আন্তর্জাতিক নারীদিবস – হা! হা! : চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ মার্চ ২০১৮ | ১৩৪০ বার পঠিত
আ! ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারীদিবস, হা! হা! এই হা-হা আমার নয়। ‘বেটি বঁচাও’ শ্লোগানেরই তলানিটুকু এই হাসি। পুরুষ যেদিন ঘুম থেকে উঠেই তাঁর অধিকৃত নারীর প্রতি কটাক্ষ ছুঁড়ে বলতে পারে, আজ তো তোমাদের দিন ! ওয়েল, সেই দিনটিকে উপভোগ করার জন্য নারী তার প্রাত্যহিক কর্মযজ্ঞের কোটা মিটিয়ে হয়তো-বা কোনও এক টেবিলের একপ্রান্তে লিখতে বসবে তার নিজস্ব লেখা, হ্যাঁ সেলফ-সেন্সরশিপ সমেত। নারী যাবে কোনও সভায়, মেয়েদের চোখের তলার ক্লান্তি তথা দৈনন্দিনতার সাতকাহন গেয়ে একচিলতে স্বস্তি পেতে। নারী, ছোট-ছোট কন্যাসন্তান্দের নিয়ে অনুষ্ঠান বানাবে আর ঘন ঘন ঘড়ি দেখবে, সূর্য ডোবার আগেই এই শ্বাপদসংকুল শহরে কিংবা গ্রামে, এদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে তো! যদিও আন্তর্জাতিক নারীদিবসে, বাৎসরিক শ্রেষ্ঠ রসিকতা এই এইটেই যে, সাত থেকে সত্তর বছর বয়সের রমণীরা, তাদের নিজেদেরকেই নির্বিঘ্নে, রেপড না হয়ে, ঘরে ফেরানোর গ্যারান্টি কি দিতে পারছে, আজকের এই উত্তর-আধুনিক সভ্য পিতৃতন্ত্রের দিনকালে?
মাই ফ্রেন্ড! মাই রাইটার! : চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১২ অক্টোবর ২০১৮ | ১৬৯০ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
মাণ্টোকে প্রথম চিনলাম আমি ইসমত চুঘতাইয়ের অনুভূতিতে চোখ ডুবিয়ে আমার| মিথ্যে বলব না, খুব পিতৃতান্ত্রিক, খুব এলোমেলো, এ-ও মনে হয়েছিল আমার, একটা স্তরে| তারপর মাণ্টোর জীবনের বহুমাত্রিকতা, বদগন্ধ গলিপথে ভেসে-চলা নদীর মতো যে-যাপন তা একটু-একটু করে পান করলাম আমি| মাণ্টো অনুবাদের কাজে হাত দিলাম| হ্যাঁ, সংকোচবশত তো বটেই| আর হাতে লেগে গেল কাঁচা রক্ত, পুঁজ, অসুস্থের কাশি, যৌনকর্মীর হাসি, নির্যাতন ও অশ্রুচিহ্ন, তা আজও মুছল না|
ও! সে ছিল রবি| রবিশংকর বল| আমাকে ঘাড় ধরে মাণ্টো চিনিয়েছিল! যেভাবে মানুষ ডেকার্স লেন, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, চাঁদনি চক, চিৎপুর.....কোলকাতার লেন, বাই-লেন চেনে আর নেশায় বুঁদ হয়ে যায়| আমার হাতে ইসমত চুঘতাইয়ের জলছবি সেঁটে দিয়েছিল সে|