১।তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে সাইবার অপরাধ ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের মতো। সাম্প্রতিককালে সমগ্র বিশ্ববাসী সাইবার অপরাধের বৰ্ধিত দুঃশ্চিন্তায় আক্রান্ত। প্রতিনিয়ত বড় বড় সাইবার অপরাধের পরও দেশের কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। প্রযুক্তির আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষিত-দক্ষ জনবল ও সচেতনতার অভাবেই সাইবার অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। কম্পিউটার এবং ইণ্টারনেটের উপরে মানুষের নিৰ্ভরশীলতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, একইভাবে তৎপর হয়ে উঠছে সাইবার অপরাধীর চক্রসমূহ। সাইবার সংক্রান্ত সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধ কে বলা হয় সাইবার টেররিজম (Cyberterrorism)বলে। সাইবার পর্নোগ্রাফি, সাইবার স্টকিং, সাইবার ডিফেমেশনের মতো ইত্যাদি ঘটনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের তালিকায় পরে। অনলাইনে জুয়া, ফিশিং, কপিরাইট উল্লঙ্ঘণ, ক্রেডিট কার্ড ফ্রডের মতো ঘটনা ... ...
ইরান পুঁজিবাদ অনুসারী দেশ।নারী–পুরুষ–ছাত্র–যুব নির্বিশেষে সমাজের সমস্ত অংশের ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে এই গণআন্দোলনের শক্তি এতটাই বেড়েছে যে তা ক্ষমতাসীন মৌলবাদী–ফ্যাসিবাদী শাসকের চোখে চোখ রেখে অত্যাচারী জমানা বদলের আওয়াজ তুলছে৷ রাষ্ট্রের দমনপীড়নে ইতিমধ্যেই চারশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷আজ ইরানে যা চলছে তা হলো প্রগতিশীলতার বধ্যভূমি প্রস্তুত করা। এটা কি কোন সভ্য দেশের কাজ ? ধুর। একজন কে মৃত্যু দণ্ড দিলেই কি আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাবে ? একসময় শাহ র আমলে হিজাব বা বোরখা পুরো নিষিদ্ধ ছিল ১৯৮৯ ধর্মীয় অন্ধকার কে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়।একটা পুঁজিবাদী দেশে ধর্মীয় বিধিনিষেধ দিয়ে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া কতটা আক্রমণাত্মক তা ইরানকে দেখলেই বুঝা যায়। কারণ ভীতি ... ...
আবারও বিতর্ক ঘিরে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় জেএনইউ ( Jawahar Lal Nehru University) । এবারের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে কোন অজ্ঞাত পক্ষের দ্বারা দেয়াল লিখন হয় --- ক্যাম্পাসের ভেতরে স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দেওয়ালে কারা যেন লাল কালিতে লিখে রাখল ফতোয়ার ঢং-এ একাধিক বিতর্কিত বার্তা। কোথাও লেখা হয়েছে ‘ব্রাহ্মণরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাও’, কোথাও লেখা ‘বানিয়ারা (বৈশ্য) দূর হটো’, কোথাও বা ‘শাখায় (সংঘ) ফিরে যাও’, ‘আমরা বদলা নিতে আসছি’ ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে৷ অজ্ঞাতনামাদের কুকীর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের দেওয়াল ব্রাহ্মণ তথা বৈশ্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগানে ভরে উঠল। রীতিমতো শাসানি দিয়ে বলা হল ... ...
জীবন নিয়ে খাঁচার ভিতর অচিন পাখি জড়িয়ে রাত-প্রভাতের মত কর্মব্যস্ততার অবধারিত ঘুর্ণনে জীবন চিত্রের বদল ঘটে হরেক দিন, এটাই মানব জীবন। চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের প্রাক্পর্ব পর্যন্তও স্বাভাবিক থাকে জীবনাচরণ কোনো কোনো সময় মানুষের, জীব-জন্তু বা পশু- পাখির। চৈত্রের কালবৈশাখী, আষাঢ়ের বাধভাঙা জলেচ্ছ্বাস যেমন ছিন্নভিন্ন করে দেয় প্রকৃতির সাজানো সংসার, তেমনি মানবসভ্যতা ও সতর্কতার তরীকে জীবন নদীস্রোতের বিপরীতে নিয়ে এড়িয়ে চলে বিপদের লাল-সঙ্কেত কাটানো প্রহর। প্রকৃতিই কখনও আপন খেয়ালে নিজের উল্লাসে মেতে ওঠে, ঝড় হয়ে দেখা দেয় প্রাণধারীর আয়ুতে, আবার প্রকৃতিই কখনও চোখের জলে ভাসিয়ে দেয় স্থল— চরভূমি জলের গভীরতা বাড়াতে। অর্থাৎ প্রকৃতিই প্রকৃতির ওপর— নিজের মনে ও শরীরে চালায় শাসন। অধিকার, হুকুম বা ... ...
আমরা নতুন করে আবারও প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্ৰপতি পেতে চলছি। ভারতে সম্ভবত ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শ্রীমতি দ্রৌপদী মুৰ্মু নির্বাচিত হতে চলেছেন। ১৮ জুলাই , ২০২২ তারিখে অর্থাৎ আগামীকাল আমাদের দেশের রাষ্ট্ৰপতি নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৰ্তমান রাষ্ট্ৰপতি মাননীয় রামনাথ কোবিন্দের কাৰ্যকাল শেষ হওয়ার পর এই নিৰ্বাচন হবে স্বাধীন ভারতের পঞ্চদশতম রাষ্টপতি নিৰ্বাচন৷ আগামী ২১ জুলাই, ২০২২ তারিখে দেশ নতুন এবং পঞ্চদশতম রাষ্ট্ৰপতি লাভ করবে। ইতিমধ্যে এন ডি এ- র তরফ থেকে বিজেপি দলের সদস্য, প্রাক্তন বিধায়িকা, প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী এবং ঝারখণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুৰ্মুকে এবং ইউ পি এ- র তরফ থেকে প্রাক্তন প্ৰশাসনিক বিষয়া, প্ৰাক্তন কেন্দ্ৰীয় বিত্তমন্ত্ৰী, প্রাক্তন বিজেপি নেতা এবং বৰ্তমানের ... ...
‘আমার সারা জীবনে এভাবে পুরো দেশকে একজন ব্যর্থ নেতাকে হটানোর একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এক হতে দেখিনি। সরকারি বাসভবনের করুণ পরিণতিই আপনার ভবিষ্যৎ বলে দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পথে বিদায় হোন। গোতা আজই চলে যান।’‘আমি সব সময় শ্রীলঙ্কার মানুষের সঙ্গে আছি। তাদের এ বিজয় উৎযাপন করব শিগগিরই। কোনো নিয়ম লঙ্ঘন না করে এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকুক। অবরোধ শেষ হয়েছে। দুর্গের পতন হয়েছে। মানুষের ক্ষমতার জয় হয়েছে। এখনই পদত্যাগ করে সম্মানজনকভাবে বিদায় নিন।’ -শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সনৎ জয়সুরিয়া।কলম্বোতে গণ অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রাজাপাকসে আগামী ১৪ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগ করবে। হাজার হাজার পুরুষ, মহিলা এবং শিশু প্রভাবশালী রাষ্ট্রীয় ... ...
ধর্মীয় আচার ব্যাবহার বা ধর্মের প্রতি আবেগ অনুভূতি এই উপমহাদেশে খুব বেশি। আমরা যারা এই উপমহাদেশের বাসিন্দা তাই অন্যান্য দেশের মানুষ যতই তাদের জীবন ধারণের মানদণ্ড উন্নত হোক না কেন তাতে কিছুই যায় আসে না। ধর্মের মোহ মানুষের চিন্তা জগতকে কতোটা নির্মমভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তার দৃষ্টান্ত বিশ্ব ইতিহাসে বিরল নয়। মানুষের চিন্তায় ধর্মের মতো একটা কাল্পনিক এবং তাদের দৈনন্দিন জীবন জীবিকার সাথে প্রকৃতিগতভাবে সম্পর্কহীন বিষয়টা কিভাবে এতো বিপূলভাবে সম্পৃক্ত, সমৃদ্ধ ও বিকশিত হতে পারলো, সেই প্রশ্ন আমাদের অনেকেরই। অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এই অজুহাতে উগ্র ধর্মবাদিরা নিজ ধর্মের সমালোচকদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাইছে, শুধু তাই নয়, তাদের অস্তিত্বও নিশ্চিহ্ন করতে ... ...
ইদ এলেই কী প্রচণ্ড টানটান উত্তেজনা কাজ করতো! কিন্তু ইদানীং প্রায়ই নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত আকিদ। হয়ত বয়স বাড়ছে। তাই ভাবতো বুশরা। বিয়ের বারোটা বছর পেরিয়েছে সত্য কিন্তু আকিদ তার ছোটবেলার এই উৎসবের কথা কতবার শেয়ার করেছে তা বলার ইয়াত্তা রাখে না।শৈশবের-কৈশোরের রৈ রৈ। আকাশে চাঁদ দেখা গেলেই ছুটে যাওয়া মসজিদে ইমাম সাহেবের কাছে! কোরবানির ইদে কতবড় গরু জবাই করা হতো! আরও কত কী! কিন্তু বছর দুয়েক থেকে তার মধ্যে একটা আলাদা রকম একটা পরিবর্তন ঘটেছে। বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে থাকে বুশরা এগুলো ভেবে।এবারও আনন্দ-উৎসবের দিব সমাগত প্রায়। কিন্তু আকিদের ভাবসাব অন্যরকম। বুশরা নিজেকে আর সামলাতে না পেরে আকিদের হাত ধরে বলেই ফেললো "কারো সাথে ... ...