সিলেবাসের মেয়েরা : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ | ১৩২৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৪
মরা মাছের চোখের মত তা ছিল ক্ষুদ্র ও নিষ্প্রভ, আমাদের স্কুল জীবন বা মফস্বল। মরা মাছের চোখ যায় যত দূরে, সাইকেল বুঝি কখনো অপেক্ষা করত ঠিক ততটা দূরে পার্শ্ববর্তী স্কুলের শেষ ঘন্টাটি শোনার জন্য। কার জন্য, আজও জানি না। তবে, রবিবারে ক্ষমাদি আসতেন সেতার শিখতে পাশের বাড়িটিতে, তার শাড়ি বা সালোয়ার মিশে থাকত তার পেলব ত্বকে, আজ যদি বলি সে’ই ছিল সেতার আর হাসলে ঝালা বাজত দুই বাড়ির সীমানায় থাকা কাঞ্চন ফুলের গাছে, তাহলে আজ সেই শহরের অনেকেই মেনে নেবেন, সেই ছিল আমাদের মধুবালা টু সুচিত্রা সেন। মাধ্যমিকের পর জেনেছিলাম ক্ষমাদির ছেলে পড়ে আমার থেকে এক ক্লাস নীচুতে, কাজেই দলে ভারী হওয়ারই সম্ভাবনা। গুপী ডাক্তারের মেয়ে মহাশ্বেতা ছিল আমার থেকে দুই বছরের ছোট। শান্ত মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে তর্ক করত নাওয়া-খাওয়া ভুলে, সেই JNU যাওয়ার আগে পর্যন্ত। কানগুলো লাল হতে হতে কখন যে ঝান্ডা হয়ে পতপত করে উড়ত টের পেতাম না।
আমরা শুধু বাংলাভাষায় গদ্য হয়ে ঝরি : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২০ মার্চ ২০১১ | ১৪৮৮ বার পঠিত
ধীরে ধীরে টের পেতে শুরু করেছি আমি লিখে চলেছি ক্রমাগত। বিভিন্ন রঙের পেন ফেলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি কালো কালির দামী কলমে। অহরহ দোলের কলম তখন পিচকারী। শুকনো ঘাসের শহরে বেদনার সার সার বোতলগুলিতে জমা রেখেছি ছোট খাট হাফ ও কোয়ার্টার প্রেম। গানশোনা শেষে ক্লাস ঘরে ঢুকে বুঝবার চেস্টা করেছি সাদা দেওয়ালেতে লেখা বৈষ্ণব পদাবলী। কোনদিন যদিও বা বৃষ্টি নামে এই নয়ডা শহরে, তুঘলকী কায়দায় ঘুরে বেড়াই শূন্যমাঠে, ললিতকলা আকাডেমির করিডোরে। এক গভীর চোখের মালায়ালী একদিন তুমুল ঝড় বাগিয়ে বল্লো, এই কাঁচ আর পাথর সব ভেঙ্গেচুরে দাও। যমুনা নদীতে অথচ তখন শুধুই সাবানের ফেনা। এরপর একদিন কাঁচ পাথর ও ভ্রম ভেঙ্গে গেলে কোন এক পূর্ণিমার অস্থির রাতে চলে যাই জয়পুরে। ময়ুরেরা লাফিয়ে পার হয় রাস্তা আর আমি যাই উড়ে উড়ে। ঝকঝকে রাস্তার পাশে ঠান্ডা বিয়ারের আয়োজন ও মেলা প্রলোভন। কাঁদতে গেলে এমনই শুনশান রাত লাগে, এমন শুকনো চারিপাশ আর ওই দরজা ঢাকা চাঁদ। সকাল হতে না হতে সব রঙে ভরে যায়, রাস্তা ঘাট ও ঘর। কানে সর্বদা বাজে তামাটে সারিন্দার সুর, চারপাশে রামধনু দেখি আর বুঝতে পারি অনর্গল যা এতদিন লিখে চলেছি আমি তা আসলেই আমার মফস্বলী বর্মে ফিরে আসার উপাখ্যান, লালজুতো পরা খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের সাদামাটা একঘেয়ে কাহিনী। এমনটাই লেখা হবে জানি শুকনো কাঁটায় ঘেরা ঊষর দিন, একা সপ্তহান্তে পাহাড়ে যাই, একা ঘরে কাঁদতে কাঁদতে কলম বন্ধ করে হাসি। ছাত্র- ছাত্রী, টু বি স্পেসিফিক, প্রশান্ত ও পারমিতা এসে ঘরে বসে থাকে দীর্ঘায়িত অন্ধকারে।
দিন আনি দিন খাই - পর্ব ৫ : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ | ১৩৯৫ বার পঠিত
গুরুদেব আমায় খুলে দিলো পাবলিশিং হাউস - মহাগুরু সাহিত্য মন্দির। সুর্য সেন স্ট্রিটে পাল বস্ত্রালয়ের উপর বিশাল ঘর নিলাম। কাঠ দিয়ে আমার আলাদা চেম্বার। আমি নিভৃতে বসে লেখালিখি করতে পারব। সামনের ঘরে বস ট্রেড সামলাবে। গুরুই বলল, তোর তো অনেকদিন লেখালিখির অভ্যেস নেই, আগে কয়টা মানে বই লিখে হাতটা সড়গড় করে নে, পরে ওষুধ-চিকিৎসা নিয়ে ৩০/৪০টা খন্ডে জাব্দা জাব্দা বই লিখিস! দেখলাম আইডিয়াটা খারাপ না। আগে লেখাটা দরকার। লেখাটা রেডি থাকলে প্রয়োজন মত ক্যারেক্টারের নাম বদলে দিলেই হল। রাম-লব-সীতা হলে রামায়ন। অনিমেষ-অর্ক-মাধবীলতা হলে কালপুরুষ। এই রকম। নাউ উই নিড ফিউ নেমস। বসই সেসব যোগাড় করে আনলেন আশেপাশের স্কুল কলেজ থেকে। ই সি বিদ্যাসাগর, আশু ভট্টাচার্য, ভূ চৌধুরী, ক্ষে গুপ্ত, পি আচার্য। ট্রিপল এম.এ.। বি.এড, বি.টি, পিএইচডি, স্বর্ণপদক। আমি চুটিয়ে মানে বই লিখতে লাগলাম, হু হু সেল। প্রকাশকের তকমার আড়ালে যে মেঘনাদের মত লেখক বসে আছে তা নিশ্চয়ই কেউ ভাবেনি। আমাদের বাঙালদের "র' আর "ড়' এ একটা চিরকালীন ঝাড় আছে, এই সময় আমার কোম্পানীতে যোগ দেয় পরিতোষ, তার দায়িত্ব হল এই বানানের ঝাড়গুলো ঠিক করা।
তোমার পিঠের কুঁজে বাংলা অক্ষরের সামান্য আহার্য জল : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১১ মার্চ ২০১২ | ১৪৭১ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
আমরা জলে পা ডুবিয়ে বসি। আমরা আলকুশি গাছের তীব্র বেগুনী ফুল হাতে রগড়ে হাত মেহেন্দি করি, নোয়া লতার ডাল ভেঙ্গে বালিতে লিখি নাম, আর লজ্জাবতির ঝোপ সরিয়ে খোলা ভেঙে বার করে আনি কাঁচফল, ঠিক তিনটি করে সাদা মুক্তদানা আর কালো ফোঁটা আঁকা চোখের মত, একেকটি খোলায় ঠিক তিনটি, যেন ব্যাটারা জানত ঠিক আমরা তিনজনেই পা দেব সেখানে আজ। নৌকার মাঝি আমাদের পাগলামি দেখে তাড়া দেয়, যেতে হবে দূর বহুদূর। তাকে ভুলনো হয় নানা প্রশ্ন করে, মিলিয়ে দেখতে হবে না আমাদের কাঁটাঝোপে মোড়া আর ধুলোমাখা আগাছা ভরা ছেলেবেলাটাকে। আলকুশিকে তারা বলে নেউস। বেশ শক্ত, ঝোপে রাজার মত সবাইকে কাটিয়ে এগিয়ে সে চড়ে বসে ঝোপের মাথায়, শিরোমণি। সে গাছ হিসাবে লতা কিন্তু কোন আকর্ষ বা স্প্রিং নেই তার। অপরাজিতার মত অভিজাত ফুল ও ফল। ফলগুলি রোমে ঢাকা, যেন এক একটি শুয়োপোঁকা। হাতে লাগলে চুলকায় শোনার পর থেকে আমাদেরও হাত চুলকাতে থাকে। চুলকানোর কারনেই গ্রামের মানুষ পছন্দ করে না, তাই অভিমান করে সে আজ এই নির্বাসনে। সে এমন ভাবেই প্রকৃতির পাঠশালায় নুরুল মিয়া হয়ে ওঠে আমাদের শিক্ষক, বলে যেতে থাকে নেউস থেকে কী কী ওষুধ-বিষুধ হয়। আমরা নেহাতই আমনযোগী, তাই অনেক অনেক রাতে যখন চিলমারি বন্দরে আমাদের সোনার তরীটি ভেড়ে কোন লন্ঠনই আর জেগে নেই।
টিলোস রেডিও, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১০৯০ বার পঠিত
ঘরে আলো খুব কম, দেওয়ালের রঙ সাদা নয়, কেননা সার দেওয়া গ্রামাফোন রেকর্ডেরাও ঢেকে গেছে পোস্টারে পোস্টারে এবং আলো সত্যিই খুব কম। শেষ হয় অরুন্ধতি কন্ঠ বিস্তর কূটকচালির পর, যার সবটা আমার পক্ষে এখানে দেওয়া সম্ভব নয়, তবু শেষটুকু দি, কেননা আমাদের কাছে ভাষা ছাড়া কিছুই নেই প্রমাণযোগ্য। শেষে স্লোগান সমবেত হয় ও সকলে উঠে দাড়ায়... ইন এবিলিটি টু সি অ্যা ওয়র্ল্ড ইন টার্মস আদার দ্যেন দোজ দ্য এস্টাবলিশমেন্ট হ্যাজ সেট আউট ফর ইউ, ইফ ইউ আর নট বিশি, ইউ আর তালিবান। ইফ ইউ ডু নট লাভ আস, ইউ হেট আস। ইফ ইউ আর নট গুড, ইউ আর ইভিল। ইফ ইউ আর নট উইথ আস, ইউ আর টেররিষ্ট।... সেদিন শনিবার সকাল, তখন ও কানে আসেনি নন্দীগ্রাম, এক ঘন্টা ভারতীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান এবং সেখানে গেলে দেখা পাব এক ভারতীয় বন্ধুর, এর বেশি কিছু ভাবিনি!
আত্মহত্যার অধিকার: ফুস্কুরি- ১ : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০২ মে ২০০৬ | ৮৩৪ বার পঠিত
আঁধার সম্যক কৃষ্ণবর্ণে ক্রমশ ফুটে উঠতে থাকে রঙ্গীন সূচিশিল্প, মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে। এই ভাবে নিজেকে নিজে আস্বস্ত করি, এমনটাও কানে আসে আত্মহত্যা করা মহাপাপ। মুস্কিলটা হচ্ছে এই পাপ-ফাপ যেমন বুঝি না তেমন এটাও বুঝতে পারি ক্রমশ আত্মহত্যাই স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, সকলেই এগিয়ে চলেছি সেই লক্ষ্যে। সুতরাং আখ্যান আরম্ভ।
শিল্প আমাদের ভিত্তি, কৃষি আমাদের ভবিষ্যত : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২০ জুন ২০০৬ | ৭৭৮ বার পঠিত
আমরা নেশায় বাঁচি। এটাকে অবশ্য বাঁচার নেশাও বলা যেতে পারে। হাতের কাছে অনেক সহজ নেশা আছে যেমন ইলেক্টিকের কারেন্ট খাওয়া, এটা অবশ্য মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি। বেশ ঝিমঝিম ভাব লাগে, কখনও হাত পা ছিটকে ফেলে, কখনও টান দিয়ে ধরে রাখে অদৃশ্য বাঁধনে। ফলে ভ্যারিয়েশন আছে। এটা আপনর কোনদিনই সাপের ছোবল খাওয়ার মত একঘেয়ে লাগবে না। রাহুলদের শ্যাম্পেনে কোকেন মিলিয়ে খাওয়ার আইডিয়াটাও গুচ্ছ। মাঝে সাঝে চলতে পারে,রোজ নয়। কিন্তু নেশা তো রোজ চাই, বেঁচে থাকতে যখন হচ্ছেই। আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেটা হাইটেক হতে হবে। টেক তো টেক না টেক তো না টেক, একবার তো সি। দেখাই যাক না, টেকনো নেশা না হলে কেন বেঁচে থাকা? সুতরাং আখ্যান আরম্ভ।
ধান কাটা হল সারা : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৬ জানুয়ারি ২০০৭ | ১২২৬ বার পঠিত
শ্রীচরণেষু মা,
এ বছরও পৌষ সংক্রান্তিতে বাড়ি যেতে পারলাম না। ভেবেছিলাম পুরুলিয়া যাব, দুয়ার্সিনির বাংলোয় সকাল থেকে দলে দলে মেয়েরা আসবে গান শোনাতে তারপর চলে যাব কাঁসাই নদীর ধারে, এলোমেলো পাহাড় চুঁইয়ে আসা আলোয় ঝলমলে ঘোড়ানাচ , একে একে রঙিনে রঙটানা টুসু বুড়বুড়ি কাটতে কাটতে ডুবে যাবে জলের তলায়, কন্যার বিদায় কখনই সহ্য করা যায় না। চোখ ফেটে জল আসে, আত্মীয় স্বজনদের বিয়েতেও তুমি লক্ষ্য করেছ আমি সেই সময়টা এড়িয়ে যাই। মেঘে ঢাকা তারার গানটা এত টুসুর ভেতরেও ভেসে আসে, কিন্তু বিজয়ার দিন তো কই আমার কান্না পায় না! মা গো, এত রহস্যের কিছু নেই, প্রতিবার বাড়ি থেকে আসার সময় আমি তোমার মুখের দিকে তাকাতে পারিনা তা কেন আমিও জানি তুমিও জান।
দিন আনি দিন খাই (দ্বিতীয় পর্ব)... : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০১ জুন ২০০৬ | ১১২৯ বার পঠিত
আসলে তো একটাই দিন। আমার মনে হয় কোথাও যেন সব আমানত আছে, আমি একটু একটু করে নিই, রুটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাওয়ার মতন। আমার টাকা পয়সা তো নাই। কোনদিন ছিলও না। সেগুলো সব রাত, আছে হয়ত, কিন্তু চিনতে পারিনা, খুঁজে পাই না। দেহের বয়স বাড়ে, আমার দিনের হিসেব রাখতে রাখতে ছিঁড়ে পড়ে ক্যালেন্ডারের পাতাগুলি। বাড়িতে বাড়িতে ক্যালেন্ডার পাল্টায়। আমার কখনও জীবন একপাতা, কখনও বারো পাতা, ঘন্টা টাইমের হিসাব থাকে সব শব্দের অন্ধকারে, কারখানা, টাইম-কল, পারে এসে লাগা ভটভটি। আমরা সবাই হিসাব করি।
দিন আনি দিন খাই (পর্ব -৪) : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ২১ জানুয়ারি ২০০৮ | ১১৮৪ বার পঠিত
ইয়োর অনার, আমি সত্যি কথাই বলব। আমি তো আর কম দেখলাম না, স্যার, জগতটা যদি ঠিকঠাক দেখেন আপনার ঘেন্না করবে স্যার! এভাবে বেঁচে থাকাও অন্যায়। বাপ ফাপ জানি না কিন্তু যা কিছু করছি তাতে তো কিছু সুবিধার বুঝছি না। আজ আমাদের মানুষ মরছে কাল ওদের। আচ্ছা স্যার আমাদের তোমাদের কী? মানুষের ভাগ বাটোয়ারা সেসব তো হত স্যার মিশরে, হলিউডের ফিল্মে। লোহার শিকলের ঝনঝন শব্দ, মানুষ মরুভূমির বুকে পাথর টেনে আনছে, পিরামিড তৈরি হচ্ছে।
ফুডপ্লাজা : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : পুজো ২০০৬ | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ৬৫২ বার পঠিত
কাঁকলাড়ু, পটলের মিষ্টি, আরসে, খোশবাস, গুলিচপ, শিব বোঁদে, তামাকভোগ, মায়েস, মাছঢাক, সিদ্ধির কচুরি
পরজনমে হইও গাধা : সুমেরু মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ১৬৯১ বার পঠিত
মানুষের নানা রকম শখ থাকে, কেউ মানুষ মারে কেউ মোবাইল কেনে, ইচ্ছেমত, একেরপরে এক। মোদ্দা কথা হল অপচয়। কীভাবে কে কতখানি অপচয় করবে সেটাই তার সখ। বাঈজি পোষা, ঘুড়ির সুতোয় বেঁধে বা ফানুসে টাকা ওড়ানো, বিড়ালের বিয়ে দেওয়া সবই তখন ব্যাকডেটেড। নতুন কিছু একটা সখ আবার না থাকলেই নয়। রানী যা আবদার করেন রাজা তা না করতে পারেন না। আর রাজকন্যা তো দুজনকারই ইস্যু। এখন থেকে সখটা যদি নারচার না করা যায় তবে কী আর বড় বয়সে অভ্যাস করান যাবে? রাজকন্যার বয়েস তখন মাত্র বারো। রাজা রানীকে ছুঁয়ে ওয়াদা করলেন, এক বছরের মধ্যে রাজকন্যার জন্য সলিড ও ইউনিক একটা শখ না বার করতে না পারেন তবে রাজ সিংহাসন ছেড়ে বনবাসে চলে যাবেন।