অত রাতে গৌতমদা-র ফোন আসতে দেখে, একটু চমকে গিয়েছিল মনসিজ। গৌতম দাশগুপ্ত ওদের সিনিয়র সাব-এডিটর। কোনো ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টকে তাঁর সরাসরি ফোন করার কথা নয়। মনসিজের মতো রিপোর্টারদের পাঠানো কত খবরই তো বিভিন্ন জেলা থেকে পৌঁছয়। সে-সব খবরকে কাটাছেঁড়ার টেবিল পার হয়ে, তাঁর মতো লোকেদের সম্মতি নিতে হয়। তারপরে মুদ্রিত অক্ষরের স্পর্শ। আর অধিকাংশই হারিয়ে যায় বাতিল খবরের ঝুড়িতে। তবে উনি অমায়িক মানুষ। হেড-অফিসে মাঝেমধ্যেই যেতে হওয়ার সূত্রে, তাঁর সঙ্গে মনসিজের পরিচয়টা বেশ ভালোই আছে। প্রথম আলাপে 'স্যার' সম্বোধন করেছিল বলে, থামিয়ে দিয়ে বলেছিলেন— আরে স্যার-ট্যার না! আমাকে গৌতমদা বলে ডাকবে।কিন্তু এমন ওজনদার লোকের হঠাৎ মনসিজকে ফোন করার মানেটা কী? ফোনটা ... ...
আলো ও অন্ধকারের মাঝামাঝি জায়গাটা খুঁজছি। জায়গাটা ছায়ামাখা ধূসর। সেখানে যাওয়ার পথ অনেকটা অচেনা। তাতে কোনো সমস্যা নেই। চেনা রাস্তায় গিয়ে বহুবার দেখেছি, সেও আচমকা রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্রেস এনক্লেভ থেকে গোধূলি আবাসন পর্যন্ত একটা অচেনা সরলরেখা টানা যায়। সেই পথে নিশ্চিত বিকেল জুড়ে পড়ে থাকে কমলা রঙের রোদ। সেই চেনা রোদের আরাম মেখে নিতে-নিতে, কতবার চেয়েছি কোজাগরী চাঁদের উজান। অপেক্ষা করেছি, কখন নড়ে উঠবে সময়ের অনিবার্য আঙুল। আবার গায়ে জড়ানো যাবে জ্যোৎস্নাচাদর। তবুও কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি ফিরে আসেনি। বরং চারপাশে বেড়েছে দাড়ি-হাঙর, গামছা-শিয়াল, উল্কি-ভালুক ও অনুসারী-বাঁদরের ভিড়। অযোগ্য রিংমাস্টার হয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছে কাকেশ্বর কুচকুচে। তার প্ররোচনায় পিছন থেকে ছুরি ... ...