কলকাতায় না দেখলেই নয় এমন কি আছে, বলতে পারি না, তবে যদি দুটো ভালোমন্দ খেতে চান, তার সামান্য কিছু সুলুক সন্ধান দিতে পারি।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, পারলে কাছাকাছি জায়গাগুলো হেঁটেই ঘুরে নেবেন, এতে শহরটাও ভালো করে দেখা হবে আর অপ্রয়োজনীয় কিছু খরচাও কমবে। ওলা উবের এখন হলুদ ট্যাক্সির মত হয়ে গেছে, সার্জ বসিয়ে হয় পকেট কাটবে, নইলে ট্রিপ ক্যানসেল করে হয়রানি করবে। আর গুগল ম্যাপ হ্যান্ডি রাখবেন, যদিও কলকাতায় ভুল ডিরেকশান দিয়ে মনে হয়না কেউ মিস লীড করবে, তবুও গুগল ম্যাপে একবার যাচাই করে নিতে পারেন। মাথায় রাখবেন, কলকাতায় দূরত্ব টাইম দিয়ে হিসেব করতে হবে, কিলোমিটারের হিসেবে না। তাহলেই আর অসুবিধে হবে না।
শুরু করুন নাখোদা মসজিদের ওদিকটায়, মানে জাকারিয়া স্ট্রিটের দিক থেকে। ওদিকে গেলে যদি রয়্যালে মাটন বিরিয়ানি আর মাটন চাঁপ না খেয়েছেন তো ঠাকুর মস্ত পাপ দেবেন। ওখান থেকে কলুটোলা কাছেই হবে, আলাউদ্দিনের বত্তিশি হালুয়া আর অ্যাডামসের সুতা কাবাব আর ক্ষিরি কাবাব সাঁটিয়ে আসুন, তবে এরা শুধু সন্ধ্যেবেলাতেই বসে।
ধর্মতলা চত্বরে তো আসবেনই, চলে যান নিউ আলিয়া, মাটন বিরিয়ানি আর মাটন চাঁপ আর ফিরনি, ব্যাস আর কিছু না। বিফ খেতে মন চাইলে ইউপি বিহারে চলে যান। নিউ মার্কেটে টুকটাক ঘোরাঘুরি আর কেনাকাটিও করে নিতে পারেন। ঘুরতে ঘুরতে যদি দেখেন নিউ এম্পায়ারের কাছে এসে গেছেন, কুসুমে একটা এগ চিকেন রোল খেতে ছাড়বেন না।
যদি কলেজ স্ট্রিট যান, কফি হাউসে অবশ্যই যাবেন, মরা হাতি লাখ টাকা। ওখানে চিকেন আফগানি খাবেন, বাটার দেওয়া পাউরুটির স্লাইস দিয়ে। আর একটা কোল্ড কফি। আর পারলে একবার প্যারামাউন্টে যাবেন, এদের অবস্থা খুবই শোচনীয় ইদানিং, তবুও আপনার কপাল ভালো থাকলে ডাব শরবৎ ভালো লাগলেও লাগতে পারে। আর এই তল্লাটে আছে দিলখুশা কেবিন, ওখানে রুটি মাটন কষা, আর কবিরাজি খেতে পারেন। এখানেও এলাহী ভরসা।
চীনে খাবারের জন্য টেরিটি বা টিরেটা বাজারে আসতেই হবে। ভুলেও রঙচঙ দেখে ওয়াও মোমো বা চাওম্যান দোকান গুলোয় ঢুকবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় ট্যাঙরায় চায়না টাউনে যেতে পারলে।
পার্ক সার্কাস হয়ত অলরেডি নাম শুনে থাকবেন, ওটা একটা তীর্থস্থান। ওখানে ঠকবার কিছু নেই, আর্সালান বাদে।
বিন্দাস ঘুরুন, ছবি তুলুন, আর অতি অবশ্যই ঘোরাঘুরির গল্প লিখুন এখানে।