. 
    In 1586 he married Jagat Gosain Manavati Baiji LallSahiba, who received the prothumous title of BilqisMakani, daughter of Raja Shri Udai Singhji Sahib Bahadur, Raja of Jodhpur, . 
    In 1586 married a daughter of Maharajadhiraja Maharaja Sri Rai Singhji, Maharaja of Bikaner. 
    In 1587 married Malika–i–Jahan Begum Sahiba ( daughter of Rukn ud-Daula, Maharajadhiraj Raj RajeshwarMaharawal Bhim Singh Dev Bahadur, Maharaja of Jaisalmer. 
    In 1591 married Rajkumari Shri Karamsi Baiji Lal Sahiba [Karamnasi], daughter of Raja Shri Kesho Das Rathore, of Mertia. 
    He further married Koka Kumari Sahiba, eldest daughter of Yuvraj Shri Jagat Singhji Bahadur, Yuvraj of Amber,
    In 1610 n.s., a daughter of Sawai Raja Shri Ram Chand JuDeo Bahadur, Raja of Orchha and Chanderi. 
    In 1610, a daughter of Sawai Raja Shri Madhukar Shah JuDeo Bahadur, Raja of Orchha. 
    In 1611 married a daughter of Raja Purushottam Das, Raja of Jagannathpuri. 
    In 1614 married the youngest daughter of Maharajadhiraja Maharaja Sri Dalpat Singhji Bahadur, Raja of Bikaner.
    Sultan Khusrau Mirza.  Rebelled in 1606. Blinded by his father and buried at Khushru Bagh, Allahabad. 
    His secondly married – with Jodh Bai (buried Sultan KhusrauBagh, Allahabad), a Rajput princess from Jodhpur. 
    Sultan Muhammad Parvez Mirza. 
    In 1624 He married Raj Kumari Shri Manbhavathi Baiji Lall Sahiba, younger daughter of Sawai Raja Sur Singhji[Suraj Mal], Raja of Jodhpur
    Shah Jahan
    Married Raj Kumari Shri Manbhavati Baiji Lal Sahiba, widow of his elder brother, Sultan Muhammad ParvezMirza, and younger daughter of Sawai Raja Sur Singhji[Suraj Mal], Raja of Jodhpur. 
    In 1627 married Kumari Lilavati Baiji Lal Sahiba, daughter of Rao Shri Sakat Singh [Shakti], of Kharwar. , Grand-daugther of Raja Gaj Singh. 17
     Shahzada Sultan Sulaiman Shikoh. Son of Dara Shukoh
    In 1654 married Anoop Kunwar Bai Sahiba, daughter of Rao Shri Amar Singh of Nagaur, Niece of Jai Singh of Jaipur 16
    In 1658, married a daughter of Amir ul-Umara, Raja Prithvi Pat Shah, Raja of Garhwal.  (14-15)
    Aurangzeb
    In (1639) married Rajkumari Anuradha Bai Sahiba daughter of the Raja Raju Maharaj of Rajauri, in Kashmir. 11
    In 1667 Aurangzeb married Udaipuri Mahal , may have been a daughter of a Rajput – mother of Kambaksh – According ot Manucci and James Todd
    Shahzada Muhammad Sultan Mirza. 
    In 1676 Married – Bai Bhut Devi [Phup devi], daughter of the Raja of Kishtwar 11
    Azam Shah
    In 1668 married Rajkumari Ramani Gabharu nee NawabRahmat Banu Begum Sahiba daughter of Ahom King Sri Sri Swargadeva Sri Raja Jayadhwaj Simha, Raja of Assam 12
    Mu’azzam Shah
    In 1661 married- Maharajkumari Amrita Bai Sahiba, daughter of Maharaja Shri Rup Singh Sahib Bahadur, Raja of Kishangarh. 
    Sultan Azim us-Shan Bahadur. 
    In 1687 married Rajkumari Bai Jas Kunwar Sahiba daughter of Raja Shri Kirat Singhji Bahadur, Raja of Kama.
    Farrukh-siyar. 
    In 1715 Farrukh Married Maharajkumari Shri IndiraKanwar Baiji Lal Sahiba) but after she left the harem after her husband’s death, purified herself 17th July 1719 and returned to her father’s household. She was the eldest daughter of Raj Rajeshwar Maharaja Shri Ajit SinghjiSahib, Raja of Jodhpur).
     
     
    (সময় পেলে পরে কখনো মুগল বাদশাহদের ‘রাজপুত রাজকন্যা‘ স্ত্রীদের নাম-ধাম বাংলা করে দেব।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন