হালতু শ্রমজীবি ক্যান্টিন চলছে, গত ৮ জুলাই থেকে। গড়ে ৫০০ টির মত দুপুরের খাবারের প্যাকেট ৬ টি বিতরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে প্যাকেট প্রতি ₹২০/- বিনিময় মূল্যে।
যারা সাহায্য করতে চান যোগাযোগ করতে পারেন। আমার মাধ্যমে সাহায্য করলে মোটামুটি শর্তগুলি নিম্নরূপ
১. ভারতে বসবাসকারী ও ট্যাক্সপেয়ার ও ভারতের নাগরিক হতে হবে, ভারতীয় ব্যাঙ্ক আকাউন্ট থেকে ভারতীয় টাকায় সাহায্য করা প্রয়োজন। কলকাতায় থাকলে খাদ্য সামগ্রী বা প্যাকেজিং সামগ্রী বা স্টোরেজ ব্যবস্থা, বা মাল তোলার যানবাহন দিয়ে, বা কোন অনুষ্ঠানে আমাদের সাধারণ খাবার নিয়ে সাহায্য করতে পারেন, তবে আগে্ ব্যক্তিগত ভাবে পরিকল্পনা জানালে আগে আমি সংগঠকদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবো জানাব।
২. টাকা সিপিএম হালতু এরিয়া কমিটির আকাউন্টে জমা করতে হবে, ব্যক্তিগত ভাবে টাকা সংগ্রহ করি না।
৩. যদি এর মধ্যেই অন্য কোনও যে কোনো সংগঠনের এরকম উদ্যোগে সাহায্য করে থাকেন এবং আমাদের কে সাহায্য করতে গিয়ে তাদের সাহায্য বন্ধ না করাই ভালো। তাঁদের গ্রাহকরা বিপদে পড়তে পারেন।
৪. জ্যোতি বসু , শ্যামল চক্রবর্তী, সিপিএম, পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম, রেড ভলান্টিয়ারস, শূন্য সংখ্যাটি , বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত ইত্যাদি বিষয়ে আলার্জি থাকলে সাহায্য করবেন না। ত্বকের ও সামগ্রিক শরীরের যত্ন নিন।
৫. আমি সিপিএম-এর সদস্য নই সমর্থক মাত্র তাই ক্যান্টিনে সাহায্য বা চাঁদার ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা চালাতে অক্ষম।
৬. আপনার দেওয়া সাহায্যের তথ্য আমায় ব্যক্তিগত ভাবে জানাবেন, যতটা জানানো সম্ভব, আমি রসিদের দায়িত্ব নেবো। খোলা পাতায় ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।
"৪. জ্যোতি বসু , শ্যামল চক্রবর্তী, সিপিএম, পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম, রেড ভলান্টিয়ারস, শূন্য সংখ্যাটি , বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত ইত্যাদি বিষয়ে আলার্জি থাকলে সাহায্য করবেন না। ত্বকের ও সামগ্রিক শরীরের যত্ন নিন।"
ঔদ্ধত্য দেখে সাহায্য করার ইসসা চলে গেল। সিপিয়েমের ইগোর যত্ন নিন। হেঃ!
৫।
৫।
পছন্দ হল, খুবই। আর তিন নম্বর কমেন্টটাও খুব ভালো।
শ্রমজীবী ক্যান্টিন নিয়ে সুন্দর ও বুদ্ধিদীপ্ত আবেদন ! একজন দেখলাম এই আবেদনেও সিপিয়েমী ইগো খুঁজে পেয়ে সাহায্যের ইচ্ছে ত্যাগ করেছেন । ছলের ছোঁয়া মনে হোলো । সরকারের দায়িত্ব নিজেদের অশক্ত শূন্যে পৌঁছানো কাঁধে সানন্দে তুলে নিতে গেলে এটুকু ইগোর শক্তপোক্ত ভিত তো দরকারই । এটা ঐ নিরানব্বইটা ভুলকে উপেক্ষা করে একটা ঠিক পথে চলার রসদ বলেই মনে করি ।
CPIM HALTU AREA COMMITTEE র ফেসবুক পেজ দেখলে শ্রমজীবি ক্যান্টিনেল কিছু নিয়মিত সংবাদ পেতে পারেন, মানে আদৌ আগ্রহ থাকলে। বলা রইলো।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10157861551167186&id=556282185
#rebuildbengalleft
খাদ্য-পরিস্থিতি( সব চরিত্র কাল্পনিক)
যুদ্ধই বটে। শ্রমজীবি ক্যান্টিন চালানো অন্তত খন্ডযুদ্ধ। শিক্ষা গ্রহণ চলছে।
মোটামুটি গড়ে ৫০০-৬০০ এরকম রানিং রেটে, (ওঠানামা আছে) এতগুলো প্লেট/প্যাকেট খাবার তৈরি হচ্ছে। সকালে শুধু ছাতা কুপন নিচ্ছেন ও দুপুরে ছাতা ও থলিরা আসছেন, কুপনের বিনিময়ে খাবার প্যাকেট হস্তান্তর হচ্ছে। হেঁটে সাইকেলে, অটোতে, স্কুটিতে, ট্যাক্সির সামনের সিটে, য়লা ফেলার ছোট গাড়িতে চেপে
থলে গণ গৃহে , কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন।
তো যে কোনো খন্ডযুদ্ধেও সব কিছুর সঙ্গে একজন শুধু রিপোর্টার ই না একজন বিদূষক ও লাগে , আমার ঐতিহাসিক দায়িত্ত্ব পালন করছি মাত্র, আশা করি কেউ কেস দেবেন না, তবে জেনে রাখুন কি বোর্ড,আলুসেদ্ধ ভাত, জেলুসিল ও বোরোলীন থাকলে বাঙালি কাউকে ভয় পায় না।
১- কমরেড গম্ভীর সংগঠক । ইনি অসম্ভব প্রাজ্ঞ একজন মহিলা, বয়স ১৮ থেকে ২০ মত। হাসিতে বিশ্বাস করেন না। খুব ই ব্যস্ত। ব্যস্ত থাকতেই ভালোবাসেন। পঞ্চাশ একশোটা ছেলে মেয়ে প্রতিজনকে দায়িত্ত্ব ভাগ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, এবং কাজ বুঝে নেবার ক্ষমতা রাখেন। ভুঁড়িওয়ালা বয়স্কদের দেখলেই রেগে যান। কি করব বুঝতে না পারলে তিনতলায় চারবার ওঠেন ও চারবার নামেন। চারটে ওয়ার্ডের মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার কুপন পৌচছে কিনা খেয়াল রাখেন। তাঁর টিমের হাত দিয়ে যা কুপন বিলি হল, প্রতিটি প্যাকেট যাঁরা নিলেন, তাঁদের সুবিধা অসুবিধা দেখেন, খাবার বা প্যাকেট নিয়ে কোন কম্প্লেন থাকলে, নিজে ঠান্ডা মাথায় কথা বলে,সমস্যা সল্ভ করেন, কর্মী দের ফিড ব্যাক দেন।
২- কমরেড পাচক - প্রাক্তন পেশা কৃষি, আপাতত বিভিন্ন কাজ। ষাঠোর্ধ কমরেড, রাত্রে কিচেনে থাকেন ও ভোরে রান্না করেন। যাতে সকালে খাবার ঠান্ডা করে প্যাকেট করার সময় পাওয়া যায়। গামছা ছাড়া আর সমস্ত পোষাক কেই বুর্জোয়া বিলাসিতা মনে করেন। ছেলেমেয়েদের গল্প করা পছন্দ করেন না। গল্প করলেই তাকে সম্ভাব্য বিজেপি,তৃণমূল বা রিপাবলিকান পার্টি বা মোহনবাগান সমর্থক বলে ধরে নেন। মসলার মাপ বলে দেন, বাজারের তালিকা বলেন। পেরিশেবল তরকারী বেশি এনে ফেললে যে কোনো বয়সের যে কোনো কমরেডকে দেড় ঘন্টা বকুনি খেতে হয়। অপচয় অসম্ভব অপছন্দ করেন। খাবার জল নষ্ট করলে তাড়া করেন। অবশ্যই গামছা সহ।
৩-কমরেড প্রসেস অডিটর। কোন একটি শ্রমিক ইউনিয়নের ভেটেরান। হিসেবে ও খাবারের কোয়ালিটি টা নিজে দেখেন। কেউ কাউকে বাঁ হাতে খাবার দিলে বা অযত্ন করে দিলে, যে ভাবে তাকান, তার চেয়ে চড় কষালে কম লাগবে। একটা কুপন কেন আদ্ধেক কুপনের হিসেব না পেলে কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। যত হিসেব পার্টি কর্মীদের বেলায়। এদিকে বিভিন্ন লোক, দাদা তিনটে খাবার নেব, টাকা কম পড়ছে বল্লে, খাবার দিয়ে দেন, সন্ধেবেলায় যে খাতায় লিখে রাখেন তার মাপ দেড় মিলিমিটার বাই দু মিলিমিটার , চালের গায়ে উপন্যাস লেখার ক্ষমতা রাখেন, এবং সমস্ত হিসেবের ছোটোখাটো অমিল নিজে মেটান। যেটা দিনের শেষে প্রায়শঃ ছোটোখাটো থাকে না, লোকে পুরোনো কুপন দিয়ে আজকের খাবার নিয়ে যায়। পয়সাটা ওনার ই যায়। ৭৬৩ টা প্যাকেটের কয়েকটা তে ঠিক পরিমাণ খাবার তোলা হয় নি বলে, ঠিক তরকারি পড়ে নি বলে প্রবন্ধ লিখেছেন ও প্যাকেজিং এর ছেলেটিকে ঝেড়ে কাপড় পরিয়েছেন।
৪-কমরেড সমালোচক, ইনি বিক্ষুব্ধ পার্টি সমর্থক,বিক্ষোভে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। পার্টির সমস্ত স্তরের সমস্ত কমিটির সমস্ত সদস্যের নিয়মিত কড়া সমালোচনা করে থাকেন, প্রতি বাক্যেই গণশক্তি কোট করেন, গণশক্তির চলমান আর্কাইভ । কোনদিন সমালোচনা করতে ভুলে গেলে অন্যেরা মনে করিয়ে দেন, দাদা আজ হয় নি। তিনি ছাড়া আর যারা পার্টি কে সমালোচনা করেন, তাঁদের ও তিনি একই ভাবে নিয়মিত সমালোচনা করেন। তাঁকে নিয়ে উপদল গড়ার সমস্ত প্রচেষ্টাই অতীতে ব্যর্থ হয়েছে। একেবারেই কারো কোন কাজ পছন্দ করেন না, তবে মেয়ের নির্দেশে গুটি গুটি দুপুরে কয়েক প্যাকেট খাবার কিনতে আসেন। তাঁর সমালোচনা করার অধিকার একমাত্র একজন পঞ্চদশ বর্ষীয় বালিকার উপরে কমরেড ঈশ্বর দ্বারা অর্পিত। ঐ হল্ট স্টেশনে বিক্ষুব্ধ ইঞ্জিনের সমস্ত ফোঁস ফাঁস স্তব্ধ।
৫-কমরেড হিসাব রক্ষক, অতীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া অসম্ভব মেধাবী ছাত্র। চিত্রগুপ্তের মতই খাতা থেকে মাথা তোলায় বিশ্বাস করেন না। সামনে অসংখ্য প্যাকেট ও বাটিতে ইনি বিভিন্ন খাতের টাকা গুছিয়ে রাখেন , এবং বাঁদিকে যদি মন্ডল পাড়ার ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের হিসেব থাকে, এবং সেটাকে পাছে কেউ চক্রবর্তী পাড়ার বা দুলে পাড়ার ডানদিকের বাটির কাছে রেখে দেন, সেই নিয়ে শিকারী বাঘের মত সাবধান থাকেন। স্বেছাশ্রম কথাটায় রেগে যান। দায়িত্ত্ব কথাটা পছন্দ করেন। সকাল আট টা থেকে রাত এগারোটা অব্দি হিসেব করেন। এক নয়া পয়সা গলবার উপায় নেই। ছেলেরা বিড়ি সিগারেটের জন্য দিন কুড়ি কান্নাকাটি করেছে শোনা গেছে। কিন্তু কেউ একটি কাঠিও বের করতে পেরেছে এ অপবাদ কেউ দেবে না।
৬-কমরেড প্রগতিশীল ডিলমেকার। ইনি আমাদের স্থানীয় অস্কার শিন্ডলার। মানে ডিল মেকিং এ। মানুষকে আশ্চর্য্য প্রভাবিত করার ক্ষমতা। যে কল মিস্ত্রি কুড়ি হাজার টাকা চেয়েছিলেন, তিনি হয়তো দিনের শেষে এঁর ম্যাজিকে হাসি ও গজগজ মধ্যবর্তী একটা অবস্থায় পাঁচে রাজি। যিনি আলু দিয়েছিলেন ৮০০ টাকা বস্তায়, তিনি হয়তো দু বস্তা এমনি দিয়ে গেলেন। যে বাবুমশাই ভেবেছিলেন, এবারের মত বিপ্লব ৫০০ টাকাতেই সেরে ফেলে ফেসবুকে পোস্ট দিতে পারবেন, তিনি কাঁচুমাচু হয়ে হয়তো পাঁচ হাজার দিয়ে ফেললেন।আমিও ঠিক করেছি, বেশি দুশ্চিন্তা না করে, মায়াময় সংসারের ভার এঁর হাতেই তুলে দেবো, সেদিন বেশি দেরি নেই। রাতে অক্সিজেন, ভোররাতে হাসপাতালের বেড, দুপুরে ডাক্তার কিম্বা আয়া কিম্বা নার্স বা প্লাম্বার , যে কোনো সময়ে মোটামুটি কলকাতায় পাওয়া গেলে যেকোনও ওষুধ এর জন্য ফাইট দিয়ে থাকেন, সফল ও হয়ে থাকেন। পনেরো মিনিট থেকে এক ঘন্টার নোটিসে মিছিল মিটিং এর জন্য সাইকেল থেকে বাইক, অটো, গাড়ি, বাস নামানো এগুলো বড় কিছু না, ভবিষ্যতে ভারতীয় রেল এর বগি ও আনা আশ্চর্য না। বড় রাজনৈতিক দলের ছেলেরা মারামারি করতে এসে চা কচুরি খেয়ে হাসিমুখে বাড়ি গেছে শোনা যায়। আর্বান লেজেন্ড।
৭-কমরেড রাগী যুবক। কাঁপতে কাঁপতে কাজ করেন। জ্বরে না রাগে। কোন বাচালতা পছন্দ করেন না। নেতাগিরি পছন্দ করেন না। গাড়িতে বসেন মাত্র। চালান প্লেন। কোনো প্রোগ্রামে কোনদিন কেউ দেরিতে পৌছতে দেখে নি। হ্যাঁ অসুস্থ অবস্থাতেও না। ফেসবুকে আছেন। পার্টির প্রচার কারা করছেনা একটু আধটু ইন্টু বিন্টুতে বেশি নজর সেদিকে কড়া খেয়াল রাখেন। ইস্টবেঙ্গল কেন বিশ্বকাপ জিতবে এব্যাপারে নিজস্ব পোস্ট কলোনিয়াল ভাবনা আছে।
৮-কমরেড দিওয়ানা কিশোর - ইনি মহিলা দের সঙ্গে আলাপ করার জন্য ফেসবুক করেন না। তবে নেহাত ই আলাপ হয়ে গেলে বাইকে চড়ার সুবিধা হতে পারার জন্য করেন। সংগঠন ও একই কারণে করেন, বাইকে যাতে চড়া যায়। অক্সিজেন ও একই কারণে আনতে যান মধ্যরাতে, যাতে বাইকে চড়া যায়, হাসপাতালেএও রাত কাটান, যাতে বাইকে চড়া যায়। হাসির একটা রোগ আছে। সব সময়েই হাসেন। সবাইকে রাত্রে বাড়ি পৌছে দিতে ভালো বাসেন, কারণ তাতেও বাইকে চড়া যায়। এনার সুবিধার্থেই আমরা বিপ্লব টা হালতু তে না করে বেলঘরিয়ায় করব ঠিক করেছি, কারণ ইনি বাইক ছাড়া বিপ্লবে যোগ দেবেন কিনা, জনা তিরিশেক অসম্ভব বয়স্ক ২১ বছরের বন্ধু সহ, বলা মুশকিল। কম্পিউটার সম্পূর্ণ নিজে নিজে শিখে ফ্যালেন। এক বন্ধুর অকালমৃত্যু ছাড়া তাঁকে কেউ গোমড়া দেখেনি।
৯-কমরেড কমিটি মেম্বর - জীবনে সাধারণ ভাবে অখুশি। কেউ ই ঠিক করে কাজ করছে বলে মনে করেন না। কিন্তু সেটা অন্য কেউ বললে প্রচন্ড রেগে যান, ছোটো রা আর কত করবে বলে চেচামেচি করেন। ডেটায় বিশ্বাস করেন।
কখন কটি ধরনের তরকারী এসেছে, চাল কত আছে, কজন কুপন নিল, ডিস্ট্রিবিউশনে কজন ছিল, তার মধ্যে কজন সংগঠন সদস্য, কজন বন্ধু বান্ধব সমর্থক, কখন কড়াই মাজা হল, কটি নেগেটিভ কটি পজিটিভ ফিড ব্যাক এসেছে , কটি অ্যাকশন আইটেম, কটি তালা দিয়ে কটি দরজা বন্ধ হল, ও কাল প্রথম জন কখন আসবেন ও তার ফোন নাম্বার কি। পারম্পর্য অনুযায়ী কোশ্চেন তৈরি। কমরেড পাচকের টিম চা বিড়ি পাছেন কিনা, চায়ের দোকানে পয়সা বাকি থাকলে কত বাকি। এই প্রশ্নগুলি মোটামুটি জিগ্যেস করা আর উত্তর নোট করা তাঁর কাজ। কিন্তু সব ঠিক হলেও খুশি হওয়া তাঁর কাজ না, কারণ তখন নতুন প্রশ্ন রেডি আছে।
১০-কমরেড চা দোকানী - জীবনে এর প্রশ্ন বেশি নেই। উত্তর ও কম।
প্রশ্ন সমূহ - সিনি সারা না সিনি দিবো? লাল না দুধ ? সিগারেট খাবা না?
উত্তর সমূহ ---টাকা জমা আসে, অহন লাগবো না, বাস্সাগো আমি সিগারেট বেসি না, অন্যে ব্যাসে বেসুক। টাকা জমা নাই দিয়া যাইয়ো, খালি পেটে সা খাইয়ো না, গ্যাসট্রিক হইবো , বিস্কুট খাও, পয়সা লাগবো না। সিগারেট টা সারেন। বৌদিরে কমু?
১১.কমরেড নীরব কর্মী - কথা বলতে পছন্দ করেন না। এলেন, আলো জ্বাললেন, সবকটা ঘরে আলো জ্বলার আগে, চায়ের কেটলি মাজা হয়ে গেছে , চা বসল , আপিসের লোক চা পাবার আগে , সামনের কমরেড লালু ভুলু রা বিস্কুট পেল, সেটা ব্যক্তিগত প্রাত্যহিক পকেটের রাজবাড়ি থেকে, প্রতিটি চেয়ার পাতার পরে ও কেউ বসার আগে মোছা হয়ে গেল, জলের ডিসপেন্সার একবার ধোওয়া হল ইত্যাদি। এখন হয়েছে খাবার প্যাকেটের ক্রেট গুলি গুছোনো, মাঝে মাঝে অফিস স্যানিটাইজ করা, পকেটে মাস্ক রাখা এবং কারো মাস্ক না থাকলে তাকে মাস্ক দেওয়া, বাচ্চা রা বিড়ি খেলে হাতে লাঠি নিয়ে হালকা দেখা দেওয়া, কাটা তরকারি ধোওয়াতে সাহায্য করা। মাঝে মাঝে পরিষ্কার রুমালে টাকের ঘাম মোছা এবং শুধু দৃশ্য হয়ে থাকা। এসবের পেছনে একটাই যুক্তি আছে সম্ভবত- পোটেমকিন জাহাজের ছবিতেও তো আওয়াজ লাগেনি।
১২.কমরেড বয়োজ্যেষ্ঠ - ১৯২৩ এর মীরাট ষড়যন্ত্র মামলার পরে আর কোনো প্রগতিশীল ঘটনা ভারতবর্ষের বুকে ঘটেছে বলে মনে করেন না।
"কি বোর্ড,আলুসেদ্ধ ভাত, জেলুসিল ও বোরোলীন থাকলে বাঙালি কাউকে ভয় পায় না।"
আর অতি অবশ্যই আনন্দমেলা।