মোফো আর জিলুতে রাস্তা ভরে গেচে।
কোভিডবিধির বালাই নেই। এই মর্মে পোস্ট ও ভিডিও যত পারেন শেয়ার করুন। সেই সঙ্গে একটু সরকারকেও জিগান, যে কোভিডবিধি শক্ত হাতে লাগু করা হচ্চে না কেন! আমি ত নিয়ম মেনেই যতটুকু ঘোরা যায়, ঘুরতে চাই। সরকার সেই প্রোটেকশন দিতে পারচে না কেন??
সবাই সবাইকে " চুপ! ঘরে বসে থাকুন" বলে কোন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেচেন?
মাস্ক না পরলে ফাইন করা হচ্চে না। অন্তত একটা সীলড মাস্ক ধরিয়ে তার দামটা নিয়ে নিতে পারত সরকার ( না হয়, মাস্ক বিনামূল্যে ও টাকাটা ফাইন হিসেবেই দেখাল। ক্ষতি কী) । কিপটে মোফো আর জিলাগুলো সেই ভয়ে অন্তত পকেটে একটা মাস্ক নিয়ে বেরত। পকেটে থাকলে কী লাভ হত? খুব ভীড়ে বা পুলিশ দেখলে পরে নিত। সার্বিকভাবে মাস্ক পরার প্রবনতা বাড়ত।
যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন নেই ডিস্ট্যান্স মেন্টেন হচ্চে কিনা দেখার জন্যে। যাঁরা আচেন, অলরেডি চাপে।
পূজা কমিটি নিজের বেসিকটুকু মেন্টেন করেচেন। বাঁশ পুঁতে দিয়েচেন। " সামনে " ভীড় নেই। ঠিক তার আগের " সামনে " থেকে বিপুল ভীড়।
ক্রাউড মেন্টেনেন্স এর জন্য কতভাবে টেকনলোজি ইউজ করা যায়! অন্তত শহরে। স্মার্টফোন এপে ক্রাউডের লাইভ জিও লোকেশন পেলে --- ট্রাফিক আউটপোস্ট কে কন্ট্রল করে, " ভীড়ের চাপ " কম রাখা যায়। চাইলে অনেক কিছুই যায়। কিন্তু চাইবে কে?
যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই কেন? সরকারকে কে প্রশ্ন করবে?
এক লব্ধপ্রতিষ্ঠ কবি সেই প্রথম থেকে মাস্ক ছাড়া ঘুরচেন কারন তাঁর এই ব্যবস্থাকে বিশ্বাস হয়না। এক উচ্চপদস্থ সিভিল সারভ্যান্ট নিয়মিত বন্ধুমহলে আশংকা প্রকাশ কচ্চেন ঃ যে কোনদিন আবার কোভিডে পড়ব! আর বলিস না!
কিন্তু কবি বা বন্ধুবর কেও সরকারকে প্রশ্ন করবেন না।
আপনি শহুরে, যুক্তির বাঁধা বাবু, অমনি লাফিয়ে বলবেন ঃ ডাক্তারের - সাংবাদিকের কাজে বেরন আর ফুত্তি কত্তে ঠাকুর দেখতে বেরন এক হল??
না এক কেন হবে। ঘোড়া ঘোড়ার মালিকের অর্থে খাচ্চে, ইত্যাদি। তবে বাবু, কিচু লোক সারাবছর কুত্তার মত জীবন কাটিয়ে মোচ্ছবের দিন খচ্চা করে বলেই, তোমার হাসপাতালে সুস্থ বেবিকে " রেস্পিরেটরি ডিস্ট্রেস " নোট দিয়ে অন্তত একদিনের জন্য ইন্টেন্সিভ খাতে বেশি বিল করতে পারো।
নিজেদের মধ্যে অনন্ত ঝগড়া করে যাবে বাড়িতে বসে থাকা ও না থাকার দল বানিয়ে তবু কেও সরকারকে প্রশ্ন করবে না, যে বাইরে বেরলে যথেষ্ট প্রোটেকশন দিতে পারচে না কেন?
প্রশ্ন করলেই ত আবার ..