এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বর্ণবৈষম্য এবং আমেরিকার পলিটিক্স

    S
    অন্যান্য | ০৭ জুন ২০২০ | ১৯৩৩২ বার পঠিত
  • পিনাকিদার নির্দেশে এই লেখা লিখছি। ইতিমধ্যেই মামুর পোস্ট পড়ে গেছে। আমিও সেই পোস্টে দুয়েকটা কথা লিখেছি। তাই ভেবে দেখলাম যে একটু অন্যরকম লেখা প্রয়োজন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2a00:1dc0:caff:111::***:*** | ০৭ জুন ২০২০ ১০:১২731871
  • জর্জ ফ্লয়েডের মারা যাওয়ার চারদিনের মধ্যেও যে কোনও চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল না, সেকথা আমরা ভুলতেই বসেছি। কেন এমন উদাসীনতা? একটা ২০ ডলারের বিল নকল হতে পারার সন্দেহে একজন লোককে অ্যারেস্ট করা যায়, তার গলায় পা দিয়ে তাকে দমবন্ধ করে মারা যায়। জর্জ ফ্লয়েড যখন বলছেন "আই কান্ট ব্রীদ" বা আশে পাশের লোকেরাও অনুরোধ করছে পুলিশকে সংযত হতে, তখন সেসব উপেক্ষা করা যায়। সেই মুহুর্তেই রাস্তার ধারেই জনসমক্ষে জাস্টিস দেখানোর এমন তাড়না। অথচ স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশীট ছিলনা। সেই অফিসারের বিরুদ্ধে এর আগেও প্রচুর কমপ্লেইন ছিল। সব উপেক্ষা করা হয়েছে। কেন?

    তবে এই ঘটনা যে এই প্রথম নয়, সেটা বোধয় আমরা সবাই মনে মনে জানি। এবারে ভিডিও কোয়ালিটি বড্ড ভালো হওয়ার ফলে নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকছে না। প্রচুর চেস্টা করেও স্পীন করা যাচ্ছে না। নইলে এদিক সেদিক বহু অজুহাতে এবং মিথ্যার আড়ালে এই ধরনের বহু কাজকর্ম ধামাচাপা পড়ে যায়। সম্প্রতি একজন পুলিশ অফিসারের কথা শুনলাম যার নামে বিগত সাড়ে তিন বছরে উনাশিটা কমপ্লেইন করা হয়েছে। কিন্তু তার কিচ্ছু হয়নি। কেন?

    সম্প্রতি এক ৭৫ বছর বয়সী প্রতিবাদী লোককে পুলিশ রাস্তার ধারে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পুলিশকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানায় যে সেই ভদ্রলোক নাকি নিজেই ট্রিপ করে পড়ে গেছেন। পরে ভিডিও সামনে এলে পুলিশ যে মিথ্যা কথা বলছে সেটা প্রমাণ হয়ে যায়।

    পীসফুল প্রোটেস্টারদের দুদিক থেকে আটকে রেখে (কেটলিং) পেটানো হয়েছে। প্রোটেস্টারদের জন্য রাখা মেডিকাল কিট, জল ধ্বংস করছে পুলিশ সেসব আমরা দেখেছি। কেন?

    কেন এত হিংসা? কেন ল অ্যান্ড জাস্টিস দেখানোর এত তাড়না যে সেসব করতে গিয়ে পুলিশ নিজেই লোক নিরীহ লোক পিটিয়ে দিচ্ছে?
  • S | 2a00:1dc0:cafe::d6a2:***:*** | ০৭ জুন ২০২০ ১০:২৬731873
  • আবার অন্যদিকে প্রচুর পুলিশ বাহিনী এমন ভাবে সংযত থেকেছে যে প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ থেকেছে। শেরিফ থেকে পুলিশ প্রতিবাদীদের সঙ্গে হেঁটেছেন। পুলিশ সেখানে প্ররোচিত হয়েও শান্ত থেকেছে। সেখানে পুলিশ কমিউনিটিরই অঙ্গ। কমিউনিটিকে প্রতিপক্ষ হিসাবে দেখেনি। পুলিশ কর্তা থেকে রাস্তার পুলিশ যেন প্রতিবাদেরই একজন। প্রতিবাদীরা নিজের দলছুট পুলিশকে ঘিরে ধরে প্রোটেকশান দিয়েছে। সে যেন এক অন্য আমেরিকা।

    আমার এই ছোট্ট শহরেই কালকে রয়েছে একটি প্রতিবাদ জমায়েত। আমার শহর কিন্তু একদম লাল এবং খুবই কনজারভেটিভ। আমার বাড়ি থেকে স্কুল সাড়ে সাত মাইলের রাস্তা। সেই রাস্তায় ৮টা চার্চ পরে। বুঝতেই পারছেন। সেই শহরেও পুলিশ কর্তা বলে দিয়েছেন যে এই প্রতিবাদ যেন শান্তিপূর্ণ থাকে এবং প্রতিবাদীরা যেন সুরক্ষিত থাকে, তার ব্যবস্থা করী হবে।

    অবশ্য এর উল্টে সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হয়েছে যে বাইরে থেকে লোক আসছে। পুলিশ কর্তা সেকথা উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কালকের প্রতিবাদ জমায়েত-সভার উল্টোদিকে বন্দুকধারী ফ্যাসিস্টরা দাঁড়িয়ে থাকবে, সেকথাও একরকম নিশ্চিত।
  • S | 2a00:1dc0:cafe::d6a2:***:*** | ০৭ জুন ২০২০ ১০:৪২731875
  • দেশে ল অ্যান্ড অর্ডার রাখার চেস্টায় আমেরিকার সরকার তার থলে থেকে এইবারে এতরকমের পুলিশ বেড় করেছে, যে সে এক আশ্চর্য্যের ব্যাপার। কয়েকদিন আগে অ্যাটর্নি জেনারাল উইলিয়াম বারের নির্দেশে দেশের রাজধানীতে একদল পুলিশ দেখা গেছে, যাদের নিজস্ব কোনও ব্যাজ, এমব্লেম, ইনসিগনিয়া নেই। লোকে নাম দিয়েছে সিক্রেট পুলিশ। এই পুলিশের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে এদের কাজ নাগরিকদের রক্ষা করা নয়, নাগরিকদের থেকে ফেডারাল সরকারকে রক্ষা করা।

    এর পরেও পুলিশ নিয়ে অনেক কথা লেখা যায়। সেসব ক্ষান্ত দিলাম। কারণ সমস্যাটার মূলে কিন্ত ঠিক পুলিশ নেই। আমেরিকার একদল নাগরিকই চায় যে দেশের নাগরিকদের বিশেষ করে অশ্বেতাঙ্গদের "কন্ট্রোল" করার জন্য সরকার এইধরনের পুলিশি করতেই পারে। অথচ এই লোকগুলই আবার সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ডের সমর্থক। সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ডের বক্তব্য কিন্তু একদম উল্টো - পুলিশ মিলিটারির থেকে নিরপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নাগরিকদের অস্ত্র রাখার অধিকার দেওয়া হয়েছে।

    তাহলে আসল সমস্যাটা ঠিক কোথায়? আসলে এই সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ডের সমর্থন, অতিরিক্ত পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশীর সমর্থন - এসবই এদেশে অশ্বেতাঙ্গদের "কন্ট্রোল" করার একরকম অজুহাত।
  • S | 2620:7:6001::***:*** | ০৭ জুন ২০২০ ১১:১৬731878
  • এবারে আমাদের নিজেদের কথায় একটু আসা যাক। আমেরিকায় ভারতীয় ইমিগ্রান্ট। বললেই প্রচুর উজ্জ্বল মুখ আর নাম সামনে ভীড় করে আসে, সবই ভারতীয়দের এদেশে সাফল্যের প্রমাণ। আইভি লীগ থেকে গ্র‌্যাজুয়েট স্কুল হয়ে সিলিকন ভ্যালি সবেতেই ইন্ডিয়ানদের রমরমা। স্বদেশের পর আবার সেই লিস্টে নাম উঠেছে নাসার। অন্তত ইন্ডিয়ার মিডিয়ার সেরকমই বক্তব্য। আমরাও সেসব ভাবতেই ভালোবাসি। এদেশে হাউডি মোডি হয়। ট্রাম্প বলে মৌডি ইজ আ ফ্রেন্ড। ডোলান্ড ট্রাম্পের জন্য আমেদাবাদের লক্ষাধিক লোক জড় করা হয়। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় কারোর ক্ষমতা নেই এদেশে ইন্ডিয়ানদের নামে কিছু বলে। যারা বলেছে, তাদেরকে দুদিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। তার থেকেও বড় খবর হল ১ ডলার মানে প্রায় ৭৫ টাকা। ভাবা যায়?

    এত সফল অশ্বেতাঙ্গ ভারতীয় ইমিগ্রান্টরা স্পষ্টতই এই সমস্যার কারণ। আমরা কিন্তু সমাধান হতে পারিনি। কালো-লাতিনো কমিউনিটির প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী খুবই নেতিবাচক। এই নিয়ে প্যাট্রিয়ট অ্যাক্টে হাসান মিনহাজের প্রত্যেকটা বক্তব্য সঠিক। আমাদের স্বপ্ন যে আমেরিকান গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড হবে। এখানে আমেরিকান = সাদা। সেটাও বোধয় আমেরিকান ড্রীমেরই অঙ্গ।

    কোনও এক অজানা কারণে আমরা বড্ড সেফ ফীল করি এদেশে। মুসলিম ব্যানের সময় বহু ভারতীয় খুব খুশি হয়েছিল। চীনকে আমেরিকা টাইট দেবে, এই আশায় আমরা বসে আছি। কালো-লাতিনোদের আড়াল করতে পারলেই আমাদের কার্যসিদ্ধি হয়ে যাবে। কারণ সেক্ষেত্রে এক পড়ে থাকি আমরা। তাই নিজেদের অশ্বেতাঙ্গদের মধ্যে কুলীন ভেবে বসে আছি। আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্ট, রেফিউজি, অ্যাসাইলামে আসা লোকেদের উপর আমাদের খুব রাগ। আমাদের মতন যোগ্যতা অর্জন করে আইনত ভিসা করে আসেনি কেন ওরা? অথচ ভারতীয় আইটি কোম্পানিরা যে ভিসা আইন কিধরনের ফ্লাউট করে, ভারতীয় ছাত্ররা যে এখানে হোটেল রেস্টোরাতে ভিসার বাইরেও কাজ করে - সেকথা আমরা ভুলে যাই।

    অথচ একটু চোখ-্কান খোলা রাখলে, ফক্স নিউজ - ব্রাইটবার্টের নীচের কমেন্টগুলো পড়লেই বোঝা যায় যে আমরা আছি অনেকেরই টার্গেটে। এই অযথা সেফ ফীল করার কোনও কারণই নেই। রেসিস্টদের কাছে আমাদের গায়ের রংটাই যথেষ্ট। তারা আমাদের সত্যিই অধমতর মনে করে। হিন্দু-মুসলমান, শিখ-মুসলমান, ইন্ডিয়া-চীন-্পাকিস্তান-ইরান পার্থক্য করেনা। ফলে এমন এক দিন আসবে যখন আমেরিকাতে এক ইন্ডিয়ান ইমিগ্রান্টরাই থাকবে, এমন স্বপ্ন দেখা বন্ধ হোক। আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের পরেই আমাদের নাম আছে লিস্টে।

    যে ঘৃণা থেকে জর্জ ফ্লয়েডকে মারা হয়েছে, যে ঘৃনার প্রতিফলন দেখি হিস্পানিকদের খাঁচায় বন্দি রাখার সময়, সেই একই ঘৃণার স্বাকীর কিন্তু একদিন আমরাও হবে। ভিসা-গ্রীনকার্ড-সিটিজেনশিপ দিয়ে সেই ঘৃণা আটকে রাখা যায় না। জর্জ ফ্লয়েড কিন্তু আমেরিকান বর্ণ সিটিজেন ছিলেন।

    অতেব এই প্রতিবাদ আমাদের সবার প্রতিবাদ।
  • Green card | 185.242.***.*** | ০৭ জুন ২০২০ ১৪:১০731879
  • ১৪ বছরের জর্জ স্টিন্নি জুনিয়র, আমেরিকার সবচেয়ে কনিষ্টতম মৃত্যুদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। হ্যাঁ, মৃত্যুদন্ডের সময় ছেলেটির বয়স ছিলো ১৪। 

    ১৯৪৪ সালের ২৩শে মার্চ ১১ বছরের বেট্টি এবং ৭ বছরের মেরি নামের দুটি শ্বেতাঙ্গ মেয়ে নিঁখোজ হয়। পরেরদিন অর্থাৎ ২৪শে মার্চ জর্জ স্টিন্নির বাড়ির পাশ থেকে ছোট্ট মেয়ে দুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। হাতুড়ি জাতীয় ভারী কিছুর দ্বারা মেয়ে দুটির মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছিলো। এই হত্যাকান্ডের খুনী সন্দেহে পুলিশ জর্জ কে গ্রেপ্তার করে। প্রেপ্তারের কারণ ছিলো বেট্টি ও মেরি ২৩ তারিখ বিকেলবেলা সাইকেল চালিয়ে জর্জের বাড়ির পাশ দিয়ে ফুল কুড়োতে যাওয়ার সময় জর্জকে 'ম্যাপল' এর রাস্তা জিজ্ঞেস করেছিলো। এই কথোপকথনের কারণেই পুলিশ সন্দেহ করে জর্জ স্টিন্নিই তাদের হত্যা করেছে। 

    পুলিশ হেফাজতে জর্জ মোট ৮১ দিন ছিলো। এই ৮১ দিনের ৮০ দিন সে তার মা, বাবার সাথে দেখা করতে পারেনি। কৃষ্ণাঙ্গ যুবক দুজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করেছে, একী কম বড় ব্যাপার? জর্জের মা-বাবাও সামাজিক বয়কটের মুখে পড়ে ছেলের সাথে শেষের ৮০দিন আর দেখা করতে পারেননি।  

    ১৯৪৪র ১৪ই জুন জর্জের বিচার শুরু হয়। মাত্র দুঘন্টার সেই বিচারসভায় সমস্ত শ্বেতাঙ্গ বিচারকদের নিয়ে তৈরি জুরি বোর্ড জর্জকে কোনরকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়নি, জর্জের পক্ষে কোন আইনজীবি, তার মা বাবা কেউ সেখানে উপস্থিত হতে পারেনি। এই বিচারপর্বে জর্জ স্টিন্নি কেবল একটি বাইবেল হাতে বার বার বলেছে সে নির্দোষ। জুরি বোর্ডের সদস্যরা তার কোন কথায় কর্ণপাত না করে তাকে বেট্টি ও মেরির হত্যাকান্ডে দোষী সাব্যস্ত করে ইলেকট্রিক চেয়ারে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেন।

    আদালতের এই রায়ের পর জর্জের পরিবার, তার মা বাবা, কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের জন্য তৈরি সংগঠন ছেলেটির বয়স মাথায় রেখে সেখানকার গভর্নরের কাছে মৃত্যুদন্ড রদের আবেদন করলে গভর্নর জনস্টন জানান 
    "আপনারা ওর প্রাণভিক্ষা করছেন? আপনারা জানেন না ও কী বিভৎস অন্যায় করেছে। বড়ো মেয়েটি ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ও ছোট মেয়েটির হত্যা করে, কিন্তু বড় মেয়েটি সুযোগ না দেওয়ায় তাকেও হত্যা করে। এরপর মৃতদেহের সাথেই সঙ্গমে লিপ্ত হয়। প্রথমবার মৃত দেহটিকে ধর্ষণের ২০ মিনিট পর পুনরায় ফিরে এসে ও আবার ধর্ষণের চেষ্টা করতে যায় কিন্তু মেয়েটির দেহ খুব ঠান্ডা হওয়ায় আর ধর্ষণ করতে পারেনি। এই জঘন্য অপরাধের কোন ক্ষমা হয় না" 

    ১৬ই জুন সন্ধ্যে ৭টা ২৫ এ জর্জকে সেল থেকে বের করে তার বাবার সাথে দেখা করানো হয়। তারপর জর্জকে ইলেকট্রিক চেয়ার বসানো হয়। ৫ ফুট ১ ইঞ্চির ছোট্ট অসহায় মানুষটার হাত বাঁধা হয় চেয়ারের সাথে, ইলেকট্রিক হেলমেট মাথায় পড়াতেই জর্জ কান্নায় ভেঙে পড়ে আবার বলে 'আমি নির্দোষ'। এরপর জর্জের মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে ৭.৩০ এ ৫৩৪০ ভোল্টের ইলেকট্রক চার্জ করা হয় দুর্ভাগা কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরটি উপর। ৮ মিনিট পর জর্জকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তখন তার দাঁত গুলো ধোঁয়া হয়ে গেছে, চোখের কোন চিহ্ন নেই, গোটা শরীরটাই প্রায় ছাই সমান। 

    এই ঘটনার ঠিক ৬০ বছর পর  ২০০৪ সালে পুরো কেস স্টাডি করে নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি স্কুল ওফ ল এর একদল আইনজীবি এই কেস পুনরায় রি-ওপেন করেন। ২০০৪-২০১৪ দীর্ঘ দশ বছর কেস চলার পর ২০১৪ সালে বিচারকদের জুরি বোর্ড ঘোষণা করেন জর্জ স্টিন্নি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের উল্লেখযোগ্য কোন প্রমাণ নেই। ঠিক যেমন তার ধর্ষণ করার সপক্ষেও পুলিশের কাছে কোন প্রমাণ নেই। 

    মারা যাওয়ার ৭০ বছর পর জর্জ স্টিন্নি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আর একবার প্রমাণ করে দিয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ অবধি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতেই কাঁদে চিরদিন ………

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:ed16:4607:51a0:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১০:২৫731886
  • Sএর লেখাটা পড়ছি, প্রাসঙ্গিক, গুরুত্ত্বপূর্ণ, ভালো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষন ইত্যাদি।

    তবে একটা জিনিস মনে হচ্ছে, রেসিজমের শিকার বাদামীদের টুকটাক হতে তো হয়ই এবং হয়তো সেটা বাড়বেও, সারা পৃথিবীরই যা অভিমুখ।

    কিন্তু সেটা অ্যান্টিকালো মনোভাবের লেভেলে কখনোঅই যাবে না - তার একটা বড় কারন বাদামীদের হাতে টাকা কড়ি অনেক বেশি, এবং বৃহত্তর অংশই (ভুলও হতে পারে, নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেখিনি) সুপ্রতিষ্ঠিত।
    দাসত্বের ব্যাগেজটাও নেই।

    থ্রেট থাকলে সেই থ্রেটের চরিত্র রেসিস্ট এর থেকে অ্যান্টি সেমেটিক ধরনের হতে পারে বেশি।

    বাদামীদের মধ্যেও আবার ভারতীয়দের মত অত এইচ ওয়ান বি-র বিপরীতে বাংলাদেশ পাকিস্তান নেপাল থেকে আরো অন্য কিরকম যেন ভিসা মনে নেই; তারপর আছেন আফগান, রোহিঙ্গা রিফিউজি ও অ্যাসাইলিরা, যাঁরা এসে সরকার ও বিভিন্ন নন প্রফিটের সাহায্যে একটা শুরু করার জায়গা পান।

    তো, কালোদের সঙ্গে অনেকটাই তফাৎ।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::732:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১১:১০731887
  • আমার মত এখানে একটু আলাদা। এই মুহুর্তে হয়তো ইন্ডিয়ানরা রিলেটিভলি অনেক সেফ রিলেটিভ টু অন্য পার্সন অব কালারদের গ্রুপগুলো থেকে। ঐ যে কারণগুলো বললেন। তার সঙ্গে আরো একটা কারণ আছে - সেটা হল নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার বা অন্য দেশে মুভ করার অপশান। সেটা বেস্ট না হলেও খুব খারাপও না। সেটা এদেশে থাকা কালোদের পক্ষে বা রিফিউজি, অ্যাসাইলামে আসা লোকেদের পক্ষে সম্ভবই না।

    কিন্তু ইন্ডিয়ানরা স্পষ্টতই টার্গেটে আছে। ইল্লিগাল ইমিগ্র‌্যান্টদের নিয়ে হোয়াইট ন্যাশনালিস্টরা যতটা চিন্তিত, লিগাল ইমিগ্রেশান নিয়েও কম চিন্তিত নয়। কারণ আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টরা হয়ত সিটিজেনশিপ পাবেনা, কিন্তু লিগাল ইমিগ্রান্টরা ভোটার লিস্টে নাম ওঠালে মুশকিল আছে। হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্টদের আসল ভয় হল যে আমেরিকাতে তারা মাইনরিটি হয়ে পড়বে, এবং তখন হোয়াইট প্রিভিলেজ আর থাকবেনা। সেটার কারণেই ওদের বক্তব্য আমেরিকাতে কয়েক দশকের জন্য ইমিগ্রেশান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাক। এসব কথাবার্তা মাঝেমধ্যেই ব্রাইটবার্টে কমেন্ট সেকশানে পেয়ে যাবেন। তারপর ইন্ডিয়ানদের নিয়ে আরো অনেক বক্তব্য আসে - সেগুলো থেকে বোঝা যায় যে ওরা ইন্ডিয়ানদের নিয়েও ভাবছে। কি করে এই ফ্লো বন্ধ করা যায় ইত্যাদি।

    এবং আমার মনে হয়েছে যে অনেকেরই কিন্তু আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের নিয়ে তেমন আপত্তি নেই। কারণ পেটি, মেনিয়াল লেবারের জন্য ওদের প্রয়োজন। কিন্তু যেটা চায় না, সেটা হল আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের বা তাদের সন্তানদের রেকগনিশান। তাহলে আর মিনিমাম ওয়েজের কমে কাজ করিয়ে জেনারেশান্স ধরে এক্সপ্লয়েট করা যাবে না। উল্টে পরের প্রজন্ম পড়াশুনা করবে, ভালো চাকরি করবে, অনেকে ঈর্ষনীয় উন্নতি করবে, ভোট দেবে (কোন পার্টিকে সেটা বুঝতেই পারছেন)। সেটা হলে অনেকেরই এখানে বড্ড অসুবিধা।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1f8:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১১:১৮731888
  • এটা ঠিক যে ইমিগ্রান্টদের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি করা হয়। তুমি তো এখানে পড়াশুনা করে কত ভালো কাজ করছ, ওরা সব রিফিউজি-অ্যাসাইলাম। তুমি তো তাও লিগালি এসেছো, ওরা সব ইল্লিগালি ঢুকেছে এই দেশে। তোমরা তো এই কন্টিনেন্টের লোক, ওরা অচেনা কালচার থেকে এসেছে। তোমরা তো আমাদের অ্যালাই, ওদের মধ্যে কে কে টেররিস্ট কে জানে। তোমরা তো ক্রিস্চান, ওরা তো অন্য ধর্মের। তোমরা তো হার্ডওয়ার্কিং, ওরা তো অলস। এই ধরনের বক্তব্যের রকমফের মাঝে মধ্যেই শোনা যায়, এবং এগুলো শুনতে আমাদের বেশ ভালই লাগে। অনেকে ফাঁদে পাও দেয়। নইলে আফ্রিকান-হিস্পানিকদের মধ্যে এত লোক ট্রাম্পকে ভোট দেয়।
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:ed16:4607:51a0:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১১:৪১731889
  • হ্যাঁ, ইমিগ্রেশন বন্ধ করার ইচ্ছে, এবং সেফটির সেন্সটা সাময়িক, তাতে একমত।

    একটা জিনিস নিয়ে আমি কৌতুহলী, সাদা সুপ্রিমেসিস্ট আমেরিকায় কত লোক? মানে ট্রাম্প বিপুল ভোটে জিতেছে ঠিকই, কিন্তু এখনকার প্রতিবাদেও যেমন বড় সংখ্যায় সাদা লোকও আছে, বা অনেক জায়গাতেই পুলিশদের প্রতিক্রিয়া, তাতে মনে হয় আমাদের দেশে যেমন একটা প্রায় সর্বব্যাপী বিদ্বেষ এবং যেকোন ঘৃণা, বাইগট্রি সাদরে গ্রহন করার ব্যাপার, সেরকমটা ঠিক নয়।
    আমেরিকায় যেমন দেখছি, এমনকি কর্পোরেটগুলিও ততটাও প্রচ্ছন্ন নয় এমন সহানুভূতিপূর্ণ বিবৃতি দিচ্ছে

    আরেকটা জিনিস হলো, এই যে অ্যাপারেন্ট নিরাপত্তার সেন্সটা, এইটা অনেকটাই বিশেষ করে ভারতীয়দের অ্যাসিমিলেশনের অভাবজনিত। আমি আমার বিরাদরী এবং কর্মক্ষেত্রে পলিটিকেলি সঠিক হতে দায়বদ্ধ কিছু সহকর্মীকে পরিচিত হিসেবে পাচ্ছি, তাই অন্যত্র বিরাগের চোরাস্রোতটা বুঝতে পারছি না।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::746:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১২:১২731890
  • হ্যাঁ ইন্ডিয়ানদের অ্যাসিমিলেশান এদেশে খুব কম। একটা কারণ পপুলেশানের খুব কম শতাংশ ইন্ডিয়ান। তাছাড়া আমেরিকাতে মোটামুটি বিগত তিন চার দশকের আগে সেরকম ইন্ডিয়ান ছিলও না। তার উপর আমেরিকার বর্তমান কালচারের সঙ্গে আমাদের তেমন মিল মিশ কিছু নেই। কোল্ড ওয়ারের একটা হ্যাঙ্গোভার এখনও দুদিকেই আছে। এইসব মিলে ইন্ডিয়ানদের ক্লাস রুম, কিউবিকাল, টুরিস্ট স্পটের বাইরে তেমন দেখা যায় না। তবে অ্যাসিমিলেশান বাড়ছে। দেখা যাক।

    ট্রাম্পের ইলেকশানে জেতাটা খুব আশ্চর্যের কিছু না। প্রথমত ট্রাম্প ভোট কম পেয়েছিল। কিন্তু তারপরেও হোয়াইটদের মধ্যে প্রচুর সাপোর্ট। বিশেষ করে বয়স্ক, পুরুষ, রুরাল, কলেজ না যাওয়াদের মধ্যে। আমরা যেসব সাদাদের এইসব র‌্যালিতে দেখছি তারা বেশিরভাগ ইয়ং, আর্বান, কলেজ গ্র‌্যাজুয়েট। এরা অনেকে ইলেকশানে ভোটও দেয়্না। কেউ কেউ লিবারেটেরিয়ান। অনেকে ট্রাম্পকে ভোট না দিলেও ডেমকেও দেবেনা। অনেকেই ট্রাম্পকেই শেষমেষ ভোট দেবে। তখন অন্য কোনও কারণ দেখাবে - আগেরবার ওবামাকেয়ার দেখিয়েছিল, এবারে ইকনমি দেখিয়ে দেবে।

    গতবারের প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনের একটা সার্ভে ডেটা বলছে যে কলেজ ডিগ্রী ওয়ালা সাদা ভোটার ৪৪%। এদের ২/৩ ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিল। আমার ধারণা বেশ কিছু সুইঙ্গ স্টেটে এই দুটো সংখ্যাই কিছুটা বেশি, তাতে ট্রাম্পের লাভ হয়। এছাড়াও আগের ইলেকশানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। কালোদের মধ্যে ভোটার টার্ণাউট কম ছিল। এছাড়া ইলেকশানে ননহোয়াইটদের ভোটিং ব্যারিয়ার এবং তাদের ভোটের পার্জিং অনেক বেশি।

    এইযে ট্রাম্প ইল্লিগাল ভোটিং নিয়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছে, যেটা নিয়ে টুইটারের সঙ্গে গন্ডগোল বাঁধলো, এটা কিন্তু প্ল্যান মাফিক। এটার মানে হল তিনটেঃ ১) নন হোয়াইটদের যেন সহজে ভোট দিতে না দেওয়া হয়, ২) এদেরকে আগেই না জানিয়ে রোল থেকে পার্জ করে দেওয়া হবে, ৩) ভোটে হারলেও যেন ফ্রডের অজুহাতে ট্রাম্পকে অফিস থেকে সড়তে না হয়।
  • sm | 2402:3a80:a1f:85d4:0:56:2d19:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১২:১৬731892
  • সব দোষ তো ট্রাম্পের ঘাড়ে চালালে চলবে না।বর্ণবাদ হলো আমেরিকার রাজনীতির মেরুদন্ড।ব্ল্যাক দের পার্সেন্টেজ 14শতাংশ।হিসপ্যানিক দের এর থেকে বেশী।কেন?

    গত কয়েক দশক ধরে এদের ঢোকানো হয়েছে।ইচ্ছে করেই।মূলত ইলিগ্যাল উপায়ে।

    এটা করে এক ঢিলে তিন পাখি শিকার করার চেষ্টা চলেছে।ইলিগ্যাল উপায়ে এলে,কম পয়সায় লেবার পাওয়া যাবে।দুই,সমস্ত রকম অত্যাচার,শোষণ মুখ বুজে সইবে কিন্তু প্রতিবাদ কম করবে।তিন,কালো দের থেকে সংখ্যায় বেশি হলে মাঝামাঝি বাফার এর কাজ করবে।

    মনে রাখতে হবে,দিনের শেষে হিসপ্যানিক গণ নিজেদের কালো অপেক্ষা বর্ন শ্রেষ্ট মনে করিবে।

    আর রেসিস্ট!সেটা তো সুপ্ত অাগ্নেয়োগিরি।সময় মতো জাগিয়ে তুললেই হলো।কে না নিজেকে শ্রেষ্ট তর ভাবতে চায়। অনেক টা আমাদের দেশের বর্ন বাদের মতন ব্যাপার আর কি!

    যে প্রশ্ন টা ঘুরে ফিরে আসছে, তা হলো,এরা মিটিং মিছিল এর নামে ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মানছে না কেন? একটা সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হলেই,আন্দোলন করি দের দিকে সঙ্গত কারণেই ট্রাম্প সরকার আঙুল তুলবে।

    আর লুঠ পাঠের ঘটনা যতো বেশি দেখাবে,সহানুভূতি ততো কমে আসবে। এ আমাদের দেশ না।বাস, ট্রেন ক্ষতি করলেও লোকজন কিছু মাইন্ড করে না।এ হলো, আমেরিকা।এখানে প্রথম ও শেষ কথা হলো,ট্যাক্স পেয়ার মানি।

    অর্থাৎ সরকারী সম্পত্তি নয়।ট্যাক্স পেয়ার মানি !!! বাবা রে বাবা!!ক্ষতি হলে,তখন যুক্তি বোধ উড়ে যায়।

  • Dipanjan | ০৮ জুন ২০২০ ১২:৪৮731894
  • "গতবারের প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনের একটা সার্ভে ডেটা বলছে যে কলেজ ডিগ্রী ওয়ালা সাদা ভোটার ৪৪%। এদের ২/৩ ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিল।" - কলেজ ডিগ্রি ছাড়া সাদা বলতে চেয়েছিলেন ? কলেজ ডিগ্রি ওয়ালা সাদাদের মধ্যে ট্রাম্পের মার্জিন কম ছিল - 4 পয়েন্ট গ্যাপ মাত্র | কলেজ ডিগ্রি ছাড়া সাদাদের মধ্যে 39 পয়েন্ট গ্যাপ - ২/৩ ভোট |
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:ed16:4607:51a0:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৩:২৫731896
  • রেসিজমের ধরন বা ধারনাও নানান রকম গোলমেলে, পুরনো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞ্তা মনে পড়লো।

    অ্যাপার্টমেন্ট থাকি, প্রপার্টিতে ভারতীয়ও অনেক, তাঁদের বেশিরভাগ এদেশে আছে খুব বেশি বছর হয়নি; শুধু বর্ষীয়ান সুখদীপজি আশির দশকের শেষে এসেছেন, কি একটা সামাজিক সহায়তা ধরনের ব্যাপারে কাজ করেন, আন্ডারপ্রিভিলেজড আমেরিকানদের মধ্যে কাজ, খুবই এমপ্যাথেটিক সিনিয়ার ভদ্রমহিলা, নবতিপর শ্বশুরমশাইও ওঁদের সঙ্গে থাকেন, সাতচল্লিশের দাঙ্গা, দিল্লির দাঙ্গা দেখেছেন, হিংসার মূল্য জানেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা মাঝে মাঝে পঁচিশ মাইল দূরে এক চার্চে স্যুপ কিচেনে ভলান্টিয়ার করতে যাই - আমেরিকান জীবন চেনার আগ্রহ সবার মধ্যেই। তখনো মোদিঢেউ আসেনি, দেশোয়ালি সামাজিক জমায়েতে ঝগড়াঝাটি কমঃ)।

    এর বাইরে সাদা কালো লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা হাই হ্যালোর বাইরে বিশেষ নেই, এমনিতেও আমাদের বাচ্চারা প্রপার্টির মধ্যে খেলে বেড়ায়, রাত এগারোটায় ঘুমোতে যায়, আরা আমেরিকান বাচ্চারা ধরাচূড়া পরে ফর্মাল খেলাধূলা করে, রাত আটটার মধ্যে দিন শেষ, তো জীবনযাত্রায় এত ফারাক, প্রাচীন দুচারজন বাদে আমাদের অফিস আর বাচ্চাদের বন্ধুদের মা বাবা নিয়েই সমাজ।

    তো পাশের বাড়িতে একটি কালো ফ্যামিলি এলো, মেয়ের তখন আড়াই বছর বয়েস, ওঁদের দুটো ছেলে, ছোটটি ঐরকম। বড়টিও বেশি বড় নয়। ওরাও এরকমই প্রপার্টিতে খেলে বেড়ায়, কিন্তু মা বাবাদের সুপারভিশন ছাড়া, যেটা আমাদের জন্যে একটু অড, এত ছোট বাচ্চাদের জন্যে। মাঝে মাঝে টের পাওয়া যায় বাচ্চাগুলোকে মা পেটাচ্ছে, ঐটাও অড, তা সে যাক। একদিন ছোট ছেলেটি খেলার মাঠে মেয়ের সঙ্গে আলাপ করে আমাদের বাড়ি এলো, এগেন, অড, কারন অত ছোট বাচ্চা, কারো বাড়িতে চলে এল, মা বাবা জানে না, তা সে ভাবলাম ঠিক আছে কনফিডেন্ট আমেরিকান অভিভাবক, হবে হয়তো। তারপর তার দাদাকেও নিয়ে এল, কদিন ওরকম আসা যাওয়া চললো; কিন্তু তারপর দেখা গেল খেলতে এসে খেলনাপাতি নিয়ে চলে যাওয়া তেমন কিছু না, মানে এইটা অনেক সময়ই হয়, অত ছোট বাচ্চারা তো আর আমার তোমার বোঝে না, কিন্তু সাধারনত মা বাবা ইন্টারভেন করে, বোঝায়, ফেরত পাঠায়, এখানে সেরকম কোন ব্যাপার নেই। তাও নাহয় গেল। কিন্তু একদিন আবিষ্কার হলো ভ্রাতৃদ্বয় অলরেডি এফ ওয়ার্ড ইত্যাদি শিখে নিয়েছে, এবং ওদের জ্ঞানভান্ডারে আরো বিবিধ রতন আছে। তখন ওদের এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

    এইবার কথা হলো, এইটা কালো বলে নয়, রং নির্বিশেষে এইরকমই হতো, খারাপ ইন্ফ্লুয়েন্স নিয়ে মা বাবারা সতর্ক হয়েই থাকে। কিন্তু যাঁরা বহুদিন ধরে নানান রকম অবমাননার শিকার হয়েছেন, তাঁদের কাছে এইটা সহজ নয়। এই এড়িয়ে যাওয়া, জানিনা ওদের মা বাবা লক্ষ্য করেছিলো কিনা, কিন্তু করে থাকলে এই ধারনা করে নেওয়া খুব স্বাভাবিক যে আমরা কালো বলে আমাদের এড়িয়ে যাচ্ছে এরা। কিন্তু এর আগে পরেও আমরা কালো প্রতিবেশি পেয়েছি এবং তাঁদের সঙ্গে সদ্ভাবের কোন ঘাটতি হয়নি।

    আটলান্টায় কালো প্রতিবেশিনী মেয়েকে কাছের পাবলিক স্কুল ছাড়িয়ে দিল, বলেছিল দেখবে, হোমরুমের পোস্টে কালো বাচ্চাদের ছবি থাকে না। ঐটা শুনে লক্ষ্য করে মনে হলো, জানি না আপতিক কিনা, আগে বলা ঘটনার মতই কার্যকারন কিনা, কিন্তু এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলা যায় না। এদিকে মেয়ের ক্লাসটিচারও কালো, গত বছরের সেরা শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন, ওঁর ক্লাসে সুযোগ পাওয়ার জন্যে অন্তত ভারতীয় মা বাবারা উদগ্রীব।

    তো ঐ আরকি, বিদ্বেষ, ঘৃণার পেরিফেরিতে এইসব জটিল ব্যাপারও।
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:ed16:4607:51a0:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৩:৩৭731898
  • ওহো আড়াই না, প্রিস্কুল তখন, ঐ বাড়িতে আমরা গেলামই মেয়ের তিন বছর বয়সে, ঐ সময় চার হবে।
    কি বিচ্ছিরি ভুল।
  • S | 69.146.***.*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৩:৪৯731899
  • হ্যাঁ এগুলো খুবই সেনসিটিভ ব্যাপার স্যাপার। তাই একটু অতিরিক্ত সচেতন থাকতেই হয়। একদিন দোকানে গেছি। ক্যাশ কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছি। আরেকজনের পরেই আমি। অন্য কাউন্টারে দাঁড়ানো একজন কালো লোক বললেন আমার কাউন্টারে আসো। আমি বললাম না দরকার নেই, এখানেই তো হয়ে যাবে। মুখ দেখে বুঝলাম খুশি হয়নি। তখন কারণটা বুঝিনি। বুঝতে সময় লেগেছিল।

    তবে এই এফ-ওয়ার্ড ব্যবহার করার বা বাচ্চা মানুষ করার পদ্ধতি এগুলোর সঙ্গে ইকনমিক ডেভালাপমেন্ট জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের দেশেই ফ্ল্যাটের লোকেদের বস্তিতে আর বস্তির লোকেদের ফ্ল্যাটে রেখে দেখুন (মানে ইকনমিক কন্ডিশান পাল্টিয়ে), দুমাসে ধরণ ধারণ বদলে যাবে। আর এখানে তো কয়েকশো বছরের লেগাসি। সিস্টেমের মধ্যেই সমস্যা।

    একজন লোক পুলিশে বা এজির অফিসে কাজ পাচ্ছে। ডেটা খুলে দেখছে যে কালোদের মধ্যে কনভিক্ট এবং কনভিক্টদের মধ্যে কালোদের রেশিও বেশি। ফলে সেও সেইরকমই মানসিকতা নিয়ে পুলিশ হচ্ছে। কালোরা বেশি অ্যারেস্ট হচ্ছে। একই ক্রাইমের জন্য একজন কালোকে অ্যারেস্ট করার সম্ভাবনা বেশি, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি, কালোদের অর্থনৈতীক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ভালো উকিলও পাবেনা - ফলে কনভিক্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বহুগুন বেশি। এটা অফিসারও জানে - ফলে একজন সাদাকে অ্যারেস্ট করার সময় অনেক বেশি সতর্ক। তারউপরে জাজ থেকে জুড়ি সবাই কি করে সেতো আমরাও জানি। এতকিছুর প্রোবাবিলিটি কম্পাউন্ড করতে করতে একই ক্রাইমে একজন সাদা আর একজন কালোর কনভিক্ট হওয়ার সম্ভাবনায় বিশাল পার্থক্য এসে যায়। যার প্রতিফলন ঐ ডেটা। আর ঐ ডেটা ব্যবহার করেই পুরো ল এনফোর্সমেন্ট আর জাস্টিস সিস্টেম ডিজাইন করা হচ্ছে। যেখান থেকে আপনি আবার এই প্যারাগ্রাফের প্রথমে চলে যান।
  • sm | 2402:3a80:a1f:85d4:0:56:2d19:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৩:৫৫731900
  • কিন্তু এফ ওয়ার্ড ব্যবহার করলে অসুবিধে কি? এ ফ ওয়ার্ড ব্যবহার করলে কেন মিশতে নেই?

  • sm | 2402:3a80:a1f:85d4:0:56:2d19:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৪:০০731901
  • আমাদের দেশে গ্রামে প্রচুর গরীব মানুষ থাকে।হত দরিদ্র। ফর্মাল শিক্ষা বেশি পায় না। আর্থিক সঙ্গতি কম।অপরাধ করলে উকিলের পয়সা দিতে পারবে না।

    পুলিশ কি এঁদের প্রচুর অত্যাচার করে।সময় অসময়ে মেরে ফেলে? এঁরা নিজেরা কি খুব বেশি করেন জড়িয়ে পড়ে?

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:ed16:4607:51a0:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৪:২৮731903
  • "কিন্তু এফ ওয়ার্ড ব্যবহার করলে অসুবিধে কি? এ ফ ওয়ার্ড ব্যবহার করলে কেন মিশতে নেই?" - না, অসুবিধে আর কী। তবে একটা ছোট বাচ্চা খিস্তি দেবে, এইটা সুবিধের ব্যাপার মনে হয় না আরকি। মধ্যবিত্ত মানসিকতা হবে হয়তো।

    আমাদের দেশে গরীব মানুষকে পুলিশ কি করে। লকডাউনের বাজারে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতে বা রাস্তায় হামাগুড়ি দেওয়াতে দেখা গেছে। ডিজইনফেকটেন্ট স্প্রে করেছে - ওরা অবশ্য পুলিশ নয় বোধয়।
  • sm | 2402:3a80:a1f:85d4:0:56:2d19:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৪:৪০731904
  • আরে না ,না।এরকম ন্যাকা ন্যাকা প্রশ্ন বড় এস প্রায়শই করে থাকে বলে করলাম আর কি!

    এই যেমন কিছুদিন আগে প্রবল তর্ক হয়েছিল,প্রাইম টাইমে দৃষ্টিকটূ ভাবে কনডমের এড দেখায় বলে আপত্তি জানিয়েছিলাম। অনেক সময় বাচ্চারা উপস্থিত থাকে।

    তা,এমনি কিছু নিরীহ প্রশ্ন এসেছিল।কেন দেখাতে পারবে না?বাচ্চারা দেখলে অসুবিধে কি? ইত্যাদি প্রভৃতি।

    আবার মজা দেখুন, বস্তি তে দুমাস থাকলেই নাকি ফ্ল্যাট এর ছেলে পিলে,বাজে কথা শিখে যাবে।বাজে অভ্যেস রপ্ত করে ফেলবে।মানে কি না,বস্তি মানেই এইসব চলে,প্রী ফিক্সড আইডিয়া।

    গ্রামের কথা উল্লেখ করলাম,কারণ হত দরিদ্র গ্রাম বাসীরাও অধিকাংশই নিরুপদ্রব জীবন যাপন করে।খুব দরিদ্র হলেও,বিশেষ কোন অপরাধ মূলক কাজ কর্মে জড়িয়ে পড়ে না।দরিদ্র কে নিজের সঙ্গী ভেবে চালিয়ে নে য়।

    আপনি যে গুলো উদাহরণ দেখলেন,সেগুলো অধিকাংশই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত।

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:b9b9:ccd0:757a:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৬:০১731906
  • দারিদ্রকে সঙ্গী ভেবে, অপ্রেসনকে ভবিতব্য ভেবে, বঞ্চনাকে অদৃষ্ট ভেবে, দুর্দশাকে পূর্বজন্মের পাপ ভেবে চালিয়ে তো নেয় ঠিকই অনেকে। চালিয়ে যে নেয় তাতে কোন দ্বিমত নেই।
  • বিগত দিন | 46.36.***.*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৬:০৪731907

  • আলোচনার মূল সূত্রে ফিরতে গেলে ভেবে দেখতে হয় রেসিজম এর গ্রোথ প্যাটার্ন কী আধুনিক বিশ্বে । প্রত্যক্ষ পরোক্ষ দুটো ব্যাপার ই থাকে 

    একী এমনিই হয় নাকি ? ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রত্যক্ষ কারণ ভাইরাস কিন্তু আপনি খালি গায়ে শীতের রাতে ঘুরে বেড়ালে , সেটাও কিন্তু একটা কারন । ওপেন মার্কেটের চেয়ে বড়ো শত্রু এই মুহূর্তে কেও নেই নেশন গুলোর কাছে । লিবারাল ইমিগ্রেশন পলিসি থেকে শুরু করে চীপ লেবার পাওয়ার লোভ , এগুলোকে আমরা দিনের পর দিন পুশ করি , করবোও । কিন্তু এর সাঈদ এফেক্ট জাস্ট চোখ  বুজে  থাকলেই বন্ধ হয়ে যাবে এমন নয় । ইটস আ ফ্যাক্ট দ্যাট আ পাওয়ারফুল মার্কেট ফোর্সেস মালটাকালচালিস্ম । যে ফোর্সটা নরমাল কোর্স এ , মানুষ যেভাবে ধীরে ধীরে একে ওপরের সঙ্গে সোশ্যাল এন্ড ইকোনোমিক স্পেস শেয়ার করে সেভাবে আসেনা । এটা একটা বাইরে থেকে তৈরী করা এক্সট্রা ফোর্স । মানুষকে দ্রুত সিভিলাইস্ড থুড়ি মার্কেট ফ্রেন্ডলি করার চেষ্টা । ইট ওয়র্কস বাট উইথ লট অফ সাইড এফেক্টস । রেসিজম যে সমাজে খুশখুশে কাশির মতো আগে থেকেই ছিল বা থিতিয়ে এসেছিলো , সেটাকেই বাড়িয়ে কয়েক শো হাজার গুন্ করে দেয় । 

  • sm | 2402:3a80:a1f:85d4:0:56:2d19:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৬:১১731909
  • দারিদ্র্য সহনশক্তি বাড়ায়,লড়াই করার শক্তি যোগায়।

    আমেরিকা হলো বাইশ ট্রিলিয়নের দেশ।কালো লোকেরা অধিকাংশ সে দেশের পূর্ণ নাগরিক কয়েক পুরুষ ধরে বাস করছে। আমেরিকার সাধারণ স্কুল,কলেজ ,হাসপাতাল ভারতের সেরা ইনস্টিটিউশন গুলোকে টেক্কা দিতে পারে,এটাই জেনে এসেছি।

    কালোদের একটাই অভাব।সেটা হলো এনসেস্ট্রাল প্রপার্টি বিশেষ কিছু পায় নি। সেটা এশিয়ান বা হিসপ্যানিক দের ও নেই।১৯৬০ সালের পর থেকে ইক্যুয়াল রাইটস চালু হওযায়,আইনগত বৈষম্য কমে গেছে।

    নিজেদের উন্নতি তো নিজেদের ই করতে হবে না কি!?

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::258:***:*** | ০৮ জুন ২০২০ ১৬:১৬731910
  • রেসিজম আমেরিকাতে বা ইয়োরোপে খুশখুশে কাশির মতন ছিল? এই বক্তব্যের যদিও কোনও উত্তর দেওয়ার দরকার হয়্না। তবুও স্লেভারি, জিম ক্রো ল, সেগ্রিগেশান, কলোনিয়ালিজমের কথা মনে করিয়ে দিই। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর সাথে ওপেন মার্কেটের কোনও সম্পর্ক নেই। বিগত কয়েকশো বছর ধরে জর্জ ফ্লয়েডকে মারা হচ্ছে। সেসব মার্কেট ইকনমি, লিবারল ইমিগ্রেশানের অনেক আগের থেকেই শুরু হয়েছে। জর্জ ফ্লয়েড ইমিগ্র‌্যান্ট না।

    পুরো পোস্টটাই ভিক্টিম ব্লেমিং এর একটা বড় উদাহরণ।
  • S | 2a0b:f4c0:16c:7::***:*** | ০৯ জুন ২০২০ ০৮:১১731917
  • আ পিকচার ইজ ওয়ার্থ আ থাউজ্যান্ড ওয়ার্ডস।
  • anandaB | 50.35.***.*** | ০৯ জুন ২০২০ ০৮:৪৩731918
  • @S যে ছবি টা পোস্ট করলেন তার ভিডিও ভার্সন

    "https://www.yahoo.com/news/police-remove-man-montana-protest-220734260.html"

    লক্ষ্য করুন একদম শেষদিকে, যিনি এই কান্ড টা ঘটাচ্ছেন তার প্রতি এক পুলিশ অফিসার এর কিরকম "নরম" ব্যবহার, যাকে বলে situation diffuse করা হলো

    এইবার ওই জায়গায় একজন কালো লোক কে কল্পনা করুন (বা বাদামি বা হিস্পানিক, সোজা কথা সাদা নয় এরকম কেউ), প্রতি 100 টা কেস এ 110 বার পুলিশ অফিসার হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাবে, চাইলে গলায় পা দিয়ে মেরেও ফেলতে পারে

    রেসিজম কতটা মজ্জায় ঢুকে যেতে পারে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ
  • Amit | 203.***.*** | ০৯ জুন ২০২০ ০৮:৪৯731919
  • নিজে রা প্রিভিলেজেড ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসে, কোনোদিন জাতপাতের সমস্যা নিজে ফেস নাকরে কিছু কিছু বিশেষ লোকে যখন কালোদের নিজেদের উন্নতি নিজেই করতে হবে , ঘুসঘুসে কাশির মত রেসিজম, 1960 র সিভিল রাইটস এর পর জাদুমন্ত্রে সব ডিসক্রিমিনেশন উড়ে যাওয়া ইত্যাদি র মতো সাধগুরু মার্কা অল ইস ওয়েল মার্কা উপদেশ দ্যান গুরুর পাতায়, শুনতে হেভি লাগে কিন্তু. প্রায় টিকেট কেটে দেখার মতো. অবশ্য ইন্ডিয়ার জাতপাত সমস্যা নিয়ে এনাদের নানা কিসিমের বিবিধ মণিমুক্তো এখানেই নানা পাতায় ছড়িয়ে আছে. আলাদা কিছু নয়.
  • S | 2a04:1741:0:a::***:*** | ০৯ জুন ২০২০ ০৯:০২731920
  • @anandaB, ধন্যবাদ ভিডিওটা শেয়ার করার জন্য। কালকে যে ভিডিওটা দেখেছিলাম, তাতে শেষ পার্টটা ছিলনা বা আমি দেখিনি। হ্যাঁ পুরো ভিডিওটাই অনেককিছুর জলজ্যান্ত উদাহরণ। সবকিছুই ধামাচাপা পড়ে ছিল, এবারে একেবারে ফ্লাড গেট ভেঙে সবকিছু চোখের সামনে এসে পড়েছে।
  • sm | 42.***.*** | ০৯ জুন ২০২০ ০৯:৪৮731921
  • সত্যি কথা বলার সমস্যা এই যে,তাতে মাছির মতো বিন বিন করে এটাকিং মন্তব্য চলে আসে।

    স্পষ্ট ও সত্যি কথা এই যে কালো দের উন্নতি কালো দের,নারী দের উন্নতি নারী দের আর দলিত দের উন্নতি তাদের কেই করতে হবে।কিছু লোক এসে,আমি কি ভালো,আমি কি ভালো বলে ন্যাকামি করে যাবে।দিনের পর দিন করে যাবে।

    বাইশ ট্রীলিয়নের দেশ আমেরিকা।এখানকার ন্যূনতম শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বুনিয়াদী ব্যবস্থা পৃথিবীর মধ্যে ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট।যদি বাইশ ট্রিলিয়নে এর থেকে এক ট্রিলিয়ন ডলার কালোদের জন্য ব্যয় করা হয়,সেটাই পরিবার পিছু (৫জনের পরিবার)হিসাবে প্রায় এক কোটি টাকা হবে! সেটাই প্রথম দাবী হওয়া উচিত।

    এলভিস প্রিসলের ঘেটোর গান না গেয়ে, সেখান থেকে বেরিয়ে মূল স্রোতে আসা উচিৎ।

    এই যে লাখে লাখে লোক বেরিয়ে মিছিল করছে,তাকে সমর্থন করেন?এই জন্য হাজারে হাজারে মানুষ সংক্রমিত হলে কজনের পক্ষে সেটা প্রাণঘাতী হতে পারে,সেটা আন্দোলন কারী দের খেয়ালে আছে?প্রতিবাদ হাজার রকম উপায়ে করা যায়।

    আজকেই অবপ তে একজন লিখলেন,ভারতে কোন প্রধান মন্ত্রী দলিত হবেন ভাবা যায় না।

    হলেই বা কি?রাষ্ট্রপতি তো পিছড়ে বর্গের।কি হবে তাতে? ওবামা দুটো টার্মে ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট।কি উন্নতি হয়েছে ব্ল্যাক দের? 

    এই যে দেশ ভাগের পর এতো পাঞ্জাবি বা বাঙালি ছিন্ন মূল হ চলে এসেছিলেন।তাঁদের সম্পত্তি অধিকাংশ পড়ে রইলো,সে দেশে। আসতে আসতে নিজেরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

    আইন করে মন থেকে বর্ণ বৈষম্য মুছে ফেলা যায় না।নিজেকে সমকক্ষ করে তুলতে হয় বা ছাপিয়ে যেতে হয়।তাহলেই অবজ্ঞা কমে আসে।তবে ঘৃণা মুছতে আরো বহু বহু যুগ লাগবে।

  • Amit | 203.***.*** | ০৯ জুন ২০২০ ১০:১০731922
  • কালো দের উন্নতি কালো দের,নারী দের উন্নতি নারী দের আর দলিত দের উন্নতি তাদের কেই করতে হবে- খুব ভালো কথা নিঃসন্দেহে.

    তো সেই করে ওঠার রাস্তায় এতদিনের জমা আলকাতরা কি ফেলেই রাখা হবে ? নাকি আগে রাস্তাটা পরিষ্কার করা দরকার যাতে সেই রাস্তা হাঁটার যোগ্য হয় ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন