দেশভাগের অভিজ্ঞতাঃ জম্মু ১৯৪৭ : বেদ ভাসিন - অনুবাদ শমীক মুখার্জি
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১৩৩৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
দেশভাগের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক দাঙ্গা, অনেক রক্তপাত, অনেক হানাহানির স্মৃতি। তার কিছু নথিভূক্ত, বেশির ভাগই নয়। যে হত্যালীলা ঘটে গেছে ১৯৪৭ সালে এই উপমহাদেশে, তার তুলনা বিশ্বের ইতিহাসে খুব কমই আছে। আর পুরোটাই ঘটেছে ধর্মের নামে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, নবগঠিত সরকারের অক্ষমতার ফল হিসেবে, কিংবা তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়।
দেশভাগের রক্তপাত বলতে আমরা মূলত পড়েছি এবং শুনেছি পঞ্জাব আর বাংলার কথা। এর বাইরেও, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে নীরবে ঘটে গিয়েছিল ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক হানাহানি, যে ইতিহাস প্রায় কোথাওই নিরপেক্ষভাবে নথিবদ্ধ করে রাখা হয় নি।
বেদ ভাসিন নামটা আমাদের অনেকের কাছেই হয় তো সে রকম পরিচিত নয়। ইনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কাশ্মীরি জার্নালিস্ট। শুধু জার্নালিস্ট পরিচয় দিলে এঁর জীবনের ব্যাপ্তির সম্বন্ধে সম্যক ধারণা করা যাবে না, সারা জীবন ধরে তিনি কাশ্মীর আর কাশ্মীরিদের জন্য প্রচুর কাজ করে গেছেন, ইন্টারনেটে একটু সার্চ করলে অনেক লেখাপত্র পাবেন। ভারত এবং পাকিস্তান, উপমহাদেশের দুটি টুকরোতেই তিনি বিশেষভাবে সমাদৃত ছিলেন।
ভারত যখন স্বাধীন হয়, তখন তিনি হাইস্কুলের ছাত্র, সতেরো বছরের কিশোর এবং কাশ্মীরের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। সারা জম্মু কাশ্মীর যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে জ্বলছে, তখন গুটিকয় শুভবুদ্ধিসম্পন্ন শান্তিকামী ছাত্র তাঁর নেতৃত্বে লড়ে চলেছিল শান্তির পক্ষে।
নামকরা কাশ্মীরি দৈনিক কাশ্মীর টাইমসের তিনি সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘ ছত্রিশ বছর – ১৯৬৪ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত। গত বছর, সাতই নভেম্বর ২০১৫, ছিয়াশি বছর বয়েসে তাঁর দেহাবসান হয়।
এই লেখাটি শ্রী ভাসিনের একটি পেপারের বঙ্গানুবাদ, যা তিনি পড়েন ২০০৩ সালে জম্মু ইউনিভার্সিটিতে, Experience of Partition: Jammu 1947 শিরোনামে। কাশ্মীর টাইমসের বর্তমান সম্পাদক, বেদ ভাসিনের কন্যা অনুরাধা ভাসিনের কাছ থেকে এই পেপারটির মূল লিখিত রূপ পাওয়া গেছে সম্প্রতি। মূল ইংরেজি পেপারটি এখনও পর্যন্ত অনলাইনে কোথাও পাওয়া যায় না।