ইশরাত জাহানঃ তথ্যের খোঁজে (শেষ পর্ব) : মুকুল সিনহা
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১২ আগস্ট ২০১৩ | ৮১৯ বার পঠিত
"এর পর আমি এক নীল রঙের ইন্ডিকা গাড়ি, নম্বর MH-02-JA-4786, দেখতে পাই রাস্তার ডিভাইডারের কাছে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির কাছে পুলিশ কনস্টেবল মহম্মদ সফি দাঁড়িয়ে ছিলেন। জিজ্ঞেস করাতে কনস্টেবল সফি জানান, ওই ইন্ডিকা গাড়ি তিনিই চালিয়ে এনে রেখেছেন। সেই সময় শ্রী এন কে আমিন, শ্রী জে জি পারমার আর কম্যান্ডো পুলিশ কনস্টেবল শ্রী মোহন নানজি মেনত সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শ্রী আমিনের গাড়ি ইন্ডিকা গাড়িটার পেছনে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিল। এর পরে সাদা রঙের একটা এসইউভি গাড়ি সেখানে আসে এবং রাস্তার ধারে এসে দাঁড়ায়। তখন আমি দেখলাম যে, কনস্টেবল মোতি তালাজা দেসাই একজনকে সেই গাড়ি থেকে বের করল। এই লোকটিকেই কুড়ি দিন আগে গোটা সার্কেল থেকে ধরা হয়েছিল। তখনই আমার মনে হল কিছু একটা গড়বড় হতে চলেছে।
মণিপুরের এনকাউন্টার মৃত্যুঃ আফস্পার চূড়ান্ত অপব্যবহার : মুকুল সিনহা
বুলবুলভাজা | খবর : খবর্নয় | ১৬ জুলাই ২০১৩ | ১২৫২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
আমার সৌভাগ্য যে স্বামীহারাদের সংগঠন আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে তাদের সাহায্য করতে। এর ফলে আমি, মণিপুর রাইফেলস ও পুলিশের লোককে জেরা করবার সুযোগ পেয়েছিলাম, দিল্লি আর ইম্ফল, দুই জায়গাতেই। আমি যখন ইম্ফল যাই ২০১৩র মার্চ মাসে, তখন সাক্ষাত হয়েছিলো বাবলু লয়টংবাম নামে এক আইনজীবির সাথে। উনি কয়েকজন জেদী আইনজীবির একটি ছোটো গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এই এনকাউন্টারের শিকার হওয় মানুষগুলির স্বজনদের আইনি সাহায্য দিতে। শয়ে শয়ে স্বামীহারা মহিলারা এই কমিশনের শুনানি চলাকালীন হাজিরা দিতেন। কমিশনের মাথায় ছিলেন বিচারপতি হেগড়ে। আমি,আমার অভিজ্ঞতায়, এই প্রথম একটা কমিশনে হাজির ছিলাম যেখানে কমিশন একেবারে হৃদয় দিয়ে তদন্তে নেমেছিলেন। আমরা ইম্ফলে ছিলাম ছয়দিন আর নয়াদিল্লিতে চারদিন। আর মার্চের শেষেই কমিশন তার রিপোর্ট পেশ করেন।
ইশরাত জাহানঃ তথ্যের খোঁজে (প্রথম পর্ব) : মুকুল সিনহা
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৬ জুলাই ২০১৩ | ২৩১৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪১
এখন, প্রশ্ন উঠতেই পারে, এফআইআরে যদি নাম আছেই, তা হলে আর তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করার জন্য সিবিআইকে ১৭৯জন সাক্ষীর ব্যবস্থা কেন করতে হল! সিবিআইয়ের বর্তমান চার্জশীটে এই এনকাউন্টারকে আইবি আর গুজরাত পুলিশের যৌথ অপারেশন বলে বিবৃত করা হয়েছে, এবং এতে রাজিন্দর কুমার সমেত চারজন আইবি অফিসারের নামও দেওয়া রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবেই কোনও আইবি অফিসারকেই হত্যার ষড়যন্ত্র, অপহরণ ইত্যাদি সম্ভাব্য কোনও ধারাতেই অভিযুক্ত করা হয় নি। এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডটি ঘটাবার পেছনে এতগুলো পুলিশ অফিসার এবং আইবি অফিসারদের আসল উদ্দেশ্য, বা মোটিভ কী ছিল, এই সম্বন্ধে কোনও কথাই বলা হয় নি। এটাও ব্যাখ্যা করা হয় নি কেন এই চারজনকে তিনটে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে তুলে আনা হল আর কেনই বা তাদের আমেদাবাদের একটা রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে মেরে ফেলা হল। চার্জশীটে যা লেখা আছে, তার থেকে অনেক বেশি কিছু লেখা নেই।