ইতিহাসবিদ সালাহ্উদ্দীন আহমদের সাক্ষ্যতে : কাজী মামুন
বুলবুলভাজা | অপর বাংলা | ১৭ আগস্ট ২০১১ | ৭১০ বার পঠিত
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সে হত্যা একাত্তরে বাংলাদেশের অর্জনকেই হত্যা করার নামান্তর। তার পর থেকেই বাংলাদেশের পাকিস্তানের ভূতের দিকে যাত্রা চলছে। জিয়া এরশাদের সামরিক শাসন, একনায়কতান্ত্রিক শাসন, খালেদা-হাসিনার দায়িত্বহীন রাজনীতি একাত্তরের অর্জনের কাছে আর রাষ্ট্রকে ফেরাতে দিচ্ছে না। মানুষের আশা ভরসার স্থানটি গেছে। এখন মানুষ আশঙ্কা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না। নানাবিধ বিভেদের শিকার হচ্ছে। আবার বাংলাদেশের মানুষ আত্মপরিচয়ের সংকটে পড়ে গেছে। এর পিছনে বঙ্গবন্ধুরও কিছু ভুল রাজনীতি ছিল।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ অগ্রজ ইতিহাসবিদ প্রফেসর সালাহ্উদ্দিন আহমদ সম্প্রতি কিছু কথা বলেছেন বাংলাদেশর লেখক সাংবাদিক মশিউল আলমের সঙ্গে। বর্তমান আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের নানারকম প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডের কারণে নানারকম প্রশ্ন উঠছে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকা, কর্মকান্ড ও আদর্শ নিয়েও। এমনও প্রশ্ন আসছে যে বঙ্গবন্ধু আসলেই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন কিনা, কিম্বা স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে তাঁর অবদান আসলেই কতটুকু? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর মেলে মশিউল আলমের নেওয়া প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সালাহ্উদ্দীন আহমদ-এর সাক্ষাতকারটিতে। সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্য।
এক্সাম পেপার : মোহাম্মদ কাজী মামুন
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব | ০৬ অক্টোবর ২০২২ | ২৩৫৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৯
সর্বশেষ প্রশ্নপত্রটা বিলি করার পর পরীক্ষক যখন হলটির ডায়াসে এসে পৌঁছুলেন, চোখ পড়া মাত্রই দৌড়ে গেলেন দীপের দিকে, আর হাত থেকে বইটা প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে একটা প্রশ্নপত্র গুঁজে দিলেন। খাতা আগে থেকেই রাখা ছিল, সামনের পকেটটা অনেকক্ষণ ধরে কামড়ে থাকা জ্যামিতি বক্সটা কোনমতে বের করে দীপ তার জন্য নির্ধারিত আসনে সটান বসে পড়ল। হাঁটতে হাঁটতেই এক ঝলক দেখে নিয়েছিল, এখন পুরো প্রশ্নপত্রটা দেখে তো সে আনন্দে আটখানা হয়ে উঠলো। শতভাগ কমন! এমনকি ‘অথবা’ দেয়া বিকল্প প্রশ্নগুলোও তার ঝাড়া মুখস্ত। কোনটা রাখবে, আর কোনটা ছাড়বে, এ নিয়ে বেশ কিছুটা সময় ভাবলো সে। পরে জ্যামিতি বক্সটা খুলে যুৎসই একটি কলম বেছে নিয়ে লিখতে শুরু করলো।
স্যাটেলাইট ট্রান্সফার : মোহাম্মদ কাজী মামুন
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : দোল | ০৭ মার্চ ২০২৩ | ১৩৪৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৪
চেম্বারটির সাথেই একটা জানালা ছিল, সে জানালাটা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল মোরসালিন। শম্পা চলে যাওয়ার পর ফাইলগুলো নিয়ে বসেছিল, এর মধ্যে তো একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, একটি বিশাল বিজনেস প্লান, কোম্পানির এই শাখা অফিসটার চেহারা একাই বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু কিছুদূর যেয়ে মাথাটা গুলিয়ে গিয়েছিল! এত দিন ধরে মেহনত করেছে যার জন্য, যার পুরো রূপরেখাটা তার দেয়া, সেই কাঠামোটাই যেন খুব অচেনা লেগেছিল, আর মাথাটা ঘুরতে শুরু করেছিল। জানালাটার বাইরে তখন চলচ্চিত্রের রিলের মত ছুটে চলেছিল মানুষ, যানবাহন। এমনকি একটা নেড়ি কুকুরকেও রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ুতে দেখা গেল, কি এক গুরুত্বপূর্ণ মিশনে রয়েছে যেন সে, কিসের যেন এক তাড়া! এমনই এক তীব্র চলার স্রোত জানালার নীচের রাস্তাটিতে যে মনে হয়, জড় দোকানপাট ও বিপনিবিতানগুলোরও চাকা গজিয়েছে!
স্বয়ংক্রিয় শ্রমিক : মোহাম্মদ কাজী মামুন
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : ইদের কড়চা | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | ২৭৭৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৯
ফ্যাশান ম্যাগাজিনটিতে পুরো ডুবে গিয়েছিলেন, তাই গাড়িটা গেইটের কাছে এসে যখন ধাক্কা খেল, তিনিও গাড়িটার সাথে শরিক হলেন, দু'জনে মিলে কিছুক্ষণ ভীষণ দুলে যখন থামলেন, তখন দু'জনেরই জল গড়িয়ে পড়ছে শরীর থেকে। অচিরেই দালানের ভিতর থেকে আসা একটা কানে তালা দেয়া আওয়াজ সেই জল পড়া থামিয়ে দিল। একই সঙ্গে তার স্বয়ংক্রিয় হৃদপিণ্ডটাও যেন থেমে যাওয়ার উপক্রম হল! ড্রাইভার আবুল একটুখানি ঘুরে এসে তা-ই জানালো যা তিনি আগেই জানতেন। দুইদিন পরপরই বদমাশগুলির মাথায় কী একটা কিরকিরা উঠে আর বেতন বাড়ানোর জিকির তুলে কা কা করতে থাকে সমস্বরে!
গুনাহ! গুনাহ! : মোহাম্মদ কাজী মামুন
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮০৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ২১
প্রথম প্রথম পরীক্ষা শেষে ঘটনাটা ঘটলেও, এক সময় এর ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ল। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও মামার সাথে ঘুমোতে যাবার আবদার থাকতো মোরসালিনের! তবে লিটন নামের এই যুবকটি কিন্তু তার আপন মামা ছিল না। মায়ের এত দূর সম্পর্কের ভাই ছিল যে, মোরসালিন মনে রাখত পারত না ক্রমটা। লিটন মামা একটা বইয়ের দোকনে চাকরি করত, আর থাকত পুরনো ঢাকার একটি স্যাঁতসেতে মেসে, যার দোতলায় উঠতে উঠতে পিচ-কালো নোনা-ধরা দেয়াল, কড়িবর্গায় রাজত্ব করা ধুলোর পুরু আস্তর, আর পলেস্তরা খসে শ্যাওলা গজানো ইটের কংকালে উঁকি মারা অবশ্য দ্রষ্টব্য ছিল যে কোন পরিদর্শকের জন্য। এছাড়া রয়েছে কাঁথা বালিশের ম্যাড়মেড়ে বাসী গন্ধ। একটা পুরনো দিনের এলিয়ে পড়া আলনা, আর হাঁটু-ভাঙা রঙ-উঠা চৌকির তলা চেপে ধরা একটা ফেটে পড়া বিরস-বিবর্ণ ট্রাঙ্ক। সব মিলিয়ে দমবন্ধ অবস্থা!
খোলা চিঠি: প্রিয় মাহফুজ আলম : কাজী মামুন
বুলবুলভাজা | অপর বাংলা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৮১ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
যে ইউরেকা মোমেন্ট এর সন্ধান করছিলেন আপনি তা হয়তো পেয়ে গেছেন, অন্তত আপনি তাই ভাবছেন ধরে নিয়ে আপনাকে লিখছি। পদের দিক থেকে আপনি সহকারী হলেও মহামান্য প্রধান উপদেষ্টা সাহেবও যেহেতু বিশ্বের সামনে আপনাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, এবং যখন তখন কেঁদে দিয়ে উনি যেভাবে বলেন “তোমরা বললে আমি চলে যাবো”, সেই তোমরা বা তুমি যে আপনি এটুকু আমরা বুঝতে পেরেছি। এজন্য আপনাকে সরকার প্রধান ধরে নিয়েই লিখছি।