এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্টপার - ৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ | ৮৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সৌভাগ্যক্রমে এম আর আই রিপোর্টে তেমন গন্ডগোলের কিছু পাওয়া গেল না। ডান হাঁটুর পাশের দিকে লিগামেন্টে কিছুটা স্ফীতি আছে। ডক্টর মিত্র তিন চার রকম ওষুধ দিয়েছেন। অন্তত তিনমাস খেতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হাঁটুর ব্যায়াম। সেটা নিয়মিত করে যেতে হবে। সিজন শুরুর আগে অন্তত একমাস বল পায়ে মাঠে না নামাই ভাল। সেটা অবশ্য কার্যত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। অপারেশনের কোন প্রয়োজন নেই এই মুহুর্তে। পরে সুবিধেমতো লিগামেন্টের একটা ছোট সার্জারি করে নিতে পারলে ভাল হয়। কিছুটা ফ্লুইড জমে আছে হাঁটুর সামনের দিকে। যদিও ওষুধ খেয়ে সেটা শুকিয়ে ফেলা সম্ভব বলে মনে করেন ডাক্তারবাবু। তিনি বললেন, ‘ওটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। আমি দেখছি কেসটা .....’।

    কৌশিক দত্তর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। চিকিৎসা এবং ওষুধপত্রের খরচ তিনি সানন্দে বহন করতে লাগলেন। কাবেরির মুখে হাসি ফুটল। সে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।

    বৈশালি বলল, ‘আমি একটু বেরুচ্ছি। ফিরতে দেরি হতে পারে ...’।
    কাবেরির উদ্দেশ্যে কথাগুলো ছুঁড়ে দিয়ে চুলে খসখস করে একটু চিরুনি বুলিয়ে কাঁধে একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে ঝটপট কোথায় বেরিয়ে গেল।

    কাবেরি রাগে গরগর করতে করতে শংকরের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘দেখলে মেয়ের কান্ড! এই বয়সেই এত .... এ মেয়ে কিন্তু দারুন ভোগাবে!’
    শংকর বলল, ‘দারুন .... দারুন...’
    কাবেরি মুখ ঘুরিয়ে দেখল শংকর বিশ্বসংসার ভুলে টিভির দিকে তাকিয়ে বসে আছে। লা লিগার খেলার হাইলাইট দেখাচ্ছে। প্রোগ্রামিং করা রোবটের মতো নিখুঁত পারদর্শিতায় বল কন্ট্রোল, বিস্ময়কর সূক্ষ্মতায় পাসিং এবং তীব্র গতির আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ চলছে মাঠ জুড়ে। ছুটন্ত অবস্থায় ডিফেন্সের ফাঁক দিয়ে চারটে পাশ খেলল একটা টিমের তিন জন মিডিও পাঁচ ছ সেকেন্ডের মধ্যে। শংকর আপনমনে বলল, ‘ভাবা যায় না .... ফ্যান্টাস্টিক... আমরা কোথায় ..... ’।

    কাবেরি কিছুক্ষণ টিভির দিকে তাকিয়ে রইল। টিভির পর্দা থেকে ছিটকে এসে গতির ঝাপটা লাগল তার মনে। ক্ষণিকের জন্য উড়ে গেল মনের কোনে মেয়ের জন্য গেড়ে বসা দুশ্চিন্তা। বেলা এগারোটা বাজতে চলল। শংকর বোধহয় আজ আর দোকান খুলবে না। সকাল থেকে টিভি খুলে বসে আছে।

    কাবেরি আস্তে আস্তে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। গিয়ে দেখল দুই ছেলেমেয়ের জন্য ঠোঙায় মুড়ে রাখা সিঙ্গাড়া নেতিয়ে ঠান্ডা হয়ে পড়ে আছে। ঠোঙাটা তেলে ভিজে কালচে হয়ে আছে। কাবেরি কি যেন চিন্তা করল কয়েক সেকেন্ড। তারপর সিঙ্গাড়ার ঠোঙাটা তাক থেকে নিয়ে জানলা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিল।

    সন্ধেবেলায় গিয়ে দোকান খুলল শংকর। খোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনজন এল। আজ সন্ধেটা ভালই যাবে মনে হচ্ছে। ঠিক তাই। পরপর প্রায় দশজন খরিদ্দার এল। শংকরের মনে হল, আহা আজকে দিনটা বড় ভাল। সকালে দোকান না খোলার জন্য আফশোস হতে লাগল। দোকান একটু ফাঁকা হলে বাইশ তেইশ বছরের দুটো ছেলে এসে দাঁড়াল। দুজনকেই চেনে শংকর। নেতাজি স্পোর্টিং-এ খেলে। একজন হেসে বলল, ‘ভাল আছেন শংকরদা?’
    — ‘ এই চলছে ভাই .... তোমরা কেমন আছ?’
    — ‘ ভাল। আমরা সকালেও এসেছিলাম। এসে দেখলাম দোকান বন্ধ তাই .... ’
    — ‘ হ্যাঁ ...ওবেলা দোকান খুলি নি। আর কি বলব .... তেমন কাস্টমার কোথায় .... তোমাদের খবর কি? নেতাজি স্পোর্টিং-এ আছ?’
    — ‘ হ্যাঁ ... তাছাড়া আর কোথায় যাব? আমাদের তো আর আপনার মতো ট্যালেন্ট নেই.... আপনার মতো ট্যালেন্ট থাকলে আমরা অনেক কিছু করে ফেলতাম। এতদিনে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলে খেলতাম। যাই হোক, যেটা বলতে এসেছিলাম ..... এই শনিবার আমাদের একটা ম্যাচ আছে টালা পার্কের মাঠে ..... একটু খেলে দেবেন?’

    যে ছেলেটা বলল, তার নাম অর্কদীপ।

    শংকর এরকমই কিছু প্রত্যাশা করছিল। সে বলল, ‘না রে, আমার পায়ের অবস্থা ভাল না। ডাক্তার একমাস রেস্ট নিতে বলেছে।’

    একথা শুনে ছেলে দুটো খুব হতাশ হল। অর্ক আবার বলল, ‘একটা হাফও যদি খেলে দিতে পারতেন। গেমটা জেতা খুব দরকার আমাদের। বরানগর ইউনাইটেডের সঙ্গে খেলা। ওদের সঙ্গে আমরা কখনও জিতি নি।’
    — ‘ বরানগর ইউনাইটেড মানে প্রদীপ ঘোষের বরানগর.... ?’
    — ‘ হ্যাঁ ওটাই ..... প্রেজটিজ ফাইট .... যদি একটা হাফ খেলে দিতেন....’

    স্কটিশ চার্চ মাঠে তার ঘাম মাটি মাখা শরীর জড়িয়ে ধরা প্রদীপ ঘোষের মিনতি মাখা মুখটা মনে পড়ে গেল।

    সে জোর গলায় বলল, ‘না না .... সে হয়না। ডাক্তারের বারণ আছে। হাঁটুতে অপারেশান আছে .... ঠিক আছে?’
    — ‘ তালে আর কি বলব .... খুব মুশকিলে পড়ে গেলাম। একটা ভাল স্টপার দরকার ছিল.... আচ্ছা ঠিক আছে .... আসছি শংকরদা ....’

    ছেলে দুটো হতাশ হয়ে চলে যায়।

    সকালে টিভি-তে দেখা লা লিগার খেলার মুভগুলো মনে পড়তে লাগল। দুর্দম গতিতে সবকিছু ভেঙেচুরে এগিয়ে যাওয়া একটা জীবনের আকাঙ্খা জেগে উঠল। তারপর মনে হল সব
    টিম ওরকম ঝড় তুলে ছুটতে পারে না। প্রত্যেকের ছোটার গতি নির্দিষ্ট। তা ইচ্ছেমতো বদলানো যায় না। নিয়তির বিধান সকলকেই মানতে হয়। তাছাড়া সে তো একজন ডিফেন্ডার। তার ভূমিকাও নিয়তি নির্দিষ্ট। ঝড় তোলা তার কাজ নয়। ঝড় আটকানোই তার কাজ। সেই কাজই সে করে চলেছে। এ জীবনে কেউ স্ট্রাইকার, কেউ স্টপার। ইচ্ছেমতো ভূমিকা বদলে ফেলা যায় না।

    রাত প্রায় নটা বাজে। শংকর দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিতে লাগল। এইসময়ে তার পকেটের মোবাইল বেজে উঠল।
    — ‘ হ্যালো ’
    — ‘ শংকর .... আমি প্রদীপ ঘোষ বলছি ’
    — ‘ হ্যাঁ বলুন প্রদীপদা .... ’
    — ‘ সারাদিন বড্ড ব্যস্ত ছিলাম বলে ফোন করতে পারি নি। বলছি যে.... তুই কিছু ঠিক করলি? আমি খুব আশা করে আছি কিন্তু ..... ’
    — ‘ প্রদীপদা বলছি কি .... অন্য কোন ইয়াং প্লেয়ার নিলে আপনাদের সুবিধে হবে। আমার থেকে আর কিই বা পাবেন? আমি তো শেষ হয়ে গেছি। তাছাড়া হাঁটুর অবস্থা খুব খারাপ, পুরো সিজন খেলা আমার দ্বারা আর হবে না।’
    — ‘ তুই কি বলছিস বুঝতে পারছি না । তুই কি বরানগরে খেলতে চাইছিস না? ’
    — ‘ ন্ না: ..... মানে .... প্রদীপদা আমি ঠিক পারব না .... আমাকে ক্ষমা করুন। আমি খেলার মতো অবস্থায় নেই।’
    — ‘ না না .... শোন শংকর... তুই যে কটা ম্যাচ পারবি সে কটাই খেলিস। এই একটা সিজন শুধু .... আর শোন .... তুই কি অন্য কাউকে কথা দিয়েছিস ? ’

    শংকর চুপ করে রইল। ডাহা মিথ্যে কথাটা গলার কাছে এসে আটকে থাকল। বেরোতে চাইছিল না ।

    — ‘ হ্যালো হ্যালো .... শংকর ... হ্যালো ..... তুই কি অন্য কাউকে ....’

    শংকর আপ্রাণ চেষ্টায় কটা শব্দ উগরে দিল— ‘ না .... মানে হ্যাঁ .... ক্ষমা করুন ....’

    ঝট করে ফোন কেটে দিল শংকর।

    বুকে যেন কিসের চাপ নিয়ে আনমনে দোকান বন্ধ করে বাড়ির দিকে হাঁটতে লাগল শংকর।

    ভয়ংকর গতিতে পাস খেলছে বিপক্ষের ফরোয়ার্ড লাইন । ঘনঘন ক্রস উড়ে আসছে দু দিকের উয়িং থেকে। একটা স্টপার কটা অ্যাটাক সামলাবে .... আক্রমণের ঝড় উঠেছে। ডিফেন্স দুলে দুলে উঠছে।

    বাড়ি ফিরে শুনতে পেল, মা আর মেয়েতে তুমুল কথা কাটাকাটি চলছে।
    — ‘ তুই কি সাপের সাত পা দেখেছিস .... ভেবেছিসটা কি তুই.... যা খুশি করবি তাই মেনে নেব নাকি ! ’
    — ‘ মানতে না পারলে মানবে না, আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাব ...’
    — ‘ কি-ই-ই ....এত বড় আস্পদ্দা ! তা যাবিটা কোন চুলোয় শুনি। মুরোদ তো জানাই আছে । গাল টিপলে দুধ বেরোয় এখনও .... ছেলে ধরে বেড়াচ্ছেন .... ’
    — ‘ মুখ সামলে কথা বল বলে দিচ্ছি । থানায় গিয়ে কমপ্লেন করলে কি হবে জান তোমাদের। ছেলেমেয়ের ওপর টর্চার করলে কি হয় জান ?’

    ষোল বছরের মেয়ের মুখে এসব অকল্পনীয় কথা শুনে স্বামী স্ত্রী দুজনে বিস্ময়, যন্ত্রণা, ক্রোধে বাক্যহারা হয়ে যায়।

    মুহূর্মুহু বল নিয়ে একঝাঁক ফরোয়ার্ড পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়ছে। স্টপার কখন ফাইনাল ট্যাকলে যাবে ঠি ক করতে দিশাহারা।

    শংকর ঘরের ভিতরে গিয়ে বসে পড়ল মানসিক ক্লান্তিতে ধ্বস্ত হয়ে । কাবেরিকে বলল, ‘চুপ কর , চুপ কর .... চুপ করে যাও’। কাবেরি চোখে আঁচল চাপা দিয়ে কাঁদতে লাগল।

    পরের দিন বেলা বারোটা নাগাদ শংকরের দোকানের সামনে একটা বাইক এসে দাঁড়াল। বাইক থেকে নেমে মাথা থেকে হেলমেট খুলে একটা লম্বা মতো তেইশ চব্বিশ বছরের যুবক বিনম্র ভঙ্গীতে শংকর সামন্তর সামনে দাঁড়াল।

    শংকর বলল, ‘ হ্যাঁ বল ভাই .... কি দেব? ’
    — ‘ কিছু না.... মানে একটু কথা ছিল স্যার।’

    শংকর একটু চমকে গেল। তাকে কেউ এই প্রথম স্যার সম্বোধন করল।

    সে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে রইল।

    বিনীত অথচ সপ্রতিভ ভঙ্গীতে ছেলেটা বলল, ‘আপনি আমাকে চিনবেন না স্যার। আমার নাম সার্থক ব্যানার্জি । আমি আপনার মেয়ে বৈশালির বন্ধু। শ্যামবাজারে থাকি। আপনার এবং আন্টির কোন আপত্তি না থাকলে আমি বৈশালির সঙ্গে আমার সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি আইটি সেক্টরে আছি। কগনিজ্যান্ট ইন্টারন্যাশানালে। আমার কার্ড রেখে যাব। আপনারা খোঁজখবর করতে পারেন। অবশ্যই বৈশালি অ্যাডাল্ট হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমিও তো এখনও প্রপারলি এস্ট্যাবলিশড হইনি।’

    এইটুকু ছেলের অকপট সপ্রতিভতা দেখে এবং এরকম অভাবনীয় প্রস্তাবনা শুনে থ হয়ে গেল শংকর। সে ঝলমলে ছেলেটার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল।

    একটু ধাতস্থ হবার পর সে ভাবল সে একজন স্টপার । তার একটা হাল্কা ট্যাকলে যাওয়া উচিত।

    বলল, ‘কিন্তু এটা একটা মিসম্যাচ ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে না? তোমার মতো উচ্চশিক্ষিত ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের মতো একটা .... তোমার ফ্যামিলিই বা মেনে নেবে কেন ?’

    সার্থক বলল, ‘আমার কাছে এটা কোন সমস্যার ব্যাপার নয়। ফ্যামিলিকে কনভিন্স করার দায়িত্ব আমার। আপনার মেয়ে একটু রাগী ঠিকই কিন্তু আমার ধারণা বৈশালির মতো ডেপথ্ খুব কম মেয়ের মধ্যে আছে।’

    শংকর এসব কথার আদৌ কোন সারবত্তা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পেল না।

    সে এবার স্বাভাবিক অভিবাবকসুলভ কন্ঠে বলল, ‘দেখ বাবুসোনা .... পৃথিবীটা বড় কঠিন বাস্তবের জায়গা। তোমার এ মোহ কেটে যেতে বেশিদিন সময় লাগবে না। সম্পর্কের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকা চাই। নইলে সে সম্পর্ক টেঁকে না । তা তোমাদের মেলামেশা কতদিনের? আলাপ পরিচয়ই বা হল কোথায়?’
    — ‘ বেশিদিন নয়, মাস তিনেকের । আমি ওর বন্ধু পৌলমির কাজিন ব্রাদার।’ - সার্থক জানায়।
    — ‘ এই কদিনের মধ্যে আমার মেয়েকে এতটা বুঝে ফেললে ! আমরাই তো নিজের মেয়েকে এখনও ..... ’

    সার্থক অত্যন্ত পরিণতমনস্কের মতো বলল, ‘সেটা আমি ঠিক এক্সপ্লেন করতে পারব না স্যার। আমি শুনলাম যে আমাদের মেলামেশা নিয়ে আপনাদের ফ্যামিলিতে প্রবলেম হচ্ছে তাই আপনার কাছে এলাম। আপনাদের আপত্তি থাকলে আমি বৈশালির থেকে ডিট্যাচড হয়ে যাব।’

    ছেলেটা শংকরের মতো পোড় খাওয়া স্টপারকে ডজ করে বেরিয়ে গেল। শঙ্কর এখন কি করবে? পিছন থেকে ট্যাকল করবে, না বেরিয়ে যেতে দেবে।

    — ‘ তোমরা কতদূর এগিয়েছ আমি জানি না। এখন তুমি ছেড়ে দিতে চাইলেও বৈশালি কি তোমায় ছাড়তে চাইবে ! ’

    সার্থক আবার অকপট সপ্রতিভতায় বলল, ‘আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন স্যার। আমাদের স্লাইটেস্ট ফিজিক্যাল প্রক্সিমিটিও হয়নি। যদি সিচুয়েশান সেরকম হয়, বৈশালিকে কনভিন্স করার দায়িত্ব আমার। আপনি আমাকে ট্রাস্ট করতে পারেন।’

    শংকরের ট্যাকলটা মিস হল। কিন্তু সে পিছন থেকে জার্সি টেনে ধরল না। চুপ করে রইল। সার্থককে এগোতে দিল।

    — ‘ সে যাই হোক, আপনারা টাইম নিয়ে ডিসিশান নিন। আমি আপনাদের ডিসিশানের জন্য ওয়েট করব। ততদিন আমাদের মেলামেশা বন্ধ থাকবে। এই যে আমার কার্ড। এটা রাখতে পারেন’, সার্থক পরিচ্ছন্ন বক্তব্য রাখে।

    শংকর কার্ডটা নিল।

    — ‘ আর একটা কথা স্যার। হোয়াটেভার মে বি দা আউটকাম আমি আপনার কয়েকটা খেলা দেখতে চাই। আমার এক বন্ধু এখানেই থাকে। তার কাছে আপনার ফুটবল ট্যালেন্টের কথা প্রচুর শুনেছি। আমি একজন ফুটবল বাফ্।’

    শংকর এমন একটা চরিত্রের সম্মুখীন আগে কখনও হয়নি। কোন আনকনভেনশানাল ড্রিবলারের মতো। ধরা খুব কঠিন।

    — ‘ হ্যাঁ নিশ্চয়ই। তোমার ফোন নাম্বারটা বল, একটা কল দিচ্ছি। সেভ করে নাও।’

    (এরপর পরের পর্বে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aranya | 2600:1001:b029:7994:4dc4:ced7:6218:***:*** | ০১ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:৪১502406
  • দারুণ 
  • Anjan Banerjee | ০১ জানুয়ারি ২০২২ ১০:৫৭502407
  • ধন্যবাদ ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন