এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শ্যামাসুন্দরীর 'জগাই'এবং উনিশ-বিশের গ্রামবাংলা

    gautam roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ নভেম্বর ২০২০ | ১২৯৮ বার পঠিত
  • গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে বেশ একটা সাজো সাজো ব্যাপার স্যাপার বাংলা বছরের শুরু থেকেই থাকে। চন্দননগর মা জগদ্ধাত্রীর মনোপলি একটা সময় পর্যন্ত নিয়ে ধরে রেখেছিল। গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে ঠাকুরণ প্রায় আসতেনই না। শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনের প্রভাবে বাঁকুড়ার জয়রামবাটী তে প্রায় একশো বছর ধরে জগদ্ধাত্রীর বেশ জনপ্রিয়তা। তবে এই জনপ্রিয়তার সঙ্গে ধর্মের মাত্রাতিরিক্ত প্রলেপ মিশে, যে সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলা করতে সারদামণির গর্ভজননী শ্যামাসুন্দরী দেবী, জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেছিলেন, সেই প্রেক্ষিতটি কিন্তু ঢাকা পড়ে গেছে।

    শ্যামাসুন্দরী দেবীর এই জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনের প্রেক্ষিতের ভিতরেই লুকিয়ে আছে, বিশ শতকের সূচনাপর্বে বাংলার সামাজিক পটভূমিকার এক করুণ চিত্র। মা কালীর পুজোর জন্যে কিছু চাল জোগার করেছিলেন শ্যামাসুন্দরী। তাঁদের মা বেটির সংসারে চিরদিনই প্রায় নুন আনতে পান্তা ফুরোতো। আজ যেমন শ্যামাসুন্দরীর কন্যা সারদামণির মূর্তিকে সব সময়ে বেনারসী আর সাতনরী হারে জয়রামবাটীতে ঢেকে রাখা হয়, তাঁর জীবৎকালে, তেমন জীবন তিনি কখনোই যাপন করেন নি। অভাব ছিল শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনাবসানের পর সারদার প্রায় নিত্যসঙ্গী।

    তাই আরাধ্যা কালীর জন্যে যথেষ্ট পরিশ্রম করে, কার্যত অপরের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে চাল জোগার করেছিলেন সারদাজননী শ্যামাসুন্দরী। সেই চাল প্রতিবেশিরা নিলেন না শ্যামাসুন্দরীর কাছ থেকে। মুখ্যত নব মুখার্জী নামক এক শরিকের আপত্তি তেই প্রতিবেশিরা এই কাজটি করলেন।

    কেন নিলেন না, তার কোনো সুস্পষ্ট কারন সারদামণির জীবনীকারেরা বলেন নি। নব মুখার্জীর ভূমিকাটিকে নিছক শরিকি বিবাদ হিশেবে ধরে নেওয়ার কোনো কারন নেই। শরিকি ঈর্ষার আড়ালে কি কোনো সামাজিক প্রেক্ষিত ছিল না শ্যামাসুন্দরীর মেয়ে সারুকে ঘিরে? বামুন ঘরের গাঁয়ের বিধবা।লাল পেড়ে শাড়ি পড়ে।হাতে ডায়মন্ডকাটা বালা পড়ে। সারুর স্বামী, যাঁকে একদিন 'পাগল' অভিধা দিয়ে মেয়েটার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল এই গ্রামবাসীই, সেই শ্রীরামকৃষ্ণের অনুরাগী, যথেষ্ট শিক্ষিত, পয়সাওয়ালা বাড়ির ছেলে, মেয়ে, বৌ ঝিয়েরা তাঁদেরই শরিক রাম মুখুর্জের মেয়ের কাছে আসছে। সামর্থ মতো কলাটা, মুলোটা আনছে। গরিব শ্যমাঠাকুরণ, তার একপাল ছেলে, বৌ, নাতি , নাতনির জন্যে প্রতিবেশির কাছে, হাত পাতছেন না, সারুর অনুগামীদের সহযোগিতায় তাঁদের সংসার আনন্দের হাট। এসব কি প্রতিবেশির, শরিকের সহ্য হয়?

    তবে এর পাশাপাশি পারস্পরিক ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে মনে হয়, সারদামণির যে মানবিক গুণাবলী, এঁদো গ্রাম জয়রামবাটিতে জাতপাতের বিন্যাস, কিছুটা হলেও ধর্মের মৌলবাদী অবস্থানকে এলোমেলো করে দিচ্ছিল, সেটি গ্রামের সমাজপতিরা ঠিক সহ্য করতে পারছিলেন না। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলেও, লোকধর্মের যে পারস্পরিক ধারা, সেটির বিশ্লেষণে বোঝা যায়, রাঢ় বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে একটা সময়ে বৌদ্ধ ধর্মের যথেষ্ট প্রভাব ছিল।

    সেই বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবকে প্রাতিষ্ঠানিক হিন্দু ধর্ম কয়েক শতাব্দীর উত্তুঙ্গ চেষ্টায় গিলে খেতে সক্ষম হয়েছিল। রাঢ়বঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ - সর্বত্রই গৌণ ধর্মের রূপরেখা, যে গৌণ ধর্মের ভিতরে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের কোনো না উপাদান অনেক বিবর্তিত আকারে কখন যে কিভাবে মিলে মিশে গেছে, তা ধর্মের চৌকিদারেরা কখনো মালুমই করতে পারেন নি। সেই বিবর্তনের ধারাতেও ছিল ধর্মের মৌলবাদী প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা। অপরপক্ষে বৌদ্ধধর্মকে গ্রাস করে, বুদ্ধদেবকে হিন্দুধর্মের অবতার হিশেবে দেখানোরও একটা প্রবণতা ছিল। এই প্রবণতাগুলি পূর্ববঙ্গের মতোই রাঢ় বঙ্গেও বামাচারী শাক্ত প্রবণতাকে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করেছিল।

    জয়রামবাটীতে সারদামণির বাড়ি যাওয়ার মুখেই পড়ে যাত্রাসিদ্ধির মন্দির। গ্রাম্যদেবতা হিসেবে এই যাত্রা সিদ্ধির যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। স্বয়ং সারদা দেবী নিজের গাঁ ছেড়ে অন্যত্র বেশি দিন কাটাতে হলে, যাওয়ার আগে যাত্রা সিদ্ধিকে প্রণাম করে তবে বিদেশ বিঁভুইতে যেতেন। লোকসংস্কৃতির গবেষকদের অনুমান, এই যাত্রাসিদ্ধি হলেন বিবর্তিত বৌদ্ধ বিশ্বাসের কোনো লোকায়ত সৃষ্টি। বৌদ্ধধর্মকে গ্রাস করে, যাত্রা সিদ্ধিকে হিন্দু ধর্মের অন্তর্ভূক্ত করে নেওয়া হয়েছিল। তবে যাত্রা সিদ্ধি, সিংহবাহিনী ইত্যাদি লৌকিক দেবতা থাকলেও, লোকায়ত ধারার ধর্মীয় দ্যোতনা যেভাবে অষ্টাদশ শতক থেকেই ক্রমশঃ কোনঠাসা হয়ে, উনিশ শতকে সেই লোকায়ত ধারাকে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম, কোনো ক্ষেত্রে সেই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মৌলবাদী ধারা গ্রাস করেছিল, রাঢ়ের আনাচে কানাচে ও ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল। বৌদ্ধ দেবতারা ক্রমে হিন্দু দেবতায় পরিণত হয়েছেন - লোকসংস্কৃতিবিদেরা তেমনটাই মনে করেন। জয়রামবাটির 'যাত্রাসিদ্ধি' তেমনই এক বিবর্তিত লৌকিক দেবী। অপর ধর্মের দেবতাকে নিজের ধর্মের অন্তর্গত করে নেওয়াটা সমন্বয়ী চেতনার প্রকাশ? নাকি দখলদারির মানসিকতা?

    যদি যাত্রাসিদ্ধির বৌদ্ধ দেবতা থেকে লোকায়ত হিন্দু দেবতাতে পরিণত হওয়ার ঘটনাক্রম কে সমন্বয়ী সংস্কৃতির পরিচায়ক হিশেবে আমরা ধরে নিই, তাহলে সারদাজননীর কালী ঠাকুরের উদ্দেশে জোগার করা চাল না নেওয়ার পিছনে নব মুখার্জীর নেতৃত্বে সে যুগের একাংশের জয়রামবাটীবসীর ভূমিকাকে একটা আঙ্গিকে বিচার করতে হয়। আর যদি সারদামণির মানবিকগুণ, বিশেষ করে জাতধর্ম না দেখে, মাতৃস্নেহে অহিন্দু থেকে শুরু করে নিম্নবর্গীয়কে গ্রহণ করা, যেটি প্রতিক্রিয়াশীল গ্রামবাসীদের একটি অংশের কাছে একাধারে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম এবং জাতপাতের বিচারের নিরিখে ছিল নিন্দনীয়। অপর দিকে, তাঁদের মতো নিম্নবিত্তের ঘরের মেয়েকে শিক্ষিত সমাজ, উদীয়মান মধ্যবিত্ত সমাজ পরমশ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছে, এটা বেশিরভাগ গ্রামবাসীর পক্ষে সেই সময়ে মেনে নেওয়াটা ছিল ভীষণ কঠিন ব্যাপার।

    দেবার্চনার ভিতর দিয়েও প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রতিবাদ, শুনতে অনেকের কাছেই বেশ খটকা লাগলেও, তেমনটাই করেছিলেন সারদাজননী শ্যামাসুন্দরী। প্রথাগত শিক্ষা তাঁর ছিল না। কন্যা সারদা যেভাবে লোকহিতের জন্যে অমৃতকথা শুনিয়েছেন, তেমন নজির শ্যামাসুন্দরী রাখেন নি। তা স্বত্ত্বেও মা কালীর ভোগের জন্যে তাঁর সংগ্রহ করা চাল, গ্রাম্যবিবাদকে সামনে রেখে যে নব মুখার্জীর নেতৃত্বে প্রত্যাখ্যান, আর তার প্রতিবাদের একটা আঙ্গিক হিশেবে, অতিলৌকিক কাহিনির যতোই সংমিশ্রণ থাকুক না কেন, শ্যামাসুন্দরী যে অবস্থান নিয়েছিলেন, উনিশ-বিশের বাংলার সামাজিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল।

    এই পুজোর ধারাবাহিকতা বজায় আছে। তবে এই পুজোটির শুরু করবার ক্ষেত্রে রক্ষণশীলতার প্রতিবাদে একজন অতি সাধারণ গ্রাম্যনারীর নিজের মতো করে রুখে দাঁড়ান, প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করা, তাকে ঘিরে আমাদের সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাসে কখনো এতোটুকু আলোচনা হয় নি। সামাজিক ইতিহাস রচনায় গ্রাম বাংলার অতি সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী যে ভূমিকা রেখেছিল, তা ঘিরে আমাদের ইতিহাসচর্চাকারীদের ভিতরে চিরদিনই কেমন যেন একটা অনীহা কাজ করেছে। সারদামণি কে দেখার ক্ষেত্রে যে আধ্যাত্মিক মানসিকতাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁর সেই আধ্যাত্মিক ভূমিকার সিংহভাগ জুড়ে আছে একটা অনিঃশেষ সামাজিক আবেদন। অথচ সেই আবেদনের দিকটি ঘিরে আলাপ আলোচনা প্রায় হয়ই না।নব মুখার্জী শ্যামাসুন্দরী দেবীর উপর সামাজিক চাপ তৈরি করে ভয়ঙ্কর রকমের যে মানসিক অত্যাচার করেছিলেন, সেই ধারাটি কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদী, উচ্চবর্গীয় মানসিকতারই সমার্থক ছিল।নিজে জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ হয়েও, দক্ষিণেশ্বরে দেবী ভবতারিণীর পূজারীর পত্নী হয়েও, স্বামীর সমন্বয়ী, ধর্মনিরপেক্ষ, পরমতসহিষ্ণু ভাবধারার যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন পত্নী সারদামণি। তাই তিনি যখন নিজের বাপের ভিটেতে জগদ্ধাত্রী পুজোর দায়িত্ব নেন, তখন সেই নব মুখার্জীর উত্তরসূরিরা কম অত্যাচার করে নি গাঁয়ের মেয়ে সারুর উপর।

    সারদার বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোতে জাতবিচারের নিত্তিতে মাপা কড়ায় গন্ধায় হিশেব ছিল না। যেসব তেজোদীপ্ত ভক্তেরা শ্রীরামকৃষ্ণে যোগদান করেছেন, একটি বারের জন্যেও তাঁদের জাতবিচার করা হয় নি। তাই তাঁরা জয়রামবাটীতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে সর্ব অর্থে ছিলেন সারদামণির দক্ষিণহস্ত। এইসব সন্ন্যাসীরা পুজোর প্রসাদ বিতরণ করছেন, সেটা জয়রামবাটির রক্ষণশীল সমাজ মেনে নিতে পারল না। এই না মেনে নেওয়ার পিছনে অবশ্য ই সারদামণির প্রতি ঈর্ষাই ছিল সবথেকে বেশি প্রকট। তা স্বত্ত্বেও যে সারদার প্রতি দুই বাংলার একটা বড় অংশের শিক্ষিত মানুষ ক্রমশঃ শ্রদ্ধান্বীত হচ্ছেন, সেই সারদার জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে রক্ষণশীলতার আকন্ঠ বিষে জর্জরিত গ্রামীন মাতব্বর সমাজ 'অনাচারে' গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে। কি সেই অনাচার? না, তথাকথিত নীচুজাতের মানুষদের দিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্নপ্রসাদ পরিবেশন করাচ্ছেন সারদামণি। গাঁয়ের মাতব্বর রা খাওয়া ছেড়ে উঠে পড়লেন। বিচারসভা বসলো সারদার। জরিমানা হল। বিবাদ এড়াতে, নির্বিঘ্নে পুজো শেষ করতে, গাঁয়ের মাতব্বর দের কাছে জরিমানার টাকা শেষমেশ পাঠাতে হল সারদামণিকে। তারপর সেইসব মোড়লেরা খেলেন। তবে দশজনের তথাকথিত বিচার মেনে নিতে বাধ্য হলেও সারদা কিন্তু সেইসব গাঁয়ের মাতব্বরদের জগদ্ধাথ্রীর অন্নভোগ পরিবেশনে তাঁর সন্তানপ্রতিম তথাকথিত নিম্নবর্গীয় সন্ন্যাসীদের প্রত্যাহার করেন নি। এমনটাই ছিল তাঁর দৃঢ়তা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santosh banerjee | ২৬ নভেম্বর ২০২০ ২২:২৭100685
  • দূর্গা পুজো হয়ে যাবার পর এই জগদ্ধাত্রী পুজো ।...কি কারণ ??দূর্গা আর জগদ্ধাত্রী তো একই দেবতার দুই রূপ !!চার দিন এটাও হয় ।..ওটাও হয় ! সিংহ বাহিনী দুটোই ।..তবে কেন এই দুই বার পুজো করার ঝামেলা ??বুঝিনে বাপু !!  মূর্খ কিনা !!

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন