যে ধ্বনি তুলেছিল “উলগুলান”যে শিখিয়েছিল ওঁদের লড়াই করতে“অরন্যের অধিকার” যার বানী ছিলসেই শিখিয়েছিল মাতৃভূমির জন্য মরতে। ডোমড়ি পাহাড়ের টপ্ট বুরুবুক কাঁপিয়েছিল যাদের,মুক্তির পথ সেই তো এসেদেখিয়েছিল তাঁদের। ওঁরা “ধরতী আবা” বলে তাঁকে,ওঁরা আজও তাঁর নীতি মেনে চলে,ওঁরা আজও আঁকরে থাকে জঙ্গলওঁরা আজও পেষে মুক্তির যাঁতাকলে।মৃত্যুদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি ... ...
অফিসে বিশাল চাপ। রীতিমতো বিষফোঁড়াতে খোঁচা দেওয়ার মত ব্যাবস্থা। সবকিছু সামলে সবেমাত্র লাঞ্চ বক্সটা খুলেছে সন্দীপ। মোবাইলটা হঠাৎ বেজে উঠলো।মিনা'র ফোন। মিনা সন্দিপের স্ত্রী। ফোনটা রিসিভ করল সন্দীপ।মিনা : (ঝাঁঝালো স্বরে) তুমি কি আমায় বিয়ে করেছ নিজের মায়ের দাসী ভেবে? সারাদিন কাজ আর কাজ, আমি আর থাকতে পারছি না তোমার মায়ের সঙ্গে। এক্ষুনি এসো তুমি, আজ কিছু একটা হেস্তনেস্ত করতেই হবে।সন্দীপ : মাথাটা ঠাণ্ডা করো মিনা,আমি রাতে গেলে কথা হবে, অফিসে বিশাল চাপ, বেরোতে পারব না।মিনা : ঠিক আছে,কাজ নিয়ে থাকো আমি চললাম বাপের বাড়ি ( পাশ থেকে মায়ের চিৎকার যাও যাও বাপের বাড়ি, আমি আর আমার ছেলেটা শান্তি পাই)।সন্দীপ ... ...
নেই তিনি আর নেই… প্রথমত বলি, এই বাঙালী জাতটা একসময় বিশ্ব দাপিয়ে বেড়িয়েছে। আর এখন তারা বাঙালি বাঙালী রব তুলে দুই হাত তুলে নৃত্য করছে। খুব কষ্ট লাগে এটা ভেবে যে সত্যজিৎ রায়, ঋষীকেশ মুখার্জী, কিশোর কুমার এর মত বাঙালিরা এক্সময় বাংলাকে বিশ্বে কোন স্থানে পৌঁছেছিল আর এখনকার শিল্পীরা ঠিক বাংলাকে কোন স্থানে পৌঁছানর চেষ্টায় আছেন। বলা বাহুল্য এখন বাঙালি কেবল বাঙালী হয়েই থাকতে চায় অথচ একচেটিয়া বাঙালি রাজত্ব করছে বলিউডে। তফাৎটা এইখানেই। যদিও কেকে এর মৃত্যু প্রসঙ্গে এই বক্তব্য অনেকেই যুক্তিযুক্ত মনে করবেন না। তবুও ওই যে আবেগ।দ্বিতীয়ত বলি, কেকে কোন নিচু মানসীকতা অথবা কুয়োর ব্যাঙ জাতীয় শিল্পীর মন্ত্যব্যে মারা ... ...
“দেখা দে মা, দেখা দে। একটিবার দেখা দে”… এই কথাগুলি কে বলেছেন, তা বাঙালি তথা কোন ভারতবর্ষের মানুষের কাছেই অজানা নয়। তিনি গদাধর। কিন্তু এই কথা বলার স্থান, তাঁর এই সাধনার জায়গা প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে কয়টা মানুষ জানেন! জানেন, অনেকেই জানেন কিন্তু ইতিহাস কোনদিন কেউ সম্পুর্ন রুপে জানতে পারেনি, পারেনা। সময়ের সাথে সাথে, মানুষের মননশীল চিন্তাধারার সাথে সাথে ইতিহাস পরিবর্তিত হতে থাকে। অর্থাৎ একের উপর আর এক চেপে যাওয়া। কালের বিবর্তনে বারংবার ইতিহাস পরিবর্তিত ও মার্জিত হয়েছে, আগামী দিনেও যে হবে; সে কথায় সন্দেহ নেই।সালটা ১৮৫৫, রানী রাসমনি একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন। দীর্ঘ আট বছরের কারিগরদের অকান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠল সেই মন্দির। ... ...
সাহিত্য সম্পর্কে প্রথম আসে আলোচনা, তারপর সমালোচনা, তারপর ব্যাক্তিগত আক্রমণ...সুস্থ আলোচনাটা চাপা পড়ে যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সবাই বাংলা সাহিত্যিক ছিলেন। এখন বিভিন্ন জঁর অনুযায়ী সাহিত্যিকদের শ্রেনীবিভাগ হয়েছে। যেমন থ্রিলার সাহিত্যিক, ভৌতিক সাহিত্যিক, সামাজিক সাহিত্যিক আরও অনেক আছে। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে এই শ্রেনীবিভাগটা করল কারা? পাঠক, লেখক নাকি প্রকাশক?আমার প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় সাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর সামাজিক উপন্যাস "পথের পাঁচালী" আজও বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কিন্তু তাই বলে তাঁর "তারানাথ তান্ত্রিক" কি বাঙালি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল? না, বাঙালি তাঁর সামাজিক ও ভৌতিক দু'টোকেই আপন করে নিয়েছিল। এবার আসি মূল কথায়। প্রথমেই বলে রাখি আমি সেকাল আর একালের সাহিত্যিকদের মধ্যে তুলনা করছি ... ...
হঠাৎ করেই তাকাল সে আমার দিকে, চাহনি এখনও আগের মতই। চোখজোড়া কথা বলে উঠলো তার, আমার চোখ ভুলে গেল পলক ফেলা। তার দুঃখ বেদনা ভাষা হয়ে দৃশ্যমান হতে লাগল চোখে, আমি পিছন ফিরে বসে আছি অনেকক্ষন। অতীত আসলে পিছনেই থাকে। কোন দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ রইল না আর, সময় যেন পিছিয়ে গেছে অনেকটা। হৃদয় মাঝারে তখন ভূমিকম্প, সুনামী আসার অপেক্ষায় চোখ। হঠাৎ করেই পিছন থেকে একেবারে পাশে চোখ গেল, ঠোঁট জোড়া কেঁপে উঠল। মনে পড়ল, পিছন ফিরে তাকানোর আগে পাশে তাকানোটা খুব জরুরী। কারণ, পিছনে অতীত আছে, পাশে বর্তমান। ভবিষ্যৎটা নাহয় তোলা থাক। ... ...
Rajkumar Mahato আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃভক্তিগীতি সমগ্র ... ...
আমি সবসময় বাসের পেছনের সিটে বসি, আজকেও তাই বসেছিলাম। কানে হেডফোন থাকেই, আজও ছিল। কালীঘাট পেরোতেই শুনতে পেলাম, কন্ডাক্টর সামনে বসে থাকা একজন ভদ্রলোককে কিছু একটা বলছেন। বলা বাহুল্য, চিৎকার করছেন কন্ডাক্টর ভায়া। এইসব জিনিসে একটু কৌতূহল বেশি আমার , উঠে দাঁড়িয়ে তাকালাম সামনে। দেখলাম, এক ভদ্রলোক একটি তিন চার বছরের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, বাচ্চাটার নিম্নভাগে কোন পোষাক নেই আর সিটে একজন ভদ্রমহিলা কিছু একটা পরিস্কার করছেন। পাশে ওমরেশ পুরীর মত ভান করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কন্ডাক্টর মশাই।সামনে এগিয়ে গিয়ে ব্যাপারটা বুঝলাম, বাচ্চাটি পায়খানা করে ফেলেছে। তাই কন্ডাক্টর মশাইয়ের এত রাগ। বাচ্চাটিকে ডাইপার কেন পরানো হয়নি। সেই ... ...
গতকালের কালবৈশাখীতে ছাদে এসে জমা হয়েছিল পাশের বাগানের গাছের ডালপালা। সকালে সেগুলো দেখে ঝাঁটা হাতে ছাদে গেলাম। বাবা অবাক চোখে তাকিয়ে রইলেন। মনে হল আবেগে এবার কেঁদেই ফেলবেন বুঝি।ছাদ পরিস্কার করে মিনিট কুড়ি পর নিচে নেমে এলাম। বাবা তাকিয়ে হাসলেন আমার দিকে। তারপর বললেন "ছাদটা ফুটো হয়ে গেল না তো?" ভ্রু কুঁচকে বাবার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম, "গিয়ে একবার দেখে এস, ছাদে মুখ দেখতে পাবে নিজের।" বাবা বললেন, "অতগুলো সিঁড়ি বেয়ে উঠে মুখ দেখব? আমার ঘরে আয়না আছে।" অপমানে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছি, এমন সময় দেখলাম মেয়ে ছাদে উঠছে। ভাবলাম, চিলেকোঠার ঘর থেকে নিজের খেলনা আনতে যাচ্ছে হয়ত। কিন্তু অবাক হলাম তখন, যখন ... ...
"আমি অচিন্ত্যকে একটি কিডনি দিলে মরব না, বরং আমার একটি কিডনি পেলে অচিন্ত্য বেঁচে যাবে" এটা হাসলু নামে এক ব্যক্তির সরি এক বন্ধুর উক্তি। নিউজটা আনন্দবাজারে পড়লাম। এক বন্ধু আর এক বন্ধুকে বাঁচানোর জন্য নিজের একটি কিডনি দেওয়ার আবেদন করেছেন স্বাস্থ্যদপ্তরে। ... ...