"ত্রাতা হিসেবে উদয় হও হে প্রভু"... আমার মতো এক ঘোর নাস্তিকও বিড়বিড় করে ফেললো, যখন বিরামহীন প্রবল বৃষ্টির মধ্যে গিয়ে রাত ন'টায় নামলাম চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে। হঠাৎ ঠিক হয়েছে, তাই তৎকালে ট্রেনের রিজার্ভেশনটা হলেও পছন্দসই হোটেল পাওয়া যায়নি। তাই কর্তামশাই সদর্পে ঘোষণা করলেন, "নো প্রব্লেম, চেন্নাই তো, গিয়েই হোটেল বুকিং করবো। আমি তো ওখানে চাকরি করে এসেছি!" অগত্যা... মনকে তখন প্রবোধ দিলাম, "এছাড়া উপায়ইবা কী?" সেই দ্বিসাপ্তাহিক পূজা স্পেশাল ট্রেন তো প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা মত লেট। রাতে কোথাও অপরিচিত জায়গায় পৌঁছনো, তার মধ্যে আবার হোটেল বুকিং নেই! আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছে, মেয়ে দিব্য আছে, ঝামেলা দেখলেই কানে ইয়ার ফোনটা গুঁজে ... ...
খাওয়াদাওয়া নয়, বাড়ি গাড়ি নয়, টাকা পয়সা নয় , শাড়ি গয়না নয়, সাজগোজ নয়, আমার একমাত্র শখ হলো বেড়ানো। কপালগুণে কর্তামশাইয়েরও শখ প্রবল বেড়ানোর! সুতরাং, আমাদের দুই বেড়ানোবাজের একমাত্র মেয়ে হলো ডাবল বেড়ানোবাজ। তবে এক্ষেত্রে মেয়ে আর আমি সমমনস্ক সমগোত্রীয় অর্থাৎ আমার আর মেয়ের আবার বেড়ানোয় বাছাবাছি নেই, পাহাড় জঙ্গল মরুভূমি সমুদ্র সবেতেই সমান রুচি। জাস্ট তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো। কিন্তু কর্তামশাই আবার ভয়ঙ্কর রকমের পাহাড়প্রেমী কিন্তু উনি আবার খাদেও বড্ড ভয় পান! বৈচিত্র্যময় সমাপতন! মেয়ের সেকেণ্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা সেবার বেশ অনেকদিন পিছিয়ে যাওয়ায় শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া হয়ে উঠলো না। তাতে কুছপরোয়া নেহি, দোলের তিন দিন আগে মেয়ের পরীক্ষা ... ...